বহুমুখিনতা এই বইয়ের সম্পদ। খানিক বিপদও বটে। পেঁয়াজ খাওয়ার গন্ধ-সংকট থেকে বরযাত্রীদের শায়েস্তা করা সেই নমস্য মহিলাদের কথা যারা জামাইয়ের ছোট ভাইকে ‘দ্যাশের ঘোড়ার ল্যাদা’ অব্দি খাওয়াতে চান; স্মৃতির ভিতর অভিধান নিয়ে ঘোরা থেকে দই-কে বই শুনে নিজেরই সমবয়সি কান তাঁর সঙ্গে ফাজলামি করার অধিকার পেয়েছে কি-না ভেবে সন্দিগ্ধ হওয়া; এই মস্ত পরিসরে পাঠক ঘোরাফেরা করতে পারলে ফুর্তিই পান। তবে বিপদ এই যে, এক-একটি লেখা যে ঝাঁকুনিতে শেষ হচ্ছে, তার রেশ রয়ে যায় অনেকক্ষণ। সেই ঘোর নিয়ে তুলনায় আরও হালকা কোনও বিষয়ে চলে যাওয়া একটু সমস্যার।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকার চত্বর আর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের অতিথিশালাকে, ব্যক্তিগত কাজের খাতিরে বেশ কয়েকবার বসতের সুবাদে, ‘দ্বিতীয় ঘরবাড়ি’ অভিধা দিয়েছেন পবিত্র সরকার। অন্তরের টানে ভালোবাসা আবশ্যিক উপকরণ। স্মৃতির জোনাকি সেখানে জ্বলে-নেভে। এই ব্যক্তিচৌকাঠ পেরিয়ে গেলে অবশ্য একটা উঠোন মেলে, যেখানে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখা যায়। অন্তরের জিনিসকে সেখানে মিলিয়ে নেওয়া যায় বৃহত্তর প্রেক্ষায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেভাবে দেখতে গিয়েই তিনি বলছেন, ‘যে কারণে পৃথিবীর আর যে-কোনও বিশ্ববিদ্যালয় তাকে নিষ্ফল ঈর্ষা করতেই থাকবে, তা হল তার একটি কীর্তি, যে কীর্তি আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কোনওদিন অর্জন করতে পারবে কি না সন্দেহ। হাজার বিদ্যায়তনিক সাফল্য দিয়েও যার মূল্য লঘু করা যায় না, কারণ এই কীর্তি বাঙালি জাতির অস্তিত্ব ও তার মর্যাদার সঙ্গে জড়িত। এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি দেশের, বর্তমান বাংলাদেশের, স্বাধীনতার অঙ্কুর প্রথম জেগে উঠেছিল।’ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই সমাজ-জাগরণের বারুদ বুকে বয়ে বেড়ায়; তা সত্ত্বেও অমরতার স্বর্ণাক্ষরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন আগেভাগেই পৌঁছে যায় এই স্বাতন্ত্র্যে। গৌরব যদি পূর্ণচ্ছেদ হয় তাহলে শুকনো ইতিহাসের পাতার সঙ্গেই তার ভাব জমে। চলিষ্ণু সময়ের বাঁকে ইতিহাস যখন নিজেই নিজের সংস্কার করতে চায়, তখন অতীতের পূর্ণচ্ছেদের পাশে লাল দাগ। ইতিহাস এগিয়ে চলে সময়ের হাত ধরে, নতুন ইতিহাস নির্মাণ করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পবিত্রবাবুর যে বড় উপলব্ধি, তা তাই আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে অন্যতর প্রাসঙ্গিকতা পেয়ে যায়। যখন দেশের সংস্কারে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনপণ করেছেন, একটি আন্দোলন ঘনিয়ে উঠে আবিষ্কার করছে নতুন দেশকে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যের পরিমাণ আমরা আঁচ করতে পারি মাত্র। লেখক স্বয়ং সে আঁচ পোয়াচ্ছেন তাঁর দ্বিতীয় ঘরবাড়িতে বসেই। যদিও এ তথ্য ‘বহিরাগত’ এবং লেখকের বই পড়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম প্রভাব খাটানোর অধিকার এর নেই, তবু প্রসঙ্গক্রমে খানিক চলেই আসে। সময়ের বিক্ষোভ এসে বলে যায় একটি লেখা চাইলে বইয়ের মলাট পেরিয়ে ইতিহাসে সম্প্রসারিত হয়ে যেতে পারে। যেখানে লেখার শেষ, তার পরবর্তী শূন্য অংশটুকুর ভিতরই যেন রাখা এই আগামীর আভাস। ফলত ‘এ কথা সে কথা’ নাম দিয়ে যে বইকে খানিক হালকা মেঘের মতো ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা আদতে আমাদের টেনে আনে এক পরীক্ষাতেই। দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমের অবিশ্রাম দাপাদাপির ভিতর ক্ষিপ্ত এবং বিক্ষিপ্ত পড়ুয়া মনটিকে আড়ালে বকেঝকে ধরেবেঁধে এনে বসাতে না-পারলে হালকা চালে কত অন্ন তা অনুমান করা যায় না।
পড়ার অভ্যেসের মৃত্যুঘণ্টা সর্বত্রই বাজছে। ভূমিকা সাক্ষী, লেখককে ভাবিয়েছে এই বাস্তবতা। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর এই হালকা চালের কথার আসর আরও বেশি মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে। আগাগোড়া তিরতিরে এক রসবোধ লেখাগুলিকে বেঁধে রেখেছে। ফলে, বিষয় নিরিখে তেমন সাযুজ্য না থাকলেও, এই লিখনরীতি পাঠককে বেঁধে ফেলে। যে ‘মহাফুর্তি’তে তিনি লিখেছেন, সেই ফুর্তি পাঠকের মনেও চারিয়ে যায়; লেখাগুলো পড়তে পড়তে এক রকম আন্তরিক কথোপকথনের শব্দ শোনা যায়। ঠিক যেন পাশে বসে কেউ কথাগুলো বলছেন, অথচ আদতে তা লিখিত অক্ষর। অনেক সময় সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বলা-কথার ধরনটিই অনুসৃত হয়েছে লিখিত রূপে। তাতে মুখের কথার একটা আদল পাওয়া যায় বইকি! খানিক এলোমেলো ভাবও তার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। অথচ লেখ্য রূপের ভিতর দিয়েই যে একরকমের শ্রুতির বৈশিষ্ট্য আনা যায়, এই লেখাগুলো যেন সেই শৈলীর গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রের আবদার মেনেই লেখক এই লেখাগুলো তৈরি করেছেন। বহু সংখ্যক পাঠকের কাছে তাই পৌঁছচ্ছে তাঁর লেখা। ফলত বিদ্যায়তনিক গাম্ভীর্য ঝেড়ে ফেলে প্রতি পাঠকের সঙ্গে লেখক যেন একেবারে ব্যক্তিগত আলাপন রচনা করেছেন। স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি, মন্তব্য সবই আছে। তবে এই শৈলীর জাদুতেই তিনি কথার স্থাপত্যের ভার কমিয়ে দিয়েছেন। বেশ একটা ইমারত, তবু ওজনে হালকা। অসম্ভবের এই সম্ভাব্য রূপটিই হয়তো আজকের সময়ে পাঠককে চুম্বকে আটকে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু লেখক পাঠকের সরে যাওয়া সম্পর্কে গোড়াতেই তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন, আমরা অনুমান করতে পারি, পাঠকের ফিরে আসা সম্পর্কেও তাঁর লেখাগুলো একান্ত সচেতন এবং প্রত্যয়ী। ফলত গোপনে পড়ার নেশা ধরানো অভিপ্রায়েই যেন এই সব লেখারা আমাদের একে একে হাতছানি দিতে থাকে।
………………………………………………………………
পড়ার অভ্যেসের মৃত্যুঘণ্টা সর্বত্রই বাজছে। ভূমিকা সাক্ষী, লেখককে ভাবিয়েছে এই বাস্তবতা। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর এই হালকা চালের কথার আসর আরও বেশি মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে। আগাগোড়া তিরতিরে এক রসবোধ লেখাগুলিকে বেঁধে রেখেছে। ফলে, বিষয় নিরিখে তেমন সাযুজ্য না থাকলেও, এই লিখনরীতি পাঠককে বেঁধে ফেলে। যে ‘মহাফুর্তি’তে তিনি লিখেছেন, সেই ফুর্তি পাঠকের মনেও চারিয়ে যায়; লেখাগুলো পড়তে পড়তে এক রকম আন্তরিক কথোপকথনের শব্দ শোনা যায়। ঠিক যেন পাশে বসে কেউ কথাগুলো বলছেন, অথচ আদতে তা লিখিত অক্ষর।
………………………………………………………………
হালকা চালে গভীর থেকে গভীরতর কথা বলার অভ্যেসটি আমাদের সাহিত্যে নতুন নয়, বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ থেকে ধরলেও তা আলাদা এক প্রবাহ। তির্যকতার তির ছোড়াছুড়ি যে সর্বত্র, তা নয়। বরং বিষয়ের গভীরে টেনে এনে একটা চিরকালের বেদনা জাগিয়ে তোলার পরিসর নির্মিত হয়েছে অন্তত কয়েকটি লেখার ক্ষেত্রে। বারবার যে এই রীতির কথা বলছি, তার কারণ এই যে, সময়টাই গোলমেলে। রিলস্-ইনস্টাগ্রামে শাসিত আমাদের মনের দুনিয়ায় নাকি আপাতত সিরিয়াস আর কোনও কিছুরই জায়গা নেই। সময়ও নেই হাতে। এক থেকে আর-একে সরে যাওয়ার ক্লান্তিকর অভ্যেসের ভিতর শুধু লঘু চাপল্যের ফোয়ারা। তা অস্বীকার করা যায় না। তাহলে এই সময়ে বসেই, একজন আম-পাঠককে রাষ্ট্রীয় কসাইখানার বীভৎসতা অব্দি নিয়ে যাওয়া যায় কী করে! রবীন্দ্রনাথ হালকা চালেই বহু গুরুতর উপপাদ্য নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন। তবে তাঁর সময় আলাদা, সেই সময়ের পাঠাভ্যাসও অন্যরকম। আজ আমরা রবীন্দ্রনাথকেও কতটা পড়ি সে প্রশ্ন উঠে গেলে থামানো যায় না। না-পড়া অথচ প্রশ্ন তোলার লোকেরও অভাব হয় না। এরকমই এক গোলমেলে স্ববিরোধী পরিমণ্ডলের ভিতর বসে ছাদ আর ছাদহীনতার গল্প তিনি আলগোছে শুরু করে দেন। পশুদের আকাশ-ছাউনি গেরস্থালি থেকে টুকটুক করে পৌঁছে যান সেখানে, যেখানে মানুষ রেললাইনের ধারে ঝুপড়ির ভিতর মাথা গলাচ্ছে। দৃশ্য বদলে যাবে যানবাহনের ছাদে। মাঝে থেকে যাবে এক লাইনের চকিত ছুরি, ‘‘সত্তর বছর পর একজন বাচাল আর নাটুকে প্রধানমন্ত্রীকে এসে ‘অচ্ছে দিন’-এর কথা বলতেই হবে, কিন্তু এখনও তাদের জন্য অচ্ছে দিন সরবরাহ করা হয়েছে কি-না জানি না।’’ এই হল পূর্বরাগ, কেননা একটু পরেই লেখক বলবেন, ‘‘কিন্তু রাষ্ট্র আমাদের থিতু হতে দেয় না বুঝি। যুদ্ধ আমাদের ছাদ ভেঙে দেয়, রাষ্ট্রীয় আর ধর্মীয় হিংসা আমাদের উৎখাত করে, বলে ‘পালাও, পালাও, এ ঘর আর তোমাদের ঘর নেই! এখানে রাষ্ট্রীয় কসাইখানা বসাব।’’’ প্রায় অনিবার্য সমাপ্তিতেই তাই এগোয় এ-লেখা, ‘তুমি কী করবে রাষ্ট্রের লাথি-খাওয়া মানুষ? তোমার ভোট খেয়ে যে রাষ্ট্রের গোড়ালির জোর হয়? রাষ্ট্রের হিংস্র চোখের দিকে রুখে দাঁড়াবে না?’ এই রক্তক্ষরণ পর্যন্ত পৌঁছনোর এমন একটা পথ তিনি নির্মাণ করেন, যা ছেড়ে বেলাইন হওয়া যায় না।
যেমন, বই মানবসভ্যতা থেকে পলায়নতৎপর বিস্মরণযোগ্য একটি বস্তু হয়ে চলেছে কি-না, এই সংক্রান্ত প্রশ্নচিহ্ন তো জোরাল ধাক্কা। কিন্তু তার আগে তিনি খানিক রসিকতার পরিসর নির্মাণ করেন, যেখানে ব্যস্ত সম্পাদক আর দলবলের সঙ্গে খানিক কাল্পনিক কথোপকথনে মেতেছেন। আর তারপর যেন একটা বিষয় নিয়ে দু-চারকথা বলতে বসেছেন। শেষমেশ যখন এই শ্লেষে এসে পৌঁছয় যে, ‘আরে, কাগজের বই না থাকলে মাঝে-মধ্যে হিটলারের মতো লোকেরা বই পুড়িয়ে আনন্দ করবে কী করে?’, আমরা বুঝতে পারি, লেখকের অভিপ্রায় গূঢ়। সময়ের সমালোচনা তিনি অবশ্যই করছেন। পাঠকের চেতনায় বয়ে আনছেন অভিঘাত। তবে রবীন্দ্রনাথের সমালোচনায় যে সামাজিক ভদ্রতা গুণের চিহ্নে প্রমথ চৌধুরি তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছিলেন, সেই ভদ্রতা-গুণের দারুণ প্রয়োগ পবিত্রবাবু রেখেছেন তাঁর আলোচনা-সমালোচনা এমনকী শ্লেষেও। কোথাও তার গণ্ডি ভাঙছে না, না-ভেঙেও কিছু বলার বাকি থাকছে না। ‘এ কথা সে কথা’ নাম দিয়ে আদতে তিনি অজস্র জরুরি কথা ঢুকিয়ে দিতে পারছেন আমাদের মননে।
………………………………………………………..
আরও পড়ুন সরোজ দরবার-এর লেখা: রবি-আলোকে চেনার অভ্যাসে প্রতিমা দেবী আজও অপরিচিত
………………………………………………………..
এবং বহুমুখিনতা এই বইয়ের সম্পদ। খানিক বিপদও বটে। পেঁয়াজ খাওয়ার গন্ধ-সংকট থেকে বরযাত্রীদের শায়েস্তা করা সেই নমস্য মহিলাদের কথা যারা জামাইয়ের ছোট ভাইকে ‘দ্যাশের ঘোড়ার ল্যাদা’ অব্দি খাওয়াতে চান; স্মৃতির ভিতর অভিধান নিয়ে ঘোরা থেকে দই-কে বই শুনে নিজেরই সমবয়সি কান তাঁর সঙ্গে ফাজলামি করার অধিকার পেয়েছে কি-না ভেবে সন্দিগ্ধ হওয়া; এই মস্ত পরিসরে পাঠক ঘোরাফেরা করতে পারলে ফুর্তিই পান। তবে বিপদ এই যে, এক-একটি লেখা যে ঝাঁকুনিতে শেষ হচ্ছে, তার রেশ রয়ে যায় অনেকক্ষণ। সেই ঘোর নিয়ে তুলনায় আরও হালকা কোনও বিষয়ে চলে যাওয়া একটু সমস্যার। তবে, যা মনে রাখার মতো তা হল, এই সমস্ত লেখা যে কোনও বিষয় নিয়ে কয়েক ছত্র লিখে ফেলার অভ্যাস মাত্র নয়। তা নিয়ে একটি লেখায় লেখক নিজেও খানিক মশকরা করেছেন। সেরকম লেখার মানুষের অভাব নেই। কিন্তু একজন জীবনরসিক মানুষ তাঁর অভিজ্ঞতা এবং প্রাজ্ঞ দৃষ্টিতে পাঠককে যে আনন্দ-বেদনা-আক্ষেপে পৌঁছে দিতে পারেন, তা সহজলভ্য তো নয়ই বরং দুর্লভ। সম্প্রতি শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তের একটি লেখা পড়ছিলাম, যেখানে তিনি তাঁর মাস্টারমশাই গণেশ হালুইয়ের একটি অমোঘ উচ্চারণ ধরিয়ে দিয়েছেন, ‘ছবি নড়ে না চড়ে না, কিন্তু জীবনকে নাড়িয়ে দেয়।’ অক্ষরও তাই। বইয়ের পাতা ওড়ে কিন্তু মুদ্রিত অক্ষর নড়ে-চড়ে না, শুধু আমাদের নাড়িয়ে দেয়। এই বই শেষ হয় এক অপরূপ ভোরের আশায়, ‘আমি চতুর্দিকে হেরে যাওয়া মানুষের জয় দেখি, জয় দেখতে চাই। এই লড়াইটার মধ্যেই জয়ের ছবি দেখি আমি। কবে সারা দেশ, সারা পৃথিবী এই সব হেরে যাওয়া মানুষদের জয় দেখবে?’
……………………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………………………
আমরা জানি না, কবে সেই ভোর আসবে। জানি না, বইয়ে মুদ্রণপ্রমাদের চ্যুতি কবে আমাদের আন্তরিক কষ্ট দেবে। শুধু বই বন্ধ করতে করতে ভাবি, এই দৃশ্য-শ্রাব্যের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে আমাদের চুরি যাওয়া মনোযোগের বিপন্ন দিনকালেও হেরে-যাওয়া লেখারা একদিন জিতে যাক।
====================================
এ কথা সে কথা
পবিত্র সরকার
প্রকাশক- এবং অধ্যায়
৪৫০্