E-Robbar
কিন্তু আমার রেনকোট খোলা মনে শুধু খোঁচা দিতে থাকে একটাই সোনালি-রুপোলি কাঠি, এই অবাঞ্ছিত বিছানা গোছানোর আগে ওরা দু’জন কী করছিল তাহলে? মাঝের ভেসে যাওয়া এক সমুদ্রকাল সময়ে, ভাগলপুরের বনলতা কি তাকে দু’-দণ্ড শান্তি দেয়নি?
নিলয় সমীরণ নন্দী ও
নর্মদার জলের পটভূমিতে বেজেছে ভিভ্যালডির অপেরা সংগীত। তার ঢেউ দীর্ঘশ্বাসে মথিত করে হৃদয়কে। দৈত্যের হাতে বন্দি রাজকন্যার কান্নার মতো তার হাহাকার। এক মহৎ চলচ্চিত্র দেখতে বসে বুঝি চলচ্ছবি, সংগীতের আলোড়ন ও কথার ঈষৎ স্পর্শ দিয়ে মাটির কাছে কীভাবে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
অনিতা অগ্নিহোত্রী ও
কোথায় বন্ধুর ঘর? ঈশ্বর যতখানি ভাবতে পারেন, তার চেয়েও সবুজ ওই পথ, যে-পথে ছড়িয়ে আছে ভালোবাসা– ‘বন্ধুত্বের নীল ডানার মতোই ব্যাপ্ত’, সেই পথে আছে তার সন্ধান। নিঃসঙ্গতার ফুল যেখানে, তার ঠিক দু’ পা আগে সে হাত বাড়াচ্ছে আমাদের দিকে। যুদ্ধধ্বস্ত সেই পৃথিবীর হাত কি আমরা ধরতে পারব, ততখানি ভালোবাসার সাহস কি হবে আমাদের?
সায়ন্তন সেন ও
‘পক্ষীরাজের ডিম’ কিন্তু প্রেমের ছবিও বটে। কৈশোরের প্রেম, আহা! আমরা তো ভুলতেই বসেছিলাম। কতদিন পর বাংলা ছবি তার প্রেমের গানে বয়ঃসন্ধি দেখল।
বিশ্বাবসু বিশ্বাস ও
ছবি দেখা, বোঝার ক্ষেত্রে আমরা এখনও ক্লিসে বস্তাপচা বাংলা সিরিয়াল মার্কা চলচ্চিত্রায়নকেই সেরা মনে করে, বাকি দুনিয়াকে, বিশ্ব চলচ্চিত্রকে নস্যাৎ করে দিই। ফিল্ম মেকিং-এর ভাষা, ফিল্ম দেখার মাধ্যম যে আগাগোড়া পালটে গেছে– এটা মেনে নিতে অসুবিধে হয়।
অভ্রদীপ ঘটক ও
দেখতে দেখতে, চকিতে মনে হয় ‘দ্যি গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নামটা কি আদতে বিদ্রুপ নয়? ভাঙাচোরা এই বাংলায় যেসব সার্কাস হয়ে চলেছে নিয়ত, তারই অবয়ব কি দেখছি না পর্দায়? একটু অন্যভাবে?
উদয়ন ঘোষচৌধুরি ও
বর্তমানে ভারতের অধিকাংশ সিঙ্গল স্ক্রিন হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, নয়তো অস্তিত্ব সংকটে। সাধারণ জনগণের জন্য তৈরি হয়েছিল এই হলগুলো, বর্তমানে তাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্চমূল্যের মাল্টিপ্লেক্স সংস্কৃতি। একে তো টিকিটের উচ্চ দাম, তার ওপর পপকর্ন-জলের বিল, আর অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ– সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র দেখা যেন এখন অভিজাত শ্রেণির বিনোদনে রূপান্তরিত।
সেখ আব্বাসউদ্দিন ও