E-Robbar
বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান, গুলিগোলা, সীমানার পুনর্বিন্যাস, বাজারে প্রবেশাধিকার লাভেরজন্য বেপরোয়া প্রয়াস– গত কয়েক বছরে রাশিয়ার জীবনে এই সমস্ত উদ্দাম ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দেশবাসীর বুঝি বা ভাবনাচিন্তার অবকাশই ছিল না যে, তিন বছর হল তাদের জাতীয় উৎসব বলতে কিছু নেই।
অরুণ সোম ও
য়তো এখন আর সেসময় বা অবকাশ মানুষের নেই। গর্বাচ্যোভ্কে নিয়ে যাও বা দু’-একটি চুটকি এককালে শোনা গেছে, ইয়েল্ৎসিনকে নিয়ে একেবারেই শোনা যায়নি।
সোভিয়েত সংবিধানে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এত ভালো ভালো সমস্ত ধারা ছিল যে, বোধহয় পৃথিবীর আর কোনও দেশের সংবিধানে তা ছিল না। কিন্তু সেই সংবিধান সম্পর্কে রসিকমহলের কী অভিমত?
রাষ্ট্রনেতাদের জনপ্রিয়তা অর্জনের এ আর এক কৌতুককর প্রয়াসও বটে।
‘সাহস সঞ্চয় করুন, মহামান্য প্রেসিডেন্ট, ভেবে দেখুন আফগানিস্তানের ঘটনা, বন্ধ করুন এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ড।’
গর্বাচ্যোভ্ পরে একসময় এমন কথাও বলেছিলেন যে, তিনি হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন, পার্লামেন্টে প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু গর্বাচ্যোভের হস্তক্ষেপে ধামাচাপা পড়ে যায়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর থেকে সে-দেশের প্রাক্তন ও বর্তমান রাষ্ট্রনেতা ও জননেতা, গুপ্তচর বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, এককালের মার্কসীয় তাত্ত্বিক ও পার্টি নেতাদের মধ্যে স্মৃতিকথা লেখা ধুম পড়ে যায়। বিশেষত ১৯৯১ সালের আগস্টের ঘটনার পর।