দিকপাল ক্রিকেটার, রনজি ফাইনালের দিন বাস থেকে নামছে, হাওয়াই চটির ফটর-ফটর শব্দ তুলে এগিয়ে আসছে, এমন অলুক্ষণে কাণ্ড এ বিশ্বে কে-ই বা বিশ্বাস করবে? আশি-নব্বইয়ে রনজি খেলে লক্ষপতি হওয়া যেত না ঠিকই। কিন্তু স্টেট-ক্রিকেটার তো নিদেনপক্ষে ট্যাক্সি চেপে আসবে! কালের নিয়মে উৎপল চট্টোপাধ্যায় একদিন খেলা ছাড়লেন। বাংলা কোচ হলেন। কিন্তু বাস-প্লাস্টিক ব্যাগ আর হাওয়াই চটির অভ্যেস তবু গেল না।
প্লাস্টিকের হাত-ব্যাগ। পকেটে শতছিন্ন বাস-টিকিট। পায়ে আটপৌরে হাওয়াই চপ্পল।
ছোট থেকে কেন কে জানে মনে হয়, ‘সাধারণ’ আর ‘অসাধারণ’– দুই বিপরীতধর্মী শব্দের সম্পর্ক অনেকটা ঝগড়ুটে দম্পতির মতো! কখনও দূরত্ব এক হাত, কখনও এক আলোকবর্ষ! কখনও দু’জন দু’জনকে দেখতে পারে না। সজ্ঞানে এড়িয়ে চলে। কখনও আবার দু’জন দু’জনকে ছাড়া থাকতে পারে না। জড়াজড়ি করে হাঁটে। শচীন তেন্ডুলকর ফি-বছর গুরুপূর্ণিমার দিন শিবাজি পার্কের যে বাড়িতে আজও যান, তা বড় সাধারণ। কিন্তু গিয়ে যে কাজটা করেন, প্রয়াত গুরু রমাকান্ত আচরেকরের ছবিতে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম, তা আবার অসাধারণ! এবং খানিক এ-ও মনে হয়, সাধারণ-অসাধারণের টক-ঝাল-মিষ্টি সংসারের ‘গিন্নি’ প্রথম জন। যার নিরন্তর সাহচর্য না পেলে দ্বিতীয় জন কল্কে পেত না!
হাতের প্লাস্টিক ব্যাগ, পকেটের বাস-টিকিট কিংবা পায়ে হাওয়াই চপ্পল না থাকলে উত্তর কলকাতার ছিপছিপে যুবকও কি পারত কখনও উৎপল চট্টোপাধ্যায় হতে?
উৎপলের হাসিটা এখনও বেশ দরাজ। বয়স নয়-নয় করে প্রায় ৬০ হল। তবু কিংবদন্তি, বাংলা স্পিনারের গা থেকে গঙ্গামাটির সারল্য গেল না। ‘একবার কী বিড়ম্বনাতেই না পড়েছিলাম! বাংলা রনজি ফাইনাল খেলছে। ইডেনে ৪৫ হাজার লোক খেলা দেখতে এসেছে। আমি তো আমার মতো বাস থেকে নেমেছি। হাতের প্লাস্টিকের ব্যাগে জামাকাপড়। পায়ে হাওয়াই চটি। ইডেনের গেটে আটকে দিল সোজা! কিছুতেই বুঝিয়ে পারি না, আমি খেলতে এসেছি! দেবেই। তখনও আমি উৎপল চট্টোপাধ্যায় হইনি। শেষে হাজার বোঝানোর পর ছাড়ল,’ বলতে গিয়ে হা-হা করে হাসেন উৎপল।
ইডেন প্রহরীকে দোষ দেওয়াও যায় না সত্যি। দিকপাল ক্রিকেটার, রনজি ফাইনালের দিন বাস থেকে নামছে, হাওয়াই চটির ফটর-ফটর শব্দ তুলে এগিয়ে আসছে, এমন অলুক্ষণে কাণ্ড এ বিশ্বে কে-ই বা বিশ্বাস করবে? আশি-নব্বইয়ে রনজি খেলে লক্ষপতি হওয়া যেত না ঠিকই। কিন্তু স্টেট-ক্রিকেটার তো নিদেনপক্ষে ট্যাক্সি চেপে আসবে! কালের নিয়মে উৎপল একদিন খেলা ছাড়লেন। বাংলা কোচ হলেন। কিন্তু বাস-প্লাস্টিক ব্যাগ আর হাওয়াই চটির অভ্যেস তবু গেল না। সাড়ম্বরে ফিরে এল বরং!
কেন, যুগের যাত্রী হয়ে আপনিও বদলালেন না কেন? উত্তমকুমারের হাতা-গুটোনো পাঞ্জাবির মতো হাওয়াই চটি-প্লাস্টিক ব্যাগ আপনার স্টাইল নাকি?
‘না গো। কী জানো, খেলোয়াড়ের খেলার জীবন তো ছয়-সাত, বড়জোর দশ বছরের। কিন্তু বাকি জীবনটা যে তার নিজের। আমি যদি নিজেকে বদলে ফেলি, খেলা ছাড়ার পর আমার অসুবিধে হবে না বলো? আমার আশপাশের লোকেরও তো হবে,’ গলায় ফের সারল্য-সূর্য উঁকি দেয় উৎপলের। তিনি যে অসাধারণ, বোধহয় বুঝতে পারেন না বাংলার ‘ডেভিড’। বুঝতে পারেন না, তিনি ‘গোলিয়াথ’। বুঝতে পারেন না, সাধারণ-অসাধারণের বিষুবরেখা বরাবর ভাগ-বাঁটোয়ারা।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
উৎপল নিজেকে ক্রিকেটের সাধক-যোগী ভাবেন না। ভাবেনওনি কখনও। ৪৯৯ উইকেটের চৌমাথায় দাঁড়িয়ে খেলা তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন, পাঁচশো পেতে গেলে আরও একটা রনজি মরশুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত, তাই। অর্থাৎ, আরও এক বছর। যা করার ন্যূনতম ইচ্ছে উৎপলের ছিল না। অক্লেশে তাই বলেও দিয়েছিলেন, ‘আর একটা উইকেট না হলেও আমার চলবে।’ চলেও যেত দিব্য। যদি না পরের বছর সিএবি কর্তা গৌতম দাশগুপ্ত এসে তাঁকে পাকড়াও করতেন। যদি না বলতেন, ‘ডেভিড তুই অবসর ভেঙে ফিরে আয়। দিল্লি আর মধ্যপ্রদেশ ম্যাচটা খেলে দে। নইলে বাংলার অবনমন হয়ে যাবে রে!’ সেই সময় ‘ডেভিড’, ৪৯৯ প্রথম শ্রেণি উইকেটের অধীশ্বর উৎপল, পাড়ার আড্ডায় বসে পা দোলাচ্ছিলেন!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
সম্ভবও নয়। মধ্যবিত্তের এক ধাপ নিচুতলায় জীবন শুরু করলে, দু’জনের খাবার চার ভাই-বোনে ভাগাভাগি করে খেলে, মানুষ বোঝে না অনেক কিছু। শিবের ঔদাসীন্যও বোধহয় গ্রাস করতে শুরু করে তখন, একটা সময়ের পর। সাময়িক ভোগ-বিলাসের পথে চলতে আর ইচ্ছে করে না। এটা ঠিক, সাধারণের সরণি ধরে না হাঁটলে অসাধারণ হওয়া হয়তো হত না উৎপলের। কল্যাণ বিশ্বাসের (ডাকনাম ও পরিচিতি পুলক নামে) যে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেটে হাতেখড়ি মহান বাংলা স্পিনারের, খেলার পয়সা লাগত না সেখানে। আর শ্যামবাজার চত্বরের এ বাড়ি-ও বাড়ি, ভাড়া বাড়ি করার পর শিলিগুড়ির চট্টোপাধ্যায় পরিবারকে যদি কনিষ্ঠ সন্তানের ক্রিকেট খেলার জন্য টাকা খরচ করতে হত, উৎপলের ক্রিকেট খেলাই হত না! ‘ছেঁড়া প্যাড, ভাঙা ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট শিখেছি আমি। পুলক স্যরের অ্যাকাডেমিতে থাকত অমন জনগণের জিনিস। তা দিয়েই খেলেছি। আর তাই হয়তো আমার খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। টাকা দিয়ে খেলা শিখতে পারতাম না,’ করুণ সত্যি অতি সহজে বলে ফেলেন উৎপল।
অতি সহজে খেলাও যেমন ছেড়ে দিয়েছিলেন এক সময়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঁচশো উইকেটের মাথায়, ৪৯৯ উইকেট-স্টেশনে দাঁড়িয়ে! লোকে বলেছিল, করছো কী হে! উন্মাদ হয়ে গেলে নাকি? পাঁচশোর তাজ পায় কত জন? বলেছিলেন যাঁরা, তাঁরা জানতেন না কীর্তির তাজ সব ক্রিকেটারের তৃতীয় রিপু নয়! উঁহু, তাই বলে উৎপল নিজেকে ক্রিকেটের সাধক-যোগী ভাবেন না। ভাবেনওনি কখনও। ৪৯৯ উইকেটের চৌমাথায় দাঁড়িয়ে খেলা তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন, পাঁচশো পেতে গেলে আরও একটা রনজি মরশুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত, তাই। অর্থাৎ, আরও এক বছর। যা করার ন্যূনতম ইচ্ছে উৎপলের ছিল না। অক্লেশে তাই বলেও দিয়েছিলেন, ‘আর একটা উইকেট না হলেও আমার চলবে।’ চলেও যেত দিব্য। যদি না পরের বছর সিএবি কর্তা গৌতম দাশগুপ্ত এসে তাঁকে পাকড়াও করতেন। যদি না বলতেন, ‘ডেভিড তুই অবসর ভেঙে ফিরে আয়। দিল্লি আর মধ্যপ্রদেশ ম্যাচটা খেলে দে। নইলে বাংলার অবনমন হয়ে যাবে রে!’ সেই সময় ‘ডেভিড’, ৪৯৯ প্রথম শ্রেণি উইকেটের অধীশ্বর উৎপল, পাড়ার আড্ডায় বসে পা দোলাচ্ছিলেন!
মুশকিল হল, সাধারণ যাপনের আলগা শ্রী থাকে যেমন, ঠিক তেমন সমস্যা-কুণ্ডলীও থাকে। সময়-সময় সাধারণ বড় সস্তা, তাকে পিষে ফেলা যায়, কেটে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। উৎপলকেও ‘কাটা’ হয়েছে বারবার। কখনও ‘জল্লাদ’-এর নামভূমিকায় থেকেছে ভারতীয় টিম, কখনও বা কারসন ঘাউড়ি। সাকুল্যে তিনটে ম্যাচ দেশের হয়ে খেলেছেন উৎপল। কিন্তু খারাপ বোলিংয়ের জন্য নয়। তাঁকে চিরতরে বাদ পড়তে হয়েছিল মার্টিন ক্রো-র ক্যাচ ফেলার অপরাধে! অভিমান আজ আর কাজ করে না। তার জলাভূমি সময়ের পলিমাটিতে ছেয়ে গিয়েছে। তবু মৃদু বিলাপ ছিটকে আসে কখনও-সখনও। অস্ফুটে বলে ফেলেন, ‘আমিই বোধহয় প্রথম প্লেয়ার, ক্যাচ ফেলে যার আর খেলা হল না। এবং শেষ!’
বাংলা কোচ থাকাকালীন কারসন ঘাউড়ি আবার উৎপলকে ‘পলায়ন-প্রিয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে বসেছিলেন! কি না, আঙুলের অসহ্য যন্ত্রণায় একটা ম্যাচ খেলতে চাননি তিনি। বল গ্রিপ করতে পারছিলেন না। ঘাউড়ি সে-সব দেখেও দেখেননি। বরং কাগজে টগবগে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন যে, ‘পালিয়ে গিয়েছে উৎপল!’ সেই সময় আঁতে লেগেছিল বড়। অপমানে শরীর ঝাঁ-ঝাঁ করছিল। আসলে সাধারণের কিছু থাক না থাক, একটা জিনিস প্রখর থাকে। আত্মসম্মান। বাংলা অভিধানের ওই একটা শব্দ নিয়ে সে কখনও আপস করে না। কপাল খারাপ হায়দরাবাদের। পরের ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ তারা ছিল। এবং ভুগতেও হয়েছিল যৎপরোনাস্তি! দু’ইনিংসে সম্মিলিত এগারো উইকেট নিয়েছিলেন উৎপল, প্রথম ইনিংসে আটটা! এবং ‘জবাব’ দিয়ে খেলাটাও তারপর প্রথমবারের মতো ছেড়ে দিলেন! আর শুধু ভারতীয় টিম বা ঘাউড়িই বা বলি কেন? বাংলা ক্রিকেটও তো কখনও লিখতে পারেনি তাঁর যোগ্য কোনও গান। কখনও না।
‘ছাড়ো ও সব, কবেকার কথা,’ সলজ্জ উত্তরে প্রসঙ্গ ধামাচাপা দিতে চান উৎপল। ‘ভারতের জার্সিতে বঞ্চনার কথা ভেবে আর কী হবে? লোকে বলে তোমার অমুক পাওয়া উচিত ছিল। এতদূর যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সবাই তো সব কিছু পায় না। আমি যা পেয়েছি, তাতে সন্তুষ্ট। বাংলা কম দিয়েছে আমাকে? তবে সবচেয়ে টাফ ছিল অবসর ভেঙে ফিরে আসার ম্যাচটা। আমি একটা ম্যাচ খেলব, আর সেটাতেই আমাকে সফল হতে হবে। উৎপল চট্টোপাধ্যায় নামটার বিরুদ্ধে আমাকে লড়তে হয়েছিল সে ম্যাচে। অথচ মেন্টালি তখন আমি রনজি লেভেলের আশপাশে নেই! তবু খেললাম। বাংলা জিতল। আমার পাঁচশোও হয়ে গেল। নিয়তি, নিয়তিকে খণ্ডাবে কে?’ আবার একটা দমকা হাসি ফোনের ও-প্রান্ত থেকে ভেসে আসে!
শুনতে শুনতে বড় অবাক লাগে। কতটা সাধারণ হলে মানুষ এত অসাধারণ হয়? ক্রিকেট সমাজের নিষ্ক্রিয়তাই কি এত নিস্পৃহ করে দিয়েছে উৎপলকে? নাকি এমনই তিনি চিরকাল? পাগলের মতো খুঁজি একটা, তাঁর অন্তত একটা জাগতিক মোহ। বলি, ক্রিকেটের এমন দীর্ঘ সফরে একটা স্বর্ণ-মুহূর্ত বলুন না! শ্রান্ত উত্তর আসে, ‘একটা? একটা কী করে বলি বলো? আমার কুড়ি বছরের সফরে, পাঁচশো উইকেটের গায়ে শুধু তো আনন্দ নেই। দুঃখ আছে। বেদনা আছে। হতাশা আছে। একটা ছাড়া আর একটা থাকত না। রনজি ফাইনাল খেলেছি আমি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে, আগের ম্যাচগুলো জিতেছি বলে। তা হলে সেই সিঁড়িগুলোকেও উপেক্ষা করি কী ভাবে?’ বলে-টলে, কথা শেষ করে, আবার বেরিয়ে পড়েন ক্রিকেট-পথিক। জীবনপুরের পথে।
হাতে যাঁর প্লাস্টিক ব্যাগ। পায়ে চপ্পল। বুকপকেটে বাস টিকিট!
…পড়ুন খেলাইডোস্কোপ-এর অন্যান্য পর্ব…
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৪: মনোজ তিওয়ারি চিরকালের ‘রংবাজ’, জার্সির হাতা তুলে ঔদ্ধত্যের দাদাগিরিতে বিশ্বাসী
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৩: অনুষ্টুপ ছন্দ বুঝতে আমাদের বড় বেশি সময় লেগে গেল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১২: একটা লোক কেমন অনন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পরিচর্যা করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১১: সম্বরণই বঙ্গ ক্রিকেটের বার্নার্ড শ, সম্বরণই ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১০: যাঁরা তৈরি করেন মাঠ, মাঠে খেলা হয় যাঁদের জন্য
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৯: খণ্ড-অখণ্ড ভারতবর্ষ মিলিয়েও ক্রিকেটকে সম্মান জানাতে ইডেনতুল্য কোনও গ্যালারি নেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৮: ২০২৩-এর আগে আর কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপ এমন ‘রাজনৈতিক’ ছিল না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৭: রোহিত শর্মার শৈশবের বাস্তুভিটে এখনও স্বপ্ন দেখা কমায়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৬: বাংলা অভিধানে ‘আবেগ’ শব্দটাকে বদলে স্বচ্ছন্দে ‘বাংলাদেশ’ করে দেওয়া যায়!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৫: ওভালের লাঞ্চরুমে জামাইআদর না থাকলে এদেশে এত অতিথি সৎকার কীসের!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৪: ইডেনের কাছে প্লেয়ার সত্য, ক্রিকেট সত্য, জগৎ মিথ্যা!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৩: এ বাংলায় ডার্বিই পলাশির মাঠ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২: গ্যালারিতে কাঁটাতার নেই, আছে বন্ধনের ‘হাতকড়া’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১: চাকরি নেই, রোনাল্ডো আছে