টুডুমের ডায়েরি। টুডুম ঠিক কে? এখনও জানা যায়নি। তবে, টাইম মেশিনে তার ডায়েরির কিছু পাতা সম্ভবত খুব স্পিডে ছেঁড়া হয়ে চলে এসছে বর্তমান সময়ে। কিছু কিছু ছেঁড়া অংশ পড়ে জানা গিয়েছে, টুডুমের নাম টুডুম হয়েছে নেটফ্লিক্স থেকে। তার বাপ-মা একদা সুখের পৃথিবীতে নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল করতে করতে টুডুম ঘটে যায়। প্রথমে খুব হাসি পেলেও, ক্রমশ বুঝতে পারা যাচ্ছে, টুডুমের জীবন ততটাই সঙ্গিন। ডায়েরির শেষ দুটো এন্ট্রি তুলে দেওয়া হল।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০৭৪
বাবা ঠিক বলেছিল। আমি মরে গেলে কাঠ দেওয়ার মুরোদ হবে না তোর। পইপই করে বলেছিল। বইফই, গানবাজনা এসব করছিস কর। কিন্তু, রোদে গিয়ে দাঁড়া। শ্বাস বন্ধ রেখে হাঁটা, ছোটা প্র্যাকটিস কর। সপ্তাহে তিনদিন অন্তত কুড়ুনের অভ্যাসটা তৈরি কর। ওখানেই ভবিষ্যৎ। ও-পাড়ার ব্যানার্জিদার ছেলেকে দ্যাখ, এখন, মাত্র সাতাশ বছর বয়সেই আট মিনিট সাতান্ন সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রেখে একশো মিটার ছুটতে পারেই শুধু নয়, একইসঙ্গে দু’বস্তা প্লাস্টিক ভরতে পারে, যার ওজন নাই নাই করে কুড়ি কেজি। ব্যানার্জিদার মেয়েটাও বা কী কম! দাদার থেকে দু’বছরের ছোট, অথচ শ্বাস ধরে রাখতে পারে সাত মিনিট ছাব্বিশ সেকেন্ড। জলে, স্থলে সমান পারদর্শী। এই বয়সেই উইমেন’স ন্যাশনাল ডুবুরি। থার্ড তো হলই, সেই সুবাদে মেথর দাস স্মৃতি পুরস্কারও পেল প্রতিযোগিতা চলাকালীন বঙ্গোপসাগরে পাঁচটা কচ্ছপের গলা থেকে প্যাঁচানো নাইলন ডোর ছিঁড়ে তাদের প্রাণ বাঁচিয়ে। আর পুরস্কারের টাকায়, এই কাঁচা পঁচিশ বছর বয়সেই নিজের অওকাদে দুটো গাছের মালিক। মাস গেলে ছ’সিলিন্ডার অক্সিজেন পাঠায় ‘আমপানি কর্পোরেশন’। সামনের বছর, ফার্স্ট হতে পারলে হাইড্রোজেনও পাবে তিন সিলিন্ডার করে। আর দেশকে ইন্টারন্যাশনাল সামিটে জেতাতে পারলে জল বানানোর যন্ত্রও। দেশটার হর্তাকর্তা এই আমপানিই। এরাই কিন্তু ভবিষ্যতে ওকে চাকরি দেবে। আর তুই, আজও পারলি না কিস্যু, ভবিষ্যতেও পারবি না। এখনও সময় আছে টুডুম। ‘খাতা গাছে চোতা পাখি’ করে যা হোক উতরে দে এসব পড়াশোনা নিয়ে চাকরিবাকরির চেষ্টা, কোনও মানে নেই এসবের, কুড়ুনের কেরিয়ারে মন দে। শরীরটাকে সেভাবে তৈরি কর। বাঁচতে পারবি না নয়তো। পৃথিবীটা জ্ঞান দিয়ে চলে না বাবা, চলে গারবেজে!
সেটাই সত্যি হল? এত যে পড়লাম, গাছ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না, জল হবে সবার অধিকার, এত যে শুনলাম দাদুর কাছে, বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে– এসব বৃথা? সব মিথ্যে হয়ে গেল? এই তো ২০৫১-য় দাদু মারা গেল যখন, তখনও চাদ্দিকে মল, ফ্ল্যাট আর সেই হাইটের আঁস্তাকুড়ের ভিড়ে অন্তত দুটো-তিনটে একতলা সুলভ ছিল। সেই সুলভের ছাদগুলোই ছিল আমাদের খেলার, আড্ডা মারার জায়গা। তারপর রাতারাতি সব কেমন বদলে গেল। মন্দিরে বাবার প্রসাদ বিতরণের চাকরিটা গেল। তারপর, ব্যানার্জি কাকুর দেখাদেখি বাবাও প্লাস্টিক রিসাইকলের যন্ত্রফন্ত্র কিনে ব্যবসা ধরল। পিচের রাস্তা, ইটের বাড়ি বানানো বন্ধ হয়ে গেল। যা ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ছিল, তাদেরই ওপর রিসাইকেল বিল্ডিং শুরু। আঁস্তাকুড়ের প্লাস্টিক গলিয়েই বিভিন্ন মাত্রার মাইক্রনে প্লাস্টিকের উপকরণ তৈরি হবে, সেখান থেকেই ইট, পিচ। আর এখন তো খাবারও প্লাস্টিক। বাবা-মা হাসাহাসি করত, তাদের ছোটবেলায় বিয়েবাড়িতে নাকি প্লাস্টিক চাটনি হত। তা সে যা হোক, বাবা-মায়ের এই হাসাহাসি, ব্যঙ্গ দেখে ভেবেছিলাম, এসব ক’দিনের হাইপ। কিন্তু, সব কেমন বদলে গেল। কুড়ুনেদের কনট্র্যাক্ট দিয়ে ব্যবসাটা বেশ চলছিল বাবার মতো ব্যবসায়ীদের। আস্তে আস্তে কুড়ুনে ইউনিয়ন বেঁকে বসল। ওরাই পরিবেশ বাঁচানোর শেষ উপায়, ওদের মতো নোংরা ঘাঁটার কেউ নেই আর– এসব স্লোগান মাথাচাড়া দিতে শুরু করল খুব। সবাই খুব ভেবেছিল, যন্ত্র-মেশিন তৈরি করে এসব লেবার থেকে ফেবার নেওয়ার দিন ফুরোবে।
আন্দোলন, হরতাল, শেষে গৃহযুদ্ধ অবধি বাধল। প্লাস্টিক-গারবেজের পাহাড়ে যখন বডি এসে জমতে শুরু করল, আর ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যাওয়া গেল না। রক্ত, প্লাস্টিক, গারবেজের ঘোরে মাটি গেল মরে, গাছ টপাটপ হার্টফেল করতে শুরু করল, কুড়ুনে ইউনিয়নকে আর রোখা গেল না।
মেনে নিতে অসুবিধে হয়েছিল নাকি অনেক, রক্তও বইল না কম। জিতল শেষমেশ ইউনিয়নই। এখন সমাজের মাথা এই কুড়ুনে, ঝাড়ুদার, জমাদার শ্রেণি। তাদেরই কৃতিত্বে পৃথিবীটার একটু একটু করে ঝাপসামি কাটছে। নালা আর নদীকে আলদা করতে পারছে মানুষ। পাহাড় আর আঁস্তাকুড়ের শৃঙ্গ যে আলাদা, সেই শোনা কথাকে স্বচক্ষে জানছে। দুনিয়াটা পরিষ্কার হলে কীরকম হয়ে উঠবে, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে বাসস্থানের আশপাশের পরিচ্ছন্নতা দেখেই। সেই থেকে সব নিয়ম বদলে গিয়েছে।
যদিও, বন-বাদাড়ের জন্য জায়গা এখনও বের করা যায়নি। করা গেলেও, সেখানকার মাটি এতকাল ঢাকাচাপা থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বহু বহুকাল সূর্যের আলো না পেলে, ভাল জল না পেলে এই মাটিতে প্রাণ আসবে না। তাই, গাছ এখনও পার্সোনাল। মাটিও। পানীয় জল বলতে যা, তা এখন ডাইরেক্ট অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন মিশিয়ে বানানো হয়। সেটুকু বিদ্যুৎ খরচ ছাড়া, বাড়ি বাড়ি আর কোনওভাবে বিদ্যুৎ খরচের অনুমতি নেই। খাবারদাবার এখন আর রান্নাবান্না হয় না। সব প্রসেসড, আর সূক্ষ স্তরের পলিথিনের মোড়কে থাকে খাবারদাবার। সেই মোড়ক আমাদের অনেকেরই হজম হয়ে যায়, আবার অনেকেরই হয় না।
শুনেছিলাম, বিবর্তনে হোমো স্যাপিয়েন্সের তেমন কোনও বদলই ঘটেনি প্রায় লক্ষ বছর। কিন্তু, শেষ ৫০ বছরে যা যা ঘটেছে, তা ভাবা যায় না। তীব্র মিউটেশনে আমাদের অনেকেরই অ্যাপেনডিক্স এখন সক্রিয়। পুড়িয়ে, ঝলসে খেতে গিয়ে যে মানবজাতি তার অ্যাপেনডিক্সের কার্যক্ষমতা হারাল, তা এখন ফিরে এসেছে মহাসমারোহে। গাছের জিনে এমনভাবে সেঁধিয়ে গেল প্লাস্টিক যে, তার পাতা-ফল-পাকুড়েও ঢুকে পড়ল। ফলে, খাবারও হয়ে উঠল তেমনই। সেসব থেকে বাঁচতে, মাঝে, বাবার মুখেই শোনা, ট্যাবলেট সাপ্লিমেন্ট শুরু হয়েছিল। শরীরের জন্য পুষ্টি জোগান দেবে তারা। কিন্তু, কোনও স্বাদ নেই জিভে। আহারের সুঘ্রাণ বলে কিছু নেই। তাই, স্বাদ মেটাতে সাপ্লিমেন্টের সঙ্গী হিসেবে বাজারে এল বিভিন্ন ফ্লেবারের ক্যাপসুল। ভাত-ডাল থেকে শুরু করে পিৎজা অবধি। মুখে নিয়ে দাঁতে হালকা চেপে ফাটিয়ে নাও, ব্যস, মনে হবে সাক্ষাৎ ভাত-ডাল, ফ্রায়েড রাইস-চিলি চিকেন, হরেক স্বাদের। আর এই স্বাদ মেটানোর ক্যাপসুলই কাল হল। না কি শাপে বর, জানি না। ক্যাপসুলের পলিথিনের থিন লেয়ার হজম করার তাড়নায়, অনেকের সক্রিয় হয়ে উঠল অ্যাপেনডিক্স।
বিপদও এল সঙ্গে। আমাদের যাদের অ্যাপেনডিক্স সক্রিয়, তাদের পাকস্থলীর জোর কম। আমাদের পেটের জ্বালা প্রায় নেই। খিদে পেলে বুঝতে পারি না। আর এই কারণেই, কত বাচ্চা যে মারা গেল। কেন মরবে না? খিদে পেলে বাচ্চা কেঁদেই তো প্রকাশ করে। কিন্তু খিদেই যদি না পায়? তার শরীর নিজেই নিজের কোষ-কলা কুরে কুরে খেতে থাকে। সে কাঁদে না। অপত্য সন্তান নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে নিজেকেই খেয়ে নিতে থাকে, বুঝতেও পারে না। আর, একসময় মারা যায়।
প্রথম দিকে এরকম শয়ে শয়ে বাচ্চা মারা যাচ্ছিল। ধরা পড়ছিল না বিষয়টা। আস্তে আস্তে বোঝা গেল সব। যদিও কোনও ওষুধ নেই। একমাত্র সময়মতো খাবার ছাড়া। কিন্তু, সময়ে খাবার জুটবে কীভাবে? জোটাবেই বা কে? মানুষ পেটের জ্বালায় মরত একসময়। এখন, পেটের জ্বালা নেই বলে মানুষ মরে যায়। আমাকেও হয়তো এভাবেই মরতে হবে। সেটা বড় কথা নয়। কথা হল, আমার মতো মানুষই তো বেশি। সামনের দিনে আরও বাড়বে। হয়তো আমরা আর মানুষই নই, মানুষের মতো দেখতে কোনও মনুষ্যেতর প্রাণী। আমাদের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী হবে? পলি স্যাপিয়েন্স?
আজ বাবাকে দাহ করতে গিয়ে মানুষের ঢল। দাহ তো নয়। প্লাস্টিক বন্দি করে, খোলা অংশটা মোমবাতি দিয়ে হালকা জ্বালিয়ে এঁটে দেওয়া। এভাবে নাকি খাবার প্লাস্টিকবন্দি করে বিক্রি হত একসময়। এখন মৃত মানুষকে সেভাবে বন্দি করে প্লাস্টিকের সমুদ্রে গুপি করে দেওয়াই দাহ। সেই আয়োজনে যে-যার ব্যক্তিগত গাছ পিঠে নিয়ে অক্সিজেন মাস্ক এঁটে দেখতে এসছে। একটু ছোটদের, তাদের বাপ-মা ফিসফিস করে শোনাচ্ছে, ওই দ্যাখো, পেটের জ্বালায় মারা গেছে এই লোকটা। এরকম লোক আর দেখতে পাবে না।
সকলে যে যার গাছ থেকে শুকনো পাতা, শুকনো ডাল বাবার শরীর সাজিয়ে দিয়ে গেছে। আমার গাছ থেকে আমি কী দেব? একটা পাতা দেওয়া মানেও তো একটু অক্সিজেন চলে যাওয়া। যদি না দিই? লোকে স্বার্থপর বলবে? বলুক। বলছেও।
শুনছি, আর, বাবার কথাগুলোই মনে পড়ছে। বাবা সম্ভবত আমাদের অঞ্চলের শেষ মানুষ, পেটের জ্বালা নিয়ে যাকে চলে যেতে হল অকালে। মায়ের মুখ মনে পড়ে না, সেই কবে থেকে মা ফেরার। খুব বড় একটা কাজে মা নাকি বেরিয়ে পড়েছে, শুনে এসছি। বাবা-ই সামলেছে সব। কাজ চলে যাওয়ার পর, যা হোক করে রিসাইকেলের ব্যবসাটা তবু চালিয়ে সংসার চালাচ্ছিল। নিজের ব্যক্তিগত গাছের ডাল ভেঙে চারা বানিয়েছিল অভাবের সংসারে, আর সেই চারাই হয়ে উঠেছিল আমার ব্যক্তিগত গাছ। আমার অক্সিজেন সাপ্লায়ার। কিন্তু, বড় হওয়া তো দাদুর কাছে গল্প শুনেই। তাই, দাদু চলে যাওয়ার পর, বাবার ভাষা বাবার বক্তব্য আমার কাছে হয়ে উঠেছিল অবোধ্য।
হয়তো আমিও অবোধ্য হয়ে উঠছি। কী লাভ হল এত পড়ে? জেনে? বুঝে? ভেবে? শরীরকেই তো প্রকৃতির যোগ্য করতে পারলাম না, তা সে যতই প্রকৃতি মানুষের হাতে বিবর্তিত হোক না কেন! কী লাভ মাথা খাটিয়ে যদি শরীরই না থাকে? আমার ফুসফুসই যদি দুর্বল হয়! যত বুঝতে পারছি, তত দপদপ করছে মাথা। একটুও খিদে পাচ্ছে না আজ। কী হবে একরাত না খেলে? মরে যাব না।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০৭৪
ভেবেছিলাম, জীবনের সব লেনদেন শেষ। আজ বাবার গাছে অদ্ভুতভাবে নতুন একটা ডাল উঁকি দিচ্ছে। এ যেন বাবারই ফিরে আসা। এরপরেও হাল ছেড়ে দেব? এই ডালকে আমি নতুন মাটি, স্বচ্ছ জল কি দিতে পারব না, এতটাই অক্ষম আমি? কাল থেকেই শুরু হবে আমার কুড়ুনেবেলা। খিদে মেটানোর মতো আয় করতে পারব না? শ্বাস ধরে রাখার প্র্যাকটিস করবই। রেশন থেকে যে-অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ভেজাল অনেক, তবু তাই সই, কাজ চলে যাবে। মোটামুটি একমাসের মতো খাবারের রসদ জমে গেলেই, পাড়ি দেব গ্রেটাগঞ্জের সন্ধানে। শুনেছি, কোন এক প্রাচীন সংগ্রামীর নামে একটা গোপন ঘেটো তৈরি করেছে একটা দল। মূলত মেয়েরাই পরিচালনার দায়িত্বে। তারা নাকি বোঝানোর চেষ্টা করছে, কুড়ুনেবৃত্তিকে বাঁচিয়ে রাখার মধ্যেই আদপে নিহিত রয়েছে প্লাস্টিকের অনন্ত জীবন। প্লাস্টিক জিইয়ে রাখা হচ্ছে, কুড়ুনেবৃত্তি যাতে থাকে। বরং, প্রত্যেককে কুড়ুনে হতে হবে আরও প্রখ্যাত আরও প্রতিপত্তিময় কুড়ুনে হওয়ার লক্ষ্যে নয়, কৃষক হওয়ার লক্ষ্যে। এই মাটি, এই জল, এই হাওয়া আমাদের। সেই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে।
বুকে এসে ঝাপট মারছে বহুদিন ধরে কথাগুলো। বাবার ভয়ে, বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বে পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি এর থেকে। আর পালাব না।
কিন্তু খুব সহজ নয় গ্রেটাগঞ্জ খুঁজে পাওয়া। শুনেছি, তুমি যাকে খুঁজছ, সেও তোমাকে খুঁজছে…
যখন আমরা, তথা সকল ব্যতিক্রমী লিঙ্গ-যৌনমানস ঠিক করব কোন ধরনের স্বাধীন সিদ্ধান্ত আমরা নেব, কিংবা জড়বৎ বাঁচা থেকে নিজেদের বের করে নিয়ে এসে, অপরের সিদ্ধান্তকে নিজের বলে প্রচার করা বন্ধ করব, তখন-ই আমাদের এই জড়বৎ অস্তিত্ব, অপরের শর্তে তৈরি করা জগৎ থেকে মুক্ত পাব।