কেন যখনই একটা করে ফেলুদা হয় তখন সেই ফেলুদা আরও আরও অবাঙালি হয়ে ওঠে? কেন বাকি চরিত্রদের থেকে আলাদা প্রমাণ করার জন্য ফেলুদাকে কুইজমাস্টার সাজতে হয়? ফেলুদা কি খেঁকিয়ে উঠতে ভালোবাসেন? মহবলীপুরমে এত কিছু থাকতে ফেলুদা একটা দেওয়াল দেখেই ‘বিস্ময়ে’ হারিয়ে গেল কেন? ফেলুদার কি পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে গিয়েছে? মুকুল কি বড় হয়ে ফেলুদা হয়েছে?
বাঙালির উন্নতি হবেটা কী করে? বিদেশের লোকিভার্স, এ দেশের স্পাইভার্সকে মাথায় তুলে নাচছিস কিন্তু কই আমাদের ‘ফেলুভার্স’ নিয়ে ‘কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেন’! বর্তমানের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে, মানে যখন বেশিরভাগ লোকই হয় ফেলুদা বানাচ্ছে, নয় ফেলুদা সাজছে, চাদ্দিকে গিজগিজ করছে এতো ফেলু ভ্যারিয়েন্ট সেসব আলোচনা করলে কি তোরা Low Key হয়ে যাবি? এই রহস্য আজ উদঘাটন হবেই!
কারণ সাম্প্রতিককালে সন্দীপ রায় পরিচালিত ফেলুদার বাকি ছবিগুলোর মতোই ‘নয়ন রহস্য’ ছবিটিরও প্রতিটি বিভাগ একেবারে ছবির মতোই নিখুঁত। ওই মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটে মানুষের যেমন ছবি থাকে, তেমন। কোয়ালিটি যতই ‘ঝাপসা’গোত্রীয় হোক, নস্টালজিয়া একেবারে থইথই করছে! দেখলেই মনে পড়ে যাবে, বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার দিনগুলো। এই ছবিটি সকলের থেকে আলাদা। অনন্য। তাই এই ‘ভীষণ জরুরি আলোচনা’ মূলত এই ছবিটিকে ঘিরেই চলবে। বাকি সব কিছু আমরা বুড়ি ছোঁয়ার মতো করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাব, আর প্রথমেই আসব গাওয়াঙ্গী-র কথায়।
গল্প অনুযায়ী গাওয়াঙ্গী চরিত্রটি এক দৈত্যাকার মানুষ। আদিবাড়ি উগান্ডা। চরিত্রটির একটি ছবিও ছিল বইতে। একদিকে লালমোহন আর অন্যদিকে তোপসে আর নয়নকে একসাথে বগল দাবা এগোচ্ছে। ভয়ংকর এক চরিত্র। কিন্তু সিনেমা এখানেই বইয়ের থেকে এগিয়ে। গাওয়াঙ্গীকে পুরোপুরি দেখানোর আগেই তার ভয়ংকরপনা সৃষ্টি করার জন্যে বহুবার করে দেখানো হলো তার হাত দু’খানা। রামসে ব্রাদার্সের সিনেমার যে কোনও ভয়াল চরিত্রকে বলে বলে গোল দেবে সে হাত। আর চরিত্রটিকে পুরোপুরি দেখানোর পর দেখা গেল সেই হাতের সঙ্গে বাকি বডির কোনও মিলই নেই। একেবারে সাধারণ মানুষের মতো, থুড়ি, একেবারে সাধারণ বাঙালির মতো চেহারা। শুধু চোখটা এতটা লাল যে, মনে হয় মিস্টার ইন্ডিয়াকে খালি চোখেই দেখতে পাবে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এ ছবিতে লালমোহনবাবুও তেমনই একটা গা-ছাড়া আলগা চালে খেলেছেন। বসন্তের বিকেলে বাতাসের মতো। এখন আজকালকার দিনে আর ঋতু হিসেবে বসন্ত ইরেলিভেন্ট চরিত্রে অভিনয় করে সেটাও কি ওঁর দোষ না গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর? তাছাড়া এমনিতেও তোপসের হেয়ারস্টাইলের কাছে সব ফিকে পড়ে গিয়েছে। ভাবছি কষ্ট করে হলেও ডায়লগটা শুনে নেব কিন্তু স্ক্রিন জুড়ে একটা জেল মাখা মাথা নড়ছে। অদ্ভুত! অনবদ্য!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আরেকটি বিষয়ও অবাক করার দেওয়ার মতো। গাওয়াঙ্গীর ভেতর থেকে সারাক্ষণ একটা ঘরঘর শব্দ বের হয়। গাওয়াঙ্গী কি জেগে জেগেও নাক ডাকছে? তার কি সর্দি হয়েছে? তার পেটে কি টুলুপাম্প বসানো আছে? এ সমস্ত উত্তর যে কোনও গ্রেট সৃষ্টির মতোই এ সিনেমায় দেওয়া নেই। তোমাদের ভাবনার খোরাক দিলাম, তোমরা ভেবে নাও। কিন্তু তোর এত উত্তরে হবেটাই বা কী? ডার্থ ভেডার যখন হাঁপরের মতো শব্দ করে তখন কোনও প্রশ্ন করিস? না না, হেলমেট আর মাস্কের জন্যে ও শব্দ নর্মাল এসব আজেবাজে লজিক দিবি না! আমায় তো ভাই এ জিনিস চমৎকৃত করেছে!
যেমন চমৎকৃত হয়েছিলাম পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রথম ফেলুদা সেজেছিল যে সিরিজটায়, সেটা দেখে। বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের শার্লকের মতো সেখানেও ফেলুদা তার ‘অতিমানবিক’ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতায় যা দেখতে পাচ্ছে, দর্শকও সেটাই দেখছে। যেমন ‘ডাইরির পাতা ছেঁড়া হয়েছে’। সত্যিই তো, ডাইরির মাঝে একটা আধখেঁচড়া পাতা দেখে দর্শকেরও তো সেটা ডিজাইন বলেও মনে হতে পারে তাই না? গোয়েন্দা ছাড়া কে বুঝবে, ওটা ছেঁড়া? চমৎকৃত হয়েছিলাম অরিন্দম শীল নির্মিত ফেলুদা দেখেও। সেখানে ফেলুদা যেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফোর্থ ইয়ারের দাদা। সারাটাক্ষণ ফার্স্ট ইয়ার ভাইয়ের জিকে টেস্ট নিচ্ছে! সঙ্গে কান্তি শাহ-এর ‘গুন্ডা’ সিনেমাটির চরিত্রদের মতো সারাটাক্ষণ আমি ফেলু মিত্তির আমি ঘাস কাটি না, আমি ফেলু মিত্তির আমাকে মুরগি করা সহজ না, আমি ফেলু মিত্তির আমার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা মেঘদের বলে– ‘ওরে সর ও আমায় দেখবে!’ তবে ওই নির্দিষ্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি চমৎকৃত হয়েছিলাম মগনলালকে দেখে। রবি ঘোষও বোধহয় অতটা ভালো শেঠ ঢুঁন্ডুরাম করতে পারতেন না! দু’জন ভালো ও বুদ্ধিমান অভিনেতাকে দিয়ে উক্ত দু’টি চরিত্রে ও জিনিস বের করিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়! যেমন সহজ কথা নয় ফেলুদার যে কোনও গল্পের অন্তরালে বয়ে চলা সুচিন্তিত, বৃদ্ধিদীপ্ত হাস্যরস ছেঁটে ফেলে দেওয়া। কিন্তু নয়ন রহস্য সেটাও পেরেছে! মাথা উঁচু করে পেরেছে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আরও পড়ুন সৌমিত দেব-এর লেখা: লাল পিকে ভরা মেট্রোর গঙ্গাস্নানে কোনও শুদ্ধি ঘটে না
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এখনও মনে আছে, নয়ন রহস্য বইটা শুরুই হচ্ছে তোপসের কাছে আসা পাঠকের চিঠি পড়ার দিয়ে। পাঠক লিখছেন, ‘লালমোহনবাবু আর তেমন হাসাতে পারছেন না’। মনে আছে এ জিনিস প্রথমবার পড়ে হো হো করে হেসেছিলাম কারণ লালামোহনবাবু সেটা শুনে ভয়ানক রেগে গিয়েছিলেন! সিনেমাটা দেখতে দেখতে মনে হল সেই রাগ উনি এখনও ধরে রেখেছেন। তরফদারের বাড়িতে ফেলুদাদের শিঙাড়া খেতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা না দিয়ে যদি তার জায়গায় যদি সন্দেশ দেওয়া হত, তাহলে কি ছবিটার কিচ্ছু যেত-আসত? এ ছবিতে লালমোহনবাবুও তেমনই একটা গা-ছাড়া আলগা চালে খেলেছেন। বসন্তের বিকেলে বাতাসের মতো। এখন আজকালকার দিনে আর ঋতু হিসেবে বসন্ত ইরেলিভেন্ট চরিত্রে অভিনয় করে সেটাও কি ওঁর দোষ না গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর? তাছাড়া এমনিতেও তোপসের হেয়ারস্টাইলের কাছে সব ফিকে পড়ে গিয়েছে। ভাবছি কষ্ট করে হলেও ডায়লগটা শুনে নেব কিন্তু স্ক্রিন জুড়ে একটা জেল মাখা মাথা নড়ছে। অদ্ভুত! অনবদ্য!
কিন্তু এই সিনেমার লা জওয়াবতম বিষয় হল প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। আহা রে ভাই! আহা! গোটা সময়টা ভাবতে বাধ্য করলেন যে উনি কি ফেলুদা? ফেলুদার ড্রেসিং সেন্স কি খারাপ? ফেলুদা কি খেঁকিয়ে উঠতে ভালোবাসেন? মহবলীপুরমে এত কিছু থাকতে ফেলুদা একটা দেওয়াল দেখেই ‘বিস্ময়ে’ হারিয়ে গেল কেন? ফেলুদার কি পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে গিয়েছে? মুকুল কি বড় হয়ে ফেলুদা হয়েছে? ফেলুদার বাংলায় এত পশ্চিমি টান কেন? এর উত্তর অবশ্য আছে। আরে, বাংলায় টান না থাকলে কী আর কাওকে অপমান করার জন্যে এত সহজে ‘কাজের মাসি’ বলা যায়? ‘ক্লাস ছোট’ মানেই ‘কাজের মাসি’– এ তো বাঙালির চিরন্তন প্রথা! ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত সেই মন্তব্য করে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে ‘ও দুষ্টু লোক, আমাদের বাড়ির কাজের মাসি তো আমাদের সোফায় বসে’ জাতীয় মন্তব্য করে তার যথার্থতাও প্রমাণ করেছেন।
তাই হাজার হাজার ডাক্তার হাজরা না পাওয়া গেলেও, ফেলুদা পাওয়া যাবে কি না তা নয়ন বলতে পারবে। আমি শুধু এই কথাটার উত্তর দিতে পারি যে ‘এত ফেলুদা যে হচ্ছে, তা ওটা কেন হচ্ছে?’
উত্তর হল, হচ্ছে তো তোর কী! না তুই আমাকে একটা কথা বল যে, একটা ফেলুদার সিনেমা বেরলে তোর কোন পাকা ধানে মই পড়ে? তোর পোষাবে না তুই দেখবি না! কিন্তু না দেখে কী আর পারবি? তুই তো আগে রিভ্যু লিখে নিয়ে তারপর সিনেমা দেখতে যাস! তারপর সেটা পোস্ট করে লাইক শেয়ার কুড়োস! তোর তো ফেলুদা বেরলে খুশি হওয়ার কথা। আমার মতো! আমিও তো তাই করি! এই যে অরিন্দম শীলের ফেলুদা বেরুল, আমি খুশি! হত্যাপুরী বেরুল আমি খুশি! সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও… খুশি হতে দিলেন না! চারপাশে যা মাল তৈরি হচ্ছে সেখানে সৃজিত মুখার্জির ফেলুদাটা… ভালো হয়ে গেছে! আমার আর তোর প্রাপ্তি বলতে ওই ঋষি কৌশিকের উইগের ওপর উইগ পরে সন্ন্যাসী সাজা, বা সিজিয়াই বাঘের মুখে মাথা ঢোকানো ইত্যাদি। কিন্তু বুকের পাথর চাপা দিতে হলেও অনির্বাণ চক্রবর্তী লালমোহন এবং টোটা রায়চৌধুরী ফেলুদা হিসেবে বেশ ভালো। যেমন ভালো ছিল বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, কৈলাসে কেলেঙ্কারি ছবিগুলি। মন ভালো হয়ে যেত দেখলে। কারণ পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা প্রত্যেকে, প্রত্যেকে নিজের নিজের জায়গাগুলোয় নিজেদের মতো করে যথাযথ হয়ে উঠেছিলেন। যত্ন ছিল। ওই সিনেমাগুলোর শুরুতে যখন বন্দুকটা ‘উ’ হয়ে ফেলুদার টাইটেল কার্ডে জুড়ে যেত, গায়ে কাঁটা দিত মাইরি!
তারপর কেন এমন হল? কেন ‘ম্যাজিক’ নিয়ে তৈরি সিনেমার শুরুতেই মেলাতে বা টিকটকে দেখানো হয় তেমন ম্যাজিক দেখানো হল? শুধু ‘ম্যাজিকগুলোর মধ্যে বিশেষত্ব কিছু নেই’ এই ডায়লগটা জাস্টিফাই করার জন্য? কেন যখনই একটা করে ফেলুদা হয় তখন সেই ফেলুদা আরও আরও অবাঙালি হয়ে ওঠে? কেন বাকি চরিত্রদের থেকে আলাদা প্রমাণ করার জন্য ফেলুদাকে কুইজমাস্টার সাজতে হয়? হ্যাঁ, ফেলুদা অনেক জানে। কিন্তু সেটা হামবাগের মতো বড়াই করে না। ‘সোনার কেল্লা’ ছবিটার একটা দৃশ্যের কথা বলি। মুকুলের বাবা ছেলের কেস নিয়ে আসার পর ফেলুদা জিজ্ঞাসা করল, ‘ওরা কী যোধপুরের দিকে গেছে?’ এবং সেটার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হওয়ায় খুব ক্যাজুয়ালি বলল, ‘যোধপুর হওয়াই স্বাভাবিক, বালি আর কেল্লা দুটোর কথাই যখন বলেছে তখন পশ্চিম রাজস্থান হওয়াটাই স্বাভাবিক’। কিন্তু সে তো সাতের দশকের ছবি। তবে কি ফেলুদা সময়নির্ভর গল্প? ফেলুদাকে সময়োপযোগী করার জন্য ঠিক কী দরকার? আরও অনেক অনেক ভাবা? বছরে চারটে ফেলুদা না হওয়া? নাকি দর্শকদের নির্বোধ না মনে করা? এটা বুঝতে না পারা যে আমরা ফেলুদা দেখতে যাই আনন্দ পাওয়ার জন্য! ইমেজ দেখতে, মেসেজ পেতে, যাই না! নির্মল আনন্দ পেতে যাই!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আরও পড়ুন সৌমিত দেব-এর লেখা: আমের পাচারে নয়, প্রচারে থাকুন
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
বাঙালির কাছে ‘দাদা’ বা ‘দিদি’ সেন্টিমেন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ! সে প্রথম সিগারেট খেতে শেখা হোক বা বেপাড়ার সঙ্গে ম্যাচ, আমরা চিরকালই সিনিয়র দাদা-দিদি নির্ভর। সেখানে প্রকাণ্ড বুদ্ধিমান, জ্ঞানী, লাস্টসিনে স্লো-মোশনে ঢিশুম মারা এক ‘ও ঠিক বাঁচিয়ে নেবে’ ধরনের দাদাকে দেখনোর জন্যে ফেলুদার সিনেমা দেখতে যাই। এক ভীষণ ভালো বন্ধুকে দেখতে যাই। যে বলতে পারে, ‘হয় আমি আপনার অপমানে বদলা নেব, না হয় গোয়েন্দগিরি ছেড়ে দেব’। এইটা দেখতে যাই! সৌমিত্রবাবুর পর সব্যসাচী চক্রবর্তী আর ইদানীংকালে টোটা রায়চৌধুরির মধ্যে সেই দাদা, সেই বন্ধুকে কিছুটা হলেও খুঁজে পাওয়া যায়। বাদবাকি সব্বাই হয় অক্ষম বিলেতি অনুকরণ করছে না হলে আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সেটাও ধরি মাছ না ছুঁই পানি! অর্ধেক। না হচ্ছে ছোটদের দেখার জিনিস, না হচ্ছে বড়দের আনন্দ পাওয়ার মতো কিছু! আর ভাঙতেই যদি হয় তাহলে পুরোপুরি ভাঙা হোক! ২০২৪ সালের বাস্তবতা ১৯৭০-এর পোঁ ধরে ঘটানো সম্ভব নয়! সৃজিত মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্তভাবে ঠিক সেইটাই করেছেন। আধুনিকতার দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন। এর জন্য ওঁর সাধুবাদ প্রাপ্য।
আর এই এত কিছুর পরেও যে যাই বলুক, যে যাই করুক, ফেলুদার সিনেমা আদতেই তফদারের সম্মোহনের মতো। আবারও একটা করে ট্রেলার বেরবে, আবারও ফেলুদার মিউজিকটা কানে ভেসে আসবে, আর আমরা আবারও কোটি কোটি কথা বলার পরেও সেটা দেখতে দৌড়ব। আমরা ইঁদুর আর ফেলুদা বাঁশির সুর।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নির্মাতারা সেটা বুঝে গিয়েছেন। আমরাই বুঝিয়েছি। বারবার করে। আমাদের মগজাস্ত্র নেই কি না!