এই বঙ্গে বহু এমন ক্রিকেটার আছেন বা ছিলেন, শত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যাঁদের কখনও দেশের হয়ে খেলা হয়নি। কখনও তা আটকে দিয়েছে রাজনীতির জাঁতাকল। কখনও বা অনভিপ্রেত চোট-আঘাত। বাংলা ক্রিকেটের সেই হারানো সুরদের নিয়ে খেলাইডোস্কোপে শুরু হয়েছে নতুন সিরিজ– উপেক্ষিত একাদশ। আজ তার চতুর্থ পর্ব। সে টিমের ‘অফ কাটার’ সমর চক্রবর্তী-কে নিয়ে। আজ প্রথম কিস্তি।
২৮.
সমর চক্রবর্তীকে নিয়ে লেখা সহজ নয়। সে লেখা লিখতে বড় কষ্ট হয়। লিখতে লিখতে গলায় জলীয় বাষ্প জন্মায়। বিষাদের সাইরেন বাজে। নিঃশব্দে মনকে ঘিরে ফেলে দুঃখের ‘বায়ুসেনা’-রা।
সমর চক্রবর্তীকে নিয়ে লেখা উচিতও নয়। মাফ করবেন, উচিত। তবে কোনও বাঙালির লেখা উচিত নয়। কাউকে নিয়ে লিখতে গেলে, ন্যূনতম ভালোবাসা প্রয়োজন। মমত্ব প্রয়োজন। বিশ্বাস করা প্রয়োজন– এ রত্ন আমাদের। একান্ত আপন। আর যা-ই হোক, যাকে ছুরি মারা চলে না। হায় রে, বাঙালি নামক সর্বহারা কাঁকড়ার জাত! ক্রিকেটার সমরের সবর্নাশের নেপথ্যে তোমরা। মানুষ সমরের অসম্মানজনক চিরবিদায়ের পিছনেও তোমরা। তোমাদের ‘অবিবেচক’, ‘পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ ক্রিকেট সংস্থা। আর তোমাদের সে দংশন এতই ভয়ানক যে, তার সামনে বিষে নীল হয়ে যেতে হয় কোনও এক মনসুর আলি খান পতৌদিকেও! মিথ্যে নয়, এ জিনিস হয়েছে। ঘটেছে।
শিকড়-সূত্রে ময়মনসিংহের লোক সমর চক্রবর্তী। ওরফে বাংলার ‘চাকু’দা। ছোরা যেমন ভয়াল জিঘাংসা নিয়ে দু’দিকে বনবন ঘোরে, সমরের বল অবিকল দু’দিকেই তেমন ধারালো ছিল। তাই ‘চাকু’। ক্রমে বাংলার ‘চাকু’দা। দেশভাগের পর কপর্দকহীন হয়ে যিনি পদ্মাপার থেকে গঙ্গাপারে এসে উঠেছিলেন। কেন যে এসেছিলেন বাংলায়, কেন যে জন্মেছিলেন বাঙালি হয়ে! আজ মনে হয়, পোড়া বাংলার বদলে ভারতের অন্য প্রদেশে চলে গেলে, কিংবা বাঙালি হয়ে না জন্মালে, বোধহয় এ পরিণতি হত না। ভারতের হয়ে খেলতে পারতেন সমর। এক বাঙালির ‘চাকু’-তে ক্রিকেটার সমরকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হত না!
বেচু দত্ত রায় নামক এক বাঙালি ক্রিকেট ‘দুর্বৃত্তে’র খতিয়ান চলতি সিরিজে একাধিকবার লিখেছি। জানি না, আরও কতবার লিখতে হবে। বাংলার ক্রিকেট জাতিতে এমন ‘মীরজাফর’ জন্মেছে বড় কম। সময় সময় মনে হয়, শরম বলে কি কোনও বস্তু ছিল না ভদ্রলোকের? দুর্গাশঙ্কর, শ্যামসুন্দর, সমর চক্রবর্তীদের সংগ্রাম তিনি কি দেখেও দেখতেন না? স্পোর্টিং ইউনিয়ন কি তাঁর কাছে স্বজাতের চেয়ে, ভারতের চেয়েও বড় ছিল?
…………………………………………………………………..
সেকেন্দ্রাবাদে আর্মির উচ্চ পদাধিকারীরা অসম্ভব ভালোবাসতেন সমরকে। শোনা যায়, ’৬৫-র ভারত-পাক যুদ্ধের সময় বাকিদের রণক্ষেত্রে পাঠানো হলেও সমরকে পাঠানো হয়নি। রাখা হয়েছিল গোলা-বারুদের দায়িত্বে। যা নিয়ে তাঁর ঈষৎ খারাপও লেগেছিল। জেনারেল দৌলত সিংকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমাকে পাঠালেন না কেন? সবাই তো যাচ্ছে।’ উত্তরে জেনারেল নাকি সহাস্যে বলেছিলেন, ‘শোনো জওয়ান চক্রবর্তীকে আমরা হারাতে পারি। কিন্তু ক্রিকেটার চক্রবর্তীকে আমরা কিছুতেই হারাতে পারব না!’
…………………………………………………………………..
অর্থাভাবে এককালে ঝালমুড়ির ঠোঙা তৈরি করে দিতেন সমর। লম্বা, দোহারা, অতীব সুদর্শন বাঙালি পেসার। বাংলা, সার্ভিসেস, রেলওয়েজ-সহ তিন দলের হয়ে ৪১ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে যাঁর ১৩৯ উইকেট আছে। ভারতের হয়ে যাঁর খেলা উচিত ছিল, লিখলে কিছুই লেখা হয় না। লেখা উচিত, না খেলাটা ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে গর্হিত অন্যায় হয়েছে। বাংলা ক্রিকেটারদের ছেড়েই দিলাম। মোহিন্দর অমরনাথকে জিজ্ঞেস করুন। এরাপল্লি প্রসন্নকে জিজ্ঞেস করুন। সুনীল মনোহর গাভাসকরকে জিজ্ঞেস করুন। এঁরা একবাক্যে স্বীকার করবেন, ‘চাকু’ ওয়াজ সামথিং। হি ওয়াজ সামথিং এলস, সামথিং স্পেশাল। গাভাসকর পরবর্তীতে ‘‘সানি ডে’জ’’-এ লিখেছেন সমরবাবুকে নিয়ে। শুধু তাই নয়, সমর-পুত্র শিবাজি চক্রবর্তীকে ইডেনে একবার বলেছিলেন, ‘শোনো হে, তোমার বাবা আমার ক্রিকেট কেরিয়ারটাই শেষ করে দিয়েছিল প্রায়!’ শিবাজিদা (ক্রীড়া সাংবাদিক শিবাজি চক্রবর্তী) তখন বেশ ছোট। কিন্তু আজ বড় হয়েও কিছু ভোলেননি। গাভাসকর যেমন এখনও ভুলতে পারেননি, ’৬৭-র ইরানি ট্রফির ম্যাচে সমরের দু’ইনিংসে তাঁকে আউট করে দেওয়া। স্বাভাবিক। মুম্বইয়ের হয়ে ফের খেলতে গাভাসকরের তিনটে বছর লেগে গিয়েছিল যে!
যাক গে। যা লিখছিলাম। জীবন নামক এক ক্লান্তিকর সমুদ্রে ডিঙি নৌকো নিয়ে ভাসতে ভাসতে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে নোঙর ফেলেন সমর (পতৌদি তাঁকে ডাকতেনও ‘জওয়ান’ বলে)। ‘বাঙালির ছেলে হয়ে তুই যুদ্ধে’ যাবি মার্কা নেকুপুষু ভাবাবেগে আমল দিলে যাঁর চলত না। কারণ, পরিবারে তখন চরম অর্থাভাব। গড়ের মাঠে সেনাবাহিনীর লোক নেওয়া চলছিল। সমর গিয়ে সে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হয়েও যায়। পোস্টিং হয় সেকেন্দ্রাবাদে। এবং ক্রিকেটার সমরের জন্ম হয়!
…………………………………………………………..
ভাবা যায়, এ হেন পেসারের কি না ভারত খেলা হয়নি! ’৬৭-তে বম্বে বনাম অবশিষ্ট ভারত ইরানি ট্রফির ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার পরেও না! যে খেলায় দু’বার গাভাসকর, ওয়াদেকর, সোলকর, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারদের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অথচ ’৬৭-র অস্ট্রেলিয়া সফরের টিমে সমর যে সুযোগ পাচ্ছেন, নিশ্চিত ছিল মোটামুটি। ইরানি ট্রফির ম্যাচে অবশিষ্ট ভারতের অধিনায়ক পতৌদি উৎফুল্ল হয়ে পড়েছিলেন, একখানা বাঘা পেসার পেয়ে গিয়েছেন ভেবে! যে কি না অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল পিচে ভারতীয় পেসের জবাব হবে।
…………………………………………………………..
সেনাবাহিনী পূর্ব জীবনে ফুটবল খেলতেই বিশেষ পছন্দ করতেন সমর। ভালো খেলতেন। হায়দরাবাদের প্রথম ডিভিশনেও খেলেছেন। ক্রিকেট খেলতেন বটে, তবে ক্যাম্বিস বলে। লাল বলে হাতেখড়ি সেনাবাহিনী জীবনে। সাব এরিয়া টুর্নামেন্টে ইন্টার্ন কম্যান্ডের হয়ে ৩৫টা উইকেট নিয়েছিলেন একবার। সেকেন্দ্রাবাদে আর্মির উচ্চ পদাধিকারীরা অসম্ভব ভালোবাসতেন সমরকে। শোনা যায়, ’৬৫-র ভারত-পাক যুদ্ধের সময় বাকিদের রণক্ষেত্রে পাঠানো হলেও সমরকে পাঠানো হয়নি। রাখা হয়েছিল গোলা-বারুদের দায়িত্বে। যা নিয়ে তাঁর ঈষৎ খারাপও লেগেছিল। জেনারেল দৌলত সিংকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমাকে পাঠালেন না কেন? সবাই তো যাচ্ছে।’ উত্তরে জেনারেল নাকি সহাস্যে বলেছিলেন, ‘শোনো জওয়ান চক্রবর্তীকে আমরা হারাতে পারি। কিন্তু ক্রিকেটার চক্রবর্তীকে আমরা কিছুতেই হারাতে পারব না!’ হারানো দূরের কথা, সেনাবাহিনী তাঁকে ছাড়তেও চায়নি। মাঝে সেনাবাহিনী ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন সমর। কিন্তু ঊর্ধ্বতন ক্যাপ্টেন তাঁকে রিভলবার বের করে শাসিয়ে দেন, ‘ফিরলে তোমার লাশ ফিরবে কলকাতা। তুমি নও!’ যার পর থেকে যেতে বাধ্য হন ‘জওয়ান’ চক্রবর্তী।
ভাগ্যিস থেকে গিয়েছিলেন। না হলে নিজাম কলেজ ওপেনারের দু’খানা দাঁত ফেলত কে? সে এক গল্প বটে! তখন স্টেশন সার্ভিসেসের হয়ে হায়দরাবাদ লিগ খেলছেন সমর। নিজাম কলেজের সঙ্গে ফাইনাল। টগবগে উত্তেজনা চতুর্দিকে। সবাই ফুটছে। নিজাম কলেজের লোকজন টিটকিরি-বিদ্রুপ ছুড়ছে। যা দেখে নাকি রেগে টং হয়ে গিয়েছিলেন স্টেশন সার্ভিসেসের কর্নেল। ড্রেসিংরুমে সমরকে ডেকে তিনি বলেন, বিপক্ষের গোটা কয়েককে শুইয়ে দিতে পারলে, সমর যা চাইবেন, খাওয়াবেন! প্রথমে অবাক হয়ে গেলেও, ‘অর্ডার’ যথাযথ পালন করেন সমর। ম্যাচে ২৭ রানে ৮ উইকেট নেন, সে ঠিক আছে। কিন্তু ভয়াল বাউন্সারে নিজাম কলেজ ওপেনারের দু’খানা দাঁত ফেলে দেন! তারপর পিচ থেকে দুটো দাঁত তুলে ব্যাটারের হাতে দিয়ে বলেন, ‘পরে হাসপাতালে গিয়ে লাগিয়ে নিস!’
ভাবা যায়, এ হেন পেসারের কি না ভারত খেলা হয়নি! ’৬৭-তে বম্বে বনাম অবশিষ্ট ভারত ইরানি ট্রফির ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার পরেও না! যে খেলায় দু’বার গাভাসকর, ওয়াদেকর, সোলকর, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারদের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অথচ ’৬৭-র অস্ট্রেলিয়া সফরের টিমে সমর যে সুযোগ পাচ্ছেন, নিশ্চিত ছিল মোটামুটি। ইরানি ট্রফির ম্যাচে অবশিষ্ট ভারতের অধিনায়ক পতৌদি উৎফুল্ল হয়ে পড়েছিলেন, একখানা বাঘা পেসার পেয়ে গিয়েছেন ভেবে! যে কি না অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল পিচে ভারতীয় পেসের জবাব হবে। সমরের পূর্ববঙ্গীয় পরিজনরা উন্মুখ হয়ে শুনতে বসেছিলেন সে দিনের দল নির্বাচনী সংবাদ। গোটা রাজচন্দ্রপুর (ওপার বাংলা থেকে আসার পর যেখানে উঠেছিলেন সমর) ভেঙে পড়েছিল এক হৃদয় প্রত্যাশা নিয়ে, প্রিয় সমরকে ঘিরে। শোনা যায়, খবরে শেষ পর্যন্ত যখন সমরের নাম যখন পড়া হল না, বহু বাড়িতে সে রাতে ভাতের হাঁড়ি চড়েনি। কারণ, সমরের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তাঁদের কাছেও সাফল্যের সমনামী ছিল। শুধু ওঁরা ভাবতে পারেননি, দল নির্বাচনী বৈঠকে সমরের অন্তর্ভুক্তিতে বাগড়া দেবেন তাঁদেরই মতো এক বাঙালি, নাম যাঁর বেচু দত্ত রায়!
তৎকালীন ভারতীয় বোর্ডে অত্যন্ত প্রভাবশালী এ ভদ্রলোক বাঙালি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অলিখিত শর্তই দিয়ে রাখতেন যে, ভারত খেলতে হলে তোমায় বাছা স্পোর্টিং ইউনিয়ন খেলতে হবে। না হলে নিজের পথ দ্যাখো! আর এতটাই পরাক্রমী ছিলেন বেচু যে, স্বয়ং পতৌদির কথা পর্যন্ত শোনা হয়নি! যিনি কি না অধিনায়ক! সে বৈঠক শেষে পতৌদি দুঃখ করে সমরকে বলেছিলেন, ‘সরি চাকু। আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারলাম না। ওরা আমার কথা শোনেনি।’ সেই অস্ট্রেলিয়া সফরে বেদী-চন্দ্রশেখরদের নিয়ে যাওয়া হয়। আর সমরকে, দেশের অন্যতম প্রতাপশালী পেসারকে একাকী ছটফট করতে হয় আর্মি ক্যাম্পে বসে।
’৬৯-এও এক জিনিস। এবার দেশে অস্ট্রেলিয়া। এবং একই পরিণাম। অথচ টেস্ট সিরিজের আগে উত্তরাঞ্চল জার্সিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমন বোলিং করেন সমর যে, (দু’ইনিংস মিলিয়ে তিন উইকেট, টেবর-স্ট্যাকপোল-সহ), জাতীয় নির্বাচকরা বাঙালি পেসারকে ডেকে বলে দেন, ‘তুমি তৈরি হও। তোমার কথা ভাবছি আমরা। আচ্ছা, কোথায় টেস্ট খেলতে চাও তুমি?’ আর টেস্ট, আর পছন্দের কেন্দ্রে টেস্ট খেলতে চাওয়া! মোক্ষম সময়ে বেচু বাবুর পুনরায় আবির্ভাব এবং আবারও আশার অপমৃত্যু ঘটিয়ে চলে যাওয়া। তবে সমুচিত প্রত্যুত্তর পেয়েছিলেন বেচু। বাংলার অন্যান্য বঞ্চিত ক্রিকেটার যখন তাঁর অবিচারের কোপে অসহায় গোঙাতেন, তখন তাঁকে সপাট জবাব দিয়েছিলেন সমর। সর্বসমক্ষে বলে দিয়েছিলেন, ‘আপনি তো আমার ক্রিকেট কেরিয়ার একাই শেষ করে দিলেন!’
না, সমর পারেননি বেচুকে হারাতে। কিন্তু নিজেও কুঁকড়ে গিয়ে ফোঁপাননি। হেরে যাননি। বরং স্বৈরাচারী বাঙালি ক্রিকেট কর্তাকে একটা বিষয় রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
সমর বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আলাদা। তিনি ‘জওয়ান’। চরম ধারালো, চলমান এক ‘অফ কাটার’!
(চলবে)
………………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………………….
…পড়ুন খেলাইডোস্কোপ-এর অন্যান্য পর্ব…
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৭: তিনি না থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটে ‘অপ্রকাশিত’ থাকত ধোনি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৬: যে আক্ষেপ বয়ে বেড়ালেন বাংলা ক্রিকেটের ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৫: শিরদাঁড়াটা বিক্রি নেই যাঁদের, তাঁদের দেশ মনে রাখে চিরকাল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৪: আম্পায়ার সেই নিঃস্ব প্রজাতি যারা ক্রিকেটকে শুধু দিল, পেল না কিছুই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২৩: বিশ্বাসে মিলায় ক্রিকেট, ‘কু’সংস্কারে বহুদূর!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২২: ‘ফিক্সার’-রা ছিল, আছে, থাকবে, প্রাগৈতিহাসিক যুগের আরশোলা-র মতো
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২১: বল পিছু স্কোরবোর্ডে যারা সংখ্যা বদলায়, কিন্তু তাদের জীবন বদলায় না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২০: প্রতি গুরু-পূর্ণিমায় প্রথম ফুল দেব সব্যসাচী সরকারকেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৯: ময়দানের ছবিওয়ালাদের কেউ মনে রাখেনি, রাখে না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৮: যারা আমার মাঠের পরিবার
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৭: অহং-কে আমল না দেওয়া এক ‘গোল’ন্দাজ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৬: যে দ্রোণাচার্যকে একলব্য আঙুল উপহার দেয়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৫: সাধারণের সরণিতে না হাঁটলে অসাধারণ হতে পারতেন না উৎপল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৪: মনোজ তিওয়ারি চিরকালের ‘রংবাজ’, জার্সির হাতা তুলে ঔদ্ধত্যের দাদাগিরিতে বিশ্বাসী
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৩: অনুষ্টুপ ছন্দ বুঝতে আমাদের বড় বেশি সময় লেগে গেল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১২: একটা লোক কেমন অনন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পরিচর্যা করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১১: সম্বরণই বঙ্গ ক্রিকেটের বার্নার্ড শ, সম্বরণই ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১০: যাঁরা তৈরি করেন মাঠ, মাঠে খেলা হয় যাঁদের জন্য
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৯: খণ্ড-অখণ্ড ভারতবর্ষ মিলিয়েও ক্রিকেটকে সম্মান জানাতে ইডেনতুল্য কোনও গ্যালারি নেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৮: ২০২৩-এর আগে আর কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপ এমন ‘রাজনৈতিক’ ছিল না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৭: রোহিত শর্মার শৈশবের বাস্তুভিটে এখনও স্বপ্ন দেখা কমায়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৬: বাংলা অভিধানে ‘আবেগ’ শব্দটাকে বদলে স্বচ্ছন্দে ‘বাংলাদেশ’ করে দেওয়া যায়!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৫: ওভালের লাঞ্চরুমে জামাইআদর না থাকলে এদেশে এত অতিথি সৎকার কীসের!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৪: ইডেনের কাছে প্লেয়ার সত্য, ক্রিকেট সত্য, জগৎ মিথ্যা!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৩: এ বাংলায় ডার্বিই পলাশির মাঠ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২: গ্যালারিতে কাঁটাতার নেই, আছে বন্ধনের ‘হাতকড়া’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১: চাকরি নেই, রোনাল্ডো আছে