দিবাকর তার বেড-বৃত্তান্তকে প্রায় কিংবদন্তিতে নিয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত সে বিনা পয়সায় একজন দাদার থেকে বেডটি পেয়েছিল। তারপর নাগাড়ে দশ বছর ব্যবহার করার দরুন বেডের হাঁটু নুয়ে পড়েছিল। সস্তার কাঠ, সার্জারির সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে সে চারটে ইট জোগাড় করে কাজ চালাচ্ছিল। যেন ঠেকা মারা গণতন্ত্র; বাক-মতের স্বাধীনতা সবই আছে বাইরে। আদতে ওই ইটের ঠেস, সরে গেলেই মুখ থুবড়ে। মেসের ক্যাশবাক্সে কোনও কালেই বিশেষ টাকাপয়সা থাকে না, তা বলে নতুন একটা বেড যে সে কিনতে পারত না, তা নয়। তবু কেন সে সেই ভাঙা বেডে বাঁধা পড়েছিল আমাদের জানা নেই।
৫.
সবই ব্যাদে আছে! না-থাকুক, আছে অন্তত জলের গান।
আমায় তুই আনলি কেন ফিরিয়ে নে! এই হল গিয়ে জলের আকুতি। প্রাণের আর্তি। আমরা ভাবি, জল যদি গড়িয়ে যায়, তাহলে আর ফেরে না। জলেরও তবু আসা-যাওয়া আছে। সবিনয় স্মরণ– ‘এই যে অমেয় জল, মেঘে-মেঘে তনুভূত জল—/ এর কতটুকু আর ফসলের দেহে আসে, বলো?/ ফসলের ঋতুতেও অধিকাংশ শুষে নেয় মাটি।’ কবিতার বেদন থেকে একটু দূরে আমরা শুধু লক্ষ করি জলের নেমে আসে, ফিরে যাওয়া। জল আর প্রাণ সমার্থক। আমাদের সকল আবদার প্রাণের কাছেই। যে-প্রাণ নামিয়ে এনেছে, তার কাছেই ফিরে যাওয়ার কথা। তাই আমাদের প্রার্থনা প্রাণের কাছে, অমুক থেকে তমুক গময় ইত্যাদি। প্রাণ তো দৃশ্য নয়। জল দৃশ্য, স্পর্শ-গ্রাহ্য। তাই জল ঘিরে আমাদের সাধনা। জলেই তীর্থ, তীর্থে মিলন। বড়র জন্য এই প্রার্থনা বলুন বা সাধনা, জল ছাড়া হয় না। বেদ তাই জলকে আদর করে এক জায়গায় বলছেন, উতলা মা। উতলা মা যেমন সন্তানের সুখের জন্য সদা ব্যগ্র, তেমনই জল আমাদের পরম রমণীয় দর্শনের জন্য ঊর্ধ্বে তুলে ধরুন। শিবতম, কল্যাণতম রসের কাছে আমাদের নিয়ে যান জল। এই চমৎকার জীবনবিভার মধ্যে ধর্মের বিমা নেই। খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রায় সব ধর্মেই প্রার্থনার সময় জল ওতপ্রোত। ফলে এই ধারণায় বর্ণহিন্দু আভা কেউ ছড়িয়ে দিলে তা নিছক কোমর বেঁধে ঝগড়া করা।
তবে, জলের থেকে বড় সাম্য আর কিছুতে নেই। সে-কথা আমরা বুঝলাম মেসে বসেই। বিবাদী জল আমাদের পৌঁছে দিল কল্যাণতম মুহূর্তে।
এই যে নতুনদা, ওর সঙ্গে গোড়ায় সেরকম সখ্য ছিল না। বাকিদের সঙ্গে মোটের ওপর। তবে, তাকে দল বলা যায় না। দল হয়ে মেসটা নিজেকে মেলে ধরল জলজ্যান্ত ঘটনাটির পর। নতুনদা ছেলেটিকে আমরা অলস ভাবতাম। ভাবতাম, জীবনের অফুরন্ত কার্তিকের জ্যোৎস্না উপভোগের যে অমেয় সময় আর সুযোগ তার হাতে, তা দুর্লভ। এদিকের পৃথিবী তার পায় নাকো দেখা। জীবন আমাদের নেহাতই ঘড়িতে ‘সোনাটা’। ফলে এই বিশুদ্ধ বাওয়ালে গা বাঁচিয়ে নেওয়াই হত কৃষ্ণের গীতা। আত্মীয়-পরিজন দেখে বিষাদগ্রস্ত হয়েও, অর্জুন ঝাড় খেয়ে যুদ্ধ করতে নেমে গেল নিজের প্রয়োজনে, আর সেখানে তো মেসে এই দু’দিনের আলাপ! তাতে কার জন্য কে আর মাথা ঘামাবে! চরকা সকলের আছে এবং তেল-ও। কিন্তু তেল থাকলেই যে স্টোভ জ্বালানো যায় না, সেইটেই হল আসল কথা। আত্মা নাকি পাকস্থলীর ন্যাওটা, সেই সুবাদে আত্মীয়তাও। অতএব একদিন দু’মিনিটের ম্যাগি আমাদের বাঁধল আষ্টেপৃষ্ঠে।
তখন আমার আর দিবাকরের হোম ডেলিভারিতেই খাওয়া। রান্নার ঝক্কি নেই। কেউ করতেও জানি না। তো একদিন মেসের পাশের বাড়ির দোতলা থেকে জনৈক দেবদূত নেমে এসে বললেন, তোমরা পড়াশোনায় মন দাও, আমি তোমাদের খাবার দেব। বলে কী! নেতাজি না কার্ল মার্কস, দুয়ারে সুদিন! পরে বুঝলাম, হোম ডেলিভারি। পালবাজারের দিনেদুপুরে তখন হাতে চাঁদ। সত্যি বলতে, সুইগি-জোম্যাটো এর কাছে ছেলেমানুষ। অ্যাপের ব্যাপারিদের অনেক আগেই সরবরাহের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। গোটা কয়েক মেসে খাবার ডেলিভারি করতে পারলে স্বচ্ছন্দে সংসার নির্বাহ। মেসকে ঘিরে আর যে যে ব্যবসা এই অঞ্চলে, তার মধ্যে অন্যতম। মেসের এই মোহমাদকতাফেনিল কিস্সার বাইরে একটা নির্ভেজাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে। মোটামুটি চাকুরিজীবী বাড়ির যে ছেলেরা এখানে থাকতে আসে, তারা এই এলাকার বহুতর মানুষের বিবিধ উপার্জনের বন্দোবস্তের সঙ্গে জড়িয়ে। ঘর খুঁজে দেওয়া ব্রোকার থেকে শুরু। তাঁদের পকেটে এলাকার দলিল-দস্তাবেজ। চোখের সামনে ফাঁকা ঘর দেখেও আপনি ধরতে পারবেন না যে ঘরটি বাসযোগ্য কি না। যতক্ষণ না সেই ব্রোকার গিয়ে হাঁক দিচ্ছে– ‘দাদা, ভাড়াটে নিয়ে এলাম, তালাটা খুলতে হবে’– ততক্ষণ রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলে না। চুক্তি থাকে, ঘর পছন্দ হলে এক মাসের ভাড়া ব্রোকারকে দিতে হবে। এর অন্যথা হয় না। কোনও লেখাজোকাও থাকে না। টাকা শুধু হাত ঘুরে যায়।
মেসমালিকের ব্যবসা তো আছেই। থাকার ব্যবস্থা হলে এবার শোয়া। অতএব দরকার চৌকি। মেসে কারও খাট-বিছানা থাকে না, থাকে বেড। পাশেই সন্ধ্যাবাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার ভাড়াতেও নিয়ে নেয় মালিকদের থেকে। মেসের হিসাব যেমন মাসির হিসাব বা কোনও হল্লাপার্টির খরচ– মাথাপিছুর বদলে এই বেডের হিসাবেই হয়। মোটামুটি সেগুলোর দাম ছিল সাতশো-আটশো। দাদাদের রেখে যাওয়া বেড নিলে আরও কম। একবার আমাদের মেসনাগরিক শুভ এসে বলল, যাদবপুরে বেড কিনে একেবারে ঠকে গেছে। হাজরা-ভবানীপুর চত্বর ঘুরে সে নাকি দেখে এসেছে যে, আরও সস্তায় কাঠের বেড বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পাশে কেন যে সাদা ফুলের অত মালা বিক্রি হচ্ছে, তা তার বোধগম্য হয়নি।
আমাদের কারওরই জলদি সে-বেডে চড়ার প্ল্যান ছিল না, যেহেতু দেদার ফূর্তিতে মেস নিজেই কেওড়াতলা।
তবে, দিবাকর তার বেড-বৃত্তান্তকে প্রায় কিংবদন্তিতে নিয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত সে বিনা পয়সায় একজন দাদার থেকে বেডটি পেয়েছিল। তারপর নাগাড়ে দশ বছর ব্যবহার করার দরুন বেডের হাঁটু নুয়ে পড়েছিল। সস্তার কাঠ, সার্জারির সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে সে চারটে ইট জোগাড় করে কাজ চালাচ্ছিল। যেন ঠেকা মারা গণতন্ত্র; বাক-মতের স্বাধীনতা সবই আছে বাইরে। আদতে ওই ইটের ঠেস, সরে গেলেই মুখ থুবড়ে। মেসের ক্যাশবাক্সে কোনও কালেই বিশেষ টাকাপয়সা থাকে না, তা বলে নতুন একটা বেড যে সে কিনতে পারত না, তা নয়। তবু কেন সে সেই ভাঙা বেডে বাঁধা পড়েছিল আমাদের জানা নেই। নেহাতই বেরসিক ছিলাম সেদিন। নইলে একাকি যুবকের সঙ্গে কবোষ্ণ বেডের এই শরীরী সংলগ্নতা বুঝে নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। বিছানা আর বেড-এর মধ্যে বিস্তর তফাত। বিছানা অনেকটাই সাংসারিক, গোছানো, স্ট্রাকচার্ড। বেড যেন লিভ-ইন, কিঞ্চিৎ ঢিলেঢালা। প্রকাশ্য আশ্লেষে আষ্টেপৃষ্টে জাপটে থাকা সম্পর্ক। অতএব বেডরুম আর ড্রয়িংরুমের মধ্যে এলিট ডিফারেন্স যাঁরা কোনওকালেই মানতে পারেন না, দেখবেন, তাঁদের বুকের বাঁদিকে একটুকরো মেস আছে।
সেদিন এসব বুঝিনি। ভাবিওনি। আমরা কল্পনা করতাম, অযান্ত্রিক-এর কালী ব্যানার্জির মতোই একদিন দিবাকর তার এই প্রেমকে ভেঙে টুকরো টুকরো করবে। সেই দৃশ্য আমরা ক্যামেরাবন্দি করে রাখব। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। একদিন ঈষৎ মত্ততায় আমরা বাকি বন্ধুরাই সে বেডটিকে ভেঙে ফেলেছিলাম। তারপর শ্মশানবন্ধুর মতো হরিধ্বনি দিয়ে বের করে দেওয়া হল মেসের বাইরে। শোনা যায়, ভাঙা কাঠ দিয়ে মেসমালিকরা নাকি পিকনিক করেছিলেন।
বেডে আপাতত ফেরা যাক। কে কেমন মানুষ তাও ওই বেড দিয়েই যায় চেনা যায়। গোছালো, অগোছালো, কুঁড়ে, কর্মঠ বেডের দিকে একবার নজর দিলেই বোঝা যায়। বেডের মালিক নান্দনিক না কুৎসিত তার খানিকটা আঁচ দেয় বেডশিট। এমনকী বেড-দখলকারী মন-ভালো মানুষ না কুচুটে- সবই বোঝা যায়। ব্যাপারটা খানিক ধোঁয়াটে লাগতে পারে। কেননা এ নিয়ে আজও সম্ভবত পণ্ডিতরা থান-ইট-তত্ত্ব নামাননি। ক্ষেত্রসমীক্ষা করলে বোঝা যেত, প্রত্যেকটা বেডের অঙ্গে অঙ্গে যে বিপুল আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য, তা একজনের মন অব্দি বুঝিয়ে দিতে পারে। মন-ভালো-মানুষ না-হলে কেউ অন্যের ভিজে গামছা নিজের বেডে সারাদিন ফেলে রাখতে দেয়!
যাক গে, এই যে এলেম নতুন দেশে বলে মেসবাসী হল যারা, তাদের পেটে তো কিছু দিতে হবে। অতএব পাশে পাশেই গজিয়ে যায় ক’টা ভাতের হোটেল। ঠিক তার উল্টোদিকেই ওষুধের দোকান। সাত দিন স্বর্গীয় মাছের কালিয়া খাওয়ার পর অম্বলের বর্গিহানা ম্যান্ডেটরি! খোকা আর ঘুমোয় না, পাড়া আর জুড়োয় না। বুল্বুলিতে জেলুসিল খায়, যন্ত্রণা কমবে কীসে! আন্ত্রিক যন্ত্রণা আন্তরিক হয়ে উঠলে, বিকল্প বাস্তবের মতো নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসে হোম-ডেলিভারি। ভাতের হোটেল সংস্কৃতির বিপ্রতীপে তারা সংস্কারের অগ্রদূত। আমশি মুখে সেদিন আমাদের মনে হত, তাঁরা একবগ্গা মার্কসবাদী ব্যাখ্যার ভিতর যেন গ্রামশি। এদিকে কলেজ থেকে ফিরলে বিকেলে খিদেতে খিদেতে সূর্য ডোবে অশ্রুপাতে। যাদবপুর চত্বরে এ ব্যাপারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জাইকা-র রোল। ব্র্যান্ডওয়ালারা গবেষণা করে দেখতে পারেন, কী রসায়নে জাইকা আজও শারজার শচীন। সত্যি বলতে, পাশেই আরও খ্যাত এক সংস্থার স্ন্যাক্সের দোকান আছে। তাদের শহরজোড়া খ্যাতি। কিন্তু পালবাজারের চার মাথার মোড়ে বেচারা নেহাতই বিনোদ কাম্বলি। জাইকা-য় লাইন একটু বেশি পড়ে বটে। তবে, কারিগররা দক্ষ। দ্রুত খিদে মিটিয়ে দিতে পারেন। দামেও পকেটে হুলুস্থুলু পড়ে না। তাছাড়া, হুইস্পার ক্যাম্পেনের তুলনা নেই। মেস থেকে মেস দেখা যাবে, নতুন পুরনো সকলেই জাইকা-র রোল খায়। অতএব কী আছে দেখাই যাক বলে সেই যে ঝাঁপ দেওয়া, সেটাই অভ্যেসে পরিণত হয়। বেণীমাধব শিলের পঞ্জিকা ছাড়া বাঙালি আর জাইকার রোল ছাড়া পালবাজার আদতে একই।
জাইকা-র পাশেই একটা ঝিল। সরকার এখন তাকে লোহার বাউন্ডারি দিয়ে বন্দি শাহজাহান করেছে। এককালে সে খোলামেলাই ছিল। ফলে রোল খেতে খেতে স্বচ্ছন্দে আড্ডা কিংবা প্রেম। ঝিলের হাওয়ায় কার্পণ্য ছিল না। চারপাশ তখনও অত ফ্ল্যাট-ফ্ল্যাট নয়।
সমান্তরাল এক আস্ত অর্থনীতির ভিতর আমরাই যে কুশীলব, অতকিছু আর সেদিন খতিয়ে দেখা হয়নি। আমাদের শুধু খিদে পেত খুব। যেদিনের কথা, সেদিন কী কারণে যেন হোম ডেলিভারিতে খাবার মেলেনি। কলেজেও কিছু খাওয়া হয়নি সেভাবে। ফিরে ম্যাগি খেয়ে প্রাণরক্ষার পরিকল্পনা। কিন্তু স্টোভ আর জ্বলে না! দম-দম দাওয়াই দিয়েও যখন বেয়াদবকে শায়েস্তা করা গেল না, আমরা ভাবছি আগুনের পরশমণি প্রাণে ছোঁয়ালে কি দু’-মিনিটে ম্যাগি হবে? রবীন্দ্রনাথ বলে যাননি। নতুনদা বোধহয় বেরচ্ছিল, হঠাৎ খোলা জানলায় চোখ রেখে দুই বিপর্যস্ত রথীকে দেখে সে ঘরে এল। তারপর পকেট থেকে দেশলাই বের করে এক নিমেষে জ্বালিয়ে ফেলল স্টোভ। ম্যাগিও সেই-ই বানাল। ততক্ষণে আর-একজন চলে এসেছে ঘরে। দু’জনের ম্যাগি, চারজনে খেলাম। কেন যে, দ্রৌপদীর হাতের কণামাত্র অন্ন খেয়ে কৃষ্ণের পেট ভরে গিয়েছিল, তা এইরকম সময়ে না-পৌঁছলে বোঝা যায় না। এই সেই কল্যাণ-মুহূর্ত। যেখানে আমাদের পৌঁছে দিল জল। আমরা বুঝলাম, রাজ্যে যাই হোক না কেন, এই জনা কয়েক মিলেই আমাদের বামফ্রন্ট। হয়তো অপরিচিতের দূরত্ব এখনও আছে। তবে, জানলা খোলার শুরুটা নিজেদেরই করতে হয়। শ্রেণিগন্ধ মুছে আমরা তৃপ্তিতে সেদিন মুখ মুছে আত্মীয় হয়ে গেলাম। দেশের বাড়ি থেকে দূরে, মেসের দেশে টিকে থাকতে গেলে যে ‘আমি’কে সরিয়ে ‘আমরা’র জোট জরুরি তা বুকপকেট থেকে বুকে ট্রান্সফার হল।
মনে মনে পরস্পরকে সেদিন আমরা সংগ্রামী অভিনন্দন জানালাম। বুঝলাম, বোরোলীন নয়, একজোট হয়ে থাকলেই জীবনের ওঠা-পড়া আর গায়ে লাগে না।
…পড়ুন মেসবালক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ কখনও মেসে থাকেননি
পর্ব ৩। মেস আসলে জীবনের ক্রিকেট-সংস্করণ
পর্ব ২। আদরের ঘরের দুলালদের সদর চেনাল মেস
পর্ব ১। মেস এমন দেশ যেখানে বাঁধাকপির পৃথক আত্মপরিচয় চিবিয়ে নষ্ট করা যায় না