E-Robbar
রামায়ণ গান করে মুসলমান শিল্পীরা, ছায়াপুতুলের খেলা দেখায়। এতে রামেরও কোনও অসুবিধা হয় না, ওদের ইসলামেরও কোনও ধর্মসংকট হয় না।
স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও
এরকম কত! গলিতে গলিতে গুপ্ত গল্প।
এমন সময় একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোক আমাকে বললেন, ‘নতুন জয়েন করেছ বুঝি? বেশ। ইয়ংম্যান, ছয়টার পরে এসো।’ জানতে পারলাম, উনি আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ডিরেক্টর। ছ’টার পর যেতে বলেছেন। পাঁচটায় ছুটি হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টা খানেক এধার-ওধার ঘোরাঘুরি করে ছ’টার পর ওঁর চেম্বারে গিয়ে দেখি কেউ নেই। তারপর দিনও তাই। বস বলেছেন, অথচ তিনি নেই, ভুলে গেলেন?
আমি বলি, ‘হ্যাঁ, নামটা তো মনে আছে হুল্লা।’ আর মনে মনে বলি, এই নামটার সঙ্গে মিশে আছে হজমিওলা, কারেন্ট নুন, সব পেয়েছির আসর, উত্তরা-পূরবী-উজ্জ্বলা, দো-কা চার, ঘুড়ির মাঞ্জা, মাটির বেহালা...’
এখন মাল্টিপ্লেক্সে শো-এর কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই, অফিসেরও যেমন নেই কোনও নির্দিষ্ট সময়!
রঙের যে রাজনীতি হয় ছোটবেলায় বুঝতাম না। মাঝবয়সে এসে বুঝলাম কিছুটা। নির্বাচনের ফলাফল বের হলে যদি গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, মানুষের মুখমণ্ডলে মাখানো বিজয়ধূলি, মানে আবিরের রং দেখেই বুঝে যাবেন কোন পার্টি জিতল।
বসন্তের দখিনা বাতাস শুরু হতেই মাথায় ঝুড়ি, কিংবা টিনের বাক্স পিঠে ফেরিওয়ালাদের আগমন হত। সুরেলা স্বরে ‘মা-লাই বরওফ’। মালাই বরফওয়ালাদের বাক্সে একটু সিদ্ধির মণ্ডও থাকত। একটু বয়স্করা মৃদুস্বরে বলত সবুজটা মিশিয়ে দিও।