E-Robbar
আদ্যন্ত থ্রিলারে, হুইলচেয়ারে বসা সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় তাঁকে দেখে একটু হকচকিয়েই গিয়েছিল বাঙালি।
প্রিয়ক মিত্র ও
সেই বছর সেই বিখ্যাত ও বিতর্কিত 'হরেকৃষ্ণ হরেরাম' অথবা 'কাটি পতঙ্গ', 'আনন্দ', 'হাতি মেরে সাথী' দেখতে স্কুল পালিয়ে এসেছে এমনই কত ক্লাস নাইনের ছেলেমেয়ে, যাদের কানে হয়তো তখনই আসতে শুরু করেছে পার্টি ক্লাসের মন্ত্রণা।
কলকাতার বিদগ্ধজনরাও তাই গম্ভীর ছবির চর্চার সঙ্গে সঙ্গেই সেইসব জনতার সিনেমাহলে ঢুঁ মারতে দ্বিধা করেননি।
বাংলা ভাষা সেই পাঁচের দশকে যদি বারীন ঘোষের ‘ছিন্নমূল’, সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’, ঋত্বিক ঘটকের ‘অযান্ত্রিক’-এর (যেহেতু ‘নাগরিক’-এর মুক্তি পরে) জন্ম দিয়ে থাকে, তাহলে ১৯৬৯ সালে মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’ ভারতীয় নববসন্তের অস্তিত্ব জানান দিল।
রঙিন সেই কলকাতায় কথায় কথায় উচ্ছেদ হত না। ‘চৌরঙ্গীর আলো এবং লোডশেডিং’ সেখানে সহবাস করত।
শর্মিলা ঠাকুরের ছবিওয়ালা ফিল্মফেয়ারের প্রচ্ছদ পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাত থেকে ছিঁড়ে বাড়িতে এনে ঘরে লেনিনের ছবির নিচে টাঙাতে গিয়ে কমিউনিস্ট বাবার গলাধাক্কা খেয়েছিল এক তরুণ।
আমরা সেইসব সারেগামা পেরিয়ে যদি ভাবি, স্মৃতিকে পেরিয়ে গিয়েও সময়কে চেনা যায়, হয়তো সেখানে চিহ্ন হিসেবে আমরা পেয়ে যাব গানকেই।