E-Robbar
এক মুসলিম নায়কের প্রেমে আকুল সেসব দর্শক মুহূর্তে চিহ্নিত হয়ে যায়নি তখনও ‘লাভ জিহাদি’ হিসেবে। প্রেমের সঙ্গে লাভলোকসান না থাকুক, জিহাদ যে জুড়ে থাকেই, সেকথা তো সেই লোকটাই শেখাবে এরপর।
প্রিয়ক মিত্র ও
তরুণ ইরফান খান অর্থাভাবে জুরাসিক পার্কের টিকিট কাটতে পারেননি। পরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পুনর্জন্ম যখন ঘটল 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড'-এ, তখন ইরফান রইলেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। একে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ ছাড়া আর কী বলা চলে?
'আখরি রাস্তা'-তে যে অমিতাভের রাস্তা ফুরোয়নি, তা প্রমাণ করল এই দশকের একেবারে শেষ বছরে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার ছবি– 'অগ্নিপথ'।
১৯৮৭ সালে যখন কেতন মেহতার 'মির্চ মসালা' মুক্তি পেল, এবং তার ক্লাইম্যাক্সে ধর্ষকামী সুবেদারকে (নাসিরুদ্দিন শাহ) সোনবাই (স্মিতা পাতিল) ও অন্য শ্রমিক মেয়েরা লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে প্রতিরোধ করল, তখন 'আক্রোশ' দেখে ভারাক্রান্ত হওয়া সেইসব দর্শক একাংশ স্বস্তিই পেল।
বিবিধ সিনেমাহলের বৈচিত্রেই ফুরিয়েছিল আটের দশক। নয়ের দশক থেকে সিনেমাহল, দর্শক বদলাতে শুরু করল।
বিষণ্ণতার একলা ছাদে তখন হয়তো বসেছে পরিত্যক্ত মাছের কাঁটার মতো, অথচ শিরদাঁড়া-সোজা টিভি অ্যান্টেনা। কিন্তু যে তরঙ্গ মনের মধ্যে বয়ে যায়, তার খোঁজ রাখে কোন অ্যান্টেনা?
সীতাহরণ বা বস্ত্রহরণের এই শহরজোড়া দর্শকাম কি সুধীর কাকারের সেই 'লাভার্স ইন দ্য ডার্ক'-এ উল্লিখিত হলের অন্ধকারে লুকনো দর্শকামের সঙ্গে মিলবে? না কি সিনেমাহল থেকে, বড়পর্দা থেকে দৃশ্যের বিচ্যুতির সেই শুরু?