অবলা বসু তাঁর জীবদ্দশায় অবিভক্ত বাংলাদেশে মহিলাদের জন্য মোট ৮৭টি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে গেছেন। প্রকৃতভাবে অবলা বসুকে চিনতে হলে আজ জন্মের ১৬০ বছর পরে তাঁর কাজগুলোই মনে রাখা ভালো। না হলে মনে অনেক প্রশ্ন ওঠে। অনেক প্রশ্ন। যার উত্তর হয়তো শেষ পর্যন্ত লেখা যায় না।
ওপার বাংলায় তাঁর গান জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এপারে শোনা যাচ্ছে বাংলা ভাষা বলেই কিছু হয় না। রবীন্দ্রনাথ নিহত হচ্ছেন প্রতিদিন। প্রতিমুহূর্তে। উদযাপনের জন্যে আমরা কেবল বাইশে শ্রাবণ দিনটা পছন্দ করেছি।
কবির জীবনেও এসেছিল এক মৃত্যুদীর্ণ ২২ শ্রাবণ, ১৩৩৯। ৭ আগস্ট, ১৯৩২। অনন্তপারে চলে গিয়েছিলেন কবিগুরুর অত্যন্ত আদরের দৌহিত্র নীতীন্দ্রনাথ। কবির নীতু। কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরাদেবীর একমাত্র পুত্র।
নারীর কণ্ঠ বন্ধ হয়, আর তার জায়গায় তৈরি হয় পুরুষের ইতিহাস। একদিকে হান্নার নিঃস্বতা, অন্যদিকে চার্লির প্রতিভা। কিন্তু কে সেই ‘প্রতিভা’র ভিত্তি নির্মাণ করে? সমাজ কীভাবে ভাঙা গলাকে অপদার্থতা ভাবে, অথচ সেই কণ্ঠ হারানোর মধ্য দিয়েই তো তৈরি হয় এক ট্র্যাজিক মুখাভিয়ন। চার্লি নিজেই বলেছিলেন, ‘My mother taught me not through speech, but through silence.’
একজন অভিজ্ঞ যোদ্ধা হিসাবে উনিশ শতকের ইংল্যান্ডে শ্রমিক আন্দোলনগুলিতে ধারাবাহিকভাবে অংশ নিয়েছেন, এমনকী ফরাসি বিপ্লবকালে, যখন একদিকে তিনি ও তাঁর প্রিয় পার্টনার দুনিয়া কাঁপানো ইশতেহার লিখছেন, এঙ্গেলস অগুনতি যোদ্ধাদের সঙ্গে বরফ পাহাড় ডিঙিয়ে রাইফেল কাঁধে পা মিলিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্যারিসে।
১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে টমাস কুকের অনন্য উদ্যোগে সংগঠিত হয় এমন একটি সফর, যেখানে সব ব্যবস্থা এক ছাদের তলায়– ট্রেনের আসন, থাকার জায়গা এবং সময়ানুগ পর্যটন। এই ঘোষণা সাড়া ফেলে দেয় ব্রিটেনে। কুক তখনই বুঝতে পারেন– ভবিষ্যৎ শুধু স্টেশনের টাইম টেবিলে নয়, মানুষের মনের ভেতরে গড়ে উঠছে নতুন এক ট্র্যাভেল রেনেসাঁ।
ভারতীয় সমকালীন শিল্পের ইতিহাসে তায়েব মেহতা এক অনন্য নাম। তাঁর চিত্রকলায় এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব লক্ষ করা যায়– সহিংসতা ও লালন-পালনের সহাবস্থান। তাঁর কালী এবং মহিষাসুর-মর্দিনী সিরিজে আমরা দেখতে পাই সেই রূপ।
থিয়েটারকে আমরা জেনে এসেছি সর্বশিল্পের সমন্বয় বলে। রতন থিয়াম ছিলেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কী জানতেন না তিনি? আধুনিক কালে বিদেশের যেসব বিদেশি নাট্য প্রযোজকের নাম আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করি, তাঁদের দলে এই মণিপুরী মানুষটিও পড়েন– একথা ভেবে বুক আনন্দে, গর্বে, ভরে ওঠে।
২৫ জুলাই, দুপুরবেলায় রাহুল, রাহুল পুরকায়স্থ কোথায় একটা যেন চলে গেছে। ওর শাসন, তর্জনগর্জন, আক্রমণ ও আদরের মুঠি আলগা করে দিয়ে চলে গেছে।
দ্বিজেন্দ্রলাল বা অতুলপ্রসাদ রজনীকান্তের তুলনায় অনেক বেশি নাগরিক পরিমণ্ডলে থেকেছেন, নব্য আধুনিক সংস্কৃতির সংসর্গ করেছেন, আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক জটিলতাও তাঁদের স্পর্শ করেছে বেশি। রজনীকান্তের কাব্যে বা গীতবাণীতে যে পুরাতনের আমেজ, যে সারল্যের আনন্দ, সত্যি কথা বলার যে স্বস্তি, তা তাঁর একান্ত নিজেরই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved