Robbar

রোজনামচা

তোমার হিংসা, আমার জয়

দশমীতে বেজে উঠুক হিংসা-বিসর্জনের ঢাক। শত-সহস্র লক্ষ-কোটি। দেশ-দেশান্তর, নদী-পর্বত সাতসমুদ্র, সব মহাদেশ জুড়ে।

→

বর্ণপরিচয়ে ঈশ্বর অনুপস্থিত অতএব শিশুপাঠ্য উপযোগী নয়, সমালোচনার কোপে পড়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র

এমন গ্রন্থ কখনওই শিশুপাঠ্য হওয়া উচিত নয়, যেখানে ঈশ্বরকে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বর্ণনা করা হয়নি। এ কারণে শুধু প্রাচ্যদেশীয় কিছু গোঁড়া ব্যক্তিবর্গ নয়, ইউরোপের রেনেসাঁসের সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ এদেশে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ বইটির প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

→

বিবাহিত জীবনে সহবাসে আপত্তি জানিয়েছিলেন রুখমাবাই, তাঁর জন্যই যৌনসম্মতি আজ আইনি পরিসরে

রুখমাবাইয়ের সংগ্রাম কেবল উনিশ শতকের এক মামলার স্মৃতি নয়। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন– নারীর শরীর তাঁর নিজের। অথচ আজকের ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হয়নি। আইনি কাঠামো নারীর সম্মতির প্রশ্ন আংশিকভাবে স্বীকার করলেও, দাম্পত্যের ভেতর সেই সম্মতির গুরুত্ব এখনও অস্বীকৃত।

→

কামনা-বাসনার আলো-আঁধারি পেরিয়ে বিমল কর পৌঁছন ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে

বিমল কর নিহিত সেই পাতালের মুখ– কখনও যা সামাজিক ঔচিত্যের বিধানে নাড়া দেয়– অকপটে খুলে ধরেন, কিন্তু আখেরে পৌঁছে দিতে চান কামনার স্থূল অন্ধিসন্ধি পেরিয়ে ভালোবাসার ব্যাপ্ত চরাচরে। গোপন কামনা-বাসনার খবরাখবর মেলে ধরা গেলে সেই সূত্র গোটা মানুষের কাছে নিয়ে যায়, প্রকৃত অবস্থান বোঝা যায় তাঁর।

→

রবীন্দ্রপ্রয়াণের পরই শান্তিনিকেতনে দ্বিতীয় জন্ম হয়েছিল সুচিত্রা মিত্রর

‘আমি আর যাব না ওখানে। কেন যাব? কার কাছে যাব?’ আর আজ যখন তিনি সেই শান্তিনিকেতনে এলেন তাঁর দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে এল? কেন এমন হল? এর কারণ কি তবে সেই রবীন্দ্রনাথ? তিনি সেই মাটিকে স্পর্শ করলেন, অনুভব করলেন রবীন্দ্রনাথকে, আর তখনই অল্পবয়সি মেয়েটির চোখ ভারী হয়ে এল।

→

ফিরোজ গান্ধীর কল্যাণেই সংসদের ‘মন কি বাত’ জানছে আজকের আমজনতা

আইনসভার বিবরণী ছাপার ব্যাপারে মানহানির অভিযোগ থেকে সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখাটা কতটা জরুরি, তা ফিরোজ গান্ধী অনুভব করেছিলেন।

→

স্মৃতির সুবর্ণরেখায় অটুট থাকবেন বিমল মজুমদার

সুবর্ণরেখার ইন্দ্রদাকে সকলেই একডাকে চিনতেন, সেই তুলনায় বিমলদার পরিচিতি কী আর! কিন্তু দাদা ইন্দ্রনাথের ওপর আলো এসে পড়ত বলে বিমলদা ক্ষুণ্ণ হতেন না। বরং চাইতেন ইন্দ্রদার কথা লোকের কাছে পৌঁছে যাক।

→

ভূপেন হাজারিকা: আসাম ও বাংলার মধ‍্যেকার সাংগীতিক সেতু

আজকের আসামে যখন ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে উচ্ছেদের বুলডোজার চলেছে নির্বিচারে– তখন যদি ভূপেন যদি জন্মশতবর্ষে ফিরে এসে আবার গেয়ে ওঠেন, ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে’ তবে কি তাঁকেও স্ট্যান স্বামী বা উমর খালিদের মতো দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে যেতে হবে?

→

রাষ্ট্র শকুনের মতো, শিকার করে না, মৃত্যুর অপেক্ষা করে

শকুন ভাগাড় থেকে খাবার খুঁজে নেয়। লাশকে নিজের খাদ্যে পরিণত করে সে পরিবেশে ভারসাম্য আনে। আমাদের রাষ্ট্রীয় এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও অনেকটা সেইরকমভাবেই কাজ করে। তারা যাদের মনে করে সমাজের জীবাণু, প্রাথমিক ভাবে নিম্নশ্রেণির এবং প্রান্তিক মানুষদের, তাঁদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর দোরগোড়ায়।

→

ছাত্র রেবতীভূষণকে ‘কুইক আর্টিস্ট’ তকমা দিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

খাটের পাশে, টেবিলের ওপর রাখা একটা পোস্টকার্ড– সেখানে কিছুই লেখা নেই। আর একটাতে বড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। সেটা দেখাতে হো হো করে হেসে বললেন– ‘শিব্রাম বাবুর চিঠি, বহুদিন খোঁজ না পেলে এইরকম চিঠি দিতেন।’

→