সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
মাথা পাকা না হলে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর মনস্তাত্ত্বিক লেখা বোঝা বেশ কঠিন। মনে হয়, এই কঠিনের জন্যই প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। যে-প্রচার আশাপূর্ণা দেবী বা বিমল মিত্ররা পেয়েছেন।
মৃত্যু সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণ কী ভাবতেন, সে কথা নানা সময় বলে গিয়েছে নানা জনের সঙ্গে আলাপে-সংলাপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুভাবনা নিয়েই।
বাঙালির মতো মিশেলবাজ আর কে আছে? যেখান থেকে যা পাচ্ছে নিজের মিশেলে দিশি করে নিচ্ছে। বাঙালি দিশির চাদরে বিদেশিকে ঢুকিয়ে সংকর করে তোলে, বিদ্যাসাগরও তাই করেছিলেন।
আকাশে তারা অনেক– শশীচন্দ্র তেমনই একটি তারা, যাঁর আলো হয়তো নীল আকাশে চোখে পড়ে না, কিন্তু ইতিহাসের অন্ধকার গুহায় পথ দেখায়। তাই নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির অ্যালেক্স টিকেল বিদেশি হয়েও যেভাবে শশীচন্দ্রের রচনা সংকলন করেছেন, আমরা তা পারিনি, চেষ্টাও করা হয়নি। শশীচন্দ্র দত্তের জন্মদ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রতিবেদন।
নিষেধের বেড়াজাল মেনেও কীভাবে একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়– পদার্থবিজ্ঞান, জীববিদ্যা বা অর্থনীতির পাঠ– সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এই ধরনের গাণিতিক সমস্যা। বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো গাণিতিকভাবে আরও জটিল, কন্সট্রেইন্ট বা নিষেধাজ্ঞাও নানাবিধ। কিন্তু তার একটা ছোট মডেল হিসেবে সুদোকুর তুলনা নেই।
ফুলন দেবীর গল্প আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি অ্যান্টি-কাস্ট প্রতিবাদের এক রূপ হিসেবে। নারীবাদী মহলেও চম্বলের দস্যুরানি প্রায় এক পৌরাণিক স্থান অর্জন করেছেন। ২০০১ সালে গুপ্তহত্যার পরেও তাঁর প্রভাব কমেনি। কিন্তু এই প্রতিবাদ, হিংস্রতা ও ক্ষমতার উপস্থাপনার পেছনে রয়েছে খুবই জটিল এক সমীকরণ– জমি।
ভাতখণ্ডেজির প্রবর্তিত স্বরলিপিতে উত্তর ভারতীয় স্বর-সপ্তক বাইশ শ্রুতির আধারে সাজিয়ে তোলা, যার মধ্যে বারোটি ‘শ্রুতি স্বর’ রাগ সৃষ্টির সময় ব্যবহৃত হয়। এক স্বরের সঙ্গে পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বরের দূরত্ব প্রায় অর্ধস্বর বা সেমিটোন। রাগের ক্ষেত্রে আবার কানাড়া, মল্লার, সারঙ্গ, বিলাবল, কল্যাণ, শ্রী ইত্যাদি নানা রাগাঙ্গ প্রচলিত। তাঁর ব্যাখ্যায় সংগীতের অন্তর্লীন মাধুর্য এবং নান্দনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তার কাঠামোগত বিশেষ বৈশিষ্ট্যও অনুধাবন করা সহজসাধ্য হয়েছিল।
এস এম সুলতান বলতেন, ‘আমার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তু শক্তির প্রতীক নিয়ে। পেশি সংগ্রামের জন্য ব্যবহার হচ্ছে, মাটির সাথে সংগ্রামে। সেই বাহুর শক্তি হালকে মাটিতে প্রবাহিত করে এবং ফসল ফলায়। শ্রমই ভিত্তি, এবং আমাদের কৃষকদের সেই শ্রমের কারণে এই ভূমি হাজার হাজার বছর ধরে টিকে আছে।’
অবলা বসু তাঁর জীবদ্দশায় অবিভক্ত বাংলাদেশে মহিলাদের জন্য মোট ৮৭টি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে গেছেন। প্রকৃতভাবে অবলা বসুকে চিনতে হলে আজ জন্মের ১৬০ বছর পরে তাঁর কাজগুলোই মনে রাখা ভালো। না হলে মনে অনেক প্রশ্ন ওঠে। অনেক প্রশ্ন। যার উত্তর হয়তো শেষ পর্যন্ত লেখা যায় না।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved