E-Robbar
জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।
ঝিলম রায় ও
রাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই জেল এবং বাইরের প্রিয়জনদের সেতু গড়তে থাকে। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা জান কবুল করেন ভিতরে থাকা বন্ধুদের বার্তা তাঁর প্রিয়জনদের পৌঁছে দিতে। নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে চিঠি চালাচালি। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার জন্য, ক্ষণিকের মুলাকাতের জন্য।
পহেলগাঁও গণহত্যা সম্বন্ধে গুগল বলছে– ‘উগ্রপন্থীদের হাতে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা। মৃতের সংখ্যা ছাব্বিশ।’ কিন্তু রক্তপাত, যা দৃশ্যমান বা দেখা যায় না– তার স্রোত কাশ্মীরের পাহাড়-উপত্যকা ছাপিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ। সীমান্তে চমকে উঠেছে কাঁটাতার। চিনারের হিমস্নাত পাতাগুলি রাতের আঁধারে এক আতঙ্ক-ঘেরা স্তব্ধতায় অপেক্ষা করছে ভোরের, অথচ ভোর হচ্ছে না।
সার্থক রায়চৌধুরী ও
জীবন তো যাপনের জন্যে। তার থেকে পালিয়ে যাওয়া, সে তো হেরে যাওয়া। মৃত্যু নিয়ে রোম্যান্টিসিজম চলতেই থাকবে; সাহিত্যে, বাস্তবে। তবু এমন সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে যেতে কি মন চায়! যা অনিশ্চিত তাকে নিশ্চিত করার দায় না-ই বা নিলাম কাঁধে!
মৌসুমী ভট্টাচার্য্য ও
মধ্যরাতে পাশের দেশ আক্রমণের পর যুদ্ধ-পরিস্থিতি তুঙ্গে। আজ যারা তিরিশ-বত্রিশের যুবা, শেষ কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে তারা বঞ্চিত। তাই যুদ্ধ ছাড়া গতি নেই এমন এক রব উঠেছে চারদিকে। ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলা হয়েছিল ‘A war to end all wars’, কুড়ি বছরেই তার পরিণাম কী হয়েছিল আমরা জানি।
সম্প্রীতি চক্রবর্তী ও
কখনও ইশারায়, চিরকুটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে, কখনও পুলিশি নির্যাতনের আহত কমরেডকে নজরদারি এড়িয়ে গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে কোনও কমরেডের মন ভালো করতে রুটিতে কিছুটা চিনি মাখিয়ে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে, তো কখনও একসঙ্গে বসে সুখ দুঃখ বৃষ্টি বজ্রপাত ভাগ করে এই নিরন্তর অপেক্ষা কাটানোর মাধ্যমে, প্রতিদিন নানাভাবে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ।
ইটভাটার শ্রমিক মেয়েটি হোক, চা বাগানের পাতি তোলাই হোক, সরকারি আধিকারিক বা পুলিশকর্মী, সমাজের তরফে এখনও মেয়েদের কাছে সুচারুভাবে সংসার পরিচালনার দাবি অগ্রাধিকার পায়। আর সেটা করতে গিয়ে আট ঘণ্টা কেন, আঠারো ঘণ্টা সময়েও মেয়েরা সবকিছু কুলিয়ে উঠতে পারে না।
সেবন্তী ঘোষ ও