শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরন্তর আসা-যাওয়া পাঠগ্রহণ দুই বাংলার মধ্যে সেতু রচনা করে আসছে নিরন্তর। ছায়ানটের সঙ্গে প্রতিনিয়তই সেই বিনিময় ও বন্ধন অটুট রয়েছে। কারণ, আমরা রবীন্দ্রনাথকে আমাদের ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি ও মানবতার বটবৃক্ষ রূপে জানি।
মেসির কলকাতা আগমনে ‘রিফান্ড’। ডার্বি বাতিল হলে ‘রিফান্ড’। ইন্ডিগো ফ্লাইট ক্যানসেল হলে ‘রিফান্ড’। রিফান্ড আর কত কিছুতেই! হবে না-ই বা কেন? পুঁজিপতিরা সবসময় গিলে খাবে মধ্যবিত্তর উজ্জ্বল স্বপ্নের দলা? কিন্তু শেষত আমরা যা রিফান্ড চাই, তা টাকাপয়সার নয়। লেনদেনের নয়। তবে কীসের?
ধর্মীয় উগ্রতার নামে লুটপাট আর বিপ্লবের নামে সংস্কৃতি ধ্বংস– এটাই ‘নতুন’ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। এখানে ধর্মীয় অবমাননার কারণ দিয়ে মানুষকে উলঙ্গ করে পুড়িয়ে উল্লাস করে মারা হয়। একুশ শতকে ২০২৫-এ এসেও বর্বর অন্ধকারময় যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই।
আজ যদি শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহ আঘাত পায়, আমি মনে করি, ঠিক তেমনই আঘাত পেয়েছে ছায়ানট।
দিল্লির দূষণকে আঁকড়ে ধরে আমিষপ্রেমীদের স্বাদের মানচিত্রে কোপ মারাই কি তন্দুর ব্যানের মুখ্য উদ্দেশ্য?
পৃথিবী ভাগ হয়। সাদা এবং কালোয়। কালোরা অন্ধকারে মিশে যেতে চায়। লজ্জায়, হীনম্মন্যতায়। দেওয়ালের ছায়া ক্রমে দীর্ঘতর হয়। সেই ছায়াতেই চাপা পড়েছিল রূপকথায় বিশ্বাসী পাঁচ বছরের কন্যাটি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার ভ্রম হয়, সাদা বুঝি আলোর প্রতীক।
সম্পাদক দিনগত পাপক্ষয়ের মতো তাঁর দৈনিক-সাপ্তাহিক-পাক্ষিক-মাসিক পত্রটি চালিয়ে যাওয়ার কর্মটি সম্পাদন করেন মাত্র, এডিটর তাকে প্রতিটি সংখ্যায় সামনে আনেন, অগ্রবর্তী করেন। সম্পাদকের সংখ্যা তাই কেবলই বাড়তে থাকে। মুছে যেতে থাকেন আদিম মহাদ্রুমের মতো এডিটররা, অ-শেষ স্মৃতি রেখে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ‘রেজ বেট’কে বেছে নিয়েছে এ-বছরের শ্রেষ্ঠ শব্দ রূপে। যা আসলে রাগেরই চাষ। এমন এক ধরনের অনলাইন কন্টেন্ট, যা ক্ষোভ উদ্রেককারী। প্রশ্ন উঠেছে, শব্দ কই? এ যে এক শব্দবন্ধ!
বক্তৃতার শেষে তিনি আমাদের একটা অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সামনে দাঁড় করালেন। তিনি আজও যেন সেই বার্লিনের সাবওয়ে ট্রেনে বসে আছেন। ট্রেন চলছে, স্টেশনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তিনি কোথাও নামছেন না। ‘আমি কোথাও নামি না... আমি শুধু দেখি স্টেশনগুলো সরে সরে যাচ্ছে।’
‘বন্দে মাতরম্’ যেখানে উগ্রজাতীয়তাবাদের সহচর সেখানেই রবীন্দ্রনাথের আপত্তি। বঙ্কিমের প্রতি অশ্রদ্ধা নিয়ে নয়, হিন্দু-মুসলমান-ইংরেজ যেখানে ছোট ও সংকীর্ণ– সেই অংশের প্রতি সচেতনতা থেকেই, এই গানটির অঙ্গচ্ছেদ করে গ্রহণের পক্ষপাতী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved