E-Robbar
আসলে বিষয়টা ভাষার নয়। ভাষা এখানে গহীন চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ মাত্র। এবং বড় অস্ত্রও। অমিত মালব্যরা খুব ভালো করেই জানেন, দেশজুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি বাঙালি ভাবাবেগ একজোট হতে চায়, তাহলে তাকে ভাষা দিয়েই কাটতে হবে। তাই ‘বাঙালি’ ও ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্বের অবতারণা।
অনিতেশ চক্রবর্তী ও
বাঙালি এইসব মামুলি ব্যাপারকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনত না। মাত্র এক দশক আগেও এসব নিয়ে কেউ ভাবেনি। অথচ আজ বাঙালিকে এসব নিয়ে ভাবানো যাচ্ছে। কে ভাবাচ্ছে? বাঙালির একশ্রেণির লোকজন। যাদের মূল লক্ষ্য এই ভাষার হিন্দু-মুসলমান করে গোবলয়ের সঙ্গে তফাতটা আরও কমিয়ে আনা যাবে।
সুমন সেনগুপ্ত ও
আজিজুল হক বারবার বারবার বলেছেন পক্ষের কথা। পক্ষ নেওয়ার কথা। সোজা করে বললে আমার মাথা গ্রাস করবে কোন পক্ষ? কার হাতে আমি আমার মাথার অধিকার অর্পণ করব? আমার মাথা নিয়ে যে শোষক ফুটবল খেলবে নাকি আমার আমার মাথা যার কাছে কেবল একটি সাংখ্যিক পরিচিতি না, একটি মনুষ্য-মস্তিষ্কের স্বীকৃতি পাবে। পক্ষ নিতে হবে।
বিদিশা বিশ্বাস ও
‘ভারত সরকার সম্প্রতি অবৈধভাবে শত শত বাঙালি মুসলিমকে বাংলাদেশে পুশইন করছে’– এমনটাই অভিযোগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটির দাবি, এসব মানুষকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
শুভাশিস চক্রবর্তী ও
এই প্রশ্ন করে লাভ নেই যে অ্যানড্রেয়া কি তাহলে সম্পূর্ণ মিডিয়া স্ট্রাটেজি ব্যবহার করেছেন? এছাড়া আর কীভাবেই বা আমেরিকার বাজারে কবি ও আন্দোলনকর্মী টিকে থাকবেন এখন? এটা যদি আমরা আগেভাগে বুঝে নিই, তাহলেই ভালো।
ঈপ্সিতা হালদার ও
কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে ক্লাসঘরে পড়ুয়াদের বসার বিন্যাস বদলানোর আয়োজন শুরু হয়েছে। সারি সারি বেঞ্চ আর টেবিল শুরু থেকে শেষের দিকে যাবে না। অর্ধগোলাকৃতি বিন্যাসে বসানো হবে তাদের। তবে বিন্যাসের বদলই যথেষ্ট নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের মনের ভেতরে ক্ষমতাতন্ত্রের যে জগদ্দল ভার, তা না মুছলে ব্যবস্থা আর অবস্থা বদলে যাবে না।
বিশ্বজিৎ রায় ও
মহারাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে– তারা স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণিতে যুদ্ধ শেখাবে। জুন মাসের এক আদেশনামায় জানানো হয়েছে, স্কুলের নিচের ক্লাসে যুদ্ধবিদ্যা শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা এবং সামরিকবিদ্যার পাঠ দেওয়া হবে। এই পাঠ দেবেন কারা? খবরে প্রকাশ, রাজ্যজুড়ে পাঠ দেওয়ার জন্য নিয়োজিত হবেন আড়াই লক্ষ লোক, থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা।
সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও