Robbar

সাম্প্রতিকী

ইতিহাস জানানোর দায় কেন অঙ্ক বই নেবে?

অঙ্ক বইতে এরকম ইতিহাসের প্রবেশ হবে কেন? অঙ্ক তো একটা নৈর্ব্যক্তিক বিষয়।  দু’য়ে দু’য়ে চার, আপনি করলেও হবে, আমি করলেও হবে কিন্তু ইতিহাসের ক্ষেত্রে তো ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস তো আর শুধু কী ঘটেছিল, সেকথা বলে না। সেটা বলার কাজ তো কালপঞ্জির।

→

গ্রামের স্বাভাবিকতা শহরের বিস্ময় হয়ে উঠল?

সুন্দরবনের দুই তরুণী সামাজিক বিয়েতে আবদ্ধ হলেন। বিয়ে দিলেন গ্রামের পরিবার ও ক্লাবের ছেলেরা। সপাট একটা থাপ্পড় এসে পড়ল এলিট, তত্ত্বপ্রিয়, অ্যাকটিভিজমকেন্দ্রিক, কাগুজে সচেতনতার মুখে। আমরা আদতে যাদের ‘শিক্ষিত’ করার স্বঘোষিত দায়িত্ব পেয়ে জীবন বর্তে দিয়েছি, তারাই আমাদের বিচারপ্রবণতার সামনে একটা সহজ সমাধান নিয়ে বেরিয়ে গেল।

→

নাস্তিকের মৃত্যুচিন্তা ছড়িয়ে আছে রুশদির ইলেভেনথ আওয়ারে

সাকুল্যে পাঁচটা গল্প। ‘ইন দ্য সাউথ’ আর ‘দি ওল্ড ম্যান ইন দ্য পিয়াৎজা’ তুলনায় ছোট। ‘লেট’ আর ‘ওকলাহোমা’ বেশ বড়। সবচেয়ে বড় গল্প/উপন্যাসিকা– ‘দ্য মিউজিশিয়ান অফ কাহানি’। প্রতিটা গল্পে কোনও না কোনও ভাবে মৃত্যুর গায়ের গন্ধ।

→

একটি বাসযোগ্য শহরের স্বপ্নই ব্যক্তিকে ছাপিয়ে সমষ্টিগত প্রত্যাশায় মিশেছে

১১,৩০০ জন ডিএসএ সদস্য নিউ ইয়র্কে জোহরানের পক্ষে প্রচার করেছেন। কিন্তু মোট স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ছিল এর ৯ গুণেরও বেশি। অর্থাৎ ডিএসএ-র বামপন্থী রাজনীতি আর কোনও ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ নয়, ধীরে ধীরে মেইনস্ট্রিমে জায়গা করে নিচ্ছে।

→

যাঁদের রক্ত-ঘামের ফসল নিউ ইয়র্ক, তাঁরাই জিতিয়েছে জোহরান মামদানিকে

সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক সমাজের একজন মানুষ যখন নিজের রাজনীতির সঙ্গে কোনওরকম আপোস না করে, এত বড় একটা জয় হাসিল করে নেয়, তখন সবার মনেই একঝলক আশা জেগে ওঠে এই নৈরাশ্যের হতাশার যুগে। মনে পড়ে যায় সেই চিরন্তন স্লোগান, ‘Another world is possible’।

→

এই বাংলার কথা ভেবেই ‘আমার সোনার বাংলা’ গাইব, গাইবই!

আমি পশ্চিমবঙ্গের লোক যখন এই গান গাইব তখন কি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাইব? না। আমি আমার বাংলাকে নিয়েই গাইব। হ্যাঁ, আমি যদি বাংলাদেশে যাই এবং এই গানটি শুরু হয় তাহলে অবশ্যই আমি উঠে দাঁড়াব।

→

রিচার সাফল্যে বাঙালি অভিভাবকরা কি আরেকটু সাহস পাবেন?

তথাকথিত অতিশিক্ষিত যুক্তিবাদী অভিভাবকদের থেকে কয়েক ধাপ উঁচুতে উঠে গিয়েছেন রিচার বাবা-মা। এমন বহু পরিবার দেখেছি যেখানে বাইরের লোক নয়, তারাই মেয়েদের পছন্দের কাজটি অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়।

→

একটি বানান ভুল কেড়ে নিতে পারে মানুষের জীবনও

কোচবিহারের খাইরুল শেখের তাঁর নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয়ার ভয় যে গ্রাস করেছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এই ভয়ের কোনও নাম কি মনস্ত্বত্ত্ববিদেরা এখনও দিতে পেরেছেন? রাষ্ট্র কি তা মেনে নিয়েছে? তাহলে এই ভয়ের প্রতিকার কী?

→

মানুষ যখন শিশুদের চিনি-রং-ফ্লেভারে ভবিষ্যৎ খোঁজে, তখন জনস্বাস্থ্য আর নীতির নয়, লাভের প্রশ্ন

বোতলের ভিতরে যে দ্রবণ, তা আর মহলানবীশের মানবিক সমীকরণ নয়। WHO (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত ওআরএসে যেখানে প্রতি লিটারে ১৩.৫ গ্রাম চিনি, সেখানে এসব পণ্যে সেই মাত্রা প্রায় ১০ গুণ বেশি। অর্থাৎ, ডায়রিয়ায় জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে এই পানীয় বাড়িয়ে দিচ্ছে বিপদ।

→

প্রযুক্তি নয়, বিজ্ঞাপনে স্টোরিটেলিংই আসল কথা, মনে করতেন পীযূষ পাণ্ডে

এখন টেকনোলজির যুগ– অ্যালগরিদম, অ্যানালিটিক্স এখন বিজ্ঞাপনের চালিকাশক্তি। এই নিয়ে আক্ষেপ ছিল পীযূষের। বিভিন্ন ইন্টারভিউতে সেই কথা তিনি বারবার বলেছেন। ব্র্যান্ড এবং বিজ্ঞাপন তার সৃজনশীলতা এবং স্টোরিটেলিং দিয়েই মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারে– প্রযুক্তি দিয়ে নয়।

→