সতেরো বছরের দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনের পথ পরিক্রমায় যেমন ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্য পেয়েছি, তেমনই সাহচর্য লাভ করেছি দিকপাল ক্রীড়া সাংবাদিকদের। যাঁদের কেউ কেউ প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সমৃদ্ধও করেছেন জীবনকে। ‘খেলাইডোস্কোপ’-এ এবার তাঁদের কথা তুলে ধরার পালা। আজ প্রথম কিস্তি।
‘খেলা দেখো?’
‘ইয়ে, মানে দেখতাম স্যর। গত তিন মাস কাজের চাপে কিছুই তেমন দেখা হয়নি।’
‘উফ, তার আগে তো দেখতে নাকি?’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ অবশ্যই।’
‘ইডেন গিয়েছো?’
‘ডার্বি গিয়েছি। কিন্তু ইডেন কখনও যাওয়া হয়নি।’
‘কী, ইডেন যাওনি!’
‘না, হয়ে ওঠেনি।’
‘কাগজ পড়ো?’
‘পড়ি স্যর।’
‘পাঁচটা কাগজের নাম বলো।’
‘আনন্দবাজার, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, বর্তমান…।’
‘থামো, থামো। খেলার বিচারে বলো।’
‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, বর্তমান…।’
‘আহ্, হয়েছে। আজকাল পড়ো?’
‘‘আজকাল? না। তবে ‘খেলা’ ম্যাগাজিন পড়ি।’’
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, গানটা শুনেছি। কিন্তু পাশে বসে দেখতে কেমন লাগে, বুঝেছিলুম সে-দিন।
২০০৭ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। ১৭ তারিখ।
তিন মাস ধরে হিন্দমোটরে ট্রেনি অ্যাকাউন্ট্যান্ট-এর জোয়াল-টানা শেষে ‘কী করিয়া যেন’ আনন্দবাজারের ফটক ঠেলে ঢুকে পড়েছিলাম, ৭০০ পিএইচডি আর ৫০০ মাস্টার্সের ঢুঁসো-ঘুঁষি সামলে। এবিপি এইচআরের তৎকালীন সর্বময় কর্ত্রী বলেছিলেন বটে যে, ‘বাছা একটু সামলে! পরীক্ষা দিয়েছ, পাশ করেছ, ইন্টারভিউ টপকেছ, সব ঠিক আছে। কিন্তু এবার তোমার সামনে গৌতম ভট্টাচার্য! যা-ই করো, কেঁপেঝেঁপে একশা হয়ে যেও না।’ জন্মগতভাবে আমার কান দুটো বেশ বড়। খোলামেলা। অপছন্দের উপদেশ-পরামর্শের প্রবেশ-প্রস্থানে বিশেষ অসুবিধেও হয় না! তাছাড়া আমলই দিইনি বলতে গেলে। কারণ, শত-শত ‘বিদ্যাধর’দের ঠেলে-গুঁতিয়ে আনন্দবাজারে চাকরি পাব, সে ‘খোয়াব’ দেখিনি কখনও। আর গৌতম ভট্টাচার্য নামটার সঙ্গে আবছায়া জানাশোনা থাকলেও তাঁর লেখার সঙ্গে দুর্ধর্ষ পরিচিতি তেমন ছিল না। বাড়িতে বাবা নিতেন ‘বর্তমান’। ‘আনন্দবাজার’ নয়। ‘স্টার আনন্দ’-র (তখন নাম তাই ছিল) সান্ধ্যকালীন শোয়ে উনি বসতেন যখন, রুজির দায়ে টিউশনি পড়াতে যেতাম। খামোখা তাহলে আর ভয় পাব কেন? এগোচ্ছিলও একদম ঠিকঠাক। সাহসের ফানুসে হাওয়া ভরে, সহস্র ঋতুর অত্যাচারে ক্লান্ত সবেধন নীলমণি বুটজোড়ায় মশমশ (নাকি ফ্যাঁসফ্যাঁস) শব্দ তুলে, ভদ্রলোকের ‘কিউবিকল’ পর্যন্ত পৌঁছেও গিয়েছিলাম গটগটিয়ে। ফানুস ফুটো হয়ে গেল ‘কিউবিকল’-এ ঢোকার পর!
দীর্ঘদেহী, সৌম্যকান্তি, গৌরবর্ণ– মানুষের সম্ভ্রম আদায়ে বাঙালির অভিধানে যে সমস্ত গুণাবলি থাকা বাঞ্ছনীয়, দেখলাম সমস্ত আছে ভদ্রলোকের। গন্ডগোলটা বাঁধাল কণ্ঠস্বর। উচ্চকিত যা কখনওই নয়, তবে অদ্ভুত জলদগম্ভীর। স্নায়ুকে যা বিবশ করে দেয়। আত্মারামও খাঁচাছাড়া হতে শুরু করে আস্তে-আস্তে। না, সামান্যতম উষ্ণতাও পাইনি সে-দিন। বরং এক নির্নিমেষ চাহনি পেয়েছিলাম, যা প্রতি পলকে জরিপ করছে উল্টোদিকের ছোঁড়ার মধ্যে কতটা সোনা, কতটা খাদ। চিলতে হেসেছিলেন ইন্টারভিউয়ের একেবারে শেষ দিকে, ‘আজকাল’ পড়ি না শোনার পর। তখন জানতাম না, খেলার খবর নিয়ে ‘আজকাল’ আর ‘আনন্দবাজার’-এর রেষারেষি কোন পর্যায়ে! তা, গমগমে গলায় ভদ্রলোক হেঁকে উঠেছিলেন যে, ‘সব্যসাচী (সরকার) এবার একে তালিম দিয়ে দাও।’ আর শেষে আমার দিকে ঘুরে বলেছিলেন, ‘শোনো, ওসব স্যর-ফ্যর বলবে না। গৌতমদা বলে ডাকবে। এখানে কেউ হেডমাস্টার নয়।’
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
মিথ্যে লিখব না, প্রথম-প্রথম বেশ অপছন্দই করতাম গৌতমদা’কে। বকা খাওয়ার ভয়ে! স্কুলে রাগী স্যর ক্লাস করাতে ঢুকলে যেমন সুড়ুৎ করে লাস্ট বেঞ্চের আড়ালে চলে যেতাম, ‘আনন্দবাজার’-এ কেরিয়ারের প্রথম ভাগে অবিকল তাই ঘটত! ফ্লোরে ঢোকার সময় হালকা দেখে নিতাম, উনি এসেছেন কি না? তারপর মওকা বুঝে সেঁধিয়ে যেতাম স্পোর্টস ডেস্কের সেই কম্পিউটারের কোলে, যেখান থেকে আমায় আবিষ্কার করতে গেলে ‘ভাস্কো দ্য গামা’-র প্রতিভা প্রয়োজন! ‘স্টোরি’ বলতে গিয়েও সাত বার কাশতাম, দশ বার হাঁচতাম। কী করব, ভ্রূ কুঁচকে উনি তাকাতেন এমন!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
মাথা দুলিয়ে, ঘাড় নাড়িয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। ফাঁকা চেয়ার টেনে ধপ করে বসে পড়েছিলাম, সব্যসাচীদা’র পাশে। দীর্ঘদেহী, গৌরবর্ণ, সৌম্যকান্তি ভদ্রলোকের সঙ্গে ১৫ বছর চলে গিয়েছে তারপর, কালের খেয়ালে। প্রথমে বছর দশেক ‘আনন্দবাজার’। পরে বছর পাঁচেক ‘সংবাদ প্রতিদিন’। গৌতমদা’র জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরকেও পরে আর ভয় পেতাম না। ক্রমে দু’-চার ছত্র লিখতে শিখলাম। লোকে বলতে শুরু করল, ‘তোমার লেখায় গৌতম ভট্টাচার্যের ছায়া পাওয়া যায় ভায়া। তুমি তো ওঁর যোগ্য মন্ত্রশিষ্য হে!’ কেন বলত, জানি না। কারণ, গৌতমদা হাতে ধরে আমাকে লেখা শেখাননি। শিখিয়েছে ওঁর ‘সিস্টেম’। সাংবাদিকতার ‘অ-আ-ক-খ’-র সহজ পাঠ আমার সব্যসাচী সরকারের থেকে নেওয়া। আমার লেখা ‘ভালো হয়েছে’ বলে নিয়ম করে ফেলে দিতেন যিনি, ফেলে নিজে লিখে দিতেন! বলতেন, ‘দেখে রাখ রাজু। এভাবে লিখবি।’ তবে সব্যদার কোচিংয়ে লেখার ‘স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ’ শিখে আসার পর, পরিপূর্ণ রচনা সৃষ্টি হয়েছে গৌতমদা-র ‘সিস্টেম’-এ। যা সম্পূর্ণ বায়বীয়। চোখে দেখা যায় না। শুধু বোঝা যায়। আসলে গৌতমদা খেলা কভার করতে গেলে হাতে লিখে পাঠাতেন প্রথমে। যা নতুন করে টাইপ করতে হত কাগজের জন্য। কোথাও গিয়ে মনে হয়, যৎসামান্য যা লিখতে-টিখতে পারি, তার নেপথ্যে ওই লেখা তোলার অবদান অনেকখানি। কিছু অনিন্দ্যসুন্দর শব্দ, কিছু মায়াবী পঙক্তি, টাইপ করতে-করতে মগজে গেঁথে যেত। যা আস্তে-আস্তে আমার লেখায় আসতে শুরু করে। পরে সেই লেখার কাঠামো ভেঙে নিজস্ব লেখার এক আদল তৈরি হয়। তবু ‘অনুকরণ’ শব্দটা শুনে অস্বস্তি হত। যেমন হত পরবর্তীতে ‘আরে, রাজর্ষি তো গৌতমদার লোক’ শুনে। সেটাও যে কেন, কী তার কারণ, জানি না।
অবশ্যই গৌতমদা দ্রোণাচার্য হলে আমি তাঁর একলব্য। আমার আনন্দবাজার ছাড়ার একটা কারণ টুম্পাইদা (সৃঞ্জয় বোস), আর একটা নিঃসন্দেহে গৌতমদা। আমিই ওঁকে গিয়ে বলেছিলাম, আপনার সঙ্গে চলে যেতে চাই। কিন্তু তার পরেও আমি সেই একলব্য, যে কখনও গুরুদক্ষিণা হিসেবে দ্রোণাচার্যকে নিজের বুড়ো আঙুল দিতে যায়নি।
মিথ্যে লিখব না, প্রথম-প্রথম বেশ অপছন্দই করতাম গৌতমদাকে। বকা খাওয়ার ভয়ে! স্কুলে রাগী স্যর ক্লাস করাতে ঢুকলে যেমন সুড়ুৎ করে লাস্ট বেঞ্চের আড়ালে চলে যেতাম, ‘আনন্দবাজার’-এ কেরিয়ারের প্রথম ভাগে অবিকল তাই ঘটত! ফ্লোরে ঢোকার সময় হালকা দেখে নিতাম, উনি এসেছেন কি না? তারপর মওকা বুঝে সেঁধিয়ে যেতাম স্পোর্টস ডেস্কের সেই কম্পিউটারের কোলে, যেখান থেকে আমায় আবিষ্কার করতে গেলে ‘ভাস্কো দ্য গামা’-র প্রতিভা প্রয়োজন! ‘স্টোরি’ বলতে গিয়েও সাতবার কাশতাম, দশবার হাঁচতাম। কী করব, ভ্রূ-কুঁচকে উনি তাকাতেন এমন! ইয়ার্কি-ফাজলামির তো প্রশ্নই নেই।
গৌতমদা-র ‘শিক্ষা-ব্যবস্থা’-র গড়ন ধরতেও সময় লেগেছিল লম্বা। ভুল হতে পারি। ঠিক হতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, নতুন সাংবাদিকের জন্য উনি সর্বপ্রথম ‘অগ্নিকুণ্ড’-এর বন্দোবস্ত করেন। তারপর সজোরে তাতে নিক্ষেপ করেন। তুমি বেঁচে ফিরে এলে, ‘গুরুকুল’-এ অ্যাডমিশন পাবে। নইলে অন্য কলেজ দেখো! ‘আনন্দবাজার’-এ যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যে আমায় আমেদাবাদে চ্যালেঞ্জার ট্রফি কভার করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন উনি। রিপোর্টিং দূরস্থান, একটা লেখা লিখব কী ভাবে, সেটা পর্যন্ত তখন জানতাম না! ফিরে আসার পর মুখের একটা পেশিও না নাড়িয়ে শুধু বলেছিলেন, ‘তোমার প্রবীণ কুমারের স্টোরিটা ভালো হয়েছে।’ ব্যস, খতম! কিন্তু অল্প-বিস্তর সুযোগ পাওয়া তারপরেও বন্ধ হয়নি। দুর্ধর্ষ রিপোর্টিং আইডিয়াও পেয়েছি। যা সর্বসমক্ষে পড়ে থাকা সত্ত্বেও কারও মাথায় আসেনি, কারও চোখে পড়েনি, শুধু গৌতমদার চোখ থেকে নিষ্কৃতি পায়নি।
খবরের অভিলাষে কী করে দিন-রাত এক করে দিতে হয়, সাংবাদিকদের কেন ‘অফ ডে’ হয় না, গৌতমদার থেকে শেখা। পরবর্তীতে ‘এই সময়’ আসার পর যখন লোকজনের মধ্যে ‘আনন্দবাজার’ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, সিনিয়ররা এক-এক করে সব বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, জীবনের সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ কভার করার সুযোগ পাই। ময়দানে তখন টিপ্পনী চলত ‘আনন্দবাজার স্পোর্টস’ নিয়ে। সিএবি-তে এক সিনিয়র সাংবাদিক যেচে এসে বলেছিলেন, ‘তোমাদের তো টপ অর্ডারের পর সোজা লোয়ার অর্ডার এখন। মিডল অর্ডার বলে আর কিছু নেই!’ ফিরে এসে বলেছিলাম গৌতমদাকে। দেখলাম, পাত্তাও দিলেন না। উল্টে বললেন, ‘শোনো, লোকের কথা ছাড়ো। টেস্ট ম্যাচ করতে যাচ্ছ, সেটা নিয়ে ভাবো। দিনে একটা করে লেখা পাঠাবে। খবর মিস হলে হবে। আগে টেস্ট ম্যাচ রিপোর্টিং কী করতে হয়, শেখো। যেভাবে রনজি করো, সেভাবেই করবে। যাও!’
আজও ভুলতে পারিনি কথাটা। ভুলতে পারবও না। সুযোগ এক জিনিস, আর চাপমুক্ত সুযোগ আর এক। নির্দ্বিধায় লিখছি, গৌতমদা আমায় তা দিয়েছিলেন। অথচ গৌতম ভট্টাচার্য নামটার কখনও তাঁবেদারি করিনি। অহেতুক চামর দোলাইনি। কিন্তু তাতে সম্পর্ক এতটুকু টাল খায়নি। আমাদের মনোমালিন্য হয়েছে প্রচুর। বিস্তর মতান্তরও। কিন্তু কোন সংসারে তা হয় না? এটা তো মিথ্যে নয় যে, আমার বিয়ে গৌতমদা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছিলেন। বৌভাতের ‘হল বুকিং’ নিজে করে দিয়েছিলেন। এটাও মিথ্যে নয়, ডাক্তার-বদ্যির অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে দু’বার ভাবতে হয়নি। গৌতমদা-কে একটা ফোন করলেই চলত।
মানছি, ‘আনন্দবাজার’ ছেড়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ আসার পর আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ক্রমশ বাড়ছিলও যা। কেন, কী বৃত্তান্ত, তাতে যাচ্ছি না। সেসব থাক। এটাও লিখছি, গত বছর যে সাংবাদিককে কর্কশ আক্রমণ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলাম, তিনি গৌতমদা। আজ মনে হয়, দরকার ছিল না অমন অসহনীয় আক্রমণের। চাইলে উপেক্ষা করতে পারতাম। পারিনি, নাম না করে আমার কাগজের হেডিং নিয়ে উনি বলায়। তাৎক্ষণিক উত্তেজনা গ্রাস করেছিল আমাকে। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, গৌতমদাও পারতেন নিজের ‘শো’-এ না বলতে। পারতেন, উনি ফোন করে আমায় বলতে যে, ‘রাজর্ষি হেডিংটা ভালো হয়নি।’ এক সপ্তাহ আগেই তো উনি বলেছিলেন। প্রশংসাসূচক মেসেজ করেছিলেন, আমার করা একটা ‘স্টোরি’ নিয়ে। প্রশংসা যদি ব্যক্তিগত থাকতে পারে, তাহলে এটাও বা নয় কেন? মনে তো তখন আর লাগত না। সেই অবাঞ্ছিত ঘটনার পর বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছে আমাদের। সজ্ঞানে দু’জন দু’জনকে এড়িয়ে চলেছি। কথা হয়নি। কথা আর হয় না। হয়তো হবে ভবিষ্যতে। হয়তো হবে না। সে হোক বা না হোক। আমার লেখা দিয়ে আমাদের সম্পর্কের চরমতম দুর্যোগ শুরু হয়েছিল। আমি নিজে লিখে তা আজ শেষ করে গেলাম।
কী বললেন, কেন? কোন কারণে? সহজ, খুব সহজ।
আমি সেই গৌতমদাকে মনে রাখতে চাই, যাঁর ‘আনন্দবাজার’ ছাড়ার খবরে অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমি সেই গৌতমদা-কে মনে রাখতে চাই না, যাঁর সঙ্গে আমার আজ আর বাক্যালাপ নেই।
পুনশ্চ: ‘সংবাদ প্রতিদিন’ আমি ছাড়ছি না। ছাড়ার কোনও অভিপ্রায়ও নেই। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ আমি সুখে আছি, শান্তিতে আছি, ভালো আছি। তাই যে সব ‘ছিদ্রান্বেষী’ এ লেখা পড়ার পর দুইয়ে-দুইয়ে চার করতে বসেছেন কিংবা বসবেন, তাঁদের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
…পড়ুন খেলাইডোস্কোপ-এর অন্যান্য পর্ব…
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৫: সাধারণের সরণিতে না হাঁটলে অসাধারণ হতে পারতেন না উৎপল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৪: মনোজ তিওয়ারি চিরকালের ‘রংবাজ’, জার্সির হাতা তুলে ঔদ্ধত্যের দাদাগিরিতে বিশ্বাসী
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৩: অনুষ্টুপ ছন্দ বুঝতে আমাদের বড় বেশি সময় লেগে গেল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১২: একটা লোক কেমন অনন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পরিচর্যা করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১১: সম্বরণই বঙ্গ ক্রিকেটের বার্নার্ড শ, সম্বরণই ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১০: যাঁরা তৈরি করেন মাঠ, মাঠে খেলা হয় যাঁদের জন্য
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৯: খণ্ড-অখণ্ড ভারতবর্ষ মিলিয়েও ক্রিকেটকে সম্মান জানাতে ইডেনতুল্য কোনও গ্যালারি নেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৮: ২০২৩-এর আগে আর কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপ এমন ‘রাজনৈতিক’ ছিল না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৭: রোহিত শর্মার শৈশবের বাস্তুভিটে এখনও স্বপ্ন দেখা কমায়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৬: বাংলা অভিধানে ‘আবেগ’ শব্দটাকে বদলে স্বচ্ছন্দে ‘বাংলাদেশ’ করে দেওয়া যায়!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৫: ওভালের লাঞ্চরুমে জামাইআদর না থাকলে এদেশে এত অতিথি সৎকার কীসের!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৪: ইডেনের কাছে প্লেয়ার সত্য, ক্রিকেট সত্য, জগৎ মিথ্যা!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৩: এ বাংলায় ডার্বিই পলাশির মাঠ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২: গ্যালারিতে কাঁটাতার নেই, আছে বন্ধনের ‘হাতকড়া’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১: চাকরি নেই, রোনাল্ডো আছে
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved