আমার সংশয় ছিল, হবে না এত তাড়াতাড়ি। কিন্তু কোনও কোনও সমুদ্রমন্থন অমৃতের দই তুলে আনে বইকি! যেমন রোববার ডিজিটাল। ডাব্লু ডাব্লু ডাব্লু সমাজে প্রথম চিন্তক! বাকি ওয়েব যেখানে যৌনগন্ধী– রোববার ব্যতিক্রমী, আঁশটে গন্ধহীন এবং সুপারহিট। ভাবনা ও ভাল লেখা যে কোনও ফরমুলা মেনে চলে না, ডিজি-রোববার তা দাপট প্রমাণ করল। বহুকাল পর, যখন ওয়েবজিনের ইতিহাস লেখা হবে, তখন প্রথম সফল সাহিত্য সাইটের নাম লেখা হবে একশো পয়েন্টে– জ্বলজ্বল করবে রোববার.ইন।
ডিজিটাল ব্যাপারটা কাকতাল। তেমনই ধারণা ছিল আমার। মানে কোনটা চলবে আর কোনটা টায়ার পাংচার– এ বোঝা শিবের বাবারও অসাধ্য! তবু তারই মধ্যে ফরমুলা চোখে পড়ত খুব। যা খবর নয়, তেমন একটা লাইনকে হেডিং-এ নিয়ে আসা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, আর রাতের বেলায় জোয়ানের আরেক পরিবেশন। সেক্স-পেয়ার নাকি একমাত্র পাঠ্যবস্তু! ফলে ‘রোববার ডিজিটাল’ যখন চালু হল, মনের ভেতর গুড়গুড় করছিল মেঘ। গত ১৮ বছরে ‘রোববার’ অর্জন করেছে বহু কিছু, সবচেয়ে বেশি করে গুডউইল, ডিজিটাল টাল যেন না খায় সে। কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রকাশ পায় ‘রোববার ডট ইন’। প্রিন্ট হপ্তায় একবার, ডিজিটাল বারবার। ফলে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। এতদিন রোববার-এর ভাগ্যে জুটেছে পাঠক, এবারে তার নিত্যযাত্রী হল ট্রাফিক। রোববার দফতর থেকে মিশন ইমপসিবল-এ নামল সম্বিত ও তিতাস। সরোজ ছিল আগে থেকেই। আর পুরো দায়িত্ব নিয়ে সদ্য যুবক অরিঞ্জয় বোস ওরফে তাতাই, এই ক’দিন আগেও জানতাম না বাংলা ভাষাটা এতটা প্রিয় তার। এবং সর্বোপরি সৃঞ্জয় বোস।
জাহাজ কোন অভিমুখে ছুটবে, যার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। আমার সংশয় ছিল, হবে না এত তাড়াতাড়ি। কিন্তু কোনও কোনও সমুদ্রমন্থন অমৃতের দই তুলে আনে বইকি! যেমন রোববার ডিজিটাল। ডাব্লু ডাব্লু ডাব্লু সমাজে প্রথম চিন্তক! বাকি ওয়েব যেখানে যৌনগন্ধী– রোববার ব্যতিক্রমী, আঁশটে গন্ধহীন এবং সুপারহিট। ভাবনা ও ভালো লেখা যে কোনও ফরমুলা মেনে চলে না, ডিজি-রোববার তা দাপট প্রমাণ করল। বহুকাল পর, যখন ওয়েবজিনের ইতিহাস লেখা হবে, তখন প্রথম সফল সাহিত্য সাইটের নাম লেখা হবে একশো পয়েন্টে– জ্বলজ্বল করবে রোববার.ইন। ঠিক যেভাবে ঋতুদার হাত ধরে একটা আনকোরা রোগা পত্রিকা তার নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছিল মেধা ও বৈচিত্রে, একই কাজ করল রোববার ডিজিটাল। এই বর্ষপূর্তিতে গোটা টিমের জন্য রইল উপচানো গর্বের ফেনা। অজস্র সফল কলাম জন্ম হয়েছে এই একবছরে, কোনও কোনও লেখা গড়ে তুলেছে আন্দোলন– ওই তোলপাড়টুকুই আমাদের আশীর্বাদ। একবছর ধরে লিখে চলেছি ঋইউনিয়ন– ঋতুদাকে নিয়ে আমার প্রথম কোনও সিরিজ। লেখাটা লিখতে লিখতে কত পুরনো কথা মনে পড়ে যায়… কেমন সবার অলক্ষ্যে ঋতুপর্ণ ঘোষ জড়িয়ে পড়ল রোববার ডট ইন-এও। মহাকালের খাতায় ঋতুদার সঙ্গে আমার সংলাপ রচিত হয়, অদেখা সম্পাদক নেমে আসে আন্তর্জাল ফুঁড়ে।
ডিজিটালে কী হয় আর কী হয় না– এখনও জানি না। বলা চলে, কী চলে না– কে জানে! শুধু এটুকু জানি সৎ চেষ্টা আর উদ্যমের জয় হয় সবসময়। যে শিশু জন্ম নিয়েছিল একবছর আগের মাঝরাতে, তার কাঁধে আজ রামধনু রঙের ডানা। নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে, সে যেন উড়ে চলে দিগ্বিদিক, নতুন নতুন মানচিত্রের খেতে।
………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………