লীলাদি একদিন খুব অন্যমনস্ক ভাবে বিকেলে বাড়িতে বসে আছেন। হঠাৎ আমায় বললেন, দেখ রাহুল, সবাই কেমন আমাকে রেখে দিব্যি চলে গেল। আমি পড়ে রইলাম পাতা ঝড়া গাছের মতো হয়ে। কিন্তু, ‘সন্দেশ’টাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমার জ্যাঠামশাই, বড়দা, মানিকের হাতে গড়া এই কাগজ।
সৌম্যকান্তি দত্ত
একটা ব্যাপার অনেকেই আফসোসের সুরে বলেন– ‘নাহ্, এ-দেশে আর্কাইভ-টার্কাইভ কিস্যু করা যাবে না! বেশিরভাগের মধ্যে সেই চাড়টাই তো দেখি না আজকাল!’ কথাটা বেশ ভাবিয়েছিল। সত্যিই তো, আজ থেকে বছর সাতেক আগে ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১০০ বছর নিয়ে যখন একটা ডকুমেন্টারি ফিল্ম তোলার কাজে আটঘাট বেঁধে নামি, তখন প্রতি পদে হোঁচট খেয়েছিলাম। না আছে আমাদের নিজস্ব আর্কাইভ, না আছে তেমন টাকাকড়ি, না আছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা!
১৯১৩ সালে ‘সন্দেশ’-এর প্রথম প্রকাশ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হাত ধরে, প্রতি মাসে একটি করে সংখ্যার প্রকাশ, সেই সংখ্যার লেখাপত্তর চোখে দেখলেও, হন্যে হয়ে খুঁজে বেরিয়েও প্রতিমাসের প্রচ্ছদ আমরা আজ অবধি চোখেই দেখলাম না! আরও আশ্চর্য হলাম জেনে, সেসব প্রচ্ছদ সারা বছরের সংখ্যা একসঙ্গে বাঁধাইয়ের সময় নাকি ছিঁড়েই ফেলা হত! আবার এক শ্রেণির গবেষক-সংগ্রাহক আছেন, যাঁরা কোনও-না-কোনওভাবে সে-সব উদ্ধার করে বুকে আগলে রেখেছেন। আমাদেরও অকাতরে সাহায্য করেছেন। এঁদের মধ্যে কলকাতার এখন কিংবদন্তিসম বর্ষীয়ান সংগ্রাহক পরিমল রায়ের নাম না করলে অন্যায় হবে। ওঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শুধু আমরা কেন, অনেকেই উপকৃত হন, সে-সব পরে অবিশ্যি কেউ মনে রাখেন, কেউ রাখেন না। আবার এক শ্রেণির সত্যজিৎ-গবেষক-সংগ্রাহক আছেন, যাঁরা বুকে আগলে রাখতে গিয়ে একেবারে বিচ্ছিরি রকমের সুন্দরভাবে বলেন– ‘আমার কাছে সবই আছে, কিন্তু আমি কিছুই দেব না!’
যাই হোক, এই ‘সন্দেশ ১০০’ এবং এর কিছু পরে ‘পেরিস্তান: দ্য ওয়ার্ল্ড অফ লীলা মজুমদার’ ফিল্ম দুটি তোলার সময়েই লীলা মজুমদারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগটা নিয়মিত হয়। তখন সবে মাত্র লীলা মজুমদারের কন্যা কমলা চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়েছেন। আমরা আপাদমস্তক যে দু’জন মানুষকে চিনেছি, কাছে পেয়েছি– তাঁরা লীলা মজুমদারের পুত্র ডাঃ রঞ্জন মজুমদার এবং দৌহিত্রী শ্রীলতা বন্দ্যোপাধ্যায় (মোনা)। কিছু কিছু মানুষ থাকেন, যারা নিজেরা কাজের কাজ কিস্যু করবেন না, অন্যকেও ত্রিসীমানায় ঘেঁসতে দেবেন না। আমাদের রঞ্জনজ্যেঠু কিংবা মোনাদির ক্ষেত্রে এর কোনওটাই খাটে না। রঞ্জনজ্যেঠু পেশায় দাঁতের ডাক্তার, কিন্তু সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বয়সের ভারে তখনই তিনি জর্জরিত, কাজেই আর কালবিলম্ব না করে আমাদের বলেছিলেন– ‘আমার মায়ের লেখাপত্তরগুলো হারিয়ে গেলে হবে না। তোমরাই পারবে এগুলো বাঁচিয়ে রাখতে!’ ব্যস্, এমন সুযোগ কাছে এসে ধরা দিলে, হাত-পা গুটিয়ে আর থাকা যায় নাকি!
১৯১৩ সালে ‘সন্দেশ’-এর প্রথম প্রকাশ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হাত ধরে, প্রতি মাসে একটি করে সংখ্যার প্রকাশ, সেই সংখ্যার লেখাপত্তর চোখে দেখলেও, হন্যে হয়ে খুঁজে বেরিয়েও প্রতিমাসের প্রচ্ছদ আমরা আজ অবধি চোখেই দেখলাম না! আরও আশ্চর্য হলাম জেনে, সেসব প্রচ্ছদ সারা বছরের সংখ্যা একসঙ্গে বাঁধাইয়ের সময় নাকি ছিঁড়েই ফেলা হত! আবার এক শ্রেণির গবেষক-সংগ্রাহক আছেন, যাঁরা কোনও-না-কোনওভাবে সে-সব উদ্ধার করে বুকে আগলে রেখেছেন। আমাদেরও অকাতরে সাহায্য করেছেন।
দিনের-পর-দিন ওল্ড বালিগঞ্জ সেকেন্ড লেনে রঞ্জনজ্যেঠুর বাড়িতে বসে আমরা কত কী যে পেয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই! এক-একটা জিনিস ট্রাংক হাতড়ে, ড্রয়ার ঘেঁটে উদ্ধার হয় আর আমাদের তখন চোখ ‘ইজ জ্বলজ্বলিং’! পুরনো একটা ফাইল, দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, তার কিছু জায়গা আবার ক্ষয়েও গেছে। সেটা খুলে আলগোছে কাগজপত্র সরাতেই উঁকি মারল হাতে লেখা একটা পাণ্ডুলিপি। তার প্রথম পৃষ্ঠার একেবারে উপরে নীল রঙের কালি-পেনে লেখা– ‘বাতাস-বাড়ি’! আবার দেরাজের মধ্যে ইতি-উতি হাত চালাতেই একটা ছোট্ট নোটবুক বের হল, তার মধ্যে ভাঁজ করে রাখা একটুকরো কাগজ, সেটা খুলতেই দেখি, একটি দু’-চার লাইনের চিঠি, প্রেরকের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সঙ্গে আরেকখানি পোস্ট কার্ড, পঁচিশে বৈশাখের শুভেচ্ছাবার্তার সঙ্গে একটা ছোট্ট গাছের স্কেচ, শিল্পী নন্দলাল বসু। এই দু’টির সময়কালের মধ্যে যে বেশ খানিকটা দূরত্ব রয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
‘হলদে পাখির পালক’, ‘মাকু’ থেকে বড়দের জন্য লেখা লীলা মজুমদারের উপন্যাস ‘জোনাকি’, ‘শ্রীমতী’– অজস্র পাণ্ডুলিপি আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি যেমন, পাশাপাশি অসংখ্য ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধের পাণ্ডুলিপিও আমাদের হাতে এসেছে।
সে-সব তো গেল, এরপর আসি গল্প, উপন্যাসের বাইরে ওঁর অন্যান্য সৃষ্টির প্রসঙ্গে। সালটা বোধহয় ১৯১৬-১৭ হবে। লীলা মজুমদারের বয়েস তখন ৮ কি ৯ বছর। সে সময়ে ওঁর হাতে আঁকা কার্টুনও পাওয়া গিয়েছে। আর সেটি পেতেই তৎক্ষণাৎ ছাপা হয় ‘বিচিত্রপত্র’ পত্রিকার পুজো সংখ্যায়। মৌলিক লেখার বাইরেও অজস্র বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদ করেছিলেন তিনি। সেসবের মধ্যে বেশিরভাগই প্রকাশিত, আর কিছু আমরা পেলাম যা এযাবৎ কোথাও প্রকাশ হয়নি। তেমনই একটা অস্কার ওয়াইল্ডের ‘দ্য ইম্পর্ট্যান্স অফ বিং আর্নেস্ট’ নাটক অবলম্বনে লীলা মজুমদার লিখেছিলেন ‘সত্য হওয়ার ঝকমারি’। পাণ্ডুলিপিটি হাতে পেয়েই বেশ কিছুদিন খোঁজখবর নিয়ে আমরা যখন নিশ্চিত হলাম এ-লেখা আগে কখনই প্রকাশিত নয়, তখন আমাদের ‘বিচিত্রপত্র’ পত্রিকার আগস্ট-অক্টোবর ২০২১ সংখ্যা থেকে জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২ সংখ্যা পর্যন্ত মোট চারটি সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে এটি প্রকাশ করা হল। হ্যাঁ, এখনও আছে কিছু অপ্রকাশিত মৌলিক লেখা, বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদ। সেগুলোও আমরা খুব শিগগিরিই প্রকাশ করবার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছি।
১৯৬১-তে সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের যুগ্ম সম্পাদনায় তৃতীয় পর্যাযের ‘সন্দেশ’ প্রকাশিত হয়। এর ঠিক বছর দু’য়েকের মাথায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় সত্যজিতের সঙ্গে ‘সন্দেশ’ সম্পাদনায় যোগ দেন লীলা মজুমদার। আর সম্পাদিকা হিসেবে তাঁর নাম শেষবারের মতো ছাপা হয় ২০০৩ সালের মার্চ মাসে। অর্থাৎ ঠিক ৪০ বছর ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদনা করেছেন তিনি। এটাও মাথায় রাখতে হবে, ‘সন্দেশ’-এর ইতিহাসে তিনিই কিন্তু দীর্ঘকালীন সম্পাদক। ১৯৮৪-তে স্বামী ডাঃ সুধীরকুমার মজুমদারের মৃত্যু, ১৯৯২-তে স্নেহের ভাইপো মানিক ওরফে সত্যজিতের প্রয়াণ, এরপর ‘সন্দেশ’-এর প্রকাশক, জীবনানন্দ দাশের ছোট ভাই এবং ‘সন্দেশ’-এর আরেক সম্পাদিকা নলিনী দাশের স্বামী অশোকানন্দ দাশের মৃত্যু, বছর ঘুরতে-না-ঘুরতেই নলিনী দাশের মৃত্যু– এই সব ধাক্কা সামলেও ‘সন্দেশ’-এর প্রতি তাঁর দরদ এতটুকু কমেনি। ভাইপো সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ তখন ‘সন্দেশ’-এর সঙ্গে রীতিমতো জড়িয়ে পড়েছেন। সম্পাদনার খুঁটিনাটি, লে-আউট ইত্যাদি বিষয়ে রাত-দিন ভাবছেন, কাজ করছেন। একজন আপাদমস্তক ‘সন্দেশী’ এবং লীলা মজুমদারের অত্যন্ত স্নেহভাজন রাহুল মজুমদারের মুখে শুনেছি– “লীলাদি একদিন খুব অন্যমনস্ক ভাবে বিকেলে বাড়িতে বসে আছেন। হঠাৎ আমায় বললেন, দেখ রাহুল, সবাই কেমন আমাকে রেখে দিব্যি চলে গেল। আমি পড়ে রইলাম পাতা ঝড়া গাছের মতো হয়ে। কিন্তু, ‘সন্দেশ’টাকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমার জ্যাঠামশাই, বড়দা, মানিকের হাতে গড়া এই কাগজ। এখন মানিকের ছেলেই আমাদের আশা-ভরসা। সন্দীপ তো আমাদের বংশেরই ছেলে। ও কেমন সুন্দর লেখে দেখেছিস? সন্দেশের জন্য কী সুন্দর প্রচ্ছদও আঁকছে। আরে রক্ত আর যাবে কোথায় বল দিখিনি!”
এই যে লীলা মজুমদারের জিনিসপত্রকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ, ‘সন্দেশ’ আর ‘বিচিত্রপত্র’-র ধারাবাহিক প্রকাশ, এখন ‘বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ’ প্রকাশনার কাজ– এ সবই তো সন্দীপ রায় মাথার ওপর আছেন বলে সম্ভব হচ্ছে। মনে আছে, একদিন লীলা মজুমদারের কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একগুচ্ছ ছবির নেগেটিভ পাই। তার থেকে দু’একটা প্রসেস করাতেই দেখি, এসবই রায়-পরিবারের সদস্যদের বহু পুরনো ছবি। সন্দীপকাকুকে দেখাতেই বললেন– ‘ইমিডিয়েট সব নেগেটিভ প্রসেস করে স্ক্যান করতে হবে! নয়তো আর বেশিদিন বাঁচানো যাবে না।’ পারিবারিক ঐতিহ্যকে কীভাবে ধরে রাখতে হয়, সেগুলো যাতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছয়, সেদিকটাকে নিয়ে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন সন্দীপকাকু।
আর্কাইভ করা তো মুখের কথা নয়, তার জন্য তেমন-তেমন ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দরকার, উপযুক্ত জায়গা দরকার, একটা কমপ্লিট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রয়োজন– কবে সে-সব পুরোপুরি মাত্রায় হবে, জানি না। তবে হারিয়ে যেতে দেব না। রায়-পরিবারের এই লেগেসিকে আমাদের সকলকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।
আমার বিশ্বাস, কোনও একজন ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি চেনার ফুরসতটুকু মেলে তার লেখা চিঠির মধ্য দিয়ে। এখন, ব্যাপার হচ্ছে লীলা মজুমদার যাঁকে বা যাঁদের চিঠি লিখছেন, সে চিঠি আমাদের হাতে আসার সম্ভাবনা কমই খুব স্বাভাবিক কারণে। কিন্তু লীলা মজুমদারকে যাঁরা চিঠি লিখছেন সে চিঠি তো তাঁর কাগজপত্তর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, উনি খুব মামুলি জিনিস হলেও সেটাকেও সযত্নে লালন-পালন করতেন। দীর্ঘসময়ের লেখক জীবনে নানা গুণীজনের তরফে ওঁকে লেখা কত যে চিঠি পেয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। তার সব যে আমরা পেয়েছি, এমনটাও নয়। কিন্তু সমুদ্রের মধ্যে একঘটি জলই যদি পাই, তাই-বা কম কি!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু, শান্তিদেব ঘোষ, দিলীপকুমার রায়, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, রাধারানী দেবী, নরেন্দ্র দেব, প্রেমেন্দ্র মিত্র, আশাপূর্ণা দেবী, অন্নদাশঙ্কর রায়, প্রমথনাথ বিশী, পূর্ণিমা ঠাকুর থেকে শুরু করে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন– প্রেরকের তালিকায় কে নেই! এছাড়া রায়-পরিবারের সদস্যদের নাম আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয়। ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদনার সূত্রেই সত্যজিৎ রায়, নলিনী দাশের চিঠি তো অজস্র। এসব কাগজপত্তরের বয়েসও নেহাত কম হল না, অবস্থাও মোটেই সুবিধের নয়, অগত্যা এখন ডিজিটালাইজ করার কাজটাই আমাদের দ্রুত গতিতে চালাতে হচ্ছে।
চিঠিপত্রের কথা বলতেই আরেকটি ছোট্ট নোটবুকের কথা মনে পড়ল। নোটবুকের উপরের ডানদিকে তারিখ লেখা ১৩.২.৯৭। নিচে লেখা রয়েছে–
“ঋতুপর্ণ ঘোষ–
‘মাকু’ বা ‘হলদে পাখির পালক’ গল্পদুটির চিত্রস্বত্বর জন্য এসেছিলাম। গল্পদুটির film right free আছে কি না, একটু জানা দরকার।”
ভাবলে বড় কৌতূহল হয়, ঋতুপর্ণ ঘোষ এই অসামান্য গল্প দু’টির চলচ্চিত্ররূপ কেমন দিতেন! যাই হোক, এই প্রসঙ্গে লীলার নিজেরই একটা কথা দিয়ে শেষ করা যেতে পারে– ‘যা হয়েছিল, যা হলে ভালো হয়, যা হতে পারত, সব কিছুই এক।’ অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের লেখা–‘ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি/ রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।’
দু’বছরের মধ্যে সংস্করণ না ফুরলে অন্য জায়গায় বই ছাপার চুক্তি ছিল শরদিন্দুর চিঠিতে
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো লেখকেরা বই দেওয়ার আগেই সমস্ত চুক্তি ও আর্থিক বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই বই দিতেন। আমাদের সঙ্গেও তা-ই হয়েছিল। আমরা তাঁর প্রথম যে বইটা করলাম সেটা আগে ছিল একটি চিত্রনাট্য।