কৃষ্ণনগরের সঙ্গে হুগলি জেলার চন্দননগরের ব্যবসার মাধ্যমে যোগাযোগ বেশ প্রাচীনকাল থেকেই। চন্দননগরের ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর বন্ধু। তিনি ছিলেন আবার চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। অনেকের মতে, ইন্দ্রনারায়ণ এর মাধ্যমে কৃষ্ণনগরের পুজো চন্দননগরে চালু হয়। আরও অনেক ভিন্ন মত চালু আছে। তবে একথা ঠিকই কৃষ্ণনগর, চন্দননগর ছাড়িয়ে পরে জগদ্ধাত্রী পুজো বাংলার অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার অবয়বে বাংলার সমস্ত অঞ্চলের সঙ্গে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির প্রতিমা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
কলকাতার দুর্গাপুজো বাদ দিলে, মফস্সলের যে পুজো বা ধর্মীয় উৎসব নিয়ে বাঙালি সবচেয়ে বেশি উদ্বেল হয়ে ওঠে, সেটি কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। শুধু পুজো নয়, পুজো এবং তাকে কেন্দ্র করে হয়ে ওঠা নানা অনুষঙ্গ। এ বিষয়ে দ্বিমত নেই যে, এই বাংলায় দুর্গাপুজো ও তার এক মাস পরে জগদ্ধাত্রী পুজোকে জনপ্রিয় করার মূলে অবশ্যই কৃষ্ণনগরের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়। কৃষ্ণনগরের পূর্ব নাম ছিল রেউই। নদীয়ার মহারাজ রাঘব এই রেউই অঞ্চলে প্রাসাদ নির্মাণ করে থাকতে শুরু করেন। পরে তাঁর পুত্র মহারাজ রুদ্র রায় রেউই নাম পরিবর্তন করে তাঁদের গৃহদেবতা ভগবান কৃষ্ণের নামে শহরটির নামকরণ করেন কৃষ্ণনগর।
কৃষ্ণনগরেই বাসস্থান ছিল পরবর্তী নদীয়ার মহারাজদের। স্বাভাবিকভাবে তখন কৃষ্ণনগরের প্রধান উৎসব ছিল জন্মাষ্টমী আর ঝুলন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকেই দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন ও জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এই দুটো পুজোর প্রচলনে জড়িয়ে আছে নদীয়া তথা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস। দেখা যাচ্ছে, দু’বারই পুজোর শুরু হয়েছে মুসলিম নবাব কর্তৃক রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বন্দি অবস্থা থেকে ফেরার পর।
দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ ছেড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর কথাই বলা যাক। বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা বলা যেতে পারে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। মহারাজে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বার্ষিক খাজনা বাকি পড়ায় বাংলার নবাব মীরকাশিমের হাতে বন্দি হয়েছিলেন তিনি। কেউ বলেন,তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। কেউবা বলেন মুঙ্গেরে। দুর্গাপুজোর সময় খাজনা মিটিয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগরে ফেরার পথে দুর্গাপুজোর সময় পেরিয়ে যাওয়ায় খুবই মনঃকষ্টে ভুগছিলেন। কথিত আছে, একদিন নৌকায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নাদিষ্ট হন পরমভক্ত রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী দেখা দিলেন, ভক্ত কৃষ্ণচন্দ্রকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘তুই দুঃখ করিস না, আমার পুজোর সময় অতিবাহিত হয়েছে, তাতে কী হয়েছে। তুই আমার পরমভক্তবৎসল, মন খারাপ না করে আগামী শুক্লানবমীতে তিনদিনের পুজো একদিনে করবি। এই আমি যে রূপে দেখা দিয়েছি, ঠিক সেই রূপে আমার চতুর্ভুজা মূর্তি গড়বি।’
এই কথা বলেই দেবী অদৃশ্য হলেন। নিদ্রাভঙ্গ হলে রাজা পুলকিত হৃদয়ে রাজবাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর স্বপ্নের কথা নবদ্বীপ পণ্ডিতসমাজের উপস্থিতিতে সকলকে সবিস্তারে বর্ণনা করেন। শাস্ত্র পুঁথি দেখে পণ্ডিতেরা রাজাকে জানান, তাঁর স্বপ্নাদিষ্ট দেবীর মূর্তিরূপ শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। রাজা উপযুক্ত শিল্পীকে দিয়ে দেবীমূর্তি তৈরি করান এবং অত্যন্ত জাঁকজমক করে পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই কৃষ্ণনগরের শুক্লানবমী তিথিতে তিনদিনের পুজো একদিনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ধর্মীয় মতে, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো তান্ত্রিক মতে হয় বলে একদিনেই পুজো সম্পন্ন হয়। দুর্গাপুজো বৈদিক মতে হয়, তাই চারদিনের।
কিন্তু সমাজ সচেতন ইতিহাসবিদদের ব্যাখা একটু অন্যরকম। তাঁদের মতে, ঈশ্বরভক্ত কৃষ্ণচন্দ্র প্রজাদের সুখের জন্য, আনন্দের জন্য দুর্গাপুজো ছাড়াও কৃষ্ণনগরে আরেকটি বড় উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সেটি হল বারদোল-এর প্রচলন। তিনি কৃষ্ণনগরে বারোটি বিষ্ণুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বারদোল উপলক্ষে এই ১২টি মন্দির থেকে বিষ্ণুর দ্বাদশ বিগ্রহ এনে রাজবাড়িতে সাড়ম্বরে পুজো করার ব্যবস্থা করেন। এই উপলক্ষে রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে এক মাস ধরে বড় মেলা বসে। বারদোল উৎসব শুরু হত চৈত্র মাসের শুক্লা একাদশীর দিন। কৃষ্ণচন্দ্র একটা বিষয়ে সচেতন ছিলেন। প্রজাদের কাছে নিজের ‘ইমেজ’ বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের উৎসব খুবই কার্যকরী। সেই বছর বন্দি অবস্থা থেকে ফিরে দুর্গাপুজো করা যাবে না ভেবে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। ফিরে এসে রাজসভার এবং নবদ্বীপের পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের নতুন করে দুর্গাপুজো করার ব্যবস্থা করতে বলেন।
…………………………………………….
চন্দননগরের বা অন্যান্য অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী সিংহের পিঠে একদিকে দু’পা রেখে সামনের দিকে তাকিয়ে। মন্দির ভাস্কর্যেও এমনই দেবীরূপ দেখা যায়। কিন্তু কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূর্তি সম্পূর্ণ পৃথক। দেবীর সিংহবাহিনী মূর্তি অনেকটা ঘোড়ার পিঠে বসার মত। সিংহ সোজা সামনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে, রক্তবস্ত্রা পরিহিতা বেদেনী ডাকসাজের দেবী, সিংহের ওপর বাম-পা মুড়ে বসে আছেন। যোদ্ধারূপী জগদ্ধাত্রী মূর্তির আর এক বৈশিষ্ট্য– সিংহমূর্তির নরসিংহরূপ।
…………………………………………….
অন্য এক ইতিহাসে জানা যায়, তাঁর সভায় একজন দক্ষিণ ভারতীয় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি জানান, ভারতে দক্ষিণাঞ্চলে জগদ্ধাত্রীরূপী দুর্গা পুজোর প্রচলন আছে। বেদেও এই দেবীর উল্লেখ আছে। কথিত আছে, দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বেশ কয়েকবার নিহত করেন। প্রতিবারই অলৌকিক ক্ষমতায় মহিষাসুর জীবন্ত হয়ে উঠতেন। একবার হাতির রূপ ধরে করীন্দ্রাসুর দুর্গাকে আক্রমণ করলে দেবী তাঁকে বধ করেন। জগদ্ধাত্রীর রূপকল্পনা সেই মুহূর্তে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি মন্দিরে দেবীর জগদ্ধাত্রী রূপের ভাস্কর্য দেখা যায়। মুর্শিদাবাদের বড়নগরে চার বাংলার মন্দিরে, বীরভূমে ইলামবাজারের রামেশ্বর শিবমন্দিরের গাত্রফলকে জগদ্ধাত্রী মূর্তির নিদর্শন রয়েছে। মহারাজ ব্রাহ্মণদের কাছে দেবীর অন্য আরেক রূপের বর্ণনা শুনে ঘূর্ণির মৃৎশিল্পীদের দিয়ে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি নির্মাণ করিয়ে পুজো করেন। প্রজারা জানলেন, মুঙ্গের থেকে ফেরার পথে দেবী দুর্গা স্বপ্নে দেখা দিয়ে এই নতুন মূর্তিতে পুজো করার আদেশ দেন। সময়টা ১৭৬২ বলেই ঐতিহাসিকদের ধারণা।
একথা সত্য যে কৃষ্ণচন্দ্রের আমলেই শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি প্রভৃতি সব বিষয়েই কৃষ্ণনগরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর সভাতেই অনেক জ্ঞানী, গুণী মানুষের সমাবেশও হয়। কৃষ্ণচন্দ্র বুঝেছিলেন, নবাবী আমলে বাংলাকে মুসলিম ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে বাঁচাতে হলে ধর্মীয় উৎসবই একমাত্র উপায়। দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজোকেও বাংলাতে জনপ্রিয় করতে তিনি তাঁর বন্ধু ও দেওয়ান দাতারাম সুরের সাহায্য পান।
কৃষ্ণনগরের সঙ্গে হুগলি জেলার চন্দননগরের ব্যবসার মাধ্যমে যোগাযোগ বেশ প্রাচীনকাল থেকেই। চন্দননগরের ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর বন্ধু। তিনি ছিলেন আবার চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। অনেকের মতে, ইন্দ্রনারায়ণ এর মাধ্যমে কৃষ্ণনগরের পুজো চন্দননগরে চালু হয়। আরও অনেক ভিন্ন মত চালু আছে। তবে একথা ঠিকই কৃষ্ণনগর, চন্দননগর ছাড়িয়ে পরে জগদ্ধাত্রী পুজো বাংলার অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার অবয়বে বাংলার সমস্ত অঞ্চলের সঙ্গে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির প্রতিমা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
চন্দননগরের বা অন্যান্য অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী সিংহের পিঠে একদিকে দু’পা রেখে সামনের দিকে তাকিয়ে। মন্দির ভাস্কর্যেও এমনই দেবীরূপ দেখা যায়। কিন্তু কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূর্তি সম্পূর্ণ পৃথক। দেবীর সিংহবাহিনী মূর্তি অনেকটা ঘোড়ার পিঠে বসার মতো। সিংহ সোজা সামনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে, রক্তবস্ত্রা পরিহিতা বেদেনী ডাকসাজের দেবী, সিংহের ওপর বাম-পা মুড়ে বসে আছেন। যোদ্ধারূপী জগদ্ধাত্রী
মূর্তির আর এক বৈশিষ্ট্য– সিংহমূর্তির নরসিংহরূপ। সচরাচর যে ধরনের সিংহ আমাদের পরিচিত, অর্থাৎ, আফ্রিকার সিংহের থেকে এই সিংহ একদম অন্যরকম। লম্বা ঘাড়, ঘোড়ার মতো মুখ, সাদা, রোগা লম্বা এক অন্যরকম অলৌকিক জানোয়ার। অনেকে ভুল করে একে ‘সাদা ঘোড়া’ বলেন। আসলে মনে হয়, সেকালের শিল্পীরা আসল সিংহ দেখেননি বলেই শাস্ত্রে উল্লিখিত বর্ণনা শুনে নিজের কল্পনা মতো এই অলৌকিক জানোয়ারের রূপ দিয়েছিলেন। পুরনো মন্দিরের দেওয়াল বা প্রাচীন পটে এই ধরনের সিংহ মূর্তি দেখা যায়।
কৃষ্ণনগরের আদি ও অকৃত্রিম রাজবাড়ির পুজো আজও একইভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। যদিও সেই জাঁকজমক আর আজ নেই। রাজবাড়ির ভগ্নদশা, তথাপি নাটমন্দিরটি সে তুলনায় উজ্জ্বল। এই নাটমন্দিরেই দেবী পূজিত হয়ে থাকেন।
কৃষ্ণচন্দ্রের বা বলা যেতে পারে, নদীয়া রাজবংশের ৩৯তম পুরুষ ও কৃষ্ণচন্দ্রের নবম বংশীয় সৌমেশচন্দ্র রায় এখন এই পুজোর ব্যবস্থা করেন। রাজবাড়ির পাশাপাশি এখন কৃষ্ণনগরে প্রায় একশ-র কাছাকাছি বারোয়ারি পুজো হয়। রাজবাড়ির পুজোর আদল ‘রায়বাড়ি’ ও অন্যান্য কয়েকটি বনেদি বাড়িতেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে। এখানকার বারোয়ারি পুজোর মধ্যে চাষাপাড়া এবং কাঁঠালপোতার দেবীপ্রতিমা বেশ পুরনো। চাষাপাড়ার জগদ্ধাত্রীকে ‘বুড়িমা’ এবং কাঁঠালপোতার প্রতিমাকে ‘ছোট মা’ বলেই সকলে জানে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বারোয়ারিগুলি হল নেদিয়ার পাড়া, ষষ্ঠীতলা, উকিলপাড়া, চকের পাড়া, মালোপাড়া, হাতার পাড়া, বনেদিপাড়া প্রভৃতি। এদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রমী পুজো হিসেবে পরিচিত নুড়িপাড়ার বারোয়ারি। এই পুজো অনেকটা চন্দননগরের মতো। এখানে জগদ্ধাত্রী চারদিন ধরে পূজিত হন। তাই এখানকার প্রতিমাকে বলা হয় ‘চারদিনী-মা’।
প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যাপারটি কৃষ্ণনগরে বেশ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এখানকার রাজবাড়ি প্রাঙ্গণ থেকে জলঙ্গী নদী পর্যন্ত রাস্তাটি সুবিস্তৃত। এই রাস্তাটি কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রতিমাকে এই এক পথ ধরে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে রাজবাড়ি এবং সেখান থেকে জলঙ্গী নদী অভিমুখে। এখানকার রায় পরিবারের বংশধর সৌমেশবাবুর ঠাকুরমা, রানি জ্যোতির্ময়ীদেবী একসময় সুন্দর প্রতিমাশ্রী নিয়ে এক প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। সেই থেকে সকল্প প্রতিমা রাজবাড়ি হয়ে ঘাটের পথে যেত। রানি-মা নিজে শ্রেষ্ঠ তিনটি প্রতিমা নির্বাচন করতেন। সেই প্রথা এখনও চালু আছে।
গত ৩০ বছর ধরে কৃষ্ণনগরের পুজোয় নতুন সংযোজন হয়েছে ঘট-বিসর্জনের শোভাযাত্রা। দেবীর মঙ্গলঘট-কে শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানের সূচনা হিসেবে জানা যায়, পূর্বে বিসর্জনের সময় বিভিন্ন বারোয়ারি দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হত। এর কারণে সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন দেওয়া অনেকক্ষেত্রেই হয়ে উঠত না। প্রতিমাও অনেক সময় ভেঙে যেত ফলে প্রতিমার সঙ্গে থাকা মঙ্গলঘটও ভেঙে বিনষ্ট হয়ে যেত।
………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………………
সেই কারণেই কিছু পুজো কমিটি দিনের বেলায় মঙ্গলঘট বহন করে নিয়ে গিয়ে নদীতে বিসর্জন দিয়ে আসত। সেটাই কালক্রমে এক প্রথায় দাঁড়িয়ে গেছে। শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ফুল দিয়ে সাজানো পালকিতে ঘট করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। অন্তর্ভুক্ত হয়ে ট্যাবলো, সং, আর নানা রকমের বাদ্য। ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ঘট বিসর্জনের শোভযাত্রার উপর পুরস্কারের আয়োজন করে। ফলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই শোভাযাত্রা, অন্য মাত্রা পেয়ে যায় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রীপুজো।