মুফাসা যদিও ‘দ্য লায়ন কিং’-এর আগের গল্প; সিম্বার সন্ততি কিয়ারা-কে তার দাদু মুফাসার গল্প শোনায় বৃদ্ধ ম্যানড্রিল রাফিকি। ‘দ্য লায়ন কিং’-এ যদি থাকে প্রজাবৎসল, নীতিপরায়ণ রাজার সঙ্গে অসৎ, স্বার্থপর রাজার চিরন্তন দ্বন্দ্ব; প্রকৃতিকে ভালোবাসা বনাম প্রকৃতিকে শোষণ করার আদর্শের সংঘাত; এ-ছবিতে রয়েছে বংশোদ্ভুত বনাম বহিরাগতের সংঘর্ষ। ২০২৪-এর পৃথিবীতে ইনক্লুসিভিটি বা অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রাথমিক অধ্যায়গুলি নাগাড়ে ঝালানো হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে; এ-ছবি সেই ইনক্লুসিভিটি-চর্চারই পরিণতি বলা চলে। কিন্তু ছবি জুড়ে কতগুলো সমস্যা তৈরি হয়, যা ছবিটিকে কখনই সেভাবে দানা বাঁধতে দিল না!
‘দ্য লায়ন কিং’ নিয়ে কথা বলতে গেলে হৃদয়প্লাবী স্মৃতিমেদুরতা এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। আজ থেকে তিন দশক আগে মুক্তি পাওয়া এ-ছবি যে শুধুই আফ্রিকার অরণ্যের পটভূমিতে ‘হ্যামলেট’-কে সার্থকভাবে নিয়ে ফেলতে পেরেছে, তা নয়; আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই দ্বিমাত্রিক অ্যানিমেশন ছবির জগতে পা রাখা ‘দ্য লায়ন কিং’-এর হাত ধরেই; এ-ছবি অনেকাংশেই হয়ে থেকেছে আমাদের অরণ্য-জীবন চেনার কম্পাস। এ-ছবি আমার অত্যন্ত প্রিয়। কাজেই, ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’ নিয়ে কথা বলতে গেলে আগে একটু উঁকি মারতে হবে কালানুক্রমিকভাবে তার পূর্বসূরি দুর্ধর্ষ এই অ্যানিমেটেড ছবিটির অন্দরে।
‘হ্যামলেট’-এর চিরচেনা গল্পটিকে যে ভঙ্গিমায় ‘দ্য লায়ন কিং’-এর নির্মাতারা আফ্রিকার পটভূমিতে গড়ে তোলেন, সেটি বেশ তরতাজা। রাজপাট এবং ক্ষমতার লোভে অন্ধ হওয়া পিতৃহন্তার বিরুদ্ধে জনপ্রিয় রাজপুত্রের প্রতিশোধ– না-মানুষ প্রাণীদের সাম্রাজ্যে এই গল্প দেখতে-দেখতে এতটুকু তাল কাটে না। সময়টা মনে রাখতে হবে। ১৯৯২-তে ব্রাজিলে হচ্ছে বসুন্ধরা সম্মেলন বা আর্থ সামিট; পরিবেশ-প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা মূলধারার রাজনীতি থেকে ক্রমে সহজলভ্য বিষয় হয়ে আসছে মানুষের দৈনন্দিন আলোচনাতেও– এই পরিস্থিতিতে ১৯৯৪-এ মুক্তি পেল ‘দ্য লায়ন কিং’। সেখানে মুফাসা– ‘প্রাইড রক’-এর দয়ালু, প্রজাপরায়ণ, নীতিনিষ্ঠ রাজা– সিম্বাকে দিচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য-রক্ষার পাঠ; মাটিতে শিশিরবিন্দু থেকে মহাকাশে তারামণ্ডলের সঙ্গে জুড়ে থাকতে শেখাচ্ছে। বোঝাচ্ছে, সিংহের হরিণ-শিকারের মধ্যে চোরাশিকারির মতো নৃশংসতা অথবা ক্ষমতার আস্ফালন নেই; বরং, স্বাভাবিক খাদ্যচক্রের নিয়মই তা। স্বৈরাচারী, কুটিল স্কার প্রাইড রকের ক্ষমতায় এলে সেই সবুজ অরণ্যানী শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে আসছে– অর্থাৎ, ছবিটি সচেতনভাবে প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছে যে, শয়তানির সঙ্গে প্রকৃতির কোনও সংযোগ নেই।
‘দ্য লায়ন কিং’ চিরায়ত ক্ষমতার প্রশ্নটিকেও একটু অন্য দিক থেকে দেখে। সিম্বা যখন বাবা-মার নিরাপদ ক্রোড়ে রয়েছে, তখন সে শেখে ক্ষমতার ভাষা– সে যতই পেলব হোক না কেন! সিংহরা বংশানুক্রমিকভাবে যে মূল্যবোধ নিয়ে সাম্রাজ্য চালায়, সেই আদর্শ প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হচ্ছে সিম্বার মধ্যে– সিম্বা আর মুফাসার বিভিন্ন দৃশ্যে এই বিষয়টা আমরা ঘুরেফিরে আসতে দেখি। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর নির্বাসিত সিম্বা যখন টিমন আর পুম্বার সান্নিধ্যে বড় হয়, তখন সে শিখছে খাদ্যশৃঙ্খলের নিচের দিকে থাকা প্রাণীর ভাষা; অর্থাৎ, নিচু শ্রেণির যাপনে তাকে অভ্যস্ত হতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাহীন– এই দুই শ্রেণি থেকেই যে জীবনবোধ, যে নীতিশিক্ষা সিম্বা দু’-আঁজলা ভরে পেয়েছিল, তা-ই তাকে এগিয়ে দেয় কাঙ্ক্ষিত প্রতিশোধ সফল করার; প্রাইড রকের সুখশান্তির দিন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার দিকে।
ভাবনাগত অভিনবত্বের পাশাপাশি, ‘দ্য লায়ন কিং’-এর টেকনিকাল দিকও দুর্ধর্ষ! যেমন, ‘দ্য লায়ন কিং’-এর স্ক্রিপ্ট থেকে থ্রি-অ্যাক্ট স্ট্রাকচার লেখা শেখা যায়; এতই সুনিপুণ এই ছবির স্ক্রিপ্ট। ছবিটি প্রায় দেড়ঘণ্টার– লক্ষ করলে দেখবেন, ছবিটি সুস্পষ্টভাবে তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথম আধঘণ্টার মাথায় মারা যায় মুফাসা, তার পরের আধঘণ্টা অর্থাৎ, ছবির একঘণ্টার মাথায় প্রাইড রকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় এতদিন ধরে টিমন-পুম্বার স্নেহচ্ছায়ায় লালিত সিম্বা আর শেষ আধঘণ্টায় তার প্রতিশোধের গল্প। সেট-আপ, কনফ্রন্টেশন এবং রেজোলিউশন– থ্রি-অ্যাক্টের এই তিনটি পর্যায় ৩০ মিনিট ধরে বিন্যস্ত। সে-কারণেই ছবিটি এত টানটান, উপভোগ্য।
এ-হেন ছবির পরের ভাগ নিয়ে উত্তেজনা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। মুফাসা যদিও ‘দ্য লায়ন কিং’-এর আগের গল্প; সিম্বার সন্ততি কিয়ারা-কে তার দাদু মুফাসার গল্প শোনায় বৃদ্ধ ম্যানড্রিল রাফিকি। ‘দ্য লায়ন কিং’-এ যদি থাকে প্রজাবৎসল, নীতিপরায়ণ রাজার সঙ্গে অসৎ, স্বার্থপর রাজার চিরন্তন দ্বন্দ্ব; প্রকৃতিকে ভালোবাসা বনাম প্রকৃতিকে শোষণ করার আদর্শের সংঘাত; এ-ছবিতে রয়েছে বংশোদ্ভুত বনাম বহিরাগতের সংঘর্ষ। ২০২৪-এর পৃথিবীতে ইনক্লুসিভিটি বা অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রাথমিক অধ্যায়গুলি নাগাড়ে ঝালানো হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে; এ-ছবি সেই ইনক্লুসিভিটি-চর্চারই পরিণতি বলা চলে। কিন্তু ছবি জুড়ে কতগুলো সমস্যা তৈরি হয়, যা ছবিটিকে কখনই সেভাবে দানা বাঁধতে দিল না!
মুফাসা-র গল্প যে খাতে এগোয়, তা অত্যন্ত চেনা– কারণ, সিম্বার বিচ্ছিন্ন হওয়া আর মুফাসার ছিন্নমূল হওয়ায় সেই অর্থে কোনও তফাত নেই। সিম্বার সঙ্গে গথামের ব্রুস ওয়েনের কিছু মিল রয়েছে; সিম্বা দীর্ঘ সময় ছানবিন করে চলে: তারই গাফিলতিতে কি তার বাবাকে চলে যেতে হল? এই সদ্য-পিতৃহারা শিশুই একদা হয়ে উঠবে প্রতিশোধের প্রতীক। কিন্তু এই এক ছাঁদ মুফাসার গল্পে খাটে না। সিম্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল নিয়তির অনেকগুলো পূরণ না-হওয়া চেকপয়েন্ট: স্কারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ, প্রাইড রকের গর্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা, টিমন-পুম্বার ঋণশোধ প্রভৃতি। কিন্তু মুফাসার গল্পে সব থেকে বড় যে প্রশ্নটা উঠে আসে, তা হল, তার এই যাত্রার উদ্দেশ্য কী? অজানা-অচেনা বিভুঁইয়ে হারিয়ে গিয়ে শেকড়ে ফেরার পথে তার অনেকগুলো ভিন্নমনা, ভিনজাতির জীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়– এ-গল্প তো আমাদের চেনা! কী এমন নতুন আছে এই গল্পে, যাতে তা খুব উপভোগ্য, স্বকীয় হয়ে ওঠে?
এখানেই ডিজনি-র একটা সিদ্ধান্ত জরুরি হয়ে উঠতে পারত: তাঁরা যদি দ্বিমাত্রিক অ্যানিমেশনেই ছবিটা তৈরি করতেন, যদি সিম্বার মতোই তার বাবার গল্পও দ্য লায়ন কিং-এর অকৃত্রিম অ্যানিমেটেড দুনিয়ায় নির্মিত হত। ফোটোরিয়ালিস্টিক ছবির অনেক সুবিধা থাকলেও একটা সীমাবদ্ধতা হল, এতে বাস্তবানুগ কিছু প্রত্যাশা তৈরি হয় অথচ সেসব প্রত্যাশা ফোটোরিয়ালিজমে ফুটিয়ে তোলা ‘দুরূহ’ বললে কম বলা হয়।
…………………………………….
দ্য লায়ন কিং-এ মুফাসা এবং সিম্বার মতোই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ছিল স্কার। ওই দুর্দমনীয়, কুটিল খলনায়ক ছাড়া সিংহ-রাজার গল্প দাঁড়ায় না। মুফাসা-সিম্বার বাদামি কেশর, উজ্জ্বল সোনালি শরীরের বিপ্রতীপে খয়েরি, শীর্ণ চেহারার কালো কেশর, সবুজ চোখ-সম্বলিত স্কার গোটা ছবিটা ধরে রেখেছিল। তার শব্দ-নির্বাচন, মুফাসার মতো অতটা না-হলেও জলদগম্ভীর স্বর এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই স্কার– যে কি না এই ছবিতে ঢাকা– একটা ভালো ব্যাকস্টোরিও পায়নি ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’-এ।
…………………………………….
দ্য লায়ন কিং-এর গোড়ার দৃশ্য ভাবুন। বৃদ্ধ রাফিকি যখন সিম্বার কপালে জয়তিলক এঁকে দিচ্ছে, তখন শিশু সিম্বা বিস্মিত হয়, ফ্যাঁচ করে হেঁচে ফেলে। এই সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি, প্রতিটি জন্তু-জানোয়ারের ম্যানারিজমকে সযত্নে ফুটিয়ে তোলাই ছবিটির অন্যতম সম্পদ। টম অ্যান্ড জেরি লক্ষ করুন– বেড়াল এবং ইঁদুরের প্রকৃত আচরণকে সুগভীর মনোযোগে নির্মাতারা বুনে দিয়েছেন টম এবং জেরির শরীরে। সেটা ফোটোরিয়ালিজমে করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে, এই ছবির দু’-এক জায়গায় সেই প্রয়াস নেহাতই হাস্যকর ঠেকেছে। কাজেই, দ্য লায়ন কিং এক তো সুবিখ্যাত ক্লাসিককে দুর্ধর্ষভাবে অ্যাডাপ্ট করেছিল আফ্রিকার পটভূমিতে; তায় এই ছবিকে অনন্যতা দিয়েছে তার ফর্ম। কিন্তু একুশ শতকের তৃতীয় দশকে ভিআরের দৌলতে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের আস্বাদ মানুষ ফার্স্ট-পার্সনে নিতে পারে; সেখানে শুধুমাত্র আফ্রিকার বন্যপ্রাণের জ্যান্ত-জ্যান্ত ছবি দেখিয়ে গল্প খাটবে না। ছবির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার মুহূর্তই পাওয়া যায় না তেমন, কারণ দর্শক যা দেখছে, তা বড় বেশি বাস্তবানুগ। আর বাস্তবানুগ বলেই দ্য লায়ন কিং-এর অপূর্ব ডিটেলিং বা অ-সা-মা-ন্য ফ্যান্টাসি দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তোলা যাচ্ছে না।
দ্বিতীয়ত, দ্য লায়ন কিং-এ মুফাসা এবং সিম্বার মতোই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ছিল স্কার। ওই দুর্দমনীয়, কুটিল খলনায়ক ছাড়া সিংহ-রাজার গল্প দাঁড়ায় না। মুফাসা-সিম্বার বাদামি কেশর, উজ্জ্বল সোনালি শরীরের বিপ্রতীপে খয়েরি, শীর্ণ চেহারার কালো কেশর, সবুজ চোখ-সম্বলিত স্কার গোটা ছবিটা ধরে রেখেছিল। তার শব্দ-নির্বাচন, মুফাসার মতো অতটা না-হলেও জলদগম্ভীর স্বর এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই স্কার– যে কি না এই ছবিতে ঢাকা– একটা ভালো ব্যাকস্টোরিও পায়নি ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’-এ। নিজের অযোগ্যতার ভার সমাজ-সংসারের ওপর সঁপে দিয়ে কুটিল, প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠার পথটা আমাদের চেনা; ভাইয়ের পারদর্শিতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভাইয়ের ক্ষতি চাওয়ার প্রবৃত্তিও আমাদের খুব পরিচিত ছক– মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্রই যেমন।
স্কারের মতো এক দুর্ধর্ষ খলনায়কও যখন সেই চেনা গড্ডলিকায় পড়ে যায়, একটু হতাশ লাগে বইকি। তার ওপর, তার চরিত্রটা সুলিখিত নয়। কুমিরের হাত থেকে সে মুফাসাকে বাঁচাতে চায় কি না স্পষ্ট নয়, অথচ পরের দিকে মুফাসাকে বলে, ‘আমি বরাবর তোমার মতো ভাই চেয়েছিলাম’। সে নিজেই শত্রুশিবিরে গিয়ে মুফাসার পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়ে আসে, অথচ, কী এক অজ্ঞাত কারণে মুফাসাকে বাঁচিয়েও দেয়! শেষে মুফাসা-সারাবির কাছে ক্ষমা চায় বটে; তবে তার ক্ষোভের ধিকিধিকি আগুন জ্বলেই চলেছে– এমন একটা আভাস নির্মাতারা দিয়ে রাখেন। চরিত্রটার এই স্পষ্টতার অভাব বেশ হতাশাজনক। স্কার ছিল আদ্যন্ত আনঅ্যাপোলেজেটিক অসৎ, শয়তান একটি চরিত্র; তাকে যদি মানবিক প্রেক্ষিত দিতেই হয়, সেই গল্পে ধারাবাহিকতার অভাব কেন? তাহলে কি নির্মাতারাও টাকা থেকে স্কারের বিবর্তনটি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন না? কে জানে! এ-ছবির স্ক্রিপ্টও দ্য লায়ন কিং-য়ের মতো সুচিন্তিত, সুপ্রযুক্ত নয়; একজন দক্ষ সম্পাদক আরামসে মিনিট পনেরো কমিয়ে দিতে পারতেন। সত্যি বলতে কী, ছবিটার একেকটি পর্যায় এতটাই অপ্রয়োজনীয় রকমের দীর্ঘায়িত, সেখানে গল্পের তেষ্টা আসে।
………………………………………
আরও পড়ুন উজান চ্যাটার্জীর লেখা: এখন আপনাদের কোনও জোকার নেই
………………………………………
গোটা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক শুদ্ধতার একটা যুগ চলছে, শিল্প কতটা সার্থক হয়ে উঠতে পারল, তা বিচার করা হচ্ছে রাজনৈতিক শুদ্ধতার নিক্তিতে চাপিয়ে। মুফাসা সম্ভবত রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে গিয়ে ছবি বানানোর অনেকগুলো দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেনি। তা বলে ছবিটার সবটুকুই কি দোষার্হ? তা নয়! গানগুলি বেশ তরতাজা, দু’-একটি জায়গায় ফিরে আসে দ্য লায়ন কিং-এর স্মৃতি– সেই জায়গাগুলি বেশ মনকেমনিয়া, চমৎকার। পারফরম্যান্সের দিক থেকে অনেকেই বেশ ভালো।
তবে, এর পরে যদি এই জগতে আরও ছবি বানানোর কথা ডিজনি ভাবে, আদি-অকৃত্রিম দ্বিমাত্রিক অ্যানিমেশনের দুনিয়াতে ফিরে যাওয়াই সুবুদ্ধির পরিচয় হবে।
……………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………..
বিজ্ঞাপনের নিচে ঠিকানার জায়গায় আমাদের দে’জ পাবলিশিং-এর ঠিকানা, ১৩ নম্বর বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট লেখা আছে। যদি খুব ভুল না করি তাহলে এই ‘সম্মিলিত গ্রন্থপঞ্জী’ দু-বার মাত্র প্রকাশিত হয়েছিল। ‘সম্মিলিত গ্রন্থপঞ্জী’ সংকলন ও ছাপার ভার ছিল বামাদার ওপর।