রত্নাবলী রায়
‘‘ছোট ছেলেটা যখন পেটে, তখন হোটেলের কাজটা ছাড়তে হল। তিন বাড়ি কাজ করে পাঁচ হাজার টাকার মতন হত, কিন্তু মেজ ছেলেটার জ্বরের সময় দু’দিন যেতে পারিনি বলে সামন্ত গিন্নি কাজ ছাড়িয়ে দিলেন, মুখার্জ্জি বাড়ির মেয়েও ভারি কথা শোনাল। এখন এই কাগজ কুড়িয়ে আর রদ্দি মাল বেচে মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হয়। কিন্তু তাতে ছোট ছেলেটার খাবারের খরচ, বড় মেয়েদুটোর পড়াশুনোর খরচ– কোনওটাই হয় না। ওদের বাবা এখন ব্যাটারি রিকশা চালায়, তাতে রোজগার যত না বেড়েছে, খরচ বেড়েছে অনেক বেশি। সারাদিনে হাঁফ ছাড়ার ফুরসত হয় না, মনখারাপ টের পাওয়ার সময় কোথায়?’’ –মীনা, বাসন্তী কলোনি।
চিনের একটি সুপার মার্কেট চেন, ‘ফ্যাট দং লাই’ সম্প্রতি তাদের কর্মচারীদের জন্য বাৎসরিক দশ দিনের ‘মন-খারাপ’ ছুটির বন্দোবস্ত করেছে। এই ছুটি পেতে গেলে একজন কর্মচারীকে তার ম্যানেজারের অনুমতি নিতে হবে না। রিপোর্টগুলিতে খুব পরিষ্কার করে কোথাও লেখা না হলেও যতদূর অনুমান করা যাচ্ছে, এটি ‘সবেতন’ ছুটির বন্দোবস্ত। যেহেতু মনখারাপ বিষয়টা ধরে নেওয়া হয় মনোবিদ বা মনোরোগ নিয়ে কাজ করেন এমন মানুষদের একচেটিয়া অধিকার, সেজন্যই সম্ভবত এই প্রসঙ্গে আমার মতামত চাওয়া হয়েছে। খুব নির্দিষ্ট করে বললে, প্রশ্নটা এরকম– এইরকম মনখারাপের ছুটি কি এদেশে সম্ভব?
শান্তিনিকেতন কবিতা লেখার জায়গাই নয়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে বাংলা বিভাগে পড়াতেন যখন, বলেছিলেন একথা। সে নিয়ে নানা উষ্মাও তৈরি হয়েছিল। এই লেখা অধ্যাপক শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শান্তিনিকেতন পর্ব। কবির মৃত্যুদিনে রোববার.ইন-এর প্রণতি।