বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরিচিত বাড়িতে ৩ থেকে ৮৩ অবধি একপাল অচেনা মানুষের ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে থাকার মাঝে মেয়েদের পক্ষে সবসময় ভাত-রুটি চেয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না– নাড়িভুঁড়ি মোচড় দিলেও। তার ওপর উজবুকদের দেশে শেখানো হয় লজ্জাই নারীর ভূষণ। শিক্ষা, সেলাই ফোঁড়াই, দোকান চালানো, ছবি আঁকা, কুমোর, ছুতোর বা রাজমিস্তিরির কাজ ভূষণ নয়– সেসব মেয়েরা শেখে বরের মদের খরচ জোগাতে, নয়তো বরবাবাজি আর এক দুর্ভাগাকে বগলে চেপে চম্পট দিলে– অর্থাৎ, গেঁড়ি গেঁড়ি আন্ডাবাচ্চা লয়ে অকুল দরিয়ায় ভেসে গেলে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার প্রয়াস স্বরূপ। অতএব সবাই খাবে, আর বিবিজান পেটে কিল মেরে লজ্জিত মুখে সকলকে ভালোমন্দ বেড়ে দেবে, এঁটো পরিষ্কারের পর খাট গরম রাখবে– ইত্যাদিই রেওয়াজ।
২.
সেজেগুজে ফোটো তুলিয়ে, ‘এরপর আবনার মেয়েকে আবনি খুসি হোয়ে যা দেবেন দিন, আমাদের কিচু বলার লেই’ ডিক্লেয়ার সেরে, মেন্যু এবং নেমন্তন্নের কার্ড ছাপিয়ে, একগাদা লোকের সামনে পরের মেয়েকে জাপটে ধরে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ের পর সেই মেয়েটাকেই অভুক্ত রাখে কীভাবে, সেটা আমার মাথায় ঢুকবে না। বাঙালি মেয়েদের কপালে এই দুর্ভোগ বরাবরের– অবিশ্যি বাকিদেরও, তবে তা আমি খুব একটা দেখতে পাই না আজকাল, কেবল বিহার-ইউপির মেয়েদের খুব দ্রুত বুড়িয়ে যেতে দেখি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরিচিত বাড়িতে ৩ থেকে ৮৩ অবধি একপাল অচেনা মানুষের ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে থাকার মাঝে মেয়েদের পক্ষে সবসময় ভাত-রুটি চেয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না– নাড়িভুঁড়ি মোচড় দিলেও। তার ওপর উজবুকদের দেশে শেখানো হয় লজ্জাই নারীর ভূষণ। শিক্ষা, সেলাই ফোঁড়াই, দোকান চালানো, ছবি আঁকা, কুমোর, ছুতোর বা রাজমিস্তিরির কাজ ভূষণ নয়– সেসব মেয়েরা শেখে বরের মদের খরচ জোগাতে, নয়তো বরবাবাজি আরেক দুর্ভাগাকে বগলে চেপে চম্পট দিলে– অর্থাৎ, গেঁড়ি গেঁড়ি আন্ডাবাচ্চা লয়ে অকুল দরিয়ায় ভেসে গেলে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার প্রয়াস স্বরূপ। অতএব সবাই খাবে, আর বিবিজান পেটে কিল মেরে লজ্জিত মুখে সকলকে ভালোমন্দ বেড়ে দেবে, এঁটো পরিষ্কারের পর খাট গরম রাখবে– ইত্যাদিই রেওয়াজ। তলা কাঁচানো যেটুকু, তাতে পিত্তিরক্ষা অসম্ভব, হাতে পয়সাও থাকে না যে লুকিয়ে একগাল মুড়ি কিনে খাবে। মুদির দোকান চিনতেও তো হপ্তাখানেক লাগে। মুদির পো-র লগে ঢলাঢলির সম্পর্ক তৈরি বাবদ বিস্কুটটা, কেকটা সোহাগের উপহার হিসেবে পেতে আরও কিছুদিন। তদ্দিনে ডবকা শরিল শুকিয়ে কাঠ– বর তিন-চারটে বড় ঢেঁকুর তুলে দাঁতে খড়কে দিয়ে উদ্বিগ্ন চিত্তে ওপাশ ফিরে শুয়ে ভাবে ইয়ার-দোস্তদের গিন্নিরা কেমন পেল্লাই হয়ে উঠছে।
……………………………
গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি। ‘দঙ্গল’ ছবিতে কুস্তিগির তৈরির জন্য একের পর এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়ে চলা ফোগত মহাশয়ের খোয়াইশ পূরণের একটা দিক হলে, মেয়েদের মাংস খাইয়ে তাগড়া পহেলবান তৈরির নিদর্শনটি ভবিষ্যতের সমস্তটা মাথার ভিতর সাফ সাফ ছকে নেওয়া অনেকগুলি পিতৃতান্ত্রিকতার ইমারত ধ্বসানোর গল্পও বটে। তবে তা একেবারেই কোটিতে গুটিক বলতে যা বোঝায় তাই– বা হয়তো তার চেয়েও কম।
……………………………
অবিশ্যি ভাঁড়ার ঘাঁটলে গেলার মতো কিছু একটু মেলেই সাধারণ গেরস্ত বাড়িতে। চুরি করে খাওয়া যে একেবারে অসম্ভব, তা-ও নয়। নতুন বাড়িতে পা দিয়েই বাংলার কিশোরী এসব ভাবতে বসে না, ‘কিশোরীর কী শরীর হল’ নানাভাবে পড়া যেতে পারে– তার মানে এমনটা নয় যে সে বড়ই সরল, সাদাসিধে, অবলা। গ্রামের মেয়েদের সম্পর্কে তেমন ধারণা পোষণ না করাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রথম পদক্ষেপ– তার ফলে অযথা রক্তপাতের আশঙ্কা ছাঁটা যায় এ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা-প্রসূত জ্ঞান, এবং পাকাপোক্ত ধারণার জন্য চোখ বুজে বোধিবৃক্ষের তলায় পায়ে গিঁট মেরে উপবেশনের চেয়ে চারপাশটা প্যাটপেটিয়ে দেখার অভ্যাস থাকলে অনেকক্ষেত্রেই প্রাণ বাঁচে। নতুন বউ সেসবও ভাবতে বসে না। বাংলার মেয়েদের বাপের বাড়িতে আদরযত্ন সামর্থমতো বেশ হয়। গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি। ‘দঙ্গল’ ছবিতে কুস্তিগির তৈরির জন্য একের পর এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়ে চলা ফোগত মহাশয়ের খোয়াইশ পূরণের একটা দিক হলে, মেয়েদের মাংস খাইয়ে তাগড়া পহেলবান তৈরির নিদর্শনটি ভবিষ্যতের সমস্তটা মাথার ভিতর সাফ সাফ ছকে নেওয়া অনেকগুলি পিতৃতান্ত্রিকতার ইমারত ধ্বসানোর গল্পও বটে। তবে তা একেবারেই কোটিতে গুটিক বলতে যা বোঝায় তাই– বা হয়তো তার চেয়েও কম।
দেরাদুনে থাকার সময়ে, সে বহুকাল আগে, এক বুড়ির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। বর মারা যাওয়ার পর সে কোনও এক পাহাড়ি গ্রাম থেকে নেমে আসে কাজের খোঁজে, আমাদের বাড়িতে টুকিটাকি কাজ করত আর গাড়োয়ালি, নেপালি, টুটাফুটা হিন্দিতে– যার সঙ্গে গ্রিক এবং লাতিনের আশ্চর্য মিল পরিলক্ষিত হলেও অন্য কোনও ইন্দো-এরিয়ান ভাষার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সাযুজ্য এমনকী, সুনীতিবাবুর পক্ষেও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হত না বলেই আমি নিশ্চিত। প্রথম মাসের মাইনে হাতে পাওয়ার পর বুড়ির মুখে সে কী হাসি! সারাদিন কাজের ফাঁকে হাজারবার একই কথা বলে চলে– বাড়ি ফেরার পথে সে একটা বরফি কিনে খাবে। ওই এলাকায় ভীম নাগের সন্দেশ নিয়ে অমনি আদিখ্যেতার অর্থ বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়– তাই বলে বরফি? সে তো বিয়ে, ছেরাদ্দ থেকে পারলে মদের চাট হিসেবেও চালায় বেটারা– কারণ এছাড়া ‘মিঠাই’ বলতে আছে কেবল লাড্ডু। আহা, ভাবলেও গা বিরোয়! তবে সে থাক, পরে হবে, এখন বুড়ির গল্পে ফিরি। শেষপর্যন্ত আর না পেরে বরফি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সে একটা খুব সাধারণ গল্প বলেছিল। বুড়ো গ্রাম ছেড়ে দেরাদুনে আসত হামেশাই। মজুরির পয়সায় নানা সওদার সঙ্গে শালপাতায় মোড়া বরফি নিয়ে ফিরত বাসায়, এবং একাই খেত সবটা– শুধু তাই নয়, সে মেঠাই কেমন উৎকৃষ্ট, সে বর্ণনাও করত নানারকম অঙ্গভঙ্গি সহকারে। নানা অঙ্গভঙ্গি সহকারে তার বর্ণনা করতে গিয়ে বুড়ির সে কী হাসি! ওদের গোটা বিবাহিত জীবনে বুড়ো বুড়িকে এককুচি বরফি দিয়েও কখনও বলেনি ‘খাও’– বুড়িরও চেয়ে ওঠা হয়নি। কেন হয়নি, তা যদি পাহাড়িদের সঙ্গে কেউ কিছুকাল বাস করে থাকেন, তাহলে বুঝতে অসুবিধে হবে না। বুড়ির এমন কেউ ছিল না যে ওকে বরফি খাওয়াতে পারে। শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম যে ওদের গ্রামে বিয়ে-শাদিতে কেবল পুরুষ বরযাত্রীদেরই বরফি দেওয়া হত– বরকর্তার হাতেই এক ঠোঙা মেঠাই ধরানোর রেওয়াজ, সঙ্গে মদের বোতল এবং পেঁয়াজি, ফুলুরি, তারপর তারা একটা মহিলাবর্জিত ঘরে ঢুকে দোর আঁটলে বাকি জগৎ প্রাকৃতিক নিয়মে চলতে থাকে, মেয়েদের ভাগ্যে কিছু জোটে না। তাই হাতে পয়সা পেয়ে জীবনে প্রথমবার বরফি খাওয়ার বাসনা তার মগজে চেপে বসেছিল। বিষয়টা মোকাম কলিকাতার মধ্য, উচ্চ-মধ্যবিত্তদের জীবনে বড়জোর অকিঞ্চিৎকর, বা এমনকী, তা-ও নয়। আমিও তার পুরোটা বুঝতে পেরেছি এমন দাবি করি না। আমাদের জীবনে কি এমন কোনও খাদ্যবস্তুর বাসনা জিইয়ে রাখার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে কখনও? তা না হলে কি না-খেতে পাওয়ার পুরোটা বোঝা সম্ভব? ব্যাপারটা ঠিক ভরা পেটে মন্বন্তর নিয়ে তত্ত্ব আলোচনার আওতাভুক্ত বিষয় নয়।
‘আনন্দমঠ’ বাদ দিলে ’৭৬ আমরা দেখিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, অর্থাৎ তেতাল্লিশের ভুখ মিছিলে শামিল হয়েছে এমন সজাগ মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। অতএব আমরা অনেকখানি দূর থেকে চার্চিলকে গালাগাল দিলেও, বাপান্ত করার সময় পেটে মোচড় দেওয়ার ক্ষীণ স্মৃতিটুকুও বক্তব্যের ধার বা ভার বাড়ায় না। বুড়ি ওই না-খেতে পাওয়ার জ্যান্ত দলিল। কবে কোনদিন কী খেয়েছে বলে দিতে পারে ‘কাফনের’ বাপ-ছেলের স্মৃতিচারণের কায়দায়। কবে খায়নি, খেতে দেওয়া হয়নি, তা-ও। কিছুই বাদ পড়ে না। এই যে সরকারি ত্রাণ বণ্টনের বাবুরা চিঁড়ে, চাল, গুড়, গুঁড়ো দুধ, মাইলো, পোকা ধরা ডাল– সবটা কালোবাজারে বেচে দেয়, ভাবার কোনও কারণ নেই বাঁধের ওপর বা হাত বাড়িয়ে হেলিকপ্টারের পিছনে ছুটে চলা আপামর মুচি, মেথর টাইপের ‘আমার ভাই’-রা তার হিসেব রাখে না। অতএব, শুধু আপিসের বড়বাবুর চোখের আড়ালে কাজ সারতে পারলেই কেল্লা ফতে, এমনটা নয়।
বিয়ের আহ্লাদে ডগোমগো কিশোরী এত ভাবে না। সে তো ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ দেখে ভবিষ্যৎ কল্পনায় বুঁদ– যাকে বলে with minor adjustments– এবং দেনা-পাওনার বখেরা সামলে যদি সে প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ‘ফাঁস লাগা’ বা ‘ঝলসা পোড়া’ মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পায়, তাহলেই কৃতার্থ বোধ করে। তারপর একের পর এক ‘অগ্নি পরিকশা’। বলা নেই কওয়া নেই প্রথম রাতেই অধিকার সম্বন্ধীয় অসংলগ্ন ধারণার বশবর্তী এক অপরিচিত দামড়া কোনও প্রকার পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া– অর্থাৎ কিনা ফোর প্লে ইত্যাদির সম্ভাবনা উড়িয়ে– মাথার মধ্যে একটানা ‘তুমি কি পথ হারাইয়াছ’ টাইপের ‘…হেথা নয়, অন্য কোনওখানে’ সাবধানবাণী বেজে চলা সত্ত্বেও, একরকম অগোছালো ধর্ষণ পশ্চাৎ বৈবাহিক সম্পর্কের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পাকা সনদে সই-সাবুদ সেরে আত্মসমীক্ষার বাকি সম্ভাবনা গোড়াতেই ওপড়ায়। তারপর অনাহার।
……………………………..
পড়ুন নিরন্ন-র প্রথম পর্ব: না খেতে পাওয়ার দিনলিপিতে সকলেই ‘উদ্বাস্তু বাঙাল’
……………………………..
মিঠু আমাদের পরিবারে ‘কাজ’ করতে এসেছিল ঠিক ২৫ বছর আগে। রোগাসোগা ছিমছাম গ্রামের মেয়ে। নদীর পারে বড় হয়েছে, জবরদস্ত একখানা রসবোধ ছাড়া আর কিছুই ছিল না মামার বাড়িতে উপার্জনের সন্ধানে আসা মেয়েটির জীবনে। মামী আগলে রাখত বাজপাখির মতো– হঠাৎ পেট করে ফেললে কার কাছে কী জবাব দেবে সেজন্যে নয়, দুই ছেলের মা অলকা অবিমিশ্র স্নেহে আগলে রেখেছিল মিঠুকে। অলকা রাঁধত আমার বাসায়– ও আমাদের ছেলেকে যতটা ভালোবাসত, ততটাই স্নেহ করত মিঠুকে। একদিন ঘর মোছার সময় মিঠু গোঁজ হয়ে বললে, ওর বিয়ের সম্বন্ধ দেখছে বাড়ির লোক। মুখ কালো করে বিড়বিড় করলে– ‘‘গাছের গোড়ায় দু’-ফোঁটা জল পড়তে না পড়তেই ফল ধরবে, তারপর…।’’
তারপর কী বলার জন্য মিঠু গলা নামিয়েছিল খাদে, এমনটা না-হওয়ারই কথা– নোংরা ভদ্রতার দোহাই পেড়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে ঈশ্বর এবং কপালের খাতায় তুলে রাখতে শেখেনি কি না, তাই। যে বিষয়ে আমি একপ্রকার নিশ্চিত তা হল, ও বলেছিল স্বাভাবিক স্বরেই, আমি শুনতে চাইনি নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র আস্তরণ ফর্দাফাই করে গ্রামতুতো ঠিকে শ্রমিকের (মাইনে পিরামিড বানানো ক্রীতদাসদের থেকেও বহুগুণ কম) জীবনে প্রবেশের দায়গ্রহণের সাহস দেখিয়ে– হঠকারিতাই যে সর্বনাশের মূল কারণ, সে বিষয়ে কি ‘ছেলেবেলা’ থেকেই আমাদের সুচিন্তিত সাবধানতার পাঠ দেওয়া হয় না? হয়। জানতিও পারো। মানতি শ্যাখোনি।