হু যুগ পরে ভারতে আবার স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী অনাহারের অভিজ্ঞতা বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের প্রাত্যহিকতার অংশ হয়ে উঠেছে। একটানা মন্বন্তর চলছে বেশ কিছুকাল। ছত্তিশগড়, ওড়িশা, পশ্চিম পুরুলিয়া, উত্তরবঙ্গে চা-বাগান এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা, তামিলনাডু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এই অনাহারে শুকিয়ে যাওয়া এলাকা।
৪.
অনাহারে একটানা মৃত্যুর পাশাপাশি খাবার ফেলে দেওয়ার ‘বাহাদুরি’ না দেখানো গেলে বোধহয় পুরোদস্তুর আমোদ হয় না। সবটা বাজার নয়। ওনার্স প্রাইডের জন্য নেবার্স এনভি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মন্দিরের ভিতরে তখনই ৫৬ ভোগ ভক্তি প্রদর্শনের জরুরি উপকরণ, যখন দেবালয়ের বাইরে নিরন্ন মানুষ হাত পেতে ভক্তকুলের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে। এদেশে মন্দির তৈরি হয়, নেতাদের মূর্তি তৈরি হয়, হনুমানের প্লাস্টারকাস্টে এই রাজ্য ছেয়ে গেছে কিছুকাল হল। সর্বত্র ছোটখাটো হনুমানের মন্দির আড়ে-বহরে বাড়ছে– বাড়িয়ে নিচ্ছে কিছু লোক অঞ্চলের ছোট-বড় নেতাদের মাথায় টুপি পরিয়ে। প্রতিটি মন্দিরের বাইরে দু’-একটা চিরস্থায়ী ভিখিরির বসার জায়গা হয়েছে। শুধু ফুল-বেলপাতা-ধূপকাঠি-নকুলদানা নয়, খোঁড়া-অন্ধ-হতভাগ্যদের জন্য একটু দান-ধ্যানের ব্যবস্থাও ধর্মের ইজারাদাররা সেরে রেখেছেন। গেরুয়া পরা কয়েকটা ছিঁচকে বসে থাকে চাতালে। হিন্দিতে কথা বলে। গলায় রুদ্রাক্ষ এবং বুজরুকির অন্যান্য গয়নাগাটির সংখ্যাবৃদ্ধি উৎসবে, পরবের দিনে লক্ষণীয় রকম, তাই সন্দেহজনক। হাত দেখা, গাঁজা ফোঁকা, বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুজো স্বস্ত্যয়ন সবই চলে, যেমনটা গ্রামীণ ভারতে এককালে চলত।
পাশাপাশি এ-ও খেয়াল না করে উপায় নেই যে, পুজো এবং প্রায় সবরকম ধর্মাচরণ ক্রমশ উচ্চবিত্তের পুতুলখেলায় পরিণত হচ্ছে, যেমনটা জীবনের বাকি সমস্ত কিছুই গরিবের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। হাসপাতালে গরিবকে লাইন দিতে হয়, মন্দিরেও এক ব্যবস্থা। ডাক্তার-দেবদর্শন থেকে পুজোর প্রসাদ-ওষুধ, সুচিকিৎসা অবধি সবটা পয়সা থাকলে একরকম, বাকি ৮০ কোটি মানুষের জন্য আরেক রকম।
৪০ কোটি ভারতীয় পেট ভরে খায়, এতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, এদের ভোটেই কি সরকার নির্বাচিত হয়? বাকি ৮০ কোটিকে নিয়ে সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের গলা ফাটানো কি আদতে ভুয়ো আস্ফালন? লাটোক? ধাপ্পাবাজি? বেশুমার ভারতবাসীর দুঃখ আগামী নির্বাচনোত্তর রামরাজ্যে অবশ্যই দূর করবেন।
প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়, কারণ বহু যুগ পরে ভারতে আবার স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী অনাহারের অভিজ্ঞতা বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের প্রাত্যহিকতার অংশ হয়ে উঠেছে। একটানা মন্বন্তর চলছে বেশ কিছুকাল। ছত্তিশগড়, ওড়িশা, পশ্চিম পুরুলিয়া, উত্তরবঙ্গে চা-বাগান এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা, তামিলনাডু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এই অনাহারে শুকিয়ে যাওয়া এলাকা।
কিছুকাল আগে এক কিশোর দিল্লির উপকণ্ঠে এক প্লেট বিরিয়ানির পয়সার জন্য এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে খুন করে। তার হাত ধরে ওই মন্বন্তর-দীর্ণ এলাকার মানচিত্রে দিল্লির একটুকরো অংশও যুক্ত হয়েছিল। ভারতীয়দের মনে আধুনিকতার নিদর্শনস্বরূপ প্রতিষ্ঠিত সনাতন-টনাটন ভারতের রাজধানীর এই রূপটির কোনও খবর কি ছিল? সকলের অলক্ষ্যে– কারণ সকলেই কমবেশি চোখ বুজে জাবর কাটায় ব্যস্ত– এই মন্বন্তর-পীড়িত ভূখণ্ড ক্রমশ গায়েগতরে বেড়ে থাবা বসাচ্ছে আলোকোজ্জ্বল শহরগুলির গায়ে, তার আন্দাজ কি কেউই পায়নি? যারা বাবরি মসজিদের গম্বুজে উঠে বাকায়দা গেরুয়া নেংটি জড়িয়ে ইসলামি সভ্যতার মাজা ভাঙতে এসেছিল, বা যাদের রামমন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না ‘ছোট জাত’ বলে, যাদের একটানা খুন করা হচ্ছে রোজ, ব্রাহ্মণদের পেচ্ছাপ খাওয়ানো হচ্ছে পুলিশের সাহায্যে, তারা প্রাণ হাতে কি কেবল দলিত বস্তিতে ফেরে? খেয়াল করে দেখুন, সেগুলো দলিত-অধ্যুষিত অঞ্চলের পাশাপাশি একটানা নিরন্ন থাকার, না খেতে পেয়ে মৃত্যুর, মন্বন্তরে ছারখার হয়ে যাওয়ার বৃত্তান্তও শোনায়।
এতখানি আয়োজন সকল ক্ষমতাবানের সহযোগিতা ব্যতীত গুছিয়ে তোলা অসম্ভব। বৈষম্য রাষ্ট্রের ঘোষিত নীতি এবং স্বয়ং রাম এমনটাই চেয়েছিলেন, তা প্রতিষ্ঠা করা দরকার– কিছু নাগরিক মানুষ, কিছু মানুষ-হনুমান– অর্থাৎ, গা-হাত-পা চেটে দেবে, তবে এক থালায় খাবে না, একই চালের ভাতও না। খেলে ‘অভ্যেস খারাপ হয়ে যাবে’।
…………………………….
কৃষিক্ষেত্রকে পশ্চাদগামী অর্থনীতির প্রতীক, এমনকী বামপন্থীরাও কেন ঠাওরালেন, সেটি বোঝা দায়। কৃষি আমাদের ভিত্তি সে-বিষয়ে সন্দেহ নেই, তবে যে দেশে এক বিঘত মাটি খুঁড়লে তিনবার মাঠ ওপচানো ফসল স্বাভাবিক ব্যাপার, সে দেশে খামোখা শিল্প কেন ভবিষ্যৎ হতে যাবে, তা মাথায় ঢোকা মুশকিল।
…………………………….
তামিলনাডুতে এক বেটা ছোটজাত পড়াশোনা করে সরকারি অফিসার বনে যাওয়ায় তাকে দপ্তরের বরকর্তা মাটিতে বসিয়েছে চেয়ার টেবিল কেড়ে নিয়ে। দলিতের অত খোয়াইশ! এরপর তো ইনসানে মর্যাদা দাবি করবে! বসতে হলে দাঙ্গাবাজদের কাতারে বোসো। উচ্চবর্ণের হিন্দুরা তাদের ছেলেপিলেদের বিলেতে পাঠাবে, তোমাদের ছানাপোনারা জন খাটবে, ন্যাংটো নাচ দেখবে বছরে দু’-তিনবার, রেপ করতে শিখবে, বুলডোজার এলাকা সাফ করতে এলে বেয়াদব জনতাকে চাবকে সিধে করবে।
স্বজাতি নয়? দলিতরা হিন্দু? ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাধারণ জওয়ানরাও হিন্দু? তাহলে তারা অফিসারদের রেশন পায় না কেন, সে প্রশ্ন বাদ দিয়ে সাধারণ একটি মীমাংসায় পৌঁছনোর চেষ্টা করি– তারা পেট ভরে খাবারের জন্য আন্দোলন করে কেন? কেনই বা সে আন্দোলন চেপে দেওয়া হয়? শেষমেশ কী হয় পেট ভরে খেতে চাওয়া সেনাদের? প্রাণ যদি সবাইকেই দিতে হয়, তাহলে অফিসার আর সেপাইদের রেশনে এতখানি ফারাক কেন?
বৈষম্যের ভিত্তিতে দেশের রাশ হাতে রাখতে রোজকার খাদ্যের জোগানের ওপর নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সরকারি রেশন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ কালোবাজারিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দরকার ছিল না স্বাধীন ভারতে– সেটুকু বাদ দিয়েও মুনাফাখুরি চলত। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রকে পশ্চাদগামী অর্থনীতির প্রতীক, এমনকী বামপন্থীরাও কেন ঠাওরালেন, সেটি বোঝা দায়। কৃষি আমাদের ভিত্তি সে-বিষয়ে সন্দেহ নেই, তবে যে দেশে এক বিঘত মাটি খুঁড়লে তিনবার মাঠ ওপচানো ফসল স্বাভাবিক ব্যাপার, সে দেশে খামোখা শিল্প কেন ভবিষ্যৎ হতে যাবে, তা মাথায় ঢোকা মুশকিল।
কৃষি আধুনিকতার বিষয় নয়? চিন আধুনিক নয়? খাদ্য সমস্যার সমাধান আধুনিক চিন্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়? মাথামোটারা ফ্যাসিস্ট হলে বিপদ, তবে তারাই সে দলে নাম লেখায়। মাথামোটারা বামপন্থী হিসেবে সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে ঢুকে পড়লে বিষয়টা একেবারে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’– কারণ, ‘পাপা কহতে থে বেটা নাম করেগা’– এই সারসত্যটি বুকে চেপে তাঁরা মানুষের ‘উবগারের’ তাগিদে এমনই গোলমাল পাকান যে, তা কহতব্য নয়। কারণ, যে কোনও অছিলায় পরের উপকার করাটাই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য এবং উপকারের ঠেলায় মানুষ বাঁচল না মরল– সেটি তারা দেখেন না। অতঃপর কারখানা বানালে দেশের উন্নতি হবে– বোঝানোর ভূত যাদের ঘাড়ে চেপেছে, তাদের হাতে পড়ে মানুষের দুর্দশার অন্ত নেই। যে বস্তুটি জনাকতক পুঁজিপতির বিত্তের পরিমাণ কয়েক হাজার গুণ বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তৈরি, তাতে গরিব দেশের মানুষের সুবিধে হতে পারে, এই ভাবনাটাই তো ভুল। যেখানে শিল্পপতিদের কারখানা, সেখানে গরিব নেই? ক্রমশ বাড়ছে কি না, সে প্রশ্ন আপাতত তুলে রাখলাম।
যে অঞ্চলে টাটাদের খনি, সেখানকার নিরন্ন, অশিক্ষায় ডুবে থাকা অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা কারখানা এবং তদ্রুপ খনি বানিয়ে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের স্বর্গরাজ্য তৈরির পিছনে ছুটে বেড়ানো বাঙালির মগজে আছে? সন্তান কৃষিকাজে পারদর্শী হলে ‘চাষা’, আর পরের কারখানায় মেকানিক বা লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক হলে ‘বাবু’– এই গোলমালে পড়ে বাঙালির সর্বনাশটি হল। এবং হয়েও চলবে, যতদিন না অর্থনৈতিক উন্নতিকে সার্বিক উন্নতির একটি ছোট অংশ হিসেবে আমরা দেখতে শিখি।
সবাইকে একসঙ্গে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, সবাই স্বাস্থ্য-সুরক্ষার আওতাধীন শুধু নয়, হাসপাতালে গিয়ে চাতালের একপাশে বিনা চিকিৎসায় মরে পড়ে থাকবে না। যদ্দিন না সমস্ত শিশুকে খাদ্যসুরক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে, তদ্দিন মধ্যবিত্তের আদরের দুলালরাও যে নিরাপদ নয়, তা মেনে নিতে হবে। আমরা খুব দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে চলেছি। কোথায় চলেছি জানি না, খুব একটা পরিষ্কার করে বলতেও পারব না– কোথায় যেতে চাই। যারা জিডিপির দিকে তাকিয়ে ‘‘রোসো, আর দু’দিন দাও, সবটা বলে দেব’’ কয়ে খাতা টেনে আঁক কষছেন, তাঁদের তামাম হিসেব একঝটকায় বেবুনিয়াদ প্রমাণিত হতে পারে ছোট্ট একখানি সরকারি নির্দেশিকা-বলে।
একটাই বিষয় সত্য কেবল। পৃথিবী জুড়ে ছোট ছোট গাজা, প্যালেস্তাইন তৈরি হয়ে গেছে। কোথাও লড়াই জোরদার, কোথাও মানুষ বাঁচার উপায় খুঁজছে। বাড়ছে নিরন্ন মানুষের সংখ্যা। যারা ভেবেছিল ছেলেপিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থানা গেড়ে বসলে আমরাও পাততাড়ি গুটিয়ে পালাব ব্লাডি নিগারদের দেশ ছেড়ে, মেয়ের বিয়ে দেব এনআরআই দেখে, তারপর হয় পশ্চিম এশিয়া, নয় ইউরোপে তিন কামরার অল সাইড সাউথ ফেসিং ফ্ল্যাটে… উঁহু। মিলছে না। নিরন্নরা সর্বত্র হানা দিচ্ছে, দখল করছে এলাকা। সর্বত্র মৃতদেহের স্তূপ, চোখ ফিরিয়ে শান্তিতে দু’-দণ্ড ভগবানের নাম করবেন, সে উপায় নেই। আপনার পছন্দের সরকারের জন্যই নেই।
গ্রেটা থুনবার্গ যেই হাতে ঝান্ডা নিয়ে বলতে শুরু করেছে যে, গাজায় না খেতে দিয়ে মারা, পরিবেশ ধ্বংস, প্যালেস্তাইনের জমি দখল করে ইজরাইলি পুনর্বাসন প্রকল্পের ধাপ্পাবাজি, আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, সবরকমের দূষণ, হিমবাহ গলে যাওয়া ইত্যাদি একটাই বড় সন্ত্রাসের অংশ– অমনি তাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। আবার গ্রেপ্তারও করল ক’দিন আগে, কারণ বেশি ‘বাড়াবাড়ি’ এরা একেবারেই সইতে পারে না!
তাতেও খুব একটা ঠেকানো যাচ্ছে না। সবটা যে একটাই দুষ্টচক্রের অংশ, এটা বুঝতে হলে এখন আর তাত্ত্বিক হতে হয় না। আফ্রিকায় যারা ত্রাণ পাঠায়, তারাই বলে ‘আহারে, বেচারা কেলেগুলো বড্ড গরিব।’ অতই যখন গরিব, তোরা মহাদেশটা ছেড়ে চলে আসিস না কেনে ভাই? প্রশ্ন কল্লেই তখন হুন্তার ভয় দেখায়, লুমুম্বা, সাংকারা, গদ্দাফিদের যেভাবে মেরেছিল, সেভাবে নিকেশ করার হুমকি দেয়।
ওরাও কারখানা বানিয়েছে, ওদের হিরের খনি, সোনার খনি, বক্সাইট-কয়লা-লিথিয়ামের খনিতে ছেয়ে গেছে গোটা মহাদেশ। কই, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়েছে– এমন খবর তো পাইনে! এমনিতেই পুলিশ-মিলিটারি ধরছে আর মারছে সাধারণ গরিব মানুষদের। এরপর শিল্পপতিরা যদি মার্সিনারি পোষার আইনি ছাড়পত্র পায়, তাহলে আর দেখতে হবে না।
‘নিরন্ন’ শব্দটির গায়ে এই সবক’টা অন্যায় জুড়ে আছে। শুধু ভাতের অভাব দিয়ে এই খিদে-সংস্কৃতি তৈরির রাষ্ট্রীয় প্রয়াসের ব্যাখ্যা চলে না।
…পড়ে নিন নিরন্নর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১: না খেতে পাওয়ার দিনলিপিতে সকলেই ‘উদ্বাস্তু বাঙাল’
পর্ব ২: এদেশে এখনও বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েদের আধপেটা খেয়ে থাকাই রেওয়াজ
পর্ব ৩: তোমার আছে বন্দুক, আর আমার কেবল ক্ষুধা