নাম পরিবর্তনের হিড়িক আমাদের দেশে শুধু না, পৃথিবী জুড়েই চলেছে। ফ্যাসিবাদের চারণভূমিতে একসময় পুষ্ট হয়েছে সে বৃক্ষশাবক। ভারতে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট ধারা দেখা গিয়েছে। স্বাধীনতার ঠিক পরেই ঔপনিবেশিক আমলে গড়া পথঘাটের নাম পাল্টে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীকী নাম রাখা শুরু হয়। কিংসওয়ে হয়ে যায় রাজপথ, কুইনসওয়ে হয় জনপথ। ভাইসরয়দের নাম সরিয়ে রাস্তার নামে আসে মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা আজাদ বা নেহেরুর নাম। শুধু তো ভৌগোলিক অঞ্চল বা শহর নয়, বিমান বন্দর থেকে পার্ক, সরকারি সংস্থা থেকে পথ সবেতেই এই নাম পরিবর্তনের ধারা লক্ষ করা যায়।
ধরুন, আপনি শুনলেন উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোর নাম পাল্টানো হবে। ত্রিসীমানায় একটাও সাঁকো নেই, তার নাম আবার জোড়াসাঁকো! বরং খুঁজলে আশপাশে ঠাকুর-দেবতা পাওয়া যাবে৷ গণেশ টকিজ কাছেই ছিল। ধর তবে গণেশ দাদাকেই। জোড়াসাঁকোর নাম হল, মনে করুন, ‘শ্রীগণেশ ধাম মার্গ’। কেমন লাগবে? বুকটা ধক্ করে উঠবে না? আপনার মতো সমগ্র বিশ্ববাসীও নতুন করে জানবে, রবিঠাকুর জন্মেছিলেন গণেশ ধামের ঠাকুরবড়িতে। বেশ একটা ভক্তিবাদী গন্ধে ম-ম করবে কবিগুরুর ছবিখানা! লম্বা দাড়ি আর সাদা আলখাল্লার সঙ্গে বেশ মানানসই হবে ব্যাপারটা। আরে না না, এ আমার বানানো গল্প। এমনটি এখনই হবে না। কারণ এখন আমাদের হাতে অনেক কাজ। অনেক নাম বদলাতে হবে। লম্বা সে লিস্টি। দেশের আনাচকানাচ জুড়ে ছড়িয়ে আছে বহু বেজাতীয় নাম। সেসব নির্মূল করতে হবে না!
আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত সদ্য পাকা হল। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নতুন নাম হবে ‘বিজয়পুরম’। এই নাম পরিবর্তনের জন্যে আন্দামানবাসীদের মতামত নেওয়ার কোন প্রয়োজন বোধ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক বীর শহিদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই দ্বীপপুঞ্জ। সেলুলার জেল ব্রিটিশ দমন-পীড়নের এক নির্মম স্মারক। কিন্তু পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পালটে কি সেই ইতিহাস মুছে দেওয়া যাবে! ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাসকে মুছতে গেলে যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও মুছে দিতে হয়। আর স্থানীয় অধিবাসীদের মতের তোয়াক্কা না করে তাদের শহরের ওপর একটা নাম চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে স্বাধীনতা শব্দটির প্রতি রাষ্ট্রের সংবেদনশীলতা প্রকাশ পায় না, বরং প্রকট হয় ক্ষমতার আস্ফালন।
বিগত কয়েক বছরে ভারতে বিভিন্ন স্থানের নাম পালটানোর ধারাটি লক্ষ করলে বোঝা যায়, ব্রিটিশ সাহেবদের দেওয়া নাম নিয়ে রাষ্ট্রের অত মাথাব্যথা নেই যতটা মুঘল যুগের নাম নিয়ে আছে। মাঝেসাঝে দু’-একটা সাহেবি নাম না পাল্টালে লোকে কী বলবে! শুধুই বেছে বেছে মুসলমানি নামগুলো মুছে দিতে চক্ষুলজ্জাও তো হয়! না, তা-ও হয় না। ভাবুন না, এলাহাবাদ হয়ে গেল প্রয়াগরাজ। এই পরিবর্তনটা না হলে আমার মতো আমজনতার মাথায় কোনওদিন আসতই না, এলাহাবাদ নামের মধ্যে ‘আল্লাহ’ শব্দটি আছে। ১৫৮৩ সালে সম্রাট আকবর এই শহরের নাম দেন এলাহাবাদ অর্থাৎ ‘আল্লাহর শহর’। তিন নদীর সঙ্গমস্থলের পাশেই তিনি গড়লেন ফোর্ট। সমস্ত ধর্মভীরু মানুষই এই সঙ্গমস্থলকে পবিত্র তীর্থ মানেন। আকবরও মানতেন। কিন্তু এবার ‘আল্লাহর শহর’ থেকে খোদ আল্লাহই বাদ পড়লেন। ভাবুন তো, সমুদ্র গুপ্তের সভাকবি হরিষেনকে এখন আবার ছেনি হাতুড়ি নিয়ে বসতে হবে। ‘এলাহাবাদ প্রশস্তি’-র নাম পরিবর্তন করে লিখতে হবে ‘প্রয়াগরাজ প্রশস্তি’।
মধ্যপ্রদেশের হোসেঙ্গাবাদ জেলা এখন নর্মদাপুরম। বিন্ধ্যপর্বতের দক্ষিণে নর্মদার তীরে সুলতান হোসেন শা ঘোরী এই জনপদ স্থাপন করেন ১৪০৬ সালে। গড়েন এক সুদৃশ্য দুর্গও। অনেক ঐতিহাসিক টানাপোড়েনের সাক্ষী এই হোসেঙ্গাবাদ। মুঘল থেকে পেশোয়া, সিন্ধিয়া থেকে বৃটিশ, অনেক সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়েছে এই হোসেঙ্গাবাদ। কিন্তু এর নাম বদলে দেওয়ার কথা তাঁরা কেউ ভাবেননি। নর্মদা তখনও বইত হোসেঙ্গাবাদের গা ঘেঁষে, আজও যেমন বয়। নর্মদার জলে মুসলমানী ইতিহাসকে ভাসিয়ে দেবার আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে। সাক্ষী থেকো নর্মদা। ‘হাল ভেঙে যা নাবিক হারায়েছে দিশা’ তাকে কুলের ঠিকানা বলে দিও। ইতিহাস তোমায় বড় ভরসা করে।
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের নাম এখন ছত্রপতি সম্ভাজি নগর এবং ওসমানাবাদ এর নাম ধরাশিব। মোগলসরাই তার মোগলিয়ানা হারিয়েছে বেশ ক’বছর হল। উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ তার নাম গোত্র হারিয়ে অযোধ্যার অংশ হয়ে গেছে জেলা পুনর্গঠনের সরকারি ছুতোয়। অযোধ্যা শুধু ফৈজাবাদকেই গ্রাস করেনি, গ্রাস করেছে দেশের সংবিধানের ভিতটিকেও। রবীন্দ্রনাথের ‘ভাষা ও ছন্দে’ নারদ মুনি বাল্মিকীকে বলেছিলেন, ‘… সেই সত্য, যা রচিবে তুমি… কবি, তব মনোভূমি রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো’।
………………………………………………………..
আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত সদ্য পাকা হল। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নতুন নাম হবে ‘বিজয়পুরম’। এই নাম পরিবর্তনের জন্যে আন্দামানবাসীদের মতামত নেওয়ার কোন প্রয়োজন বোধ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক বীর শহিদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই দ্বীপপুঞ্জ। সেলুলার জেল ব্রিটিশ দমন-পীড়নের এক নির্মম স্মারক। কিন্তু পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পালটে কি সেই ইতিহাস মুছে দেওয়া যাবে! ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাসকে মুছতে গেলে যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও মুছে দিতে হয়।
………………………………………………………..
বেশ কিছু শহর এখন খাদের কিনারায় অপেক্ষা করছে। নামচ্যুতি ঘটল বলে। যেমন, আহমেদাবাদ নাকি হবে কর্ণাবতী, হায়দরাবাদ হবে ভাগ্যনগরম, করিমনগর করিপুরম, আলিগড় হরিহড়, আগ্রা অগস্ত্যনগর, মুজফফর নগর লক্ষ্মীনগর, গাজিয়াবাদ হরিনন্দীপুরম– এমন আরও অনেক । তাজমহল নাকি আদপে ছিল ‘তেজো মহালয়’ নামের এক শিবমন্দির! এমন কথা বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাঁসর-ঘণ্টা নিয়ে সেখানে হানাও দিয়েছিলেন অতিভক্তরা। কবে পাল্টাবে তাজমহলের নাম, ‘যমুনা কি বলতে পারে’! রবিঠাকুরের ‘অতিবাদ’-এর কথাগুলো কেমন মিলে যাচ্ছে! ‘জগৎ যেন ঝোঁকের মাথায়/ সকল কথাই বাড়িয়ে বলে/ ভুলিয়ে দিয়ে সত্যি মিথ্যে,/ ঘুলিয়ে দিয়ে নিত্যানিত্যে/ দু ধারে সব উদারচিত্তে/ বিধিবিধান ছাড়িয়ে চলে।’
নাম পরিবর্তনের হিড়িক আমাদের দেশে শুধু না, পৃথিবী জুড়েই চলেছে। ফ্যাসিবাদের চারণভূমিতে একসময় পুষ্ট হয়েছে সে বৃক্ষশাবক। ভারতে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট ধারা দেখা গিয়েছে। স্বাধীনতার ঠিক পরেই ঔপনিবেশিক আমলে গড়া পথঘাটের নাম পাল্টে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীকী নাম রাখা শুরু হয়। কিংসওয়ে হয়ে যায় রাজপথ, কুইনসওয়ে হয় জনপথ। ভাইসরয়দের নাম সরিয়ে রাস্তার নামে আসে মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা আজাদ বা নেহেরুর নাম। শুধু তো ভৌগোলিক অঞ্চল বা শহর নয়, বিমান বন্দর থেকে পার্ক, সরকারি সংস্থা থেকে পথ সবেতেই এই নাম পরিবর্তনের ধারা লক্ষ করা যায়। যেমন দিল্লির কনট প্লেসের নাম হল ‘রাজীব গান্ধী চক’। নেতাজি, আম্বেদকর, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী বা বিজু পট্টনায়েকদের নামে বিমানবন্দর, এসবের সঙ্গে আমরা পরিচিত। তবে সেসব নামকরণ ছিল মরণোত্তর। বর্তমান রাষ্ট্রনায়করা আর পরের প্রজন্মকে ভরসা করতে পারছেন না। কালের হাতে না সঁপে নিজের অমরত্বের ভার জীবদ্দশাতেই নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন। আহমেদাবাদের মোটেরায় সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণের পর বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামের খ্যাতি পেয়েছে। এর নাম এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। বল্লভ ভাইকে হারিয়ে জয় হল মোদির। রাজ্যতুতো বা মতাদর্শতুতো আত্মীয়তার গল্প এখন তোলা থাক। আহমেদাবাদে উদ্বোধনের ঠিক আগের মুহূর্তে প্রথম ‘বন্দে মেট্রো’র নামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নামের আদ্যাক্ষর জুড়ে তা হয়ে গেল ‘নমো ভারত র্যাপিড রেল’। ‘কী জাদু করিয়া বন্দে’ নমো লাগাইসে…
…………………………………………………………
আরও পড়ুন বিশ্বজিৎ রায়-এর লেখা: একদিকে বই পোড়ানোর হুকুম, অন্যদিকে নিভৃত গ্রামে খুলে যায় বইয়ের ঘর
…………………………………………………………
নাম বদলের দ্বিতীয় ধারাটি মূলত ভাষাগত কারণে। বা বলা ভাল, সাহেবি উচ্চারণে নামের ভাষাবিকৃতি সংশোধনের প্রয়াসে। ক্যালকাটা যেমন কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর বেঙ্গালুরু, ম্যাঙ্গালোর ম্যাঙ্গালুরু এবং এরকম বেশ কিছু। তৃতীয় আর একরকম পরিবর্তন আসে স্থানীয় যোদ্ধাদের স্মরণে, যেমন, ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস-এর নাম ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস।
এ জগতে কিছুই বিনি পয়সায় হয় না। নাম পরিবর্তনও নয়। ইন্ডিয়া টুডে’র রিপোর্ট বলছে ২০১৮ সালে এলাহাবাদকে প্রয়াগরাজ করতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের খরচ হয়েছিল ৩০০ কোটি টাকা। দেশের ম্যাপ পরিবর্তন থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি নথি, ব্যবসার লাইসেন্স, লেটারহেড, পথ নির্দেশিকা ইত্যাদি সমস্ত জায়গায় নাম পাল্টাতে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়। সময় এবং শ্রমের অপচয় আর বেসরকারি খরচের হিসেব না হয় বাদই দিলাম। যে কোনও মাঝারি বা ছোট শহরের নাম বদলাতে সরকারের গড়পড়তা ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়; বড় শহর হলে টাকার অঙ্কটা বাড়ে। রিপোর্ট বলছে, ঔরঙ্গাবাদকে ছত্রপতি সম্ভাজি নগর করাটা ছিল প্রায় ১০০০ কোটির ধাক্কা। গত দশ বছরে পরিবর্তিত শহরের নামের লিস্ট নিয়ে একবার বসবেন না কি? তারপর তাকে তিনশো কোটি দিয়ে গুণ করবেন। তারপর, না, তারপর আপনার আর কোনও কাজ নেই। শুধু সময়মতো ট্যাক্স দেবেন। ব্যস! এখন আবার সরকারের নতুন বায়না শুনতে পাচ্ছি। ইন্ডিয়াকে ‘ভারত’ করতে হবে। সে বায়নার মাশুল হবে আনুমানিক ১৪,৩০৪ কোটি টাকা। মাত্র। ভারতীয় করদাতারা, আপনাদের ধন্যবাদ। হাসিমুখে এই জনমুখী ‘উন্নয়ন’ প্রকল্পের অর্থ জোগান দেওয়ার জন্য।
গেল দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত নাম পরিবর্তনের ঘটনাগুলো মূলত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল, রাজনৈতিক মতাদর্শ কায়েম করার পন্থা ছিল না। রাজনীতি তখনও ধর্মদাস হয়ে ওঠেনি। তখনও পৌরাণিক গল্পকথা ইতিহাসের জায়গা দখল করতে পারেনি। তখনও আর্য-অনার্যের ছায়াযুদ্ধ যুক্তিবাদের শামিয়ানায় মাথা গলাতে পারেনি। তখনও কালগত ইতিহাসের পাঠ, ভাবগত ইতিহাসের চক্রান্তের শিকার হয়নি। মুঘল স্থাপত্যের নান্দনিকতা তখনও ভারতবাসীকে মোহাবিষ্ট করে রাখত। বর্তমান ভারতে মুসলমান শাসনের স্মারক মুছে দিয়ে সনাতনী গৌরবের বিজয় গাথা রচনার এক হাস্যকর প্রয়াস চলছে। আমরা ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে লড়াইয়ে জিতলেও এঁটে উঠতে পারছি না বিকৃত ইতিহাসের সুপরিকল্পিত স্পর্ধার সঙ্গে। স্কুলপাঠ্য ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছে নতুন শিশুরা যাতে ‘অবাঞ্ছিত’ ইতিহাসের ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারে।
পায়ে পায়ে যেন পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই গতিতে পিছনের দিকে এগোতে থাকলে আমরা হয়তো প্রস্তর যুগে পৌঁছে যাব একদিন। দেখা হবে বন্ধু কোনও এক নিকষ অন্ধকারে। তোমার হাতের পাথরে আমার চকমকি ঠোকা খেয়ে ঠিকরে উঠবে স্ফুলিঙ্গ। সেই আলোর ঝলকানিতে তোমাকে খুব চেনা চেনা লাগবে। খুব। শুধু অচেনা লাগবে তোমার নাম। যা তুমি বারবার বদলেছ। সময়কে ফাঁকি দেবে বলে! ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!’
..……………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………..
দরজার সামনে শম্ভু মিত্র, রেকর্ডিং শেষ করে সবে ফ্লোর থেকে বেরিয়েছেন। গম্ভীর মানুষ, সাহস সঞ্চয় করে কাছে গিয়ে প্রণাম করি, মাথায় হাত রাখলেন। পাশে ছিল চৈতি ঘোষাল অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর বাড়ির টিভিতে আমাকে দেখতে পায় তাই এই বিস্ময়, নিচু গলায় জানাল ডাকঘরের অমল।