শুধুই কি কুলিবস্তি, ফুটপাথ, কলকারখানার শ্রমিকপট্টি, গ্যারাজ-গুমটি? তা তো নয়! নিচু থেকে উঁচুতলার শিক্ষার্থীমহলে তাহলে কী ক’রে এত বিস্তার আর জনপ্রিয়তা পায় এই অপ্রথাগত শব্দসমূহ? অতএব বুঝতে হবে, অপরিতৃপ্তি, বিক্ষোভ আর প্রদাহটা কেবল জঠরের জ্বালা থেকে নয়, আরও গভীর কোনও সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষত থেকেও উঠে আসছে। উঠে আসছে ক্ষমতার সঙ্গে দুর্বৃত্তের অবৈধ মিলনে জাত এক সর্ববিস্তারী পচাগলা ব্যবস্থার গর্ভ থেকে। উঠে আসছে রাজনৈতিক চেতনার সমূহ অবক্ষয়ের আত্মঘাতী অসুস্থতা থেকে।
সত্রাজিৎ গোস্বামী
ছুটির দিনে তাই মৃণালিনী দেবী নিজের হাতে রেঁধে পুত্র-সহ আশ্রমের ছাত্রদের খাইয়ে তিনি পরিতৃপ্তি বোধ করতেন। শিক্ষাপ্রণালী ও পল্লি পুনর্গঠন নিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে চিন্তা তথা পরীক্ষানিরীক্ষার বিপুল জাহাজ বয়ে চলছিল, তার হাল যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে ধরে বসেছিলেন– বলা যায়, তাঁদের প্রধান ছিলেন আশ্রমলক্ষ্মী প্রতিমা।