অচল মিশ্র পরিচালিত ছবি ‘গমক ঘর’ একটি বাড়ির জন্ম ও মৃত্যুর গল্প এমন ভাবে বলে যে, দর্শকের ভেতর যেসব বাড়ি দানা বেঁধে আছে, একটা একটা করে ভেসে ভেসে ওঠে। ছবিটা দেখতে দেখতে মনে হয়েছে, ঠিক সময়ে গ্রামের বাড়িটাকে গুডবাই বলতে পারেননি বলে, একটা আস্ত সিনেমাই বানিয়ে ফেলেছেন পরিচালক।
‘গমক ঘর’-এ, মানুষের আনাগোনা প্রায় নেই বললেই চলে। বুড়ো কেয়ারটেকার, যাকে কয়েক মাস আগেও দেখা যেত ছাগল তাড়াতে, বারান্দা ঝাড় দিতে, দাওয়ায় বসে চা খেতে– তাকে আর ত্রিসীমানায় দেখা যায় না। তুলসীমঞ্চ ভেঙে পড়েছে, গাছটা মরে গেছে কবেই। সেই যে বৃষ্টি এসে তুলসীমঞ্চ, উঠোন চান করিয়ে দিত, মাটি ভেজা সুবাসের সুগন্ধি তৈরি করত, সেসব ভোগ করার কেউ নেই। বোগেনভেলিয়া গাছটা বছর দুয়েক আগেও ফুলের ভারে নুয়ে পড়ত, এখন তার পাতাহীন শুকনো মুখ দেখলে মায়াই হবে। ঘরের ভেতরের বারান্দায় যে কাঠের চেয়ারে বসে বাড়ির বড় কর্তা খবরের কাগজ পড়ত, সেই চেয়ার-পায়া ভেঙে এখন একা দাঁড়িয়ে থাকে। যে উঠোনে রঙিন শাড়ি উড়ত রামধনুর মতো, সেখানে কাকপক্ষীও বসে না। এঘর-ওঘর ছুটে বেড়ায় না ছোটদের দল। তাদের লুকোচুরি খেলা বন্ধ হয়ে গেছে বছর কুড়ি আগেই। জানলার বাইরে ডাক্তার কাকুর সাদা অ্যাম্বাসেডর এসে দাঁড়ায় না আর। গ্রীষ্মের দুপুরে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে দাদি আর বলে না, ‘যা বাগান থেকে আম কুড়িয়ে আন’। দাদি এখন অনেক অনেক দূরের বাসিন্দা যেখান থেকে কেউ আর ফেরে না। পুরনো অ্যালবাম হাতড়েও এই বাড়ির স্মৃতি আর জ্যান্ত করা যায় না। পুরনো অ্যালবাম আর যত্ন করে কেউ রেখেছে কি না, সেটাই বা কে জানে! চটে গিয়েছে রং, খসে পড়েছে পলেস্তরা, জানলা দরজার কবজা নড়বড় করছে। প্রচণ্ড শীতের কুয়াশায় বাড়িটাকে প্রেতের মতো নির্জন লাগে। দিনের বেলাতেও বাড়িটার চারপাশে রাতের অন্ধকার। তবু ছিল এক রকম। বাড়ির ছোট ছেলে এল একদিন। কীসব বলাবলি হল। মিস্তিরি কাজে লাগল। বাড়িটার শরীর থেকে জীর্ণ হাড়গোড় ছাড়িয়ে নেওয়া শুরু হল। বাড়িটার শেষকৃত্যের কাজ শুরু হল যেন। অচল মিশ্র পরিচালিত ছবি ‘গমক ঘর’ একটি বাড়ির জন্ম ও মৃত্যুর গল্প এমন ভাবে বলে যে, দর্শকের ভেতর যেসব বাড়ি দানা বেঁধে আছে, একটা একটা করে ভেসে ভেসে ওঠে।
বাড়ি মানে ঠিক কী, নানা সময়ে নানা ভাবে টের পেয়েছি। ‘পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস’ বলে কি কিছু হয়? বিহারের একটি ছোট্ট শহরতলি সিন্দ্রিতে যখন জন্মেছিলাম তখন চিঠি লিখলে, জেলা বিহার লিখতে হত। সেই শহরতলি ছেড়ে আসার পর এখন জানি, বিহার নয়, এখন জেলা ঝাড়খণ্ড লিখতে হয়। কিন্তু তাতে কী, আমি তো সেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিহার থেকে আসা মেয়েটাই– যে বড় হয়েছে, সিন্দ্রির কোয়ার্টারে। আমাদের কোয়ার্টারে বাগান ছিল। সেখানে আলু , পেঁয়াজ, বাঁধাকপি থেকে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, পিটুনিয়া, জিনিয়া– সব রকম ফুলের গাছ ছিল। সিমেন্ট বাঁধানো অংশে শীতকালে ক্যাম্পখাটে লেপের সঙ্গে আমি আর ভাইও রোদ পোয়াতাম। মাঝে মাঝে গম শুকোতে দেওয়া হত। শীতকালে গিজারে নয়, ডেকচি করে চানের জল বাগানের ওই সিমেন্ট বাঁধানো দাওয়াতেই গরম হত। বাবার ছাই রঙের বাজাজ স্কুটার ছিল। ডিউটিতে যাওয়ায় আগে আমার প্রতিদিনকার বায়না ছিল মাঠের চারপাশে এক চক্কর ঘুরিয়ে আনতে হবে। বারান্দায় দাঁড়ালেই সামনের মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখ যেত আর দেখা যেত দূর থেকে আসা বাবার স্কুটার। কারণ আমাদের শেষ যে কোয়ার্টার সেটা একটা উঁচু মাঠের ওপর ছিল। অনেকটা দূর অবদি দেখা যেত। এখন পিছন ফিরে তাকালে আর ততটা দেখা যায় না। কলকাতায় চলে আসার পর একবার ফিরেছিলাম সিন্দ্রি। দেখেছিলাম আমাদের পুরনো কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত বাগানে তখন আগাছার জঙ্গল। পাড়াটাও পুরো খালি। দুটো একটা পরিবার থাকে। মনোহরস্ট্যান্ড পাড়াটা তখন নাকি আর তত সেফ ছিল না আগের মতো। তাও প্রায় ১৫-২০ বছর আগের কথা বলছি। এফসিআই (ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া) বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, সিন্দ্রি আর কখনই আগের মতো হয়ে ওঠেনি। একটা অফিসিয়াল প্রয়োজনে, জন্মস্থান বদলে কলকাতা লিখতে হয়েছিল, সেদিন মনে হয়েছিল, শিকড় ছিড়ে নিজেকে উপড়ে নিলাম। সিন্দ্রির বাড়ি যেন পার্মানেন্টলি মুছে গেল খাতায় কলমে। শহর পাল্টে নিলে, পুরনো থাকার জায়গা খানিকটা পর হয়ে যায়। তখন সেখানে ফেরা মানে টুরিস্টের চোখ দিয়ে দেখা। ‘গমক ঘর’ ছবিতে এই ভিটে বাড়িকে তিন দশক ধরে দেখানো হয়েছে। প্রথমে ইনসাইডার হিসেবে। তারপর ছেড়ে যাওয়া সদস্যরা বেড়াতে এসে যেভাবে বাড়িটাকে দেখেছে। কিন্তু পরিচালক অচল মিশ্র এই বাড়িটাকেও একটা মানুষের মতো ক্ষমতা দিয়েছেন। সে কথা বলতেই পারে না কেবল– সব বোঝে, সব শোনে। বাড়িটাও ক্রমাগত ঠারেঠোরে দেখতে থাকে বাড়ির সদস্যদের আসা যাওয়া। বুঝতে পারে ক্রমশ তাকে একলা করে দেওয়া হবে। ক্যামেরার চোখ মূলত বাড়িটার মুখাবয়বের প্রতি বিশ্বস্ত। সদস্যদের অনেক সময় একটু দূর থেকে কিংবা পিছন থেকে দেখানো হয়– বাড়িটা যেভাবে ওদের দেখতে চায়। পরিচালকও সেভাবেই দেখাতে চেয়েছেন। ফলে ক্রমশ বাড়িটার সঙ্গে একাত্ম হয়েছি।
কিছুদিন আগেই বাড়ি পালটেছি। আগের বাড়িটা খুব মনের মতো করে সাজিয়েছিলাম। ছেড়ে আসতে মনখারাপ করেছে খুব। দেওয়ালে প্রিয় রং, নীল সাদা পর্দা, অনেক গাছ ঘরে সবুজ রং দিয়েছিল, শৌখিন আলো ছিল। কিন্তু বাড়িটা, ঘর হয়ে ওঠার আগেই ছেড়ে যেতে হল। বিগত দেড় মাস ধরে ভেবেছি, আর গুছিয়ে কী হবে, কিন্তু স্বল্প সময়ের জন্য হলেও যেমন তেমন করে চলে যেতে ইচ্ছে করেনি। বেশি সময় ধরে বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করেছে। ফুল দিয়ে সাজাতে ইচ্ছে করেছে। সময় নিয়ে ‘গুডবাই’ বলতে ইচ্ছে করেছে। এটারও বিশেষ প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। চোখে চোখ রেখে, জড়িয়ে ধরে বিদায় বলতে হয়। না বলে চলে গেলে মনখারাপ হয় দুই পক্ষেরই। ‘গমক ঘর’ দেখতে দেখতে মনে হয়েছে, ঠিক সময়ে গ্রামের বাড়িটাকে গুডবাই বলতে পারেননি বলে, একটা আস্ত সিনেমাই বানিয়ে ফেলেছেন পরিচালক অচল মিশ্র। খুব ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই ‘গমক ঘর’ তৈরি করেছেন পরিচালক। অসুখী মানুষের বাড়িও অসুখী হয়। অযত্নে থাকে যার মন, তার থাকার জায়গাতেও চতুর্দিকে থাকে অযত্নের ছাপ। আর দীর্ঘদিনের অসুখী বাড়ির অসুখও সারে না। ‘হন্টিং অফ দি হিল হাউজ’ সিরিজে অসুখী বাড়ির দীর্ঘশ্বাস দেখেছি, হাহাকার দেখেছি। বাড়িকে ঠিকমতো বিদায় না জানালে সেই বাড়ি গুমরে গুমরে মরে। দেশভাগের সময় হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ভিটে ছেড়ে চলে এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশে ফেলে আসা সেইসব বাড়ির দুর্দশা, মানুষদের থেকে কম নয়। কিছু বাড়ি একলাই পড়ে থেকেছে, কোনও কোনও বাড়ি, নতুন মানুষ পেয়েছে। পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষ উদ্বাস্তু পরিচয় বহন করে বেরিয়েছে। আমার দিদা, ঠাকুমারা পশ্চিমবঙ্গে খুব ভালো ভাবে সেটল করে গেলেও ভিটে বলতে ওদের কাছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালি। ঋত্বিক ঘটকের ছবি জুড়ে সেইসব মানুষের কথা, যন্ত্রণা দেখেছি। তাঁর ছবির চরিত্ররা নিজের ভিটে ছেড়ে আসার পর নতুন দেশে বাড়ি, বাড়ির মতো আরাম, নিশ্চয়তা, স্বস্তি খুঁজে ফিরেছে। ‘সুবর্ণরেখা’ ছবিতে ‘সীতা’ তার দাদা ‘ঈশ্বর’কে সরল প্রশ্ন করেছিল– ‘বাড়ি খুঁজে পেলে?’ ঈশ্বর সেই প্রশের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছে আজীবন। এমনকী, সীতার ছেলে বিনুরও সেই একই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি ঈশ্বর। সময় বয়ে চলে, এই প্রশ্নটা থেকেই যায়। এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা ঈশ্বর আজীবন করে গিয়েছে। নিজের দেশ থেকে, নিজের মাটি থেকে যখন মানুষকে এইভাবে উপড়ে ফেলা হয়, তখন সেই মানুষ তার শিকড় খুঁজে বেড়ায় চিরটাকাল। সব ক্ষত সারে না, তাই সবাই বাড়িও পায় না।
দু’দিন আগে পুরনো পাড়া দিয়ে যাচ্ছি। আগের বাড়িটাকে দেখতে পেলাম। ঘরগুলো অন্ধকার। বারান্দা থেকে বোগেনভেলিয়ার ডাল আর উঁকি মারছে না। ড্রয়িং রুমের বিশাল সাদা জানলাটার পাল্লা খুলে কেউ উল্টোদিকের কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে তাকিয়ে নেই। গত মার্চে যখন বাড়িটায় আসি, তখন জানলা খুললেই হলুদ ফুলে ঢাকা গাছটা দেখা যেত। কেউ যদি এই ডানার মতো জানলাটা খুলে বাইরে নাই তাকাতে পারে, তাহলে আর অমন জানালা থেকে কী লাভ! আমার বন্ধু বলল, বাড়িটায় কেউ এসে থাকুক, এমন একলা পড়ে থাকাটা ভালো লাগছে না। ঠিকই তো। আমাদের যেমন বাড়ি ছেড়ে আসতে বুক ভার হয়ে আসে, আমার বিশ্বাস বাড়িরও নিজস্ব চোরা পদ্ধতি আছে দুঃখ যাপনের, চোখের জল ফেলার। অনেক দিন পরপর পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালে সেটা টের পাওয়া যায়। মুখটা খুব মলিন লাগে। দুই গাল বেয়ে শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলের দাগ স্পষ্ট বোঝা যায়। জমে থাকা ঝুল, আর ধুলোটে ঘরদোর দেখলে বোঝা যায়, মাথায় চিরুনি পরেনি অনেক দিন। আমাদের কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে এমন বহু বাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাড়ি তো না, একেবারে ছোট শিশুর মতো কিংবা বুড়ো বাবা মায়ের মতো। সব করিয়ে দিতে হয়। আহ্লাদ, আদর যত্ন না পেলে বাঁচতে পারে না।
নতুন বাড়ি নেওয়ার সময় ঠিক করেছিলাম আর এত যত্নআত্তি করব না । কী হবে নিজের বাড়ি না হলে এসব করে। নিজের বাড়ি মানে কী? সেটাও ভাবার বিষয়! সিন্দ্রিও তো নিজের বাড়ি ছিল। কোন্নগরেও শুধুমাত্র আমার দোতলার ঘরটাকে নিজের বাড়ি বলে মনে হত। প্রিয় ক্যাফেতে কোনার দিকের সিটটাকেও নিজের বাড়ি বলে মনে হয় মাঝে মাঝে। আমার প্রথম একলা থাকার গোলাপি দেওয়ালের ভাড়া বাড়িটাকেও নিজের মনে হয়েছে। যেদিন ছেড়ে এলাম, তারপর থেকে আর সেভাবে মনে করতে চাইনি বলে মনেও পরেনি। এই মহাপৃথিবীতে যে কোনও শূন্য স্থান বাড়ি হয়ে উঠতে পারে বলে আমার মনে হয়। কারও মুখে শোনা কোনও গল্পের ভেতর দিয়ে অন্য দেশেও একটা বাড়ি তৈরি হয়ে যেতে পারে। জয়পুরে হাওয়া মহলে গিয়ে কার্নিশে হাত রেখে মনে হয়েছিল, প্রাচীনকালের অনামী রমণীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছি। সে যেখানে কনুইতে ভর দিয়ে গালে হাত রেখে অপেক্ষা করেছিল, সেখান হাত রেখে আমিও তাকে ছুঁয়ে ফেলতে পেরেছি। সি. প্রেম কুমার পরিচালিত তামিল ছবি ‘Meiyazhagan’-তে আমরা দেখি পুরনো বাড়ির স্মৃতি মানে সেই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পুরনো বন্ধুর স্মৃতি। আরুল তার ছোটবেলার শহর, নিজের ভিটেতে কুড়ি বছর পর ফিরলেও, সেই ফেরা তখনই সম্পূর্ণ হয় যখন তার ছোটবেলার সঙ্গীর নাম মনে পড়ে।
Forever home আসলে আমাদের মনের ভেতরেই থাকে কোথাও। আমরা চাইলেই তাকে মনের মধ্যে পুরে যেখানে সেখানে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু একটা বাড়ি, মানুষ ছাড়া বড়ই অচল। চেনা মানুষ ছেড়ে গেলে সে আর একা একা বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অপেক্ষা করতে করতে। ঋতুদার (ঋতুপর্ণ ঘোষ) বাড়ির নাম ছিল ‘তাসের ঘর’। এই নামটা আমার কোনও দিন ভালো লাগেনি। এমন ভঙ্গুর নাম কেউ রাখে! আমাদের অফিসেও ঋতুদার একটা নিজস্ব লাল ঘর ছিল। নতুন কনস্ট্রাকশনের পর আর নেই। এখন শুধু একটা ছবি আছে আমাদের ঘরের এক কোণে। ‘গমক ঘর’ ছবিতে বাড়িটা ভেঙে ফেলার আগে দাদুর ছবিটা খুলে নেওয়া হয়। মানুষ না থাকলে, বাড়ি থাকে না। বাড়ি না থাকলে ছবিও হারিয়ে যায়। সময় বদলায়, আমরা শহর পাল্টাই, পাড়া বদলাই, আমাদের আশপাশের মানুষের মুখ বদলে বদলে যায়, বাড়ি পাল্টায়। কিন্তু নিজেদরই অজান্তে গোটা জীবন ধরে আসলে আমরা একটাই বাড়ি খুঁজি যার নাম ‘ভালো-বাসা’।