বাজেটে করকাঠামোর এই পরিবর্তন তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থনীতিতে দ্রুত এর ছাপ দেখা যাবে। এছাড়া বাজেটে আর যা প্রকল্প রয়েছে, তা অধিকাংশই বায়বীয়। পরিকাঠামোয় লগ্নির বিষয়টি নতুন নয়। প্রতি বছরই বাজেটে পরিকাঠামোর তথা কয়েকটি রাস্তা, সেতু, গবেষণাগার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বানানোর ঘোষণা থাকে। কর্মসংস্থান নিয়ে এবার কিছু অভিনব ঘোষণা রয়েছে। যেমন– নতুন চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম পিএফের টাকাটা সরকার দিয়ে দেবে, পাঁচ বছরে দেশের ৫০০টি বড় বড় বেসরকারি সংস্থায় এক কোটি যুবকের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হবে, ইত্যাদি। কিন্তু এগুলির ঘোষণাই সার।
প্রচ্ছদশিল্পী: অর্ঘ্য চৌধুরী
সাধারণ বাজেট নিয়ে মধ্যবিত্তের আগ্রহ কমে গিয়েছে অনেক দিনই। আগে বাজেটের দিন একটা সাজ সাজ রব পড়ত। বাবা-কাকাদের দেখতাম বাজেটের আগে প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট মজুত করতে। দূরদর্শনে বিকেলে বাজেট সম্প্রচারিত হত। টিভির সামনে ভিড় জমে যেত। দু’-একটি কাগজ ও পত্রিকার মালিক সন্ধ্যার উড়ানে দিল্লি থেকে বাজেট ভাষণের বই ও অন্যান্য বাজেট সংক্রান্ত নথি আনাতেন। অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্তর বাজেট বিশ্লেষণ শোনার জন্য আমন্ত্রণপত্রের চাহিদা তুঙ্গে থাকত। নরসিমা রাওয়ের সরকার আসার পর এই রকম জুলাই মাসের ভোট পরবর্তী বাজেটে মনমোহন সিং ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ঐতিহাসিক আর্থিক সংস্কার কর্মসূচি। যা কালক্রমে ভোলবদলে দিল গোটা দেশের। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকের জায়গা থেকে অনেকটাই সরে গেল সরকার। ঢালাও বেসরকারিকরণ হল।
নরেন্দ্র মোদির আমলে গত এক দশকে সাধারণ বাজেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বললে অত্যুক্তি হয় না। জিএসটি চালু হওয়ার পর এখন বাজেটের মধ্যে দিয়ে জিনিসের দাম বাড়া-কমার সুযোগ নেই বললেই চলে। দু’-চারটি পণ্যের আমদানি শুল্কের এদিক-ওদিক হয় শুধুমাত্র। তাতে নতুন কলকারখানা বিশেষ হয় বলে মনে হয় না। তবে দামে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। মনমোহনের হাত ধরে চালু হওয়া সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া মোদির আমলে আর্থিক ফ্রন্টে তেমন বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। জিএসটি চালুর আগে নোটবন্দি হলেও তাতে অর্থমন্ত্রকের কোনও ভূমিকাই ছিল না। ফলে বাজেটে অর্থনীতির বাঁকবদল সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা থাকবে, এমন প্রত্যাশাও আর কেউ করে না। ২০১৯ সালে কর্পোরেট কর কমানোর ঘোষণাটা এই সরকার বাজেটের বাইরেই করেছিল। যদিও তাতে বেসরকারি লগ্নি বিশেষ বাড়েনি। গত কয়েক বছর ধরে বাজেটের আগে সাধারণ মধ্যবিত্তের মধ্যে শুধু জল্পনা চলে আয়কর কাঠামোর পরিবর্তন নিয়ে।
এবার মধ্যবিত্তের সেই প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ হয়েছে। সামান্য হলেও আয়করে কিছুটা রেহাই মিলেছে। ‘নিউ রেজিম’ হিসাবে পরিচিত আয়করের নয়া কাঠামোই এবার আয়করের মূল কাঠামো হিসেবে গণ্য হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে। তলার দু’টি স্ল্যাবের ঊর্ধ্বসীমা এক লাখ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোদ্দা কথা, নতুন পরিবর্তনের ফলে যারা বছরে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে আয় করেন, তাদের কোনও কর দিতে হবে না। মাসের হিসাবে এটা প্রায় ৬৩ হাজার টাকা। বার্ষিক ১০ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, চাকরিজীবী মধ্যবিত্তরা বছরে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত করে সাশ্রয় করতে পারবেন। উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সাশ্রয়ের পরিমাণ আরও বেশি। আয়করের ক্ষেত্রে এই সাশ্রয় বাজারে পণ্যের চাহিদাবৃদ্ধিতে কিছুটা সহায়ক তো হবেই। পণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সবসময় সরকারের উদ্দেশ্য থাকে।
…………………………………………………..
এবারের বাজেট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের একটি জোরালো রাজনৈতিক বিবৃতি। মোদির আমলে গত এক দশকে সবকটি বাজেটেই রাজনৈতিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু এবারের বাজেটে একইসঙ্গে অনেকগুলি রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্মলা পূরণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যেটি, সেটি হল চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমারকে খুশি করে সরকারের স্থায়িত্ব বাড়ানোর চেষ্টা।
…………………………………………………..
আয়করে সামান্য রেহাই দিতে গিয়ে সরকারের যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে নিতে ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। বস্তুত এবারের বাজেট নিয়ে সবচেয়ে বড় আলোচনার জায়গাটিই হল ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সে পরিবর্তন। সাধারণ মধ্যবিত্তরাও এই জায়গাটায় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ, এখন অনেকেই টাকা শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে রাখে। নিয়মিত লিস্টেড কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করে বা মিউচুয়াল ফান্ডে নিত্য প্রফিট বুক করে যাঁরা আয় করেন, তাঁদের এবার ২০ শতাংশ হারে শর্টটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স দিতে হবে। এক বছরের মধ্যে শেয়ার হাতবদল করলে তাকে শর্টটার্ম ধরা হয়। বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের এখন আয়ের সূত্র শেয়ার বা ফান্ড কেনাবেচা। বিশেষত, কোভিডের পর বহু মানুষ চাকরি হারিয়ে শেয়ার বাজারে লগ্নি করাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এঁরা শেয়ার বাজারের খুচরো লগ্নিকারী হিসেবে চিহ্নিত। এঁদের উপস্থিতিতেই শেয়ার বাজারের তৎপরতা গত কয়েক বছরে এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। একধাক্কায় শর্টটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সের ৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে এঁদের মনখারাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ার বাজারের লম্ফঝম্প একটু কমাতে চাইছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমতা আনাও সরকারের লক্ষ্য হতে পারে। কারণ, আমেরিকা-সহ অধিকাংশ দেশেই শর্টটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স ২০ শতাংশ। আয় বাড়াতে সরকারও চাইছে শেয়ার বাজারের লাভের ভাগ আরও বেশি করে নিজের ঘরে তুলতে।
লংটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স তুলনায় অল্প বেড়েছে। এখানে কিছুটা ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড এক বছরের বেশি ধরে রেখে বিক্রি করলে তাকে লংটার্ম বলা হয়। সেখানে কর ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২.৫ শতাংশ হয়েছে এবং এক লাখ টাকার ছাড়টা বাড়িয়ে ১.২৫ লাখ করা হয়েছে। লংটার্ম ক্যাপিটাল গেইন তথা দীর্ঘমেয়াদে মূলধনী লাভ জমি-বাড়ি-সোনাদানার মতো সম্পত্তি বেচেও হয়। সম্পত্তি বেচে মুনাফা করার ক্ষেত্রে এতদিন ইনডেক্সেশনের সুবিধা দেওয়া হত। অর্থাৎ সম্পত্তিটি কেনা ও বেচার মধ্যবর্তী সময়ের মূল্যবৃদ্ধির অংশটুকু মুনাফা থেকে বাদ দিয়ে করযোগ্য আয়ের হিসাব হত। ধরা যাক, ২০০৪ সালে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আপনি একটা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। ২০২৪ সালে সেটির বাজার দর হয়তো ২৫ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি বেচলে আপনার ১৫ লাখ টাকা লাভ হয়। ২৩ জুলাই বাজেটের দিন পর্যন্ত এই লাভের কতটা করযোগ্য হবে তা হিসাব করার জন্য ইনডেক্সেশন হত। বছরে গড়ে ৪.৬ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে ধরে নিয়ে আয়কর দপ্তরের একটি সূচকের ভিত্তিতে সেই ইন্ডেক্সেশন হত। তাতে হয়তো অঙ্ক কষে দেখা গেল মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ধরলে ২০ বছর পর ১০ লাখ টাকার ওই ফ্ল্যাটটির এখন দাম হওয়ার কথা ৩০ লাখ টাকা। সেটা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে ফ্ল্যাটটি বেচে আপনার কোনও মুনাফা হয় না। লাভের গুড় মূল্যস্ফীতি খেয়ে নিয়েছে। ইনডেক্সেশন লাভ না দেখালে আপনাকে লংটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সও দিতে হত না। কিন্তু বাজেটের পর ২৩ জুলাই থেকে যে নিয়ম চালু হল তাতে ২০০১ সালের ১ এপ্রিলের পর কেনা জমি-বাড়ি বিক্রি করলে আর ইনডেক্সেশন হবে না। ১০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট ২৫ লাখ টাকায় বেচলে আপনাকে ১৫ লাখ টাকার উপরই লংটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স দিতে হবে। নির্মলা শুধু এক্ষেত্রে করের হারটা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করে দিয়েছেন। ইনডেক্সেশন উঠে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে জমি-বাড়িতে বিপুল টাকা লাগিয়ে রাখা মধ্যবিত্তের মাথায়। এখন জমি বা ফ্ল্যাট বেচলে সরকারকে অনেক টাকা মূলধনী লাভের কর দিতে হবে। এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়েছে। চাপে পড়ে অর্থমন্ত্রক বলছে, জমি-বাড়ির বাজার দর বছরে ১২-১৬ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে কিছুটা কর দিলেও আগের থেকে বেশি লাভ হবে। কারণ জমি-বাড়ির লংটার্ম ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ হয়েছে। সরকারের এই যুক্তিতে চিড়ে ভিজছে না। বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে দেখাচ্ছেন গত পাঁচ বছরে হায়দরাবাদ ছাড়া দেশের কোনও শহরেই জমি-বাড়ির দাম বছরে ১২-১৬ শতাংশ হারে বাড়েনি। কলকাতায় এই বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। ন্যূনতম ৯ শতাংশ হারে জমি-বাড়ির বাজার দর না বাড়লে হ্রাস পাওয়া করের নতুন হারেও বেশি টাকা কর গুনতে হবে বিক্রেতাকে। তাই অনেকের ধারণা এবার ফ্ল্যাট কিনে টাকা লগ্নির প্রবণতা কমবে। বাড়তি টাকা ছুটবে শেয়ার বাজারের দিকেই।
………………………………………………………….
আরও পড়ুন সুতীর্থ চক্রবর্তীর লেখা: বিভিন্ন মতাদর্শের কণ্ঠস্বরে ফের জমজমাট সংসদ
………………………………………………………….
সব মিলিয়ে বাজেটে এই করকাঠামোর পরিবর্তন তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থনীতিতে দ্রুত এর ছাপ দেখা যাবে। এছাড়া বাজেটে আর যা প্রকল্প রয়েছে, তা অধিকাংশই বায়বীয়। পরিকাঠামোয় লগ্নির বিষয়টি নতুন নয়। প্রতি বছরই বাজেটে পরিকাঠামোর তথা কয়েকটি রাস্তা, সেতু, গবেষণাগার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বানানোর ঘোষণা থাকে। কর্মসংস্থান নিয়ে এবার কিছু অভিনব ঘোষণা রয়েছে। যেমন– নতুন চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম পিএফের টাকাটা সরকার দিয়ে দেবে, পাঁচ বছরে দেশের ৫০০টি বড় বড় বেসরকারি সংস্থায় এক কোটি যুবকের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হবে, ইত্যাদি। কিন্তু এগুলির ঘোষণাই সার। এইসব পদক্ষেপে কীভাবে কর্মসংস্থান বাড়বে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
সামগ্রিকভাবে এবারের বাজেট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের একটি জোরালো রাজনৈতিক বিবৃতি। মোদির আমলে গত এক দশকে সবকটি বাজেটেই রাজনৈতিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু এবারের বাজেটে একইসঙ্গে অনেকগুলি রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্মলা পূরণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যেটি, সেটি হল চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমারকে খুশি করে সরকারের স্থায়িত্ব বাড়ানোর চেষ্টা। অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী অমরাবতীর জন্য চন্দ্রবাবুর ১৫ হাজার কোটি টাকার দাবি এতদিনে সরকার মেনেছে। বিহারের বহুমুখী উন্নয়নের জন্য নির্মলা চক্ষুলজ্জা ত্যাগ করে বরাদ্দ করেছেন ৫৮,৯০০ কোটি টাকা। এবারের ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের কারণ হিসাবে বেকারত্বকে দায়ী করা হচ্ছে। সেই কারণে বাজেটে কর্মসংস্থান নিয়ে প্রকল্পগুলি রাখা হয়েছে। এটাও একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
বিজেপি এবার মহিলা ভোট কম পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে বাজেটে মহিলাদের খুশি করার জন্য কিছু প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিচার করলে দেখা যাবে, গোটা বাজেট ভাষণেই করের অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকিটা জুড়ে শাসকদলের নানা রাজনৈতিক কৌশল বিরাজ করছে। বাজেটকে তাই রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ শুরু করেছেন বিরোধীরা। আসলে বাজেটের নির্যাসটাই রাজনৈতিক। সেই কারণে বড়সড় আর্থিক উন্নতির প্রত্যাশার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাজেট নিয়ে অাম মধ্যবিত্তের অাগ্রহ দেখানোর সুযোগটাই খুব কম।
…………………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………………….