কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল অভিযোগ করে থাকেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কার প্রথম থেকেই রাজনৈতিক ছিল। ব্যক্তিগত মুখ দেখাদেখি এবং ভালো লাগা, মন্দ লাগা থেকেই বেশ কিছু ব্যক্তি এই পুরস্কার পেতেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে বিষয়টি অনেক বেশি গণতান্ত্রিক হয়েছে। কিন্তু এমন কিছু নাম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকছে। ধরা যাক স্বাধ্বী ঋতম্ভরার নাম এবারের তালিকায় দেখার পরে, অনেকে বলেছেন, যে মানুষ মনে করেন, এবং খোলাখুলি বলেন ভারতবর্ষে মুসলমানরা হচ্ছে দুধের মধ্যে চোনার মতো, কিংবা মাছির মতো এবং তাঁরা এমনভাবে বংশবৃদ্ধি করছে, কিছুদিন পরেই তাঁরা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে, তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়াতে কি ওই পদ্ম সম্মানেরই অপমান করা হল না?
ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছরে, যখন চারিদিকে সংবিধান নিয়ে আলোচনা চলছে, তার মাঝেই প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষিত হল এ বছরের পদ্ম পুরস্কার। পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী মিলিয়ে এ বছরের পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা ১৩৯। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা যাঁরা রেখেছেন, তাঁদের সম্মান করার উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার গত ১৯৫৪ সাল থেকে চলে আসছে। শিল্প, সমাজের উন্নতি, মানুষের জন্য কাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পবাণিজ্য, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য, খেলাধুলো– এই সমস্ত বিষয়ে কাজ করে যাঁরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন, মূলত তাঁদের সম্মানিত করার লক্ষ্যেই এই পুরস্কার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই নাম ঘোষণা করা হয়ে থাকলেও, গত কিছু বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিষয়টা কি আদৌ সম্মানের না এই পুরস্কারের পিছনে রাজনীতি আছে?
কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল অভিযোগ করে থাকেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কার প্রথম থেকেই রাজনৈতিক ছিল। ব্যক্তিগত মুখ দেখাদেখি এবং ভালো লাগা, মন্দ লাগা থেকেই বেশ কিছু ব্যক্তি এই পুরস্কার পেতেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে বিষয়টি অনেক বেশি গণতান্ত্রিক হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এই পদ্ম পুরস্কার নাকি মানুষের পুরস্কারে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন নাকি বছরে প্রায় ৫০০০০ আবেদনপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রাপকদের। যে কেউ নাকি, নিজের নাম এবং কাজের উল্লেখ করে, অনলাইনে এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি সেখান থেকে বেছে নিয়ে, পুরস্কার প্রাপকদের নাম প্রস্তাব করে, তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে। তারপর সেই তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রাপকদের নাম। তাঁদের আরও যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কতটা গণতান্ত্রিক, তা বোঝা যায়, যখন দেখা যায়, ওই পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রাক্তন নেতাদের নামও আছে। যখন দেখা যায়, ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, বা বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তরুণ গোগোই কিংবা মুলায়ম সিং যাদবের নাম, তখন তো বাইরে থেকে এটা মনে হতেই পারে, সত্যিই তো এই পুরস্কার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বিষয়টা গণতান্ত্রিক মনে হলেও, রাজনৈতিক নয়– তা একেবারেই বলা যায় না।
……………………………………
সেই সময়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি এই পুরস্কার নিতে ইচ্ছুক নন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আগে আরও অনেকেই এই পুরস্কার প্রত্যাখান করেছেন, তার উদাহরণও আছে। এর আগেও অবশ্য কেরলের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ইএমএস নাম্বুদিরিবাদ, ১৯৯২ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখান করেন। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারও ২০০৫ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখান করে বলেন, তিনি রাষ্ট্রের কোনও পুরষ্কার নিতে অপারগ। বিশিষ্ট লেখক, খুশবন্ত সিং, ১৯৮৪ সালের শিখদের বিরুদ্ধে হওয়া, ‘অপারেশন ব্লুস্টারের’ বিরোধিতা করে ওই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য ২০০৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে, তাঁকে মরনোত্তর এই সম্মান দেওয়া হয়।
……………………………………
২০২২ সালে যখন দেখা গিয়েছিল, পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম রয়েছে এবং গুলাম নবি আজাদের নাম রয়েছে, তখন থেকেই এই নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই সময়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি এই পুরস্কার নিতে ইচ্ছুক নন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আগে আরও অনেকেই এই পুরস্কার প্রত্যাখান করেছেন, তার উদাহরণও আছে। এর আগেও অবশ্য কেরলের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ইএমএস নাম্বুদিরিবাদ, ১৯৯২ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখান করেন। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারও ২০০৫ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখান করে বলেন, তিনি রাষ্ট্রের কোনও পুরষ্কার নিতে অপারগ। বিশিষ্ট লেখক, খুশবন্ত সিং, ১৯৮৪ সালের শিখদের বিরুদ্ধে হওয়া, ‘অপারেশন ব্লুস্টারের’ বিরোধিতা করে ওই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য ২০০৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে, তাঁকে মরনোত্তর এই সম্মান দেওয়া হয়। একসময়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত কাছের এক আমলা, পিএন হাকসরকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়ার কথা ভাবা হয়, এবং সেই মতো তাঁর নামও প্রকাশিত হয়, কিন্তু তিনি ওই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, দেশের জন্য কিছু কাজ করে, তার জন্য পুরস্কার নিতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন। গুলাম নবি আজাদের নাম তালিকায় থাকা প্রসঙ্গে, জয়রাম রমেশ এই বক্তব্যটি টুইট করে বলেন, যে গুলাম নবি আজাদকে পুরস্কার দেওয়া আসলে, কংগ্রেসের অন্তর্গত বিতর্ককে উসকে দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। এর মধ্যে দিয়ে যত না গুলাম নবি আজাদকে সম্মান করা হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি কংগ্রেসকে অপমান করাটাই যে উদ্দেশ্য, তা বেশ বোঝা গেছে।
পুরস্কার প্রত্যাখান বা নিতে অপারগতা দেখানো তো ভিন্নতর বিষয়, কিন্তু এই পুরস্কারের নামের তালিকার মধ্যে যে রাজনীতি আছে, তা কিন্তু শুধু নরেন্দ্র মোদির আমলেই হচ্ছে, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। উল্টে বিষয়টা এখন অনেক গবেষণা করে দেওয়া হচ্ছে, তা বলছেন বহু সমালোচক। গণতন্ত্রের আড়ালে যে আরও বড় রাজনীতি চলছে, তা অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন। এই ২০২৫ সালের নামের তালিকা দেখলে, তা আরও স্পষ্ট হয়। এইবারেও এমন কিছু নাম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকছে। ধরা যাক স্বাধ্বী ঋতম্ভরার নাম এবারের তালিকায় দেখার পরে, অনেকে বলেছেন, যে মানুষ মনে করেন, এবং খোলাখুলি বলেন ভারতবর্ষে মুসলমানরা হচ্ছে দুধের মধ্যে চোনার মতো, কিংবা মাছির মতো এবং তাঁরা এমনভাবে বংশবৃদ্ধি করছে, কিছুদিন পরেই তাঁরা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে, তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়াতে কি ওই পদ্ম সম্মানেরই অপমান করা হল না? কয়েক বছর আগে যখন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহকে ওই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল, তখন বহু মানুষ বলেছিলেন, বাবরি মসজিদ ভাঙার পিছনে, যাঁর প্রত্যক্ষ মদত ছিল, তাঁকে পুরস্কৃত করা গেলে অবশ্য স্বাধ্বী ঋতম্ভরার নাম নিয়ে আর বলার কী থাকে!
বাংলা থেকে এ বছর যাঁদের নাম আছে, তাঁদের নাম নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল, কিন্তু শিল্পক্ষেত্রে মমতা শঙ্কর বা আধ্যাত্মিকতাতে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অন্যতম মুখ স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বা কার্তিক মহারাজ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে অনেকের। মমতা শঙ্কর, তাঁর নৃত্যশৈলীর কারণে যথেষ্ট খ্যাতনামা একজন মানুষ, কিন্তু মহিলাদের নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মহিলাদের ধর্ষণের জন্য তাঁদের পোশাক পরিচ্ছদকে দায়ী করা বা মেট্রো রেলে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াকে নিন্দা করার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর রক্ষণশীল মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এই কারণে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি থেকে শুরু করে বহু মহিলাই তাঁকে সমালোচনা করে বলেছেন, ধর্ষণ একটি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের হাতিয়ার, তার সঙ্গে বয়স কিংবা পোশাকের কোনও যোগাযোগ নেই। ধর্ষণ সংস্কৃতির বিরোধিতা করা জরুরি। সেই মমতা শঙ্করকে পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় রাখার অর্থ যে ওই রক্ষণশীল মানসিকতাকেই তুলে ধরা, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না।
………………………………………………..
পড়ুন অন্য লেখাও: অশরীরী বই কিংবা কানবই-ই কি বাংলা বইয়ের অদূর ভবিষ্যৎ?
……………………………………………….
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, ইউসুফ পাঠান। বিপরীতে ছিলেন, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সময় একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কোনও কোনও সাধু সন্ন্যাসীরা ঈশ্বর সাধনার বদলে রাজনীতি করছেন। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজের দিকে। শুধু ইঙ্গিত নয়, তিনি নাম করেই বলেছিলেন, স্বামী প্রদীপ্তানন্দজি অর্থাৎ কার্তিক মহারাজ যেন এই রাজনীতি বন্ধ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তাঁকে একসঙ্গে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখতে পাওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। সেই সময়ে এই নিয়ে বহু বিতর্ক হয়। সন্ন্যাসীরা কলকাতায় মিছিল অবধি করেন, যে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য হিন্দু ধর্মকে আঘাত করেছে। কিছুদিন আগে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা অঞ্চলে একটি কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজন চরমে ওঠে। পুলিশ তদন্তে নেমে, সায়ন হালদার বলে এক যুবককে গ্রেপ্তার করার পরে জানা যায়, ওই যুবক নরেন্দ্র মোদির ভক্ত এবং কার্তিক মহারাজের শিষ্য। সে সরাসরি জানায়, সে মুসলমান বিদ্বেষী এবং কার্তিক মহারাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত। শুধু বেলডাঙার ঘটনাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার যে কোনও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ জানেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং বিষ ছড়াতে এই কার্তিক মহারাজ কতটা পারদর্শী এবং তিনি যে এই কাজটা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন, তাও একবাক্যে বেশিরভাগ মানুষ স্বীকার করবেন। যে মানুষটার সম্পর্কে এইরকম ধারণা পোষিত আছে, সেই মানুষটাকে পদ্ম সম্মান দেওয়া মানে এই ঘৃণার রাজনীতিকেই আরও পিঠ চাপড়ানো, তা মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগ মানুষ বলছেন। অনেকে বলছেন, বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল না করতে পেরে, বাংলার সামাজিক চিত্রটাকে বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কার্তিক মহারাজকে এই পুরস্কার দেওয়া হল।
যতই বিজেপির তরফ থেকে বলা হোক, মানুষজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের জন্য আবেদন করেন এবং সেই তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রাপকদের, কিন্তু কার্তিক মহারাজ বা মমতা শঙ্করকে পুরস্কৃত করার মধ্যে দিয়ে আসলে সমাজে হিন্দু মুসলমান বিভাজন এবং মহিলাদের প্রতি রক্ষণশীল মনোভাবকে আরও বাড়ানোই হবে। এর পিছনে যথেষ্ট আগাম চিন্তাভাবনা এবং গবেষণা রয়েছে। বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার খুব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই পদ্ম পুরস্কার এবং ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপকদের নাম বাছাই করছে। এই বছরটা সঙ্ঘ পরিবারের একশো বছর, এবং তাঁরা একশো বছর ধরে যে কাজটা করে আসছে, সেই হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করার কাজটা, যার জন্য দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁদের গান্ধী হত্যার পরে নিষিদ্ধ অবধি করেছিলেন, সেই কাজটা যে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে আরও সংগঠিতভাবে করে যেতে পারে, সেই জন্যেই তাঁদের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় স্থান পায়, কার্তিক মহারাজ, কল্যাণ সিংহ বা স্বাধ্বী ঋতম্ভরার মতো মানুষ। এর সামনে গণতন্ত্রের মুখোশ থাকলেও, পিছনে যে রাজনীতি আছে, তা কি নতুন করে বলে দিতে হয়?
১৫ সেপ্টেম্বর মস্কোর উপকণ্ঠে এক বাগানবাড়িতে প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছত্রিশজন কথাশিল্পীদের একটি দল। তাঁরা তাঁকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যতদূর সম্ভব কঠোর ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। পরিবর্তে লেখক ও শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে সরকারকে ব্যাপক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এঁরা কি উস্কানিদাতা?