বামনভাঁড় তো চিরকাল তার প্রতিবেশী আত্মজনের হাতেই অপমানিত হয়েছে। সপ্তদশ শতকের শুরুর দিকে লিখিত দৌলত কাজি-র ‘লোরচন্দ্রাণী’ কাব্যে রাজকন্যা চন্দ্রাণীর বিয়ে হয়েছে ‘নপুংসক’ বামনের সঙ্গে। বামন যতই বীর হোক, রক্ষা করুক চন্দ্রাণীর পিতৃরাজ্য, যৌনঅক্ষমতায় জুটেছে পদে-পদে নিন্দা ও অপমান। কাব্যে বামনের গৌরব ধুলায় লুটোয় শুধুমাত্র যৌনঅক্ষমতার দোহাই দিয়ে।
১৯০৫ সালে প্রকাশিত ‘The Joke and Its Relation to the Unconscious’ গ্রন্থে বলবেন সিগমুণ্ড ফ্রয়েড– ‘চুটকি’ বিশেষ এক ধরনের সৃজন ক্ষমতা। অবচেতন, স্বপ্ন এবং চুটকির মধ্যে একধরনের আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। সর্বোপরি, আমাদের প্রত্যেকের অবচেতনেই একজন ‘জোকার’ রয়েছে।
‘জোকার’-এর প্রসঙ্গটুকু নিয়ে আপাতত ফ্রয়েডের কথা বাদ রাখলাম। রঙ্গ-রসিকতা সমাজের চিরাচরিত রীতি-নীতির বিরুদ্ধে দ্রোহ হতে পারে। স্থিতিস্থাপকতার নামে যা চলছে, অথচ যার দেহ গেছে পচে, সেই মৃত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ জ্বলন্ত প্রতিবাদ। কিন্তু আমাকে যা হাসায় অথবা ভাবায় তার তলে তলে রয়ে যায় কোনও এক ‘অপর’-এর প্রতি বিদ্রুপ, অবজ্ঞা, চাপা ক্রোধ, দ্বেষ আরও কত কী! রয়ে যায় সমাজেরই মান্য মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস। রঙ্গ-রসিকতা আমার-ই অবচেতনের ‘শৃঙ্গার’, ‘বীভৎস’ বা ‘করুণ’-কে বিচিত্র সংমিশ্রণে প্রস্তুত করে। আর অবচেতনের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেই রঙ্গরসিকতার মতো ভয়ানক শৃঙ্খলাবদ্ধ কিন্তু নৈরাজ্যপন্থী বর্গের দেখা মিলবে কম।
আমাদের অন্তঃস্থ জোকারের সুখ, অ-সুখের খেলাটি বড়ই খতরনাক। আমাদের কল্পিত ক্ষমতার সঙ্গেও ‘জোকার’ নিজের মতো আঁতাত করে। রতি এবং বিরতির মেলবন্ধনে ‘জোকার’ অপ্রতিরোধ্য। ‘রতি’র বৃত্ত আক্ষরিক অর্থে যৌনক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়। যুদ্ধ, রাজনীতি, নিত্যদিনের দিনযাপন কোথায় নেই রতির প্রবাহ।
২০২৪-এ উত্তরপ্রদেশে ভোট–বাক্সের খেলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি–র। অনেকেই বলছেন, ‘দেখেছ, রামমন্দির কাজ করল না আর! রোটি-কাপড়া-মকানের রাজনীতি জয় করল বিশ্ব!’ কথাটা ভুল, তা নয়। কিন্তু রামমন্দিরের প্রসঙ্গটি বেশ জটিল। আর এই জটিলতার সঙ্গেই জুড়ে যায় অবচেতনের ‘জোকার’, ‘চুটকি বই’ এবং ‘রামমন্দির’।
হালআমলে ভারতের নানা প্রদেশের গ্রামগঞ্জের মেলা বা শহরে যে সমস্ত আকারে ক্ষুদ্র হাস্যরসের বই বিক্রি হয়, সেখানে ঘুরে ফিরে আসছে রামমন্দির। গ্রন্থে ‘চুটকি’ হিসেবে প্রস্তুত কাহিনিটি হল: অনেক বছর আগে বাবর অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন। কথাটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কী আশ্চর্য, বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, এমন কথা বলা যাবে না। এতে নাকি ধর্মনিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হবে।
অন্তত বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দি এই তিনটি ভাষায় এমন ‘চুটকি’-র রমরমা। যখন মসজিদ, বাবর, বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, এ-সমস্তের সংমিশ্রণ ‘চুটকি’র বিষয় হয়ে ওঠে, তখন সামাজিক স্তরে রামমন্দিরের গ্রাহ্যতা নতুন সংরূপ লাভ করে। আমাদের আত্মস্থ জোকার রঙ্গতামাশা করে বলতে ও ভাবতে শুরু করে, ধুস, তোমরা পণ্ডিতরা কী বলছ, এতে কিছুই যায়-আসে না, আমরা জানি মন্দির ভেঙেই বাবর মসজিদ বানিয়েছে, এই ‘চুটকি’ তার অনুচ্চারিত খিস্তির জোরেই জনপরিসরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। ‘জোকার’ এমন এক কৌমচেতনার জন্ম দেয়, যেখানে সত্যিকারের রামমন্দির হওয়া না হওয়া অবান্তর হয়ে পড়ে।
ব্যক্তির মনোভূমিতেই জোকার রামমন্দির গড়ে চলে। সেখানে রাম আছে না নেই তা নিয়ে ব্যক্তি ভাবিত নয়। বরং বাবরের হাতেই ধ্বংস হয়েছে রামের জন্মস্থান, এই বিশ্বাসের সত্যই ‘ধ্রুব’ হয়ে ওঠে। এই অবচেতনের ‘জোকার’ নিজের মতো যোগ-বিয়োগের অঙ্ক কষে। তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে জুড়ে থাকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, মান-অপমান, লাভ-লোকসান ও আরও হরেক মশলা।
এই পাওয়া–না–পাওয়ার খেলা শুধু অবচেতনের জোকার নয়, কাঠখড়ে গড়া আমাদের সামাজিক জীবনেও উছলে ওঠে। না–দেখা–মেলা ‘জোকার’ আর দেখতে–পাওয়া ‘জোকার’-এ ভেদ রয়েছে, কিন্তু অভেদও কম নয়। আমাদের জিজ্ঞাসা ভেদ–অভেদ নিয়ে নয় বরং ‘জোকার’-এর বৈধতা-অবৈধতা, গ্রাহ্যতা-অগ্রাহ্যতা, প্রতিষ্ঠা-পতন ইত্যাদি নানা প্রতর্কে আবর্তিত।
………………………………………………………….
ভাঁড় নারদ শুধু তার ছলাকলা তথা পারফরম্যান্স নয়, শারীরিক আকারের জন্যেও হাসির পাত্র। ‘বামন’ রূপকে সমাজ ঘোরতর সন্দেহের চোখে দেখে। প্রশ্নটা শুধু ‘বামন’ হাসির পাত্র বলেই নয়, এই উচ্চতার খাটত্ব কেড়ে নেয় আমার অর্জিত প্রাপ্য। যোগ্যতার পরেও আমি হয়ে পড়ে অনধিকারী। অসংখ্য নিষেধের প্রাচীর ঝোলানো হয় বামনের সামনে। বাংলার প্রাক-ঔপনিবেশিক চৈতন্যে নারদই আদি বামনভাঁড় বলা চলে।
………………………………………………………….
চতুর্দশ শতকে লিখিত বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন’ গ্রন্থের শুরুয়াত ভাগেই মিলবে জোকার তথা ‘ভাঁড়’ বেশি নারদের খবর। ভাঁড় আর জোকার সবক্ষেত্রে সমার্থক নয়। ‘ভাঁড়’ এবং ‘জোকার’-এ প্রভেদ আছে, কিন্তু মিলও বিস্তর। বিশেষত ‘জোকার’ একলা হয়, সে নিঃসঙ্গ। ভাঁড়রূপী নারদ তাঁর বটকেরার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে কংসের দরবারে। রাজঅনুগ্রহ পেলেও নানা গুণ এবং শরীরগত কারণে ‘ভাঁড়’ নারদও নিঃসঙ্গ। ভাঁড় নারদের কর্মপ্রবাহ এইরকম: দাড়ি এবং মাথার চুল গেছে পেকে, বামন শরীর আর বানরের মতো বেশ; ব্যাঙের মতো নাচছে নারদ, বিকৃত মুখ আর মতি উন্মত্ত; ক্ষণে ক্ষণে বিনা কারণে হাসে, কানাখোঁড়ার অভিনয় করে; কখনও লাফ দিয়ে আকাশ ধরে, কখনও মাটিতে চিৎ হয়ে পড়ে; মিছিমিছি মাথায় পাথর মারে; জিভের অগ্রভাগ বের করে বোকা ছাগলের মতো শব্দ করে। কংস এবং জনতার হাসি পায় এসব দেখে।
ভাঁড় নারদ শুধু তার ছলাকলা তথা পারফরম্যান্স নয়, শারীরিক আকারের জন্যেও হাসির পাত্র। ‘বামন’ রূপকে সমাজ ঘোরতর সন্দেহের চোখে দেখে। প্রশ্নটা শুধু ‘বামন’ হাসির পাত্র বলেই নয়, এই উচ্চতার খাটত্ব কেড়ে নেয় আমার অর্জিত প্রাপ্য। যোগ্যতার পরেও আমি হয়ে পড়ে অনধিকারী। অসংখ্য নিষেধের প্রাচীর ঝোলানো হয় বামনের সামনে। বাংলার প্রাক-ঔপনিবেশিক চৈতন্যে নারদই আদি বামনভাঁড় বলা চলে।
সপ্তদশ শতকের গোড়ায় রচিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ-এর (১৫৭৫-১৬৫৩ সাধারণাব্দ) ‘বৃহৎ তন্ত্রসারঃ’-এ মিলবে বামনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট সামাজিক নিষেধ। পূজ্য/মান্য ‘স্মৃতি’ শাস্ত্রের উল্টোপিঠে রয়েছে বলে তন্ত্র, তাতে থাকবে না পীড়নের মন্ত্র, এমনটা না ভাবাই মঙ্গল। তন্ত্রের নেই ভাঙনের গান, এমনটা নয়। কে হতে পারে গুরু, তার তালিকা পেশ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, শুধু পুরুষ নয়, মহিলাও হতে পারেন গুরু। কিন্তু এভাবে ‘পুরুষ’ বনাম ‘নারী’ ভাবলে অনেক সমস্যার জট খুলবে না। কারণ, স্পষ্টতই গুরুগিরিতে নেই ‘বিধবা’র অধিকার। একইভাবে হলেও পুরুষ, হোক না উচ্চবর্ণ, আকারে ক্ষুদ্র, ‘বামন’-কে কদাচ গুরুপদে বরণ করা চলবে না। জ্ঞান-ই থাক, অথবা থাক জাত-কুলের মান শুধুমাত্র শরীরের আকারের জন্যই পরিত্যজ্য হয় বামন।
রঙ্গরসের দুনিয়ায় বামনের আগমন মনে করিয়ে দেয় কেমন করে সে নিরুপায়, আবার উল্টোভাবে দেখলে এই দমবন্ধ পথেই শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ। বামন ওরফে ভাঁড় ওরফে জোকার তার প্রতিশোধে নামে। হাস্যরস-ই হয়ে ওঠে তার অস্ত্র। উনিশ শতকে ছাপা বই মারফত ভাঁড়ের মহাসমারোহে প্রকাশ আধুনিক পাঠকবর্গের কাছে। জানুয়ারি ১৮৭৪ সনে রঙ্গরসের পত্রিকা হিসেবে ‘হরবোলা ভাঁড়’-এর প্রকাশ। সাগরপারের ‘পাঞ্চ’ পত্রিকার ঘরানায় পড়বে এই দেশিপত্রের কাঠামো। লেখা নয়, ‘দেখা’ই এর চেতনার ঘর। ‘পাঠ’ক্রিয়ায় দৃশ্যসুখ প্রাধান্য পায়। পাঠক দু’চোখ ভরে ‘ভাঁড়’-কে দেখতে শুরু করে।
প্রথম সংখ্যার অন্ত্যভাগেই ভাঁড়ের যে চেহারা হাজির করা হয় তা আমাদের স্থিতিশীল আমুদে চোখে সুন্দর বলতে যা বোঝায়, তা একেবারেই নয়। আয়তনে বেঁটেখাটো ভাঁড়, কিন্তু তার হাত পা বা বুকের পেশিবহুল মাংস ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চায়। স্পষ্টই ‘হরবোলা ভাঁড়’ অন্তিমের এই বিশেষ ছবিতে যাকে ‘ভাঁড়’ হিসাবে পেশ করে, সে একজন বামন। শৌর্যে, বীর্যে অতুলনীয়। পালোয়ান বামন শরীর নিয়ে চেনা সংরূপ ভেঙে ফেলে। সে নিজে এই গল্পের নায়ক। কিন্তু নায়ক বললেই সুন্দর চেহারার যে সঙ্গতির ধারণা আসে মনে বামনভাঁড় সেই সঙ্গতিতে টানে ছেদ। বামনরূপী ভাঁড় মূর্তিমান অসঙ্গতির প্রতীক।
ভাঁড় বললেই আমাদের মাথায় যার কথা আসবেই আসবে, সে গোপাল ভাঁড়। কিন্তু গোপালের সঙ্গে বামনভাঁড়ের মূল তফাত প্রকাশভঙ্গিমা ঘিরে। গোপাল অনেক বেশি ঠাণ্ডা মাথার, মগজাস্ত্রে তার নিপুণ অধিকার। কিন্তু বামনভাঁড়ের কাছে ক্রোধ বড় হাতিয়ার। ক্রোধের বশে সে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে অনেক সময়। অথবা ক্রোধই তাকে বারবার হাজির করে সেই প্রশ্নের কাছে: বামনের কাছে কোনটা কাণ্ডজ্ঞান? বামনভাঁড়ের বুদ্ধি নেই এমনটা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু গোপালের মতো চালাকি দিয়ে কাজ হাসিল তার না–পসন্দ। পত্রিকার পাতায় রীতিমত কাঁধে মুগুর নিয়ে তার আবির্ভাব। সে ভয় ভাঙানোর গান গাইতে চায়। তার ছবির পাশেই লেখা হয়: ‘রাখো, জোয়ার মুখে ধর্ম্মতরী, সাম্লে ফেল দাঁড়!/ মা ভৈ মা ভৈ! ভয় করো না অভয় দিচ্ছে ভাঁড়!!’
……………………………………………………………
আরও পড়ুন তিতাস সমূহ-র লেখা: খেলিফের ‘পৌরুষ’ বিতর্ক নগ্ন করেছে ট্রান্স-মানুষদের বিরুদ্ধে সমাজের অসূয়াকে
……………………………………………………………
কিন্তু কার থেকে ভাঁড় ‘অভয়’-এর কথা বলে? সময়টা ঔপনিবেশিক কালপর্ব বলেই শত্রু হিসেবে ব্রিটিশ সাহেবের কথা মাথায় আসতে পারে। কিন্তু বামনভাঁড় তো চিরকাল তার প্রতিবেশী আত্মজনের হাতেই অপমানিত হয়েছে। সপ্তদশ শতকের শুরুর দিকে লিখিত দৌলত কাজি-র ‘লোরচন্দ্রাণী’ কাব্যে রাজকন্যা চন্দ্রাণীর বিয়ে হয়েছে ‘নপুংসক’ বামনের সঙ্গে। বামন যতই বীর হোক, রক্ষা করুক চন্দ্রাণীর পিতৃরাজ্য, যৌনঅক্ষমতায় জুটেছে পদে–পদে নিন্দা ও অপমান। কাব্যে বামনের গৌরব ধুলায় লুটোয় শুধুমাত্র যৌনঅক্ষমতার দোহাই দিয়ে। বামনের অস্তিত্বের প্রশ্নই টিকে ছিল শুধুমাত্র এই প্রশ্নে যে, বামন যৌনসক্ষম না যৌনঅক্ষম? বামনভাঁড় শুধু ব্যক্তিএকক নয়, তার ভেতর বেঁচে আছে কয়েক শতাব্দীর অপমান।
অনেক পরে, ১৯২০-র কালপর্বে ফ্রান্সে দানা বাঁধবে সুররিয়ালিজম আন্দোলন। এই আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা লুইস বুনুয়েল আত্মজীবনীর পাতায় লিখবেন ‘বামন’দের নিয়ে তাঁর আগ্রহের কথা। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বুনুয়েলের ‘নাজারিন’ চলচ্চিত্রে অভিনেতা হিসেবে বামনের দেখা মিলবে। বুনুয়েল লিখবেন : বামনরা যথেষ্ট যৌনশক্তিসম্পন্ন। খোদ লেখক এমন মহিলাদের চেনেন যারা বামনদের প্রতি আকৃষ্ট। বুনুয়েলের কথায়: বামনরা-ই নারীকে একইসঙ্গে শিশু এবং প্রেমিকের স্বাদ দিতে পারে। বামনভাঁড়ের এই জীবন আমাদের উপমহাদেশে অনালোচিত রয়ে গেছে।
…………………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………………………
জাতি হিসেবে বাঙালি নির্বাক ছিল না কখনও, তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির দিকচিহ্নগুলিকে আবারও নতুন করে ফিরে দেখা সম্ভব হবে, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীর তাবৎ সংস্কৃতি গবেষণার চিন্তন-ভূগোলে বাংলা ভাষা এবং বাঙালি সাংস্কৃতিক নতুনতর মাত্রা যোগ করবে– এ দাবি অহেতুক নয়।