সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যে ক্ষমতা-বিভাজনের মডেল তৈরি করলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরও একধাপ এগতে পারতেন না মনমোহন? সৃষ্টি করতে পারতেন না আরও বৃহত্তর দাবি? এ-সমঝোতা চলবে ইতিহাসের সঙ্গে। স্নেহে অথবা বিরাগে। সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মরণে বিশেষ নিবন্ধ।
‘আমার প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিন্দুমাত্র লজ্জিত নই আমি’, এ-কথাই বলেছিলেন ড. মনমোহন সিং। গত বছর। অগাস্টে যখন আমাদের দেখা হয়েছিল।
২০১৪। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন সেকেন্ড ইনিংস শেষের পথে, মনমোহন সিং বলেছেন: গণমাধ্যমের তুলনায় ইতিহাস আমার প্রতি স্নেহপ্রবণ হবে। সেই সময়ের কথা, যখন বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁকে, বলা হচ্ছে, ‘দুর্বলচিত্তের প্রধানমন্ত্রী’! যখন এ-কথা প্রায় স্বীকৃত যে, প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রক সোনিয়া গান্ধী।
বিদায়ী বছরের এপ্রিলে, ৯১ ছুঁইছুঁই মনমোহন সিং সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। ৩৩ বছর ধরে রাজ্যসভার সাংসদ তিনি। স্বল্পভাষী, প্রাজ্ঞ, সাবধানী একজন রাষ্ট্রনেতা– নৈঃশব্দ্যের জন্য সমালোচিত যিনি ‘মৌনী বাবা’ নামে! সেই মনমোহন সিং, নেহরু কিংবা গান্ধী পরিবারের সন্তান না হয়েও, টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে পূর্ণ ক্ষমতায় আসীন। এ একেবারে অভূতপূর্ব! অবশ্য নরেন্দ্র মোদি সে রেকর্ড ভেঙেছেন। সম্প্রতি।
রাজনীতির দীর্ঘ যাত্রাপথে, মাত্র একবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মনমোহন সিং। লোকসভা নির্বাচন, ১৯৯৯। দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র। সেই নির্বাচনী যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। শোনা যায়, এই পরাজয়ে কংগ্রেসের কিছু প্রবীণ নেতা দায়ী। মনমোহন সিং, নির্বাচনে জয়প্রাপ্ত একজন জনপ্রিয় নেতা– এহেন ইমেজ তৈরি যেন না হয়, তাই। এরপরে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জর্জরিত মনমোহন সিং, আর কখনও লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি নেননি। এমনকী, ২০০৪ থেকে ২০১৪– যে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, তখনও নয়।
স্বাভাবিকভাবেই, মনমোহন সিং রাজ্যসভা থেকে অবসর নেওয়ার পরে সোনিয়া গান্ধী– জাতীয় কংগ্রেসের রাজস্থান কেন্দ্রের সাংসদ রূপে প্রথমবারের জন্য প্রবেশ করেছিলেন রাজ্যসভার অন্দরে। সেই রাজস্থান, যে রাজ্যের প্রতিনিধি হয়ে শেষবার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রথমবার কোন রাজ্য? অসম।
আমাদের কথোপকথনে, স্পষ্টতই বুঝেছিলাম শাসক দল এবং বিরোধী– দুইয়ের ভেতরে যে অপরিসীম তিক্ততা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী– সেটাই ভাবিয়েছিল তাঁকে। সবচেয়ে বেশি। বলেওছিলেন, এই ধরনের প্রবণতা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।
নম্র স্বভাবের মানুষ থেকে ক্ষমতার চূড়ায়– মনমোহন সিংয়ের এই উত্থান যেন একজন স্বনির্মিত মানুষের গল্প। যে উত্থানের কৃতিত্ব ভারতের অভাবনীয় গণতন্ত্রের। বোধহয় তা ক্ষয় হতে
শুরু করেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত) একটি অনগ্রসর গ্রাম-গাহ্। জন্মগ্রহণ করেছিলেন মনমোহন সিং। গ্রামে কোনও স্কুল নেই। বিদ্যুৎ নেই। নেই কোনও স্বাস্থ্য-পরিষেবা। মাইলখানেক পথ হেঁটে পৌঁছতেন একটি উর্দু-মাধ্যম স্কুলে। এবং রাতের বেলা কেরোসিনের ল্যাম্পই একমাত্র উপায়। তিনি বলেছেন, দুঃস্থ ছাত্রদের জন্য যে স্কলারশিপের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল সেই সময়ে! তাঁর উত্থান সম্পূর্ণরূপেই সে-ব্যবস্থার ওপরে বিস্তৃত।
এমন ব্যক্তির সংখ্যা অত্যন্ত কম, যাঁদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা এত বিচিত্র। দেশের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা থেকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। ভারতের অর্থসচিব থেকে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশনের সভাপতি। অর্থাৎ, দেশের শাসনব্যবস্থার প্রায় সবক’টি শীর্ষস্থানীয় পদের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের গভীর বোধের জন্য, একটা সময় প্যারালাল কমিশানের ডেপুটি চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন মনমোহন সিং।
তা এহেন গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মভার সামলানোর পরে, ১৯৯১ সালে যখন রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হল, যখন পিভি নরসিমা রাও অকস্মাৎ প্রধানমন্ত্রী, তখন ‘টেকনোক্র্যাট’ অর্থমন্ত্রী হয়ে মন্ত্রিসভায় এলেন মনমোহন সিং। শপথ গ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে, নরসিমা রাওয়ের সম্মুখে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট উপস্থিত। এই সময় নরসিমা রাও একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘লাইসেন্স রাজ’ থেকে ভারতের মুক্তি প্রয়োজন, প্রয়োজন অর্থনৈতিক কাঠামোগুলির সংস্কার। অথচ ভারতের হাতে
সীমিত বিকল্প। যেহেতু সোভিয়েত ইউনিয়ন ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং পৃথিবীতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা একমাত্র আমেরিকার হাতে– তাই অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা এবং স্থিতিশীল পর্বে, মনমোহন সিং যথাযথভাবেই সহায়তা করেছিলেন। অর্থনৈতিক উদারীকরণের একজন চ্যাম্পিয়ন তিনি! পরবর্তিকালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে, অর্থনীতির গতিপথকে উচ্চতর বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রসারিত করে দিয়েছিলেন।
২০০৪ সাল। যেন অপ্রত্যাশিত ঘটনাপ্রবাহের সূত্রেই মনমোহন সিং– ‘আকস্মিক প্রধানমন্ত্রী’। সাধারণ নির্বাচনের পরে, জাতীয় কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীকে নির্বাচিত করেছিল। এমনকী, ইউপিএ জোটের সভাপতি হিসেবেও নির্বাচিত সোনিয়া। কিন্তু সরে দাঁড়ালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পদে ‘না’ করলেন।
নিযুক্ত হলেন মনমোহন সিং। ফলস্বরূপ তৈরি হল অদ্ভুত একটি ক্ষমতা-বিভাজনের মডেল। কেমন? সোনিয়া গান্ধী, সমস্ত ‘রাজনৈতিক’ সিদ্ধান্ত সামলাবেন, এবং দেশের ‘শাসনকার্যে’র দায়ভার মনমোহন সিংয়ের (যদিও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং দেশের শাসনকার্য– উভয়ই অবিচ্ছেদ্য)। ক্রমেই ক্ষমতাকেন্দ্রে প্রতিভাত হলেন সোনিয়া। তাই মনমোহনের তুলনায় সোনিয়ার আদেশ-উপদেশই সহকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিল বেশি। যতই তাঁকে এড়িয়ে যাওয়া হোক, মনমোহন সিংয়ের অন্তর্গত একজন মন্ত্রীর কথায়, ‘তবুও তিনি উদার। অবিরাম উদারচেতা একজন মানুষ।’
ঝড়ের মুহূর্তে ঘাস যেমন নুয়ে পড়ে, মাটি কামড়ে থাকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে! বটগাছ কিন্তু সটান দাঁড়িয়ে থেকেও উপড়ে যায়। ঠিক সেভাবেই, মনমোহন সিং সবুজ ঘাসের মতো টিকে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে দশটি বছর।
শুধুই যে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন, এমনটা নয়। মানিয়ে নিতে হয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গেও। যেমন প্রণব মুখার্জি– প্রধানমন্ত্রিত্বের আকাঙ্ক্ষা যাঁর ভেতরে ছিলই, অথচ মনমোহনের অধীনে তিনি। শুনে অবাক হতে হয়, দীর্ঘদিন প্রণব মুখার্জিকে ‘স্যর’ বলে ডেকেছিলেন মনমোহন। প্রধানমন্ত্রী হয়েও।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই, প্রথম যে প্রশ্নের সমাধান প্রয়োজন– সংসদে সোনিয়া গান্ধীর অবস্থান কী! কোথায়ই-বা বসবেন তিনি! কূটনৈতিক সমস্যা। যেহেতু প্রধানমন্ত্রিত্বে ‘না’ বলেছেন সোনিয়া, মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে দারুণ। মনমোহন সিং করবেন কী? পরিত্রাতা হয়ে এলেন প্রণব মুখার্জি এবং সংসদের প্রথম সারিতে, উপযুক্ত একটি আসনেই বসার ব্যবস্থা করেছিলেন সোনিয়ার জন্য।
সেপ্টেম্বর, ২০১৩। একটি প্রেস কনফারেন্স ভেস্তে দিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভা কর্তৃক নির্ধারিত একটি অধ্যাদেশের তুলোধনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সম্পূর্ণ অনর্থক’! সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, যে-সকল সাংসদ কমপক্ষে দু’-বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন, অবিলম্বে চলে যাবে মন্ত্রিসভার সদস্যপদ। অধ্যাদেশটি উচ্ছেদ করেছিল এই রায়! প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে দশ বছর বেঁচেছেন মনমোহন, সেই জীবনে এ-মুহূর্তই সবচেয়ে ভঙ্গুর। সকলে ভেবেছিলেন, পদত্যাগ করবেন। অথচ তা তিনি করেননি।
তবু, একটি বিষয়ে অনড় হয়েই ছিলেন– ইন্দো-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তি, ২০০৮। যে চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুতই একটি কৌশলী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। মনমোহন সিং এবং তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ– দু’জনের কেমিস্ট্রি বড়ই উপভোগ্য। অ-মাইক, আন্তরিক টেক্সাসের মানুষ জর্জ বুশ মুগ্ধ করেছিল মনমোহন সিংয়ের– বুদ্ধিমত্তা, বিনয়, সত্যের প্রতি দৃঢ়তা। জর্জ বুশ সরকারি আধিকারিকদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘মনমোহন সিং কী চাইছেন? তাঁর প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ!’ পারমাণবিক চুক্তির মূলে ছিল দুই দেশের আপন আপন উৎসাহ এবং আমেরিকা চেয়েছিল ভারত যেন চিনের বিপ্রতীপে দাঁড়ায়– তবু বুশ এবং মনমোহনের রসায়ন বিনা এ-চুক্তি হত অসম্ভব! নাছোড়বান্দা উদ্যমেই চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘ হয়েছিল। ৩৯ মাস।
এই সময়েই, মনমোহনের একটি ‘রাজনৈতিক’ চিন্তন সর্বসমক্ষে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ক্ষেত্রে বলেছিলেন, ‘সাম দাম দন্ড ভেদ’। সিদ্ধান্তটি অনেকানেক উন্নত। যেমন সোনিয়া গান্ধীর চেয়ে, যেহেতু প্রথমেই বিরোধিতা করেছিলেন। তেমনই উন্নত বামফ্রন্টের চেয়ে। এ-চুক্তির ফলে বামদলগুলি সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছিল এবং শেষাবধি তেমনটাই করে। সোনিয়া গান্ধীর এক ভীষণ রাজনৈতিক সেক্রেটারি, আহমেদ প্যাটেলের কথায়, ‘আমেরিকার সঙ্গে মৈত্রীচুক্তি যে হবে, তা ডাক্তার সাহেব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে? এ তো পার্টির কাজ।’
সেই মুহূর্তে, সমাজবাদী পার্টি হয়ে ওঠে মনমোহনের বিকল্প সমর্থন। যখন ‘দুর্বলচিত্তের প্রধানমন্ত্রী’ রূপেই পরিচিত হয়ে উঠছেন মনমোহন! দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হবেন কি না– সে ভাবনাও যখন ধোঁয়াশাপূর্ণ একাধিক স্ক্যামের জালে! ঠিক তখনই মনমোহন সিং বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর নিজস্বতা অটুট। হারিয়ে যায়নি কোত্থাও।
কংগ্রেসের অভ্যন্তরে, উচ্চস্তরের বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীর প্রতি বিরক্তই ছিলেন মনমোহন। তবু আমজনতা কিংবা মিডিয়ার সামনে তা প্রকাশ পায়নি। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বহুসময় হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ‘পদত্যাগ করুন!’ তবু তাঁকে সরায়, কার সাধ্যি!
জীবনের শেষ দিনগুলোর কথা বলি। যখন সিধে হয়ে বসে থাকতেন চেয়ারে, যখন গলার স্বর অত্যন্ত ক্ষীণ, শোনা দুঃসাধ্য! তারপরেও মস্তিষ্কটি সদাই সচেতন। কংগ্রেস-সংক্রান্ত একটিও নেতিবাচক কথা বলতে অনিচ্ছুক। জিজ্ঞেস করা হল সেই বিতর্কিত প্রসঙ্গটি। রাহুল গান্ধী যে অধ্যাদেশটি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, সে অধ্যাদেশ তো রাহুলের নিজের পার্টিই জারি করে! তাহলে কেন পদত্যাগ করলেন না আপনি সেই সময়? মনমোহন বলেন, রাহুল আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছিল।
মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকে আচ্ছন্ন সমগ্র ভারত। তাঁকে মনে রাখা হবে এমন একজন মানুষ হিসেবে– যিনি রাজনীতির মঞ্চে নম্র এবং ভদ্র, যিনি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জনক এবং প্রথম ও একমাত্র সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী, শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত।
কিন্তু মোক্ষম প্রশ্নটি হল: সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যে ক্ষমতা-বিভাজনের মডেল তৈরি করলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরও একধাপ এগতে পারতেন না মনমোহন? সৃষ্টি করতে পারতেন না আরও বৃহত্তর দাবি? এ-সমঝোতা চলবে ইতিহাসের সঙ্গে। স্নেহে অথবা বিরাগে।
ঋণ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস