মাত্র দুই বছর বয়স থেকে পোলিও জনিত কারণে আমার দুই পা কোমরের নিচ থেকে অচল হয়ে যায়। সুস্থ স্বাভাবিক হাঁটাচলার অভিজ্ঞতা আমার নেই। অচল দু’টি পা নিয়েই শুরু হয়েছিল অন্য লড়াই। অন্যান্য অপ্রতিবন্ধী বন্ধুবান্ধবদের মতো আমার মনের মধ্যেও যে প্রেমের চেতনা ভীষণভাবে বিদ্যমান ছিল, তা খুব সহজে টের পেতাম। তবে মননের একাকিত্ব দূর করার উপায় খুব একটা ছিল না। সেই অভাব দূর করতে এগিয়ে আসে শ্রাবন্তী গায়েন। সমাজমাধ্যমে আমাদের আলাপ। সেই আলাপ ধীরে ধীরে গভীরতা লাভ করে এবং একে অন্যের জীবনের পরিপূরক হয়ে উঠি। তবে বন্ধুত্বের প্রথম থেকে আমরা একে-ওপরের সুবিধা-অসুবিধা বা দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম।
‘দিবস রজনী, আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি’?– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৮৮) এই গানের মাধ্যমে প্রেমের প্রতি মানুষের আকুলতা সহজে উপলব্ধি করা যায়। মানব জীবনের সঙ্গে প্রেম ওতপ্রোতভাবে সংযুক্ত। তবে কারও আশায় থেকে জীবনকে একাকিত্বের মধ্যে কাটিয়ে দেওয়ার প্রবণতা প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের জীবনে নতুন কিছু নয়। ‘প্রথমে রূপের বিচার’ করতে চাওয়া এই অপ্রতিবন্ধকতার সমাজব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষেরা যে ‘পছন্দ’-এর তালিকায় তেমন কোনও স্থান পায় না, তা নিয়ে বোধহয় সন্দেহ থাকতে পারে না। তবে ‘বিবাহ’ নামক প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষের উপস্থিতি একেবারে নগণ্য নয়। তবে প্রাক্ বিবাহ পর্বে প্রতিবন্ধী মানুষদের সেইভাবে প্রেমরসে নিমজ্জিত হতে দেখা যায় না। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, সত্যিই কি ‘প্রেম’ নামে অবয়বের সঙ্গে প্রতিবন্ধকতার সম্পর্ক রয়েছে?
এই জগতে যারা একটু অন্যরকমের, অর্থাৎ যাদের আপাতভাবে সুস্থ বা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় না, যাঁদের অঙ্গহানি বা অঙ্গচ্যুতি জনিত কারণে ‘তথাকথিত’ প্রতিবন্ধদশার মধ্য দিয়ে জীবন ইতিবাহিত করতে হয়, যাঁদের আমরা সহজ ভাষায় ‘প্রতিবন্ধী’ বলে চিহ্নিত করে থাকি, তাদের জীবনে প্রেমের ধরন নিয়ে প্রেম দিবসে কৌতূহল আসা অস্বাভাবিক নয়। তবে তাদের জীবনেও প্রেম আসে এবং সেই প্রেমের বহিঃপ্রকাশ অন্য ধরনের চেতনার মধ্যে প্রবাহিত হয়।
প্রেম কতটা মানসিক বা কতটা শারীরিক বা কতটা আধ্যাত্মিক, তা নিয়ে ‘সম্পর্ক বিজ্ঞান’-এর আঙিনায় অন্তহীন বিতর্ক চলতে পারে। আবার সব প্রেমের পরিণতিও সমান হয় না। তবে এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রেম বা ভালোবাসা প্রধান উদ্দেশ্য যে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ, তা নিয়ে খুব একটা বিতর্ক নেই। প্রেমে বাধা আসে– একথা নতুন নয়। আবার প্রতিবন্ধকতার আভিধানিক অর্থ ‘বাধা’। প্রতিবন্ধী মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হতে হয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষের জীবনে সেই বাধা যে দ্বিগুণ হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে প্রতিবন্ধী মানুষদের জীবনে প্রেমের চেতনা অনেকাংশে কল্পনার স্তরে সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
……………………………………………………………
সেই জগতে প্রেম, পরিণয় এবং পরিবার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আমার দৃশ্যত প্রতিবন্ধকতা। অন্যান্য অপ্রতিবন্ধী বন্ধুবান্ধবদের মতো আমার মনের মধ্যেও যে প্রেমের চেতনা ভীষণভাবে বিদ্যমান ছিল, তা খুব সহজে টের পেতাম। তবে মননের একাকিত্ব দূর করার উপায় খুব একটা ছিল না। বন্ধুবান্ধব ও অগ্রজরা উপদেশ দিতেন এমন একজনকে ভালবাসো, যে তোমাকে গ্রহণ করবে, তোমাকে বুঝবে এবং সবকিছু উপেক্ষা করে তোমার জীবন বরণ করে নেবে।
…………………………………………………………….
মাত্র দুই বছর বয়স থেকে পোলিও জনিত কারণে আমার দুই পা কোমরের নিচ থেকে অচল হয়ে যায়। সুস্থ স্বাভাবিক হাঁটাচলার অভিজ্ঞতা আমার নেই। অচল দু’টি পা নিয়েই শুরু হয়েছিল অন্য লড়াই। অদম্য জেদ ও দৃঢ় মানসিক প্রত্যয়ে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম তোমাকে একদিন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এমতাবস্থায় জীবনে আগত সমস্ত বাধা দূর করার চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম হাঁটাচলার বাইরে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা আমাকে দমিয়ে দিতে পারে না। হামাগুড়ি দিয়ে যাতায়াত করে একে একে অতিক্রম করেছি বিদ্যালয় থেকে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি। দীর্ঘ সংগ্রাম এবং লড়াইের পথ অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করে কলেজের অধ্যাপনার চাকরিতে যোগদান করলাম। এই চাকরি আমার কাছে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম ধাপ। আমার বিশ্বাস ছিল এই সিঁড়ি বেয়ে আমি তথাকথিত মূলস্রোতের সমাজে মর্যাদাপূর্ণ জীবনে প্রবেশের ছাড়পত্র পেতে পারি।
সেই জগতে প্রেম, পরিণয় এবং পরিবার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আমার দৃশ্যত প্রতিবন্ধকতা। অন্যান্য অপ্রতিবন্ধী বন্ধুবান্ধবদের মতো আমার মনের মধ্যেও যে প্রেমের চেতনা ভীষণভাবে বিদ্যমান ছিল, তা খুব সহজে টের পেতাম। তবে মননের একাকিত্ব দূর করার উপায় খুব একটা ছিল না। বন্ধুবান্ধব ও অগ্রজরা উপদেশ দিতেন এমন একজনকে ভালবাসো, যে তোমাকে গ্রহণ করবে, তোমাকে বুঝবে এবং সবকিছু উপেক্ষা করে তোমার জীবন বরণ করে নেবে। তোমাকে বুঝতে হবে ‘ভালোবাসা’ মানে শুধু অন্ধ আকর্ষণ নয়। সবদিক বিবেচনা করে তোমাকে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পড়াশোনা বা চাকরি জীবনে সাফল্য লাভ করলেও প্রেম, পরিণয় ও পরিবার তৈরির চেতনায় সমাজের চোখে বারবার উপেক্ষিত হয়ে ছিলাম। সেই অভাব দূর করতে এগিয়ে আসে শ্রাবন্তী গায়েন। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার ফতেপুরের বাসিন্দা। ২০১৭ সালে মাঝামাঝি সময়ে সমাজমাধ্যমে আমাদের আলাপ। সেই আলাপ ধীরে ধীরে গভীরতা লাভ করে এবং একে অন্যের জীবনের পরিপূরক হয়ে উঠি। যদিও আমরা কেউ একে ওপরকে কোনও দিন প্রথাগতভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিইনি। আসলে প্রেম বরাবরই নীরবে আসে। তবে বন্ধুত্বের প্রথম থেকে আমরা একে-ওপরের সুবিধা-অসুবিধা বা দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে আমাদের প্রথম দেখা এক মফসসল এলাকায়। আজকের দিনেও মফসসল এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক একজন প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধীর মেলামেশা খুব একটা স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয় না। ফলে আমাদের মনের মধ্যে এক চাপা আতঙ্ক কাজ করছিল। একদিকে লোকসমাজের মনোভঙ্গি এবং অন্যদিকে আপাতভাবে অস্বাভাবিক ‘প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী’র সম্পর্ক আদৌও পূর্ণতা পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। সত্যি বলতে, এই ধরনের সংশয় দূর করতে আমার স্ত্রী যতটা এগিয়ে এসেছিল, হয়তো ততটা আমি পারিনি। ওর ধারণা ওর সাহস ছিল খুব স্পষ্ট। শ্রাবন্তী বলেছিল, ‘আমি যদি একেবারে তথাকথিত সুস্থ সবল এবং হাঁটাচলায় সক্ষম এক মানুষকে বিয়ে করার পরের দিন সে যদি প্রতিবন্ধকতার জীবনে প্রবেশ করে, তখন কি তাঁকে আমি ত্যাগ করতে পারব? বিয়ের পরে যা অসম্ভব, বিয়ের আগে সেটা সম্ভব নয় কেন। এই যুক্তি দিয়ে তিনি যেমন তার পরিবারকে রাজি করিয়েছিল একই সঙ্গে আমাদের সমাজকেও ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি তাঁর জীবন দিয়ে বুঝিয়েছেন মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা আসলে একটি স্তর বা পর্যায় মাত্র, তা যে কোনও মানুষের জীবনে যে কোনও মুহূর্তে দেখা দিতে পারে।
এইভাবেই শুরু হল আমাদের দু’জনের পথ চলা। তবে দেখাসাক্ষাৎ বা মেলামেশার খুব একটা অবকাশ ছিল না। আমরা দু’জনেই থাকতাম মফসসল এলাকায়। খোদ কলকাতা শহরের পার্কে বা সিনেমা হলের দরজার সামনে প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী যুগলদের দেখলে যেখানে কটূক্তির বন্যা বয়ে আসে, সেখানে গ্রাম্য পরিবেশে বা মফসসল এলাকার চিত্র যে অতীব ভয়ংকর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে বিনোদনমূলক এলাকায় সাধারণভাবে প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রবেশে আপাত নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করার সাহস অর্জিত হয়নি। আমাদের দু’জনের মেলামেশা বা দেখা করার ক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ প্রতিবন্ধকতা ছিল, যা অতিক্রম করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ বা পরিস্থিতি ছিল না। তাই প্রথম আলাপ থেকে আমরা দু’জনে সদা সচেতন ছিলাম যে যতটা সম্ভব লোকসমাজ থেকে দূরে গিয়ে দেখা করতে। তাই আইনের চোখে যতই সমানাধিকার বা সমান অংশগ্রহণের জন্য চিৎকার করি না কেন, প্রেম বা ভালোবাসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মানুষেরা, এখনও তা থেকে বহু যোজন দূরে।
আমাদের প্রেমে বরাবর শারীরিক চাহিদা অপেক্ষা মানসিক স্থিরতা গুরুত্ব লাভ করে। ছ’মাসের মধ্যে উভয় পরিবারের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিণয়ের দিকে এগিয়ে যায়। সত্যি বলতে, আমাদের মতো মানুষেরা প্রাক্-বিবাহ প্রেম অপেক্ষা বিবাহ পরবর্তী প্রেম অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ে’র ‘দ্বিধা’ উপন্যাসে প্রতিবন্ধী ‘সুমন’-এর সঙ্গে অপ্রতিবন্ধী ‘রেখা’র কিংবা আবুল বাশারের ‘স্পর্শের বাইরে’ উপন্যাসে প্রতিবন্ধী ‘ঈশান’-এর সঙ্গে অপ্রতিবন্ধী ‘অপর্ণা’র প্রেমের ক্ষেত্রেও সমরূপ প্রতিচ্ছবি দেখা দিয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে আরও দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধী সুমন বা ঈশানের জীবনে প্রেমের প্রস্তাব এসেছে অপ্রতিবন্ধী রেখা ও অপর্ণার কাছে থেকে। এই ধরনের উপস্থাপনার সঙ্গে বাস্তবে আমার জীবনেও সাযুজ্য দেখা যায়। সমাজমাধ্যমেও বন্ধুত্বের প্রথম আহ্বান এসেছিল আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে।
প্রেমের সঙ্গে যৌনতার সম্পর্ক অতি নিবিড়। সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক দু’টি মানুষ তাদের হরমোনের প্রয়োজনে বা শারীরিক চাহিদায় একে-ওপরের কাছে আসার বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা রয়েছে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষেরা যৌনভাবে অক্ষম। ফলে আমাদের দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে লোকসমাজে এমনকী, আমাদের পরিবারের তরফেও সুস্থ যৌনতা বা সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে বারেবারে। এদিক থেকেও আমার স্ত্রীর উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক ছিল। উনি সাহসের সঙ্গে জবাব দিয়েছিল– ‘অনেক তথাকথিত সুস্থ সবল মানুষেরাও সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। আমাদের যদি সেই রকম কিছু হয়, তাহলে আমাদের অদৃষ্ট দায়ী থাকবে’। আমিও ওকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম– সন্তান উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা যে কোনও বাধা হতে পারে না, তা নিয়ে অজস্র বৈজ্ঞানিক যুক্তি রয়েছে। তপন সিনহার ‘হুইল চেয়ার’ সিনেমার শেষ দৃশ্যের কথা স্মরণ করে মনে মনে আনন্দ অনুভব করতাম যেখানে দেখানো হয়েছিল একজন হুইল চেয়ারে আবদ্ধ প্রতিবন্ধী নারীকে তথাকথিত অপ্রতিবন্ধী মানুষ বিবাহের প্রস্তাব প্রদান করলে উপস্থিত ডাক্তারবাবু সদর্পে বলেছিলেন ‘ওর মধ্যে সন্তান উৎপাদন সক্ষমতা’ রয়েছে। এই দৃশ্যটি আমাদের মতো প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের জীবনে সঞ্জীবনী সুধার মতো কাজ করেছিল। ফলশ্রুতি আমাদের ছয় বছরের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান আমাদের প্রেমের শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
আমাদের দু’জনের অসম প্রেমের কাহিনি রূপকথার থেকে কোনও অংশে কম নয়, শুরুর দিকে আমরা যখন একে-ওপরের দিকে ভরসার হাত বাড়িয়ে ছিলাম, তখনও জানতাম না একদিন আমরাও ‘রোমিও-জুলিয়েট’ বা ‘লাইলা-মজনু’র মতো প্রেমের এক অন্য আখ্যান রচনা করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমান সংখ্যাধিক্যের অপ্রতিবন্ধী সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমরা নিজেদের জীবন দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি প্রেমের শক্তির কাছে শারীরিক অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা কোনও অংশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। শুধুমাত্র প্রেম দিয়েই আমরা ‘প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী’র অন্তর্ভুক্তির জয়গান গাইতে সক্ষম হয়েছি।
…………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………….