জনগণের মনের ভিতর লক্ষ বছরের ঘাপটি মেরে থাকা হিংসার জিন প্রজ্জ্বলিত হবে না তো কী? আত্মরক্ষায় উদরপূর্তিতে সে দলবদ্ধভাবে পশুহত্যা করেছে, জমির অপপ্রতুলতায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে মেতেছে, এখন সে অপ্রয়োজনের লালসায় ছ’মাসের কন্যা শিশুটিকে রক্তাক্ত করেছে, উচ্চ মাধ্যমিক অনুতীর্ণ সাধারণ এক গৃহবধূ পিসিশাশুড়িকে টুকরো টুকরো করে কেটে সুটকেস বন্দি করেছে। অতি উচ্চবিত্ত এক পরিবার বিলাসবহুল জীবনযাপনের ঋণ মেটাতে না পেরে নিজের হাতে প্রিয় কন্যা স্ত্রী আত্মীয়দের শিরা কাটছে। কিশোর পুত্র-সহ নিজেরা উন্মাদ গতিতে গাড়ি চালিয়ে আত্মহত্যা করতে চলেছে। মাঝে মাঝে সতর্কবাণী আসে, যেভাবে ধূমকেতুর আছড়ে পড়া থেকে ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল সেভাবেই কোনও না কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে সবসময় ধেয়ে আসছে।
প্রচ্ছদ শিল্পী: অর্ঘ্য চৌধুরী
বাল্যাবস্থা থেকে প্রাক-শৈশব অবধি, যেসব ঘটনা আবছা ভাবে এখনও মনে থেকে গিয়েছে তার মধ্যে ছিল মফস্সল শহরের খ্যাতনামা মাস্তানদের গল্প। ‘কংসাল’ শব্দটি শোনার আগেই শহরের কুখ্যাত ‘কংসাল শ্যাম’-এর আট টুকরো লাশ কোনও এক পাড়ায় নর্দমার ধারে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। শহর থেকে হেঁটে গেলে আধ ঘণ্টার মধ্যে সীমান্তের ওপারে এক যুদ্ধ চলছে তখন, আবার এ পারে আরেক শ্রেণি যুদ্ধ। এই সব সময় ফাঁকতালে অন্ধকার মন তার উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে নেয়। শ্যামের খ্যাতির নেপথ্যে অবশ্য তার মোহন বাঁশিটিও ছিল। শহরের মক্ষীরানি গঙ্গুদিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিবাহে এই যজ্ঞে ঘি পড়ল আরও। তখন ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ শব্দটি চালু হয়নি । রাক্ষস বিবাহের পৌরুষত্ব বেশ প্যাশনগন্ধী ছিল। এ হেন শ্যামের সমাজ শোধনের কোটায় নরহত্যা খানিক জায়েজ হয়ে উঠেছিল শহরে। এমন গুন্ডাদের উত্তর পুরুষের গল্প কলকাতা ফেরত বাবার মুখে প্রায়ই উত্তেজিত হৃদয়ে শুনতাম। খিদিরপুরের যে মেসে ছাত্রাবস্থায় বাবা ও তার বন্ধু ট্রাম ইউনিয়নের নেতা ও কবি দুর্গাদাস সরকার থাকতেন, তাদের এলাকার খ্যাতনামা সব চোর, গুন্ডা ছিল তাঁদের অতি পরিচিত। একবার ওই এলাকায় বাবার ঘড়ি চুরি যাওয়ায় এবং ঘটনাটি তাদের নেতার কানে চলে যাওয়ার পর পত্রপাঠ ফেরত তো পেয়েছিলেনই, সঙ্গে তখনও শিক্ষানবীশ হাফ গুন্ডাটিকে নাকখত দিতে হয়েছিল!
এসব গুন্ডাদের নৃশংসতার পাশে তাদের এক ধরনের শেরউড বনের রবিনহুডের ইমেজ ছিল। খানিক পেশার গর্ব ছিল তাদের। সমাজে স্পষ্ট কর্ম বিভাজন ছিল। তখন স্কুল মাস্টার অলস বা তৎপর যাই হোন না কেন, শেয়ার মার্কেটে বন্ডের কারবারি ছিলেন না। উকিল ছিলেন না হিমঘরের আলু-ব্যাপারি, ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন না জমির দালাল। এমনই পাশের বাড়ির জাঁকালো কাকু, বা মিষ্টি দিদি বা হৃষ্ট জামাইবাবু কস্মিনকালেও ‘খুনি’ বা ‘গুন্ডা’ ছিলেন না। এক একটা রোমহর্ষক ঘটনা যে ঘটত না, তা নয়। পাশের জল শহরে বেশ উচ্চবিত্ত পরিবারের এক ভদ্রলোক, তাঁর স্ত্রীকে টুকরো করে কেটে ট্রাঙ্ক বন্দি করেছিলেন। আলোড়ন পড়ে গেছিল সর্বত্র! ‘ব্যতিক্রমী’ ঘটনা বলেই চিহ্নিত হয়েছিল সেটি।
এখনকার ডার্ক ওয়েবের মতো শহরের ওপরের তল ও পাতালে চিরকাল দু’টি ভাগ ছিল। জমি, চিনা পণ্যের সীমান্ত পার, শনি মন্দির, সাট্টার ঠেক ইত্যাদি হিস্যা সংক্রান্ত সমস্যা অবশ্যই ছিল। এবং তজ্জনিত দু’-চারটে লাশ ভোরের শহরকে ভূমিকম্পের মতোই নড়িয়ে দিত। কিন্তু মনমোহনীয় জমানা পূর্বে জীবনের চাকচিক্য তেমন আর কোথায় ছিল যে, মন আঠার মতো সেখানে সাঁটতে চাইবে? ওই তো ভীমের মতো বরাভয়দানকারী অ্যাম্বাসাডর আর ফিয়াট, প্রিমিয়ার পদ্মিনী, ল্যান্ডরোভার, ব্র্যান্ডেড কাপড় মানে, বোম্বে ডাইং ,টিমটিম করে জ্বলছে পন্ডস, লিরিল,মার্গো, লাক্স, রণে-বনে আছড়ানিতে বোরোলিন, আর জুতোর ব্যাগে বাটা। এই যে মাঝখানে একটা প্রযুক্তির জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব হয়ে গেল, পেজার থেকে মোবাইল ফোন হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্কুট– ওই অবধি সমাজ মাধ্যমে মোটামুটি একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু কোভিডের সময় থেকে জনগণের হাতে চলমান ফোন যখন বাধ্যতামূলক উঠে এল, এক প্রবল ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়ে গেল। এই উপভোক্তাদের অধিকাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদীক্ষিত। ফোনটি যে একান্তই কাজের, শুধুমাত্র বিনোদনের বস্তু নয়, তা শিক্ষা দেওয়ার মতো কেউ থাকল না। বদলে তাদের ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে, উল্লম্ফনে নর্তন কুর্দন নিয়ে বহুজাতিক ঝাঁপিয়ে পড়ল।
পাঠকের মনে হবে ধান ভানতে শিবের গীত চলছে। কিন্তু এই যে একটা ‘জার্নি’, পথ চলা, এর মধ্যেই প্রযুক্তির আশীর্বাদের সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপের দিকটিও ঢুকে পড়ল। সমাজমাধ্যমে অক্ষর পরিচয়হীন, বিদ্যাচর্চাকে অস্বীকার বা তাচ্ছিল্য করা, এমন এক বড় জনপিণ্ডের এক রকমের ক্ষমতায়ন ঘটল বলা যায়। প্রথমত নিজেকে প্রকাশের ইচ্ছাপূরণ হল তাঁর। উচ্চকোটির মানুষ যাকে তুচ্ছ মনে করেছে, সেই শাক চচ্চড়ি থেকে গরুর দুধ দোয়া, দিদার উনুনে মাছ পোড়া, কয়লা ভাঙা থেকে ঘুঁটে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করতেই তাঁরা বিস্ময় দেখলেন, পৃথিবী জুড়ে হাঁ করে সবাই তা গিলতে শুরু করেছে। আবার এই চর্চাটি থেকে অর্থাগম শুরু হওয়ায় প্রবণতাটি চলে গেল এক বিপদজনক এবং নৈরাজ্যের দিকে। মোদ্দা কথা– সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবী জুড়ে যে ‘বাড়িয়ে দিল তার হাত’, নিভৃতে ঘরের ভিতর, সে গোয়ালঘর থেকে আঁতুর– হাতছানি হয়ে গেল মুহূর্তে জলের মতো সহজ, প্রচলিত সমাজ কাঠামো তাতে নড়তে শুরু করে দিল। এমতাবস্থায় শুধুমাত্র আলোর চর্চা হবে, এমনটা তো নয়। অন্ধকারের পাখি তার ডানা মেলে উড়ে এসে বসল ইনবক্সে। যোগাযোগের বিস্ফোরণ ঘটে গেল!
আমরা অভূতপূর্ব এক হিংসার ঘটনা দেখতে শুরু করলাম চারপাশে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডও ঘোল খেয়ে যাবে বর্তমানের অপরাধ মনস্কতায়। মানুষের মনের ভিতর যে ঈর্ষা-হিংসা-দ্বেষ, তাকে মানুষ প্রশমিত করে রাখে কখনও ‘ঈশ্বর’ নামে কল্পনার নীতি দেবতাটিকে আশ্রয় করে, কখনও পরিবার-পরিজনের প্রতি স্নেহ-দুর্বলতা-ভালবাসায়, কখনও সমাজরক্ষায়। আর এই নীতিবোধের শিক্ষা বা চর্চা, চলে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অথবা প্রজন্মবাহিত পারিবারিক শিক্ষায়। দুঃখের বিষয়– এই দুই ব্যবস্থাটিই প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে। যেখানে কোনও ধরনের বাধা নিষেধ, সম্পাদনা বা প্রয়োজনীয় সেন্সরশিপ থাকে না, সেখানে চূড়ান্ত নৈরাজ্য তৈরি হতে বাধ্য! আমরা তাই দেখলাম হিংসার অবাধ চর্চা, কু-কথার অন্ধকার জগৎ প্রকাশ্যে উঠে এল। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে যথেচ্ছ গালিগালাজ নয়, ধর্মের আচারের অযৌক্তিক দিক দেখিয়ে দেওয়া মানে অভক্তি বা কুৎসা প্রদর্শন নয়, এসব ভাবার মতো স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি লোপ পেয়েছে বলেই মনে হয়। ন্যায় নীতি আলু-পটলের মতো দৃশ্যমান বস্তু নয়, সমাজে সুস্থভাবে, শান্তিতে থাকবে বলে মানুষই তা তৈরি করেছিল। শুধুমাত্র তার অপব্যবহারের দিকটি নির্দেশ করে, আমরা ভালো দিকগুলি তুচ্ছ করলাম। একটি অবস্থাকে পরিহার করলাম, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থাটি ভাবলাম না। তার ফলাফল যা হওয়ার তাই হল। বলতে দ্বিধা নেই, প্রজা রাজাকে অনুকরণ করে। একজন ঘুষখোর বা অপরাধীও সিনেমা হলে বসে বাদাম ভাজা বা পপকর্ন খেতে খেতে ভিলেনের পরাজয় দেখে। মোটেই সে আইন অবমাননাকারীর জয় দেখেনি বলে দুঃখিত হয় না। তার হিরো থাকে সলমান, শাহরুখ, রনবীর, কিন্তু এখন প্রাণ, রঞ্জিত, আমজাদ, শক্তি কাপুরদের জয়লাভ দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তারা। এখন আপাত শান্ত, নির্বিরোধী স্বামীর ভয়ানক খুন ষড়যন্ত্রের জয় দেখতে দেখতে ওটিটির ওয়েব সিরিজে অপরাধীর সাত খুন মাফ হয়ে যায়। নির্বাচিত রাজা তার দলবল মন্ত্রী পরিষদের কোনও অপরাধের শাস্তি হয় না। বরং তারা ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি’ এমন হুমকিতে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যখন সর্বোচ্চ নেতার সাম্প্রদায়িক আস্ফালন প্রকাশ্য হিংসার পথে নেমে আসে সাধারণ জনগণ তাদেরই অনুসরণ করবে এই তো স্বাভাবিক! জনগণের মনের ভিতর লক্ষ বছরের ঘাপটি মেরে থাকা হিংসার জিন প্রজ্জ্বলিত হবে না তো কী? আত্মরক্ষায় উদরপূর্তিতে সে দলবদ্ধভাবে পশুহত্যা করেছে, জমির অপপ্রতুলতায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে মেতেছে, এখন সে অপ্রয়োজনের লালসায় ছ’মাসের কন্যা শিশুটিকে রক্তাক্ত করেছে, উচ্চ মাধ্যমিক অনুতীর্ণ সাধারণ এক গৃহবধূ পিসিশাশুড়িকে টুকরো টুকরো করে কেটে সুটকেস বন্দি করেছে। অতি উচ্চবিত্ত এক পরিবার বিলাসবহুল জীবনযাপনের ঋণ মেটাতে না পেরে নিজের হাতে প্রিয় কন্যা স্ত্রী আত্মীয়দের শিরা কাটছে। কিশোর পুত্র-সহ নিজেরা উন্মাদ গতিতে গাড়ি চালিয়ে আত্মহত্যা করতে চলেছে। মাঝে মাঝে সতর্কবাণী আসে, যেভাবে ধূমকেতুর আছড়ে পড়া থেকে ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল সেভাবেই কোনও না কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে সবসময় ধেয়ে আসছে। পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব সময়ের ভগ্নাংশের একচুল এপার-ওপারের ওপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু মহাজাগতিক এই অনিবার্য হত্যার আগেই মানুষ আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে চলেছে। এ যেন সেই কৃষ্ণের দেখা যদুবংশ ধ্বংসের আত্মবিনাশকারী মানবদল। জাটিঙ্গার পাখির মতো অগ্নিকুণ্ডের দিকে আত্মনিক্ষেপের অসহায় প্রস্তুতি।
………………………
একজন ঘুষখোর বা অপরাধীও সিনেমা হলে বসে বাদাম ভাজা বা পপকর্ন খেতে খেতে ভিলেনের পরাজয় দেখে। মোটেই সে আইন অবমাননাকারীর জয় দেখেনি বলে দুঃখিত হয় না। তার হিরো থাকে সলমান, শাহরুখ, রনবীর, কিন্তু এখন প্রাণ, রঞ্জিত, আমজাদ, শক্তি কাপুরদের জয়লাভ দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তারা। এখন আপাত শান্ত, নির্বিরোধী স্বামীর ভয়ানক খুন ষড়যন্ত্রের জয় দেখতে দেখতে ওটিটির ওয়েব সিরিজে অপরাধীর সাত খুন মাফ হয়ে যায়। নির্বাচিত রাজা তার দলবল মন্ত্রী পরিষদের কোনও অপরাধের শাস্তি হয় না। বরং তারা ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি’ এমন হুমকিতে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যখন সর্বোচ্চ নেতার সাম্প্রদায়িক আস্ফালন প্রকাশ্য হিংসার পথে নেমে আসে সাধারণ জনগণ তাদেরই অনুসরণ করবে এই তো স্বাভাবিক!
………………………
আগে আপনি চাইলে চোর-গুন্ডা-খুনির সঙ্গে মেলামেশা থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে পারতেন। এখন পাশের বাড়ির দাদা-দিদি, বাড়িতে আসা আয়া, মালি, রেস্তরাঁয় বসা বস বা অধস্তন, চক্ষে হারানো প্রেমিকা বা প্রেমিক, কে কখন খাবারে বিষ দেবে, টুক ঠেলে ফেলে দেবে ক্যানালের জলে, সেপটিক ট্যাঙ্কে সিমেন্ট গাঁথা হয়ে পড়ে থাকবেন আপনি, ভোরের শিউলি তলায় আপনার কাটা মুন্ডু ঊর্ধ্ব পানে চেয়ে থাকবে কিছুই জানেন না আপনি, হয়তো এর বিনিময়ে একখানি কুড়ি হাজার টাকার মোবাইল ফোন, হাজার পঞ্চাশের সোনার চেন, একখানি স্কুল ব্যাগ, অথবা স্রেফ একটা কলহ, ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত অপমান– ‘কারণ’ হয়ে থেকে যাবে।
………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………….
যাঁরা আধমরাদের ঘা দিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিল, বেশিদিন বাঁচতে পারেননি নিজেরা। ‘স্বামী’ ও ‘সংসার’ নামক বিষাক্ত গহ্বর তাঁদের টেনে নিয়েছিল। এই লেখা ফরোগ ফরোখজাদ ও সিলভিলা প্লাথকে নিয়ে। তাঁদের চেতনার রং ধারণ করে জ্বলেছে আলো– পুবে-পশ্চিমে। আমরা চোখ মেলেছি আকাশে– আমরা শুনছি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এই দুই নক্ষত্রের সংলাপ।