E-Robbar
আজ ভারতীয় সিনেমার শরীরে যখন বাসা বাঁধছে গোয়েবেলসীয় প্রোপাগান্ডা, তখন সেই ছয়-সাতের দশক থেকে কারণে-অকারণে, প্রেমে-বিরহে, স্কুলকলেজ বা অফিস কাটিয়ে বা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সিনেমা হলের আশ্রয় যারা নিয়েছে, তারা জানে অন্ধকারের মহিমা। শেষ হল জনতা সিনেমা হল।
প্রিয়ক মিত্র ও
নতুন প্রজন্মের নতুন প্রেমের সৌধ তৈরি হল ‘তুম সে হি’ বা ‘আওগে যব তুম’-এর সুরে। আদিত্য আর গীত নয়া কর্পোরেট ভারতে দাঁড়িয়ে থাকা সেই যুগল, যারা প্রেমকে দেখতে শিখবে এক নতুন অ্যাডভেঞ্চারের দৃষ্টিতে, যা ততটাও বৈষয়িক নয়।
সমিরা মখমলবাফ শতাব্দীর শুরুতেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ডিজিটাল বিপ্লব বদলে দেবে সিনেমার ভবিষ্যতের খোলনলচে।
বিয়েবাড়ির নহবতে সানাইয়ের সিডি বেজে উঠছে, বদলাচ্ছে মেনু, লুচির জায়গা নিচ্ছে লাচ্চা পরোটা, ভিয়েন বসছে না আর, ক্যাটারার এসে জেঁকে বসছে।
নব্বই জুড়ে পণ্যর বিজ্ঞাপন যেমন খুড়োর কল ঝোলাচ্ছিল উপভোক্তার সামনে, তেমন স্বপ্নের নায়কও দর্শকদের থেকে দূরে চলে যাচ্ছিল একটু একটু করে।
তিনটি বিষয় গোটা ছবিটিকে নিয়ন্ত্রণ করে গেল। এক, জমি বা ভূখণ্ডের হকদার থাকা, দুই, উৎপাদিত কৃষিদ্রব্যর ওপর গ্রামবাসীর অকৃত্রিম অধিকার ও লুটেরাদের সঙ্গে লড়াই, ও তিন, গ্রামজীবনের সারল্য ও তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকা তীব্র আত্মমর্যাদাবোধ।