E-Robbar
একটা টান, বুঝলি তো, এইভাবে, রংটা কেন দিলাম ধরতে পারলি? কবজি ছেড়ে দে, শক্ত করলে তুলি চলবে না, বুড়ো আর তার পাশের আঙুল দুটো তুলি ধরার সময় শক্ত, বাকি তোর কথা শুনে নড়বে চড়বে। ছড়ানোর সময় মনে রাখবি কতটা জায়গা পাবি। মুখ চলতে থাকবে, কান শুনতে থাকবে, আঙুল নড়তে থাকবে।
শুভেন্দু দাশগুপ্ত ও
কালের করাল গ্রাসে শহর ও শহরতলিতে বাঙালির ছোট রথগুলিতে আর সেই শিল্পের মাধুরী নেই। এখন তার শরীর গোটাটাই রঙিন সেলোফেনে মোড়া। কাঠের বদলে সেখানে স্থান পেয়েছে প্লাস্টিকের ঘোড়া।
শুভঙ্কর দাস ও
মৃত পুত্রকে জড়িয়ে ধরে জননীর সে আর্তিঘেরা ক্যাথের ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। ক্যাথের অজস্র ছবির মধ্যে আরেকটি– দুঃস্বপ্নের জেগে ওঠা– অন্ধকার নিশুতি রাত্রে এক অসহায় মা, আলো নিয়ে রাশি রাশি মৃতদেহ থেকে নিজের ছেলের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।
সুশোভন অধিকারী ও
যেহেতু আমি লেখক নই, তাই এটা মূলত লেখা-চর্চা। অক্ষর, শব্দ, বাক্য, ব্যাপারটা তো সবার মনের মধ্যে আছেই। অগোছালো, অসংগঠিতভাবে আছে। সব মাধ্যমেই স্রষ্টা এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেটুকু জানার, বোঝার একটা মস্ত সুযোগ হল এখানে।
সমীর মণ্ডল ও
কাগজের নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন গোপালবাবু। তারপরে বিদ্যুৎগতিতে দ্রুত ব্রাশ চালিয়ে আঁকলেন একটি গাছ এবং দু’-একটা ডালপালা, কাগজের মাঝখান থেকে একটু বাঁদিকে। ততোধিক দ্রুততায় আঁকলেন একটি কালো রঙের পাখি, মুন্ডুটা গলার কাছে কুঁচকে এনে, এক্ষুনি যেন লাফিয়ে ডানা মেলে টেক অফ করবে সে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া ছেড়ে ‘সানডে অবজার্ভার’-এ যোগ দিলেন প্রীতীশদা। কাগজকে পপুলার করার জন্য উনি জুড়ে দিলেন সিনেমা বিভাগ। আমাকেও সঙ্গে জড়িয়ে নিলেন। দিলেন পুরো ব্রড সিটের একটা ফুল পেজ, যেখানে ফিল্মস্টারদের মুখ আঁকতে হবে। কাগজ যেমন পপুলার হল, আমিও তেমনই পপুলার হয়ে গেলাম মুম্বইয়ে।
তর্কের খাতিরেই ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেছেন। পরে শিক্ষার আপাতসরল অভিগমন বদলে গেছে অনুসন্ধানে। ইন্টারন্যাশনাল কোরেস্পন্ডেন্স স্কুল থেকে প্যাসাডেনা আর্ট মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণ বিভাগ। অজস্র স্কেচ, ড্যুডলিং, ন্যুড, সেমিন্যুড, ওয়াটার কালার। সংশয় থেকে বিস্ময়ে উত্তরণে ক্রমশ উপলব্ধি করেছেন– সত্যের ঈশ্বর বলে কিছু নেই, কণিকার অবস্থার মতো তা কেবল একটি তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা মাত্র।
গৌরবকেতন লাহিড়ী ও