রং দেখার যে চোখ, অর্থাৎ রং দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা, আর রঙের সৃজনশীলতা– এ দু’টি ঈশ্বরপ্রদত্ত গুণ ওঁর ছিল। একজন শিল্পীর সঙ্গে তাঁর শিল্পের একটা যোগসূত্র গড়ে ওঠা প্রয়োজন। ছবিও কিন্তু শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে, বলতে চায়। ওঁকে দেখতাম– এমন তন্ময় হয়ে আঁকতেন, মনে হত, ছবির রেখা, রং, ছবির চরিত্ররা ওঁর সঙ্গে ক্রমাগত কথা বলছে।
এগজিবিশনের ব্যাপারটায় যে আভিজাত্য, প্রকাশই তা প্রথম ভাঙল। চারুশিল্পর ক্ষেত্রে শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরের কিছু, সেটাও বোধহয় সে মানতে চায়নি। সেই কারণেই তো বলেছিল, তার আর্ট জনগণের আর্ট, ফুটপাতও তাদের সামনে আর্টকে তুলে ধরার উপযুক্ত স্থান হতে পারে এবং শিল্পী সমাজের তথাকথিত আভিজাত্যের লক্ষণে আঘাত করতে চায়।
মুখোমুখি বসে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন অতুল বসু। কিন্তু কোথায় যেন অতৃপ্তি ছিল। সেই ছবি সম্পর্কে একটা খুঁতখুতানি যেন লেগে ছিল মনে। তাই জীবন-সায়াহ্নে এসে চেতনার রঙে রবীন্দ্রনাথকে আঁকলেন। আঁকলেন তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিকৃতিচিত্রটি।
সুনীল দাসের ঘোড়ার ড্রইংয়ে কিন্তু সরলরেখার স্থান নেই। সবই বক্ররেখা। যাকে আমরা বলি, লিরিক্যাল লাইন। অথচ পশ্চিমের ধাঁচে, আধুনিক শিল্পে যে স্ট্রাকচার, ছবির জমিকে ধরে রাখার কথা বারবার বলা হয়েছে সেটাও পাচ্ছি পুরোপুরি। সেটা কী করে হল?
জাপানি ‘কিমোনো’ আর তিব্বতি ‘বোকু’-কে মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে বিখ্যাত জোব্বা, সে পরিকল্পনা ছিল গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের। আজ, ১৮ সেপ্টেম্বর গগন ঠাকুরের জন্মদিন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved