বাঙালি এখন আর মেরুদণ্ড বলে না, শিরদাঁড়া বলে। তাদের বেতো শরীর। ব্যথা হয়ে যায়। মাটিতে সাষ্টাঙ্গে শুয়েও শিরদাঁড়ায় টান লাগে। তাই আজকাল মাঝে মাঝে শিরদাঁড়াটি খুলে বাঙালি রোদে শুকোতে দেয়।
এই বাড়িটি পাঁচের দশকের মধ্যভাগ থেকে ‘মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাঠভবন পূর্ববর্তী ছাত্রদের মন্টেসারি স্কুল। দু’-বছর খেলা পড়া আর গানের এক আনন্দময় দিনযাপনের পর শিশুরা পাঠভবনে যায়।
দশমীতে বেজে উঠুক হিংসা-বিসর্জনের ঢাক। শত-সহস্র লক্ষ-কোটি। দেশ-দেশান্তর, নদী-পর্বত সাতসমুদ্র, সব মহাদেশ জুড়ে।
মৈত্রেয়ী দেবীর বিপদটা হয়ে গেল ওই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই। যেখানে রবীন্দ্রনাথের কোনও যোগাযোগ বা অনুষঙ্গ থাকবে, স্বাভাবিকভাবেই অরণ্যের দীর্ঘতম শালবৃক্ষের মতো তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে উঠবেন।
সরলার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অবস্থান ঠাকুরবাড়ির পরিচিত নারীত্বের খোপের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলেছে। পরিবারনির্দিষ্ট গণ্ডির ভিতরে নিজের রাজনৈতিক বোধকে বেঁধে রাখেননি বলেই নয়। পরিবারে প্রথম একা একা চাকরি নিয়ে মহীশূরে পড়াতে চলে গেছেন। রাজনৈতিক কার্যকলাপে নেপথ্যচারিণী ‘অনুপ্রেরণা’ হিসেবে নয়, সরাসরি নেত্রী হিসেবে লোকসমক্ষে এসে দাঁড়িয়েছেন বারবার।
সাহানা দেবী বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়ে তাঁর দেশবরেণ্য মামাবাবুর আক্ষেপ– ‘কী রে ঝুনু, তুইও পায়ে শিকল পরলি? আমি ভেবেছিলাম মুক্ত বিহঙ্গের মতো তুই শুধু গান গেয়েই বেড়াবি, তা দেখছি তোর পায়েও বেড়ি পড়ল।’ অথবা রবীন্দ্রনাথের স্থায়ী আশঙ্কা যে, বিয়ের পরও সাহানা দেবীর গানে অনুরাগ অমলিন থাকবে কি না– ‘তোমাদের মেয়েদের হয় বিয়ে, নয় গান, দুটোর মাঝামাঝি কিছু নেই।’ এই আশঙ্কা কি মহৎ ব্যক্তি মানুষের গভীর ব্যর্থতাবোধ?
শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।
যে-সমাজে মেয়েদের নাচ গর্হিত অপরাধ, সেখানে প্রতিমা তার হাল ধরেছেন। যেখানে 'বাল্মিকী প্রতিভা' প্রভৃতি গীতিনাট্যে শুধুই অল্প হাত নাড়ানো হত, সেখানে প্রতিমা সাহসিনী হয়ে নৃত্য যুক্ত করলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।
যার কাঁধে চেপে স্কুলে যেতেন জগদীশচন্দ্র বসু। পাঁচ বছর বয়সে জগদীশের জন্য একটি ঘোড়া কেনা হয়। ডাকাতের কাঁধ থেকে সেই টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ফরিদপুর শহর।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved