Robbar

Rabindranath Tagore

শীতের শান্তিনিকেতনকে নান্দনিক করে তুলেছিল আলপনা উৎসব

৮ পৌষের প্রতিষ্ঠাদিবস পালনের জন্য এই আলপনা চলত মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত। ছাতিমতলা থেকে শুরু করে ‘শান্তিনিকেতন বাড়ি’, ‘আম্রকুঞ্জ’, ‘ঘণ্টাতলা’, ‘মাধবীবিতান’ যেন আমার সমস্ত নান্দনিক ভাবনা-চিন্তার উৎসক্ষেত্র হয়ে উঠত। আম্রকুঞ্জ হয়ে উঠত ছবির পট– আমার সকল আনন্দের উৎস।

→

বিধাতার চিত্রনাট্যকে শোধরানোর চেষ্টা করেননি গদার

সুমনের ‘পাগল’ বিধাতার সঙ্গে সাপ-লুডো খেলছিল– আমরা সবাই খেলছি। গদার হেরে-যাওয়া খেলায় শেষ পর্যন্ত ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি’ লড়েননি– তিনি ‘এই মাত্র! আর কিছু নয়’-কে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছেন। বোর্ড উল্টে দিয়েছেন অতর্কিত ‘কাট্’-এ।

→

‘ছড়ার ছবি’ নাকি ছবির ছড়া?

রবীন্দ্রনাথ বহুদিন ধরেই দেখে আসছেন সত্যি-মানুষের চলাচলের জগৎ। ‘ছড়ার ছবি’তে এসে তারা ঘটিয়ে বসল এক সাংঘাতিক কাণ্ড! নন্দলালের ছবি তাঁকে দিয়ে ৩২টি ছড়াই লিখিয়ে নিল না শুধু, সৃষ্টি করিয়ে নিল একরাশ সত্যি-মানুষ।

→

যে আশ্রম রবীন্দ্রনাথ সারাজীবন ধরে চেয়েছেন, আদৌ তা পেয়েছিলেন কি?

আকাশ দেখতে সুবিধে হবে ভেবে একসময় কোণার্ক বাড়িতে চৌকির উপর চেয়ার চাপিয়ে সূর্যাস্ত দেখবার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। সেই কবির আশ্রমে আকাশ ক্রমশ ফালা ফালা হয়ে গেল বড় বাড়ির স্থাপনায়। আশ্রম-সংলগ্ন অন্য বাড়িগুলির বা অধুনা শান্তিনিকেতন উপনগরীর কথা যদি বাদ দিই, খোদ উত্তরায়ণের আকাশই খণ্ডিত হয়ে গেল।

→

রবীন্দ্রনাথ এ যুগের রামায়ণ রচনা করে রেখেছেন গীতবিতানে!

শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘ, কলকাতা শাখার পক্ষ থেকে ১৩৯০ বঙ্গাব্দে অন্নদা মুন্সীকে আহ্বান করা হয়েছিল ২৫ বৈশাখের জন্মোৎসব ভাষণের জন্য। সেই ভাষণ এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

→

আশ্রমের কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে কখনও কখনও সুরুলের নির্জনতায় আশ্রয় নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ

জীবনের শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও যেন এক অভিমান নিয়েই সুরুলে চলে গিয়েছেন। বাস করেছেন তেতলার ঘরে, যেটিকে এখন ‘কবিকক্ষ’ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিভাবিকা প্রতিমা দেবী এতে খুবই বিপন্ন বোধ করেছেন।

→

গুরুদেবের রেখাচিত্র আর চার-পঙ্‌ক্তির নিবেদনে শুরু হয়েছে সলিল চৌধুরীর তেতাল্লিশের নোটবই

রবীন্দ্র-উত্তর পর্বের একদম গোড়ার দিকে শিল্প-সাহিত্যের সৃজনবোধে জারিত তরুণ বঙ্গমননে তাঁর মোহাচ্ছন্নতা একরকম স্বাভাবিক নিয়মেই এসে দাঁড়িয়েছিল। সলিল চৌধুরীও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে ‘পরমাত্মীয়’ মেনে ‘অশৌচ’ পালন হয়তো খানিক ব্যতিক্রমীই।

→

ওকাকুরা আর প্রিয়ম্বদার প্রেম: জাপানি ছবির বিষণ্ণ অপেরা

প্রিয়ম্বদা তখন চল্লিশোর্ধ্ব আর ওকাকুরা পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে। শান্ত, শুভ্র, করুণ শঙ্খের মতো অথচ দীপ্তিময় প্রিয়ম্বদাকে দেখে মন হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রিয়ম্বদা যেন সূক্ষ্ম রেখা ও হালকা রঙে আঁকা এক জাপানি ছবির মতো। শোনা যায়, ‘শ্বেত কমল’ নামে তাঁর একটি ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।

→

ছোটদের অলংকরণ কেমন হতে পারে, ‘সহজ পাঠ’ তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ

আজ ১৪ নভেম্বর, শিশুদিবস। শিল্পী প্রণবেশ মাইতি, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ নিয়ে। গড়ে তুলেছেন বাংলা অলংকরণের ইতিহাস। এখন তিনি ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন শিশুসাহিত্যের অলংকরণ নিয়ে একটি প্রামাণ্য বই গড়ে তুলতে। রোববার.ইন-এ শিশুদিবস উপলক্ষে রইল প্রণবেশ মাইতির বাংলা শিশুসাহিত্যের অলংকরণ বিষয়ক কথাবার্তা।

→

রবীন্দ্রনাথের শেষ জন্মদিন পালিত হয়েছিল উদয়নে

উদয়ন বাড়ির ভেতরের বড় ঘর ও বারান্দা ছিল শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। শান্তিনিকেতনের উৎসব অনুষ্ঠানের স্টেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। নৃত্যনাট্য বা নাটকের মহড়াও বসত প্রধানত এ বাড়িতেই।

→