শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।
যে-সমাজে মেয়েদের নাচ গর্হিত অপরাধ, সেখানে প্রতিমা তার হাল ধরেছেন। যেখানে 'বাল্মিকী প্রতিভা' প্রভৃতি গীতিনাট্যে শুধুই অল্প হাত নাড়ানো হত, সেখানে প্রতিমা সাহসিনী হয়ে নৃত্য যুক্ত করলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।
যার কাঁধে চেপে স্কুলে যেতেন জগদীশচন্দ্র বসু। পাঁচ বছর বয়সে জগদীশের জন্য একটি ঘোড়া কেনা হয়। ডাকাতের কাঁধ থেকে সেই টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ফরিদপুর শহর।
রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সাজাদপুরের কাছারিবাড়ি এবং পতিসরের কাছারিবাড়ি এখন মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত। এই সব বাড়ির পাশাপাশি তিনি কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জলপথে, বোটে। তাঁর অতিপ্রিয় পদ্মাবোট তো ছিলই চঞ্চলা ও চপলা এই দু’টি ছোট নৌকোতেও তিনি যাতায়াত করেছেন। যার কিছুটা অংশ কুঠিবাড়িতে রাখা আছে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন কথাগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াক, মানে হাঁটতে শিখুক। আর এ-তো সবারই জানা, সারা দিন সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতি মুহূর্তে যা জন্মাচ্ছে তার নাম ‘কথা’। এমনকী নৈঃশব্দ্যও একরকম কথা। ‘সেইরকম ভাবেও কি আমরা কথা বলতে পারি না, সুমন্ত?’ পারি না-পারি শিখতে দোষটা কোথায়!
সিকিমের পথের ধারে পাথরের ওপর খোদাই করা একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলাম একবার। শ্যাওলায় জীর্ণ, ফাটল ধরেছে গায়ে, কিন্তু সেই একরত্তি ফাটলের মধ্যে থেকেও মাথা তুলে ফুটে রয়েছে লাল টুকটুকে উদ্ধত একটি গোলাপ। ভাঙা বিগ্রহের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ওই ছিল প্রকৃতির জীবন্ত প্রতিবাদ।
আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।
যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?
একজনের রক্তের গহন থেকে আকুলতা: ‘হে বন্ধু,আছো তো ভালো?’ অন্যজনের পথচলতি কথকতা: ‘'এতদিন কোথায় ছিলেন?’
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved