Robbar

Rabindranath Tagore

শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম

শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।

→

গানের স্বরলিপির মতো নাচের মুদ্রালিপির কথা ভাবতেন প্রতিমা দেবী

যে-সমাজে মেয়েদের নাচ গর্হিত অপরাধ, সেখানে প্রতিমা তার হাল ধরেছেন। যেখানে 'বাল্মিকী প্রতিভা' প্রভৃতি গীতিনাট্যে শুধুই অল্প হাত নাড়ানো হত, সেখানে প্রতিমা সাহসিনী হয়ে নৃত্য যুক্ত করলেন।

→

মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে: আমার মা সন্‌জীদা খাতুন

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।

→

ফরিদপুর শহরে জগদীশের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন এক জেলখাটা দুর্ধর্ষ ডাকাত

যার কাঁধে চেপে স্কুলে যেতেন জগদীশচন্দ্র বসু। পাঁচ বছর বয়সে জগদীশের জন্য একটি ঘোড়া কেনা হয়। ডাকাতের কাঁধ থেকে সেই টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ফরিদপুর শহর।

→

সৃষ্টিশীল রবীন্দ্রনাথ শুধু নন, কর্মী রবীন্দ্রনাথকেও নির্মাণ করেছিল পূর্ববঙ্গের বাসস্থানগুলি

রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সাজাদপুরের কাছারিবাড়ি এবং পতিসরের কাছারিবাড়ি এখন মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত। এই সব বাড়ির পাশাপাশি তিনি কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জলপথে, বোটে। তাঁর অতিপ্রিয় পদ্মাবোট তো ছিলই চঞ্চলা ও চপলা এই দু’টি ছোট নৌকোতেও তিনি যাতায়াত করেছেন। যার কিছুটা অংশ কুঠিবাড়িতে রাখা আছে।

→

কথা শেষ হতে পারে, ‘শেষ কথা’ বলে কিছু হয় না

সুভাষ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন কথাগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াক, মানে হাঁটতে শিখুক। আর এ-তো সবারই জানা, সারা দিন সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতি মুহূর্তে যা জন্মাচ্ছে তার নাম ‘কথা’। এমনকী নৈঃশব্দ্যও একরকম কথা। ‘সেইরকম ভাবেও কি আমরা কথা বলতে পারি না, সুমন্ত?’ পারি না-পারি শিখতে দোষটা কোথায়!

→

ভাঙা বিগ্রহ জানান দেয়, সৌন্দর্যের শত্রুরা আজও বর্তমান

সিকিমের পথের ধারে পাথরের ওপর খোদাই করা একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলাম একবার। শ‍্যাওলায় জীর্ণ, ফাটল ধরেছে গায়ে, কিন্তু সেই একরত্তি ফাটলের মধ‍্যে থেকেও মাথা তুলে ফুটে রয়েছে লাল টুকটুকে উদ্ধত একটি গোলাপ। ভাঙা বিগ্রহের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ওই ছিল প্রকৃতির জীবন্ত প্রতিবাদ।

→

দেখা হলে বলে দিও, আজও বেঁচে আছি

আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।

→

ডালহৌসি পাহাড়ের বাড়িতেই দেবেন্দ্রনাথের কাছে রবীন্দ্রনাথের মহাকাশ পাঠের দীক্ষা

যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?

→

‘বনলতা সেন’ কবিতার দিকে তাকালে মনে হল এই সৌন্দর্য চর্চা আমাদের আয়ত্তের বাইরে ছিল প্রথম থেকেই

একজনের রক্তের গহন থেকে আকুলতা: ‘হে বন্ধু,আছো তো ভালো?’ অন্যজনের পথচলতি কথকতা: ‘'এতদিন কোথায় ছিলেন?’

→