Robbar

RATAN THIYAM

মানুষের আনন্দ, কষ্ট বা বিপন্নতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি রতন থিয়ামের থিয়েটার

থিয়েটারকে আমরা জেনে এসেছি সর্বশিল্পের সমন্বয় বলে। রতন থিয়াম ছিলেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কী জানতেন না তিনি? আধুনিক কালে বিদেশের যেসব বিদেশি নাট্য প্রযোজকের নাম আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করি, তাঁদের দলে এই মণিপুরী মানুষটিও পড়েন– একথা ভেবে বুক আনন্দে, গর্বে, ভরে ওঠে।

→

রতন থিয়াম থিয়েটারের আকিরা কুরোসাওয়া

রতন থিয়াম খুবই ভদ্রলোক এবং নাটকের খুঁটিনাটি ব্যাপারে ভয়ানক খুঁতখুঁতে। অভিনেতা কিংবা অভিনেতা নয়– এমন লোকজন দিয়েও তিনি করিয়ে নিতে পারতেন থিয়েটারের আশ্চর্য সব কাণ্ডকারখানা– নাচ, অভিনয়– এবং গোটা থিয়েটারটাকেই খুব জ্যান্ত বলে মনে হত। মনে হত, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’।

→

রতন থিয়ামের নাট্যকেন্দ্র আসলে এক যৌথখামার, গানের ও নাটকের শিকড়ের মানুষদের তিনি একত্র করেছিলেন

রতন থিয়ামকে প্রথম দেখেছিলাম ‘নান্দীকার’-এর জাতীয় উৎসবে। যখন আমরা ‘হয়ে উঠছি’, আমাদের যৌবনে, তখন জাতীয় নাট্যোৎসবে জব্বর প্যাটেল, বিজয় মেহ্‌তা– সব ধরনের পরিচালকের কাজ দেখেছি। কিন্তু রতন থিয়ামের কাজ দেখে একেবারে ‘থ’ মেরে গিয়েছিলাম।

→

কীরকম থিয়েটারকর্মী হতে চাই, রতন থিয়ামকে প্রথমবার দেখেই স্থির করেছিলাম

যৌথ ভাবে থেকে থিয়েটারের জার্নির মধ্যে দিয়ে অভিনয়কে আবিষ্কার করা এবং কোথাও কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদেরকে আত্মনির্ভর ভাবে গড়ে তোলা, যাতে নিজেদের সৃষ্টির প্রতি দায়বদ্ধ থাকা যায়, সেই ইচ্ছাশক্তিকে মনে গেঁথে দিতে পেরেছিলেন রতন থিয়াম, পেরেছিলেন ‘কোরাস রেপার্টারি থিয়েটার’-এর চলনের মধ্য দিয়ে।

→

থিয়েটার ভিলেজ গড়ে নাট্যকর্মীদের বেঁচে থাকার পথ প্রথম দেখিয়েছিলেন রতন থিয়াম

রতন থিয়ামের কাজ দেখার সুযোগ পাই ইম্ফলে, যখন তিনি ‘কোরাস রেপার্টারি থিয়েটার’ সংগঠনে ‘ভিলেজ থিয়েটার’-এর কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। সময়টা সম্ভবত নয়ের দশকের গোড়ার দিক। সারা ভারত থেকে নানা নাট্যদলকে রতন ওই থিয়েটার ভিলেজ দেখার জন্য ডাকে। কলকাতা থেকে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমি আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম সেখানে।

→