যে বিএলও’দের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল কমিশনের, সেই কমিশন কি তাঁদের কোনওরকম সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে? ২০০২ সালেও যে পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় সংশোধন হয়েছিল, সেই সময়েও কি এই সমস্ত বিএলওর নম্বর অঞ্চলের সবাই জানত?
আকাশ দেখতে সুবিধে হবে ভেবে একসময় কোণার্ক বাড়িতে চৌকির উপর চেয়ার চাপিয়ে সূর্যাস্ত দেখবার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। সেই কবির আশ্রমে আকাশ ক্রমশ ফালা ফালা হয়ে গেল বড় বাড়ির স্থাপনায়। আশ্রম-সংলগ্ন অন্য বাড়িগুলির বা অধুনা শান্তিনিকেতন উপনগরীর কথা যদি বাদ দিই, খোদ উত্তরায়ণের আকাশই খণ্ডিত হয়ে গেল।
আমার জ্যাঠামশাই, শান্তিদেব ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথের শোকের গান প্রায় নেই, থাকলেও খুব কম। তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যা প্রিয়জনদের এত মৃত্যু সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি মৃত্যুর গান মৃত্যু থেকে উত্তরণের গান।’ বলতেন, ‘কেঁদে ভাসিয়ে দিলে এই গানের প্রতি বিচার করা হয় না।’ অর্থাৎ ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ অংশটা কেউ সাংঘাতিক টেনে টেনে করুণ সুরে গাইলে তা আদপে অর্থহীন। আসল কথা হল– ‘তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’।
এর আগে ফরাসি দেশে বা প্যারিতে শুধু পাবলিক লাইব্রেরি ছিল। সেখানে একমাত্র বসে বই পড়া যেত বলে, বিশ শতকের সভ্যতা এসে গেলেও কোনও সময়ই মহিলারা ঠিক সাহিত্যের পাঠক হয়ে উঠতে পারেননি। আদ্রিয়েঁ তাঁর দোকান-কাম-লাইব্রেরিতে বহু সংখ্যক ফরাসি মহিলাকে শুধু বই নিতে ও ফেরত দিতে জড়ো করে ফেলেছিলেন।
গ্রামোফোন কোম্পানির ধ্বনি-প্রযুক্তিবিদ ফ্রেডারিক উইলিয়ম গেইসবার্গের নির্দেশে বাংলা থিয়েটারের ‘নেপোলিয়ন’ অমরেন্দ্রনাথ দত্তর ক্লাসিক থিয়েটারের গায়িকা-অভিনেত্রী শশীমুখীকে নিয়ে আসা হল যন্ত্রটির সামনে। সাগরপারের একটি চোঙামুখো হরবোলা যন্ত্রের উপস্থিতিতে বাঙালির নিছক বিনোদনী-গীতবিলাস ঠাঁইবদল করল সংগীত-সংস্কৃতিতে।
‘চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু’ বইটি প্রকাশের পরে পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া পড়ে যায়। দু’-মলাটের মধ্যে ঋত্বিকের এতগুলো লেখা এর আগে কখনও আসেনি। তবে এ-কাজটিও সুরমা বউদি এবং ঋতবান ঘটকের সাগ্রহ অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব হত না।
সাম্প্রতিক সমীক্ষার দেখা গিয়েছে নবপ্রজন্মের কিশোর বয়সেই মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়া, যৌনতার প্রতি লালসা এবং অপরাধ জগতের প্রতি মারাত্মক ঝোঁক বেড়েছে। যা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বয়েস হয়তো বছর সাতেক। পিঠের বোতাম ছেঁড়া জামার ওপরে পুরনো রং ওঠা সোয়েটার, দিনের মধ্যে বারতিনেক ওয়ার্ডে হইচই বাঁধে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে। প্রতিবারই পাওয়া যায়, সে পালিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালের পাশে রাস্তার ওপরে বসা বাজারে।
সোশ্যাল মিডিয়া কি তার মতো আরও হাজারো ছেলেমেয়ের উপর পারফরম্যান্স প্রেশার বা একরৈখিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতা তৈরি করছে? না কি প্রকৃত জীবনে নিজেকে প্রকাশ করতে না পেরে ভার্চুয়াল দুনিয়া তাকে মুক্তির স্বাদ দিতে সক্ষম? এই প্রশ্ন হয়তো একুশ শতকের সবচেয়ে জরুরি ইস্যু।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved