যখন সম্পূর্ণ অপরিচিত কেউ কাউকে তীব্র ঘৃণার সহযোগে ‘বাংলাদেশি’ বলে তাহলে তার মানে দাঁড়ায়– সে এদেশের নাগরিক নয়। যাঁরা দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে করে এদেশে এসে কোনও মতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে নিজেদের শ্রম, ঘাম, রক্ত দিয়ে দেশ গড়ে চলেছেন– এই কথায় তাঁদের খুব খারাপ লাগে। আমার জন্ম বাংলাদেশে না হলেও এই কথার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই।
হোমারের মনে একটা ভয়ংকর প্রশ্ন: কবিতা শয়তানের? নাকি ঈশ্বরের? কে তাঁকে অনর্গল জুগিয়ে যাচ্ছে কাব্যের ভাষা? পাপ না পুণ্য? মঙ্গল না অমঙ্গল? আলো না অন্ধকার? স্বর্গ থেকে নেমে আসা আশীর্বাদ? নাকি নরক থেকে উঠে আসা দহন?
ধর্মরাজের প্রতীক হিসাবে কুকুর মহাভারতেই মান্যতা পেয়েছিল। বেদ-উপনিষদ-পুরাণ সাহিত্যে কুকুর প্রাণের প্রতীক হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। যমদূত হিসাবে কুকুর পৃথিবী ঘুরে ঘুরে মুমূর্ষুর প্রাণকে যমের কাছে নিয়ে যায় (ঋকবেদ সংহিতা)। ছান্দ্যোগ্য উপনিষদে আছে ‘শৌব উদগীথ’ অর্থাৎ কুকুরদের সামগান।
বর্তমানে আপন ও আপনার যারা, তাদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হতে হতে মানসিক একাকিত্ব ও বিষন্নতায় এসে ঠেকেছি। দুর্বল মন ও দেহ নিয়ে কোনওরকম বেঁচে থাকাকে আমরা কীভাবে আনন্দময় ও দীপ্ত জীবন করে তুলতে পারি?
২ সেপ্টেম্বর। আজ বিশ্ব নারকোল দিবস। ডাব দিবসও বলতে পারেন। সেই ডাব নারকোল নিয়েই রোববার.ইন-এ শাঁসালো নিবন্ধ।
ছুটির দিনে গলি বন্ধ করে যে ছেলেরা ‘হাউজ দ্যাট’ আর স্ট্যাম্প ওড়ানোর সুতীব্র চিৎকারে কান ঝালাপালা করে দিল, তার মধ্যে আমার-আপনার বাড়ির খেলতে ভালোবাসা মেয়েটি কোথায়?
১৭৫২ সালের এক ঝোড়ো বিকেল। ফিলাডেলফিয়ার আকাশে ঘন কালো মেঘ। ফ্র্যাঙ্কলিনের ঘুড়ি আকাশে উঠতেই বজ্র মেঘে ঘুড়ির লেজে বাঁধা ধাতুর চাবি হঠাৎ ঝলসে উঠল। উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন ফ্র্যাঙ্কলিন। সেদিন থেকে বিদ্যুৎ আর রহস্য নয়, বিজ্ঞানের হাতের শক্তি হয়ে উঠল।
বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রচ্ছদশিল্পীদের পারিশ্রমিক এবং সম্মানের বিষয়টি শুরু থেকেই খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। একটা সময় অবধি বইয়ে প্রচ্ছদশিল্পীর নাম ছাপার রেওয়াজটুকুও ছিল না। অথচ একটি বইয়ের সম্পূর্ণ মুদ্রণ সম্পন্ন হওয়ার পরেও, প্রচ্ছদশিল্পীর নাম বাদ পড়ায়, দেবেশ রায় চেয়েছিলেন, বাঁধাইয়ের আগে সেই ত্রুটিটুকু শুধরে নেওয়া হোক।
আগস্ট কবির কাছে একটি ‘মানসিক ঋতু’– বাস্তবের চেয়েও যার ঠাঁই বেশি কবিরই মনে, জীবনে, যাত্রায়। গ্রীষ্মের প্রাণবন্ত আলো হঠাৎই আগুন হয়ে, সংকেত বহন করে নারীজীবনের বিবিধ ক্ষয়ের, ছিন্নমূলতার, শূন্যতার। সে ‘উন্মাদনার’ ব্যাকরণ আত্মহত্যার রোমহর্ষক রি-টেলিং-কে অতিক্রম করে যাওয়া আগস্টেরও ব্যাকরণ।
পাঞ্জাব, বিহার, বাংলা ১৯৪৬-’৪৭ সালে খুনে লাল হয়ে ছিল। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোড়। দাঙ্গায় অবিরাম রক্তস্রোত আঁকলেন না কেন? যাঁরা এঁকেছেন, আগুন জ্বেলেছেন, রক্তের দিকটা ধুয়ে দিয়েছেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved