‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’-এর শেষে সেই মিশ্রবর্ণের কন্যাটি হয়ে যায় আমেরিকার আত্মা। তার পিতা কে হবে? একজন ফ্যাসিস্ট বর্ণবিদ্বেষী? নাকি একজন পরাজিত বিপ্লবী, যে এখনও মনে করে যে দেশ ইমিগ্রেন্টদের দিয়েই তো তৈরি হয়েছিল নবপর্যায়ে।
শিল্পী সাবা হাসান বলছেন, ঘাস, সুতো, ছোট ছোট পাথর, কফি, গাছের ছাল, কখনও শিকড়, ফেব্রিক, পোড়া বইয়ের ছাই– সকলে মিলে নির্মাণ করেছে অনন্য একেকটি অক্ষর। স্বাধীন সেইসব অক্ষর, ফের একবার উড়ে যাচ্ছে, জুড়ে বসছে, ধারণ করছে বই।
যে পুরুষ সাংবাদিকরা সেদিন ভিতরে বসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই পরে সমালোচনামূলক পোস্ট লিখেছেন– কিন্তু তখন, সেই মুহূর্তে, কেউ হাঁটেননি বাইরে। হয়তো পেশাদার নীরবতাই তাদের শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বারুইপুরে দেখতে পাওয়া ওর্তোলান বান্টিং দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ পরিযায়ী পাখি নয়– পথ ভুলে চলে আসা পাখি, পরিভাষায় যাকে বলে ‘ভ্যাগরান্ট’ পাখি বা পথভোলা পাখি! ভারতে কেরল, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্ন কয়েকবার দেখা গেলেও পূর্ব ভারতে তথা উপমহাদেশের পূর্বপ্রান্তে এর আগে একবারই মাত্র দেখা গেছে ওর্তোলান বান্টিং। সেও আবার পশ্চিমবঙ্গেই।
টুওয়ার্ডস ইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট প্রকাশের পর কেটে গিয়েছে অর্ধশতক। দেশের শহরাঞ্চলে ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৯-২০'র মধ্যে মহিলাদের শ্রমের বাজারে যোগদানের হার রয়ে গিয়েছে একই জায়গায়, ১৭ শতাংশের আশপাশে। উন্নত দেশগুলির তুলনায় তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যেও এ দেশের মহিলাদের কর্মনিযুক্তির হার শোচনীয়।
ঠিক সেকারণেই বেলা টার ও ক্রাজনাহরকাইয়ের যে যুগলবন্দিকে একটি উপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকারের জোট হিসাবে দেখলে চলবে না। কারণ ক্রাজনাহোরকাই নিজে কেবল মূল উপন্যাসের লেখক নন, তিনি ভীষণভাবে বেলা টারের ছবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই কারণেই হয়তো তাঁর উপন্যাসের যে অন্তর্নিহিত ছায়া, যে সামুদ্রিক নৈঃশব্দ্য, যে কাব্যিক মায়া এবং সর্বোপরি বিপন্নতার যে গভীর বিষাদ– তা যেন পুরো মাত্রায় সঞ্চারিত হয় বেলা টারের ছবিতে।
বাঙালি এখন আর মেরুদণ্ড বলে না, শিরদাঁড়া বলে। তাদের বেতো শরীর। ব্যথা হয়ে যায়। মাটিতে সাষ্টাঙ্গে শুয়েও শিরদাঁড়ায় টান লাগে। তাই আজকাল মাঝে মাঝে শিরদাঁড়াটি খুলে বাঙালি রোদে শুকোতে দেয়।
টিকটিকি মানুষকে দেখে আজকাল কেবলই ধোঁকা খেয়ে যায়! সে বেজায় অবাক হয়ে দ্যাখে, এরাও ‘ঠিক ঠিক’ বলে তারই মতো। তবে সময় বুঝে নয়, সুযোগ বুঝে।
ছবিটি তার সকল চরিত্র আর তাদের হতাশা নিয়ে নিরাপদ একটি দূরত্বে গড়ে উঠেছে। চরিত্ররা দুঃখ পায়, কিন্তু দুঃখের কারণকে প্রশ্ন করে না, চরিত্ররা হতাশ হয়, হতাশার উৎসকে জানার চেষ্টা করে না।
প্রথম দিকে স্পাইনের ওপর শিরোনাম লেখা হত হাতের লেখা এবং আঁকা অক্ষরে। পরে মুদ্রণযন্ত্রে ছাপা লেবেল যুক্ত করা শুরু হয়। ১৭০০ শতক থেকে বইয়ের তাক সাজানোর জন্য স্পাইনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশক– সব কিছু স্পাইনে ছাপা হতে শুরু করে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved