আসলে জেগে, ঘুমিয়ে একটা যৌথ স্বপ্ন আমরা দেখছিলাম। দারুণ একটা পত্রিকা করার। কাউকে টক্কর দেওয়ার মতো করে না। নিজের মতো করে। পাঠকের কথা আগেভাগেই ভেবে নয়, পাঠকের কাছে ভালো লেখা পৌঁছে দিয়ে দেখা, পাঠক কী করছেন, পড়ছেন? সেটাই আমাদের পথ।
শিষ্য যখন গুরুর কাছে আসে, সে আসে অজ্ঞানতা নিয়ে– হয়তো আঘাতে জর্জরিত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আসে। কিন্তু একে প্রকৃত গুরুসান্নিধ্য বলা যেতে পারে না। এই সান্নিধ্য মূলত আশ্বাসের জন্য, মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শের জন্য। সেই সান্নিধ্য ক্ষণস্থায়ী।
মহিলা পরিচালক হিসেবে সমসাময়িক বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এত ব্যাপ্ত পরিসরে কাজ করা, সিনেমার মতো শিল্পমাধ্যমে খুব কঠিন ব্যাপার– নন্দিতাদি তা করে দেখিয়েছেন। আমার সৌভাগ্য সেই জার্নিটার সঙ্গে নিজেকে জুড়ে নিতে পেরেছি।
একের যেমন আঁটোসাঁটো বিপুল গৌরব, দু’য়ের কি তেমন গৌরব আছে? এক ক্লাসের ফার্স্ট বয় (নাকি গার্ল?), দুই বেচারা তো জীবনে ফার্স্ট হতে পারল না। সমাজেও দু’-নম্বরিদের খুবই দুর্নাম; যদিও দু’-নম্বরি লোকজনে সমাজ ছয়লাপ, তারাই এখন গ্লোরিয়াস মেজরিটি। কিন্তু এক হতে পারল না– এ দুঃখ নিয়ে দুই আদৌ এখন আর ভাবে কি না, জানি না।
গানের কথার দিকে খেয়াল করতে শিখছি কিছুটা পরে, তখন সুর আর কথাকে খানিক আলাদা করতেও পারছি। আর গান বেছে নিচ্ছি তখন, কী গাইতে চাই, কী গাইতে চাই না, সেই গ্রহণ-বর্জনে কথাকে আলাদা করে চিনছি, আর সেই প্রোসেসটা ধীরে ধীরে জরুরি হয়ে উঠছে।
আজও হুইস্কি-প্রসূত বেদনার ওপর ঝরে পড়ে তার রাঙা শাড়ির দুষ্টু আঁচল। তার পানতপ্ত ফাটলে জমে ওঠে ঘাম। সব কিছু এত টাটকা কেন আমার মনকেমনে? কেন হুইস্কির গোপন লকারে স্মৃতির পুরোনো গয়নাগুলো দূরের আকাশে উজ্জ্বল তারার মতো?
তবলার সাহিত্য রচনা করে বাঁয়া; আর সেই বহিঃপ্রকাশের ভাষাচরিত্র গঠন করে, সাহিত্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ডাঁয়া তবলা। ডাঁয়া যদি গোটা কাঠামোটার মেরুদণ্ড হয়, বাঁয়া তবে রক্তমাংস। এই যে দুটো যন্ত্রের চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা, অথচ তারা পরস্পরের পরিপূরক।
একেবারে ফেলে দেওয়ার আগে একটু থাক। ওইটুকুই রয়ে যাওয়া, শিকড়ের সংরক্ষণ। চাইলে, ছিঁড়ে যাওয়া শাড়ি কেমন কাঁথা হয়ে থাকে আরামের।
যে বাড়ি না ফিরে, ক্ষণে ক্ষণে বন্ধুর বাড়ি চলে যায়, তার কি একা থাকা মানায়? সে অন্তত দু’জনে, যুগলবন্দি।
‘একঃ স্বাদু ন ভুঞ্জীত’। স্বাদুবস্তুর আস্বাদন একা গ্রহণ করতে নেই। বস্তুত পৃথিবীর স্বাদুতম বস্তুগুলো একা আস্বাদন করার মধ্যে একধরনের স্বমেহনী ব্যর্থতা আছে, সেটা খুব সূক্ষ্ম দৃষ্টি ছাড়া বোঝাই সম্ভব নয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved