Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

‘টবি জগ’– চিরস্থায়ী হাসির জীবন্ত ইতিহাস

টবি জগ আসলে মানুষের অবয়বে তৈরি এক বিশেষ ধরনের সিরামিক পাত্র, যা মূলত পানীয় পরিবেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। কেবল ‘মগ’ বললে এ শিল্পবস্তুটির শৈল্পিক অমর্যাদা হয়; বরং বলা ভালো ‘টবি জগ’ একটি জলজ্যান্ত ভাস্কর্য।

→

ফুরিয়ে যাওয়া স্মৃতির চিরন্তন গল্প

নিজের জীবন ছেঁচে লেখক চোখের সামনে মেলে ধরেন রোদে ঝিকোনো মুক্তোবিন্দু। বিন্দু বিন্দু উচ্চারণেই যাদের সিদ্ধিলাভ।

→

ক্ষতবিক্ষত ‘ছায়ানট’-এর সঞ্জীবনী হতে পারে রবীন্দ্রনাথের গানই

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরন্তর আসা-যাওয়া পাঠগ্রহণ দুই বাংলার মধ্যে সেতু রচনা করে আসছে নিরন্তর। ছায়ানটের সঙ্গে প্রতিনিয়তই সেই বিনিময় ও বন্ধন অটুট রয়েছে। কারণ, আমরা রবীন্দ্রনাথকে আমাদের ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি ও মানবতার বটবৃক্ষ রূপে জানি।

→

নকশাল পর্বের হত্যা-প্রতিহত্যার পরিবেশে কলকাতায় এসেছিল মারি ফারার

১৯৭০ বা ’৭১ সালে। নকশাল আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের মুখ, হত্যা-প্রতিহত্যা, বামপন্থার নানাখানা চেহারা আর নকশাল দমনের ভয়াবহতার প্রতিবেশে মারি ফারার কলকাতায় হাজির হয়েছিল। কেয়া আর অজিতেশ-এর অনুবাদ খরখরে গদ্যে সেদিন মারি-কে হাজির করেছিল।

→

পুস্তকপ্রেমী বইক্রেতার সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তবে লাইব্রেরিগুলির কেন বেহাল দশা?

তখন পাড়ার বেকার যুবকরাই সপ্তাহে একদিন করে লাইব্রেরি খোলার দায়িত্ব নিতেন। মফস্‌সলে একটি-দু’টি সরকারি লাইব্রেরির পাশাপাশি এমন ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি স্থানীয় অনেক বেসরকারি লাইব্রেরি ছিল। খুব বৈচিত্র না থাকলেও, বইমেলার নতুন বই না-থাকলেও, সেইসব লাইব্রেরি পাঠক তৈরিতে কোনও কার্পণ্য করেনি।

→

বর্ণবৈষম্যের আমেরিকায় সাদা-কালোর মিশ্র একটা শহরতলি

শিকাগো, লস এঞ্জেলেস, ডেট্রয়েট, ফিলাডেলফিয়া, নিউ ইয়র্ক। এক দেশের মধ্যে এই ‘গ্রেট মাইগ্রেশান’-এ এক হার্লেমে তিন বর্গ মাইল এলাকায় এসে বসতি তৈরি করেন প্রায় ১,৭৫,০০০ জন। নন-স্কিলড শ্রমিক থেকে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সকলেই। এইখানে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের বসতি তাবৎ পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘন।

→

সমরেশ বসু যখন ‘বিশ্বাসঘাতক’!

সমরেশদা ‘স্বীকারোক্তি’ নামে ছোটগল্পটি লেখেন– সেই সময় থেকেই তাঁকে নিয়ে বিপুল বিতর্ক তৈরি হয়। ‘স্বীকারোক্তি’ গল্পটি কলকাতার কোনও পত্রিকায় ছাপা হয়নি। কী ঘটেছিল ‘স্বীকারোক্তি’ নিয়ে?

→

রিফান্ডে প‌ড়িয়া বগা কান্দে

মেসির কলকাতা আগমনে ‘রিফান্ড’। ডার্বি বাতিল হলে ‘রিফান্ড’। ইন্ডিগো ফ্লাইট ক্যানসেল হলে ‘রিফান্ড’। রিফান্ড আর কত কিছুতেই! হবে না-ই বা কেন? পুঁজিপতিরা সবসময় গিলে খাবে মধ্যবিত্তর উজ্জ্বল স্বপ্নের দলা? কিন্তু শেষত আমরা যা রিফান্ড চাই, তা টাকাপয়সার নয়। লেনদেনের নয়। তবে কীসের?

→

পয়সা দিলে ‘ঈশ্বর’ও বিক্রি আছে

মেসির ভারত সফরে শুধুমাত্র যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা ছিল না। অগোচরে আরও একটা জিনিস প্রবলভাবে ছিল। ক্ষমতা-অর্থের যৌথ উচ্ছৃঙ্খলতা।

→

বাংলাদেশকে কারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়?

ধর্মীয় উগ্রতার নামে লুটপাট আর বিপ্লবের নামে সংস্কৃতি ধ্বংস– এটাই ‘নতুন’ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। এখানে ধর্মীয় অবমাননার কারণ দিয়ে মানুষকে উলঙ্গ করে পুড়িয়ে উল্লাস করে মারা হয়। একুশ শতকে ২০২৫-এ এসেও বর্বর অন্ধকারময় যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই।

→