শিব্রামের ছবি এঁকেছেন অন্যূন ৩০ জন শিল্পী। হর্ষবর্ধন-গোবর্ধনের ছবিও এঁকেছেন ১৫ জন, বিনির ছবি এঁকেছেন সাতজন শিল্পী। এছাড়া নকুড়মামা, ভালুমাসি, আলুমাসি, রামডাক্তার এবং জবার ছবি এঁকেছেন একজনই– শৈল চক্রবর্তী। ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ বইয়ের যে তিনটি সংস্করণ দেখার সুযোগ হয়েছে তার চিত্রকরও শৈল চক্রবর্তী।
‘উত্তরঙ্গ’ পড়ে উচ্ছ্বসিত ডি কে বলেছিলেন, এই উপন্যাসের লেখককে সোনার কলম দেওয়া উচিত। এবং সত্যিই তিনি সমরেশ বসুকে বাড়িতে ডেকে একটি দামি কলম উপহার দেন। সমরেশদার জীবনের প্রথম পুরস্কার⎯ একটা ফাউন্টেন পেন পাওয়া তখন তাঁর কাছে প্রায় স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ছিল।
ভাঙা বাড়ি, কিন্তু তার ভেতরেই এক রত্নশালা। খসে পড়া দরজার ফাঁকে উঁকি দিলেই ধুলোয় ঢাকা কত যুগ আগেকার মণিমাণিক্য সব দেখতে পাচ্ছি! একের ওপর আরেক, তারও ওপর আরও অনেক, স্তূপীকৃত! নড়বড়ে দোতলায় হাঁটতে ভয় হয়, অন্ধকার সিঁড়ি কোথায় নিয়ে যায় কে জানে! এই নাকি সেই জ্ঞানভাণ্ডার, যা উন্মোচিত হয়েছিল স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের হাতে! সঙ্গে ছিলেন স্যর আশুতোষ চৌধুরী, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, আচার্য রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাবিকেরা যদি পথ হারায়, সে পথ খুঁজে দেন জলের দেবতা। মুর্শিদাবাদে সেই দেবতার প্রতি উৎসবই বেরা উৎসব। পথ ভুল করে যে জীবনজাহাজ পাড়ি দিয়েছে, তাও ঠিক পথ খুঁজে পাক।
মেসিকে ঘিরে এই শহরে বিশ্রী রকমের বিশৃঙ্খলা ঘটে গেল। ফুটবল পাগল পশ্চিমবঙ্গ হয়তো উন্মাদনা দমিয়ে রাখতে পারেনি। কলকাতার আর্জেন্টিনা উন্মাদনার সামাজিক মনস্তত্ত্ব আসলে এক সামষ্টিক পরিচয়ের আকাঙ্ক্ষা। দূরের এক দেশের ফুটবলকে ঘিরে বাঙালি এমন এক অনুভূতির জগৎ তৈরি করেছে, যেখানে অচেনা মানুষও এক পতাকার রঙে হঠাৎই আপন হয়ে ওঠে। মারাদোনার বিক্ষুব্ধ প্রতিভা হোক বা মেসির নীরব সংগ্রাম, বাঙালি তাদের গল্পে নিজেরই জীবনযুদ্ধের ছায়া দেখতে পায়।
বিতর্কিত, বর্ণময় ’৭৮-এর আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপের সেই ৯-১০। লিওপোল্ডো লুকের ৯ নম্বরের পাশে মারিও কেম্পেসের ১০। দু’জনকে পাশাপাশি রাখলে যে কোনও সত্তর-আশির রকব্যান্ডের সদস্য বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।
থিয়েটারে অঞ্জন দত্তের কামব্যাক ও সেরা ‘ফর্মে’ থাকতে থাকতে অবসরগ্রহণ অন্তত মানুষটাকে নতুন ভাবে আবিষ্কারের প্রবণতা জাগিয়ে তুলেছে। সেই জাগরণের মাধ্যম হতে পারে 'থিয়েটার নিয়ে অঞ্জন'। গ্রন্থের আকার বড় নয়, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়। কিন্তু মাদকতা থেকে যায়।
এ ছবি শেষ অবধি কেমন, নির্দেশনা-চিত্রগ্রহণ-সম্পাদনা-অভিনয় কত উৎকৃষ্ট অথবা নিকৃষ্ট, আদৌ তা বাংলা সিনেমার জগতে গেমচেঞ্জার কি না– ইত্যাকার প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় প্রায় পরস্পরবিরোধী দুই ধরনের প্লট ডিভাইসকে এমন মজাদারভাবে ব্যবহার করার জন্য অন্তত ছবিটি আমাদের মনে থেকে যাবে।
‘বন্দে মাতরম্’ যেখানে উগ্রজাতীয়তাবাদের সহচর সেখানেই রবীন্দ্রনাথের আপত্তি। বঙ্কিমের প্রতি অশ্রদ্ধা নিয়ে নয়, হিন্দু-মুসলমান-ইংরেজ যেখানে ছোট ও সংকীর্ণ– সেই অংশের প্রতি সচেতনতা থেকেই, এই গানটির অঙ্গচ্ছেদ করে গ্রহণের পক্ষপাতী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
বিষ-হাওয়ায়, দূষিত হাওয়ায় কলকাতার যত না শ্বাসকষ্ট হয়, তার চেয়ে বেশি শ্বাসরুদ্ধকর লাগে যখন এক গরিব প্যাটিস বিক্রেতা আক্রান্ত হন গীতাপাঠের আসরে। খাস কলকাতার বুকে, আর কোনও শীতে এমন দূষণ হয়েছে কি?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved