বিষ-হাওয়ায়, দূষিত হাওয়ায় কলকাতার যত না শ্বাসকষ্ট হয়, তার চেয়ে বেশি শ্বাসরুদ্ধকর লাগে যখন এক গরিব প্যাটিস বিক্রেতা আক্রান্ত হন গীতাপাঠের আসরে। খাস কলকাতার বুকে, আর কোনও শীতে এমন দূষণ হয়েছে কি?
যজুর্বেদে ‘স্থালী’ শব্দটির প্রথম প্রয়োগ দেখা যায়। পতঞ্জলিও বড় ডিশ বলতে ‘স্থালী’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ঋকবেদের ১/১৬২/১৩ ঋকে উখার কথা আছে। এটি যখন যজ্ঞকর্মে ব্যবহৃত হত, তখন এর গায়ে হুক লাগিয়ে যজ্ঞস্থলে ঝোলানো হত। বৌদ্ধসাহিত্য ঘটিকারসূত্র লিখেছে, ‘কুম্ভি’ নামে কুকিং-পটের কথা।
একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া কোনও ছবির পোস্টারেই স্থান মেলেনি কল্যাণদার। অর্থাৎ, প্রধান বা মুখ্য চরিত্র তো নয়ই, পার্শ্বচরিত্রেও চিরকাল ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন। তারপর সেই সুপারহিট গান ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’-র ব্যাকগ্রাউন্ডে নৃত্যরত কনস্টেবল; অতঃপর ধীরে ধীরে কিছু সময়ের জন্য আড়ালে চলে যাওয়া... বোধহয়।
রজঃস্বলা নারী বরাবরই একলা। উপচে পড়া ভিড়েও নিঃসঙ্গ সে। জন-সমাগম তার স্পর্শ বাঁচিয়ে পিছলে-পিছলে যায়।
সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যে সময়ে হিমশীতল দার্জিলিং থেকে কুয়াশার পর্দা সরিয়ে ঢুকে যেতাম কেক আর প্যাটিস আর কফি আর মদের গন্ধে মম করা শব্দহীন মগ্ন পানশালায়, যেখানে যে যার নিঃসঙ্গ নিলয় পেত টেবিলে একা কিংবা মুখোমুখি।
কাগজে-কলমে উন্নত প্রবৃদ্ধির খাড়া দেওয়াল বেয়ে সবেগে গড়িয়ে নামছে টাকার দর। শক্তিধর ডলার ক্রমেই হয়ে উঠছে বহু-‘রুপি’!
শার্লক হোমস কিংবা কিরীটী, এমনকী ব্যোমকেশের প্রচ্ছদেও পাইপ কিংবা সিগারেট এসেছে বারবার। যে বয়সের পাঠক এই বইগুলো পড়ে, তাদের শিক্ষার কথা ভাবলে তো এই প্রচ্ছদগুলো রাখাই যাবে না। এ-ও যেমন হয় না, তেমন দেওয়ালে দেওয়ালে ‘মদের নেশা ছাড়ান’ পোস্টার মারলেই কেউ নেশা ছেড়ে দেয় না।
‘মাদার মেরি কামস টু মি’ বইয়ের প্রচ্ছদে অরুন্ধতী রায়ের ধূমপানের ছবি নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টে কেস হয়েছে। এই বইয়ের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করতে চলেছে দে’জ পাবলিশিং। প্রকাশক হিসেবে প্রচ্ছদের ছবি নিয়ে এই আপত্তি বিষয়ে কী ভাবছেন তাঁরা?
অরুন্ধতী রায় একজন সমাজকর্মী। মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন। ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মেধা পাটেকরের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধবিরোধী; বনসংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষার পক্ষে। এমন একটি অবস্থান নিয়ে নিজের ধূমপানরত ছবি নিজের বইয়ের প্রচ্ছদে দেওয়া কি কোনওভাবে তাঁর অবস্থানের বিরুদ্ধতা করে?
এমন আনন্দময় একটি অস্তিত্ব ছিল বাজার হেমব্রমের। কথা বলছেন, কাজ করছেন, গান করছেন। অমন মাপের শিল্পী, তবু দারিদ্র ছিলই ঘরে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved