পরিবার তথা গ্রামের সম্মান, ঐক্য, সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রদায়ের প্রতি একাত্মতার বুলি শোনা যায় খাপ-প্রধানদের মুখে। নিস্তরঙ্গ গ্রামজীবনে আলোড়ন তোলা যে কোনও ঘটনাতে মাথা গলানোর অধিকার খাপের আছে। আপাত ভাবে দেখলে, মন্দ কী? ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক বা দূর প্রদেশ থেকে আসা থানার সায়েব কী করে বুঝবেন এলাকার জল-হাওয়া? কিন্তু বহু শত বছর ধরে যেহেতু বর্ণভিত্তিক পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বরিষ্ঠরাই খাপ পঞ্চায়েত শাসন করেছেন, তাই তার মূল্যবোধ বর্ণবাদ ও পিতৃতন্ত্রের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে। তা ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক মূল্যবোধের ধার ধারে না। তার চেয়ে এগিয়ে ভাবা তো কল্পনাতীত।
কভারের ছবি: অর্ঘ্য চৌধুরী
পঞ্চায়েত সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধ স্বনির্ভর প্রশাসন, গান্ধীজির ‘গ্রাম স্বরাজ’-এর ধারণার বাস্তবায়ন, আবার তার ভিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন সমাজেই। পঞ্চায়েত মানে, আক্ষরিক ভাবে, পাঁচজন মান্যগণ্য ব্যক্তির সমষ্টি, যাঁরা বৈদগ্ধ্য ও বয়সজনিত অভিজ্ঞতা দিয়ে গ্রামের সমস্যার সমাধান করতেন। কিন্তু এখন পঞ্চায়েতের তিন স্তরে সদস্যরা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-বয়স নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের তোয়াক্কা না করে উচ্চজাতের মাতব্বর পুরুষ গোষ্ঠীর একচ্ছত্র সামাজিক শাসনের ধারাটি তবু বহাল আছে ‘খাপ পঞ্চায়েত’-এর মাধ্যমে। ভারতের ক্ষেত্রে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে কোথাও কোথাও তার দেখা মেলে (দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশে তার অন্য রূপ)।
শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, জেলা আদালতেরও এক সমান্তরাল ব্যবস্থা চলে খাপ পঞ্চায়েতের নামে। পুলিস-প্রশাসন খাপকে সমঝে চলে। ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তত গ্রাহ্য নয়, যতটা খাপ। ‘খাপ’ কথাটি নাকি এসেছে শক শব্দ ‘ক্ষত্রাপ’ থেকে, যার মানে, একটি নির্দিষ্ট জাতির বসতি-অঞ্চল। প্রতি গ্রামের নিজস্ব গ্রাম পঞ্চায়েত থাকা সত্ত্বেও, বেশ ক’টি গ্রাম নিয়ে একটি খাপ পঞ্চায়েত গড়ে ওঠে হরিয়ানা, পাঞ্জাব বা উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত প্রান্তরে। পরিবার তথা গ্রামের সম্মান, ঐক্য, সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রদায়ের প্রতি একাত্মতার বুলি শোনা যায় খাপ-প্রধানদের মুখে। নিস্তরঙ্গ গ্রামজীবনে আলোড়ন তোলা যে কোনও ঘটনাতে মাথা গলানোর অধিকার খাপের আছে। সে সম্পত্তি নিয়ে গোলযোগ হোক, উত্তরাধিকার সমস্যা হোক, হোক আন্তঃসম্প্রদায় বিবাহ বা অবৈধ যৌনাচার।
আপাতভাবে দেখলে, মন্দ কী? কৌম সমাজ নগরায়িত বিচ্ছিন্নতার মাঝে স্বস্তির নিশ্বাস। ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক বা দূর প্রদেশ থেকে আসা থানার সায়েব কী করে বুঝবেন এলাকার জল-হাওয়া? তাছাড়া আইনি বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার বদলে এখানে চটজলদি সমাধান হয়। অতএব রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচার ব্যবস্থা যদি খাপের সঙ্গে একটা আদানপ্রদানের সম্পর্কে আসে, তাহলে তাদের পক্ষে মানুষের চাহিদা বোঝা সহজ হবে– এমন ভাবা যেতে পারে। কিন্তু বহু শত বছর ধরে যেহেতু বর্ণভিত্তিক পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বরিষ্ঠরাই খাপ পঞ্চায়েত শাসন করেছেন, তাই তার মূল্যবোধ বর্ণবাদ ও পিতৃতন্ত্রের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে। তা ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক মূল্যবোধের ধার ধারে না। তার চেয়ে এগিয়ে ভাবা তো কল্পনাতীত!
২০০৭ সালে মনোজ-বাবলি হত্যাকাণ্ডে হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতের নাম জড়িয়েছিল। সে ছিল সম্মান রক্ষার্থে খুন। খাপের মতে ভিন্ন ধর্মে বা বর্ণে বিবাহ নিষিদ্ধ। আবার স্বগোত্রে বিবাহ অজাচার। এমন বিবাহ হলে একঘরে করা, জরিমানা, সামাজিক অসম্মান– খাপের মর্জি মতো নানা শাস্তি মেলে। চরম ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। যদিও খুন সচরাচর করে মেয়ে বা ছেলের পরিবার, কিন্তু তাতে খাপের মদত থাকে, এমনই অভিযোগ।
২০১৫ সালে রাজস্থানের মমতা বাঈকে খাপ বলে, প্রায় অপরিচিত এক পুরুষের ঘর করতে, রাঁধতে-বাড়তে ও যৌনতা করতে। কারণ? ওই পুরুষের বউ ওই নারীর বরের সঙ্গে পালিয়েছে। এছাড়া, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য প্রকাশ্যে অত্যাচার এবং নারীকে গাছে বেঁধে উলঙ্গ করে মাথা মোড়ানোর ঘটনা আকছারই ঘটে খাপের তত্ত্বাবধানে। উপরিউক্ত সব ঘটনাই নারীকে দেখছে হয় পিত্রালয়ের, নয় বিবাহসঙ্গীর সম্পত্তি হিসেবে। সম্পত্তি লুণ্ঠনের ধারণার ভিত্তিতেই বিচার ও সাজা হচ্ছে। অথচ, নারী যে জড় সম্পদ নয়, স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তা, সেই স্বাভাবিক স্বীকৃতি সংবিধান দেয়। এছাড়া কখনও মেয়েদের জিন্স পরাকে ধর্ষণের কারণ বলা, কখনও মেয়েদের সেল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, কখনও চাউমিনকে যৌন উত্তেজনার মূল ঠাওরানো তো আছেই। বিষয়গুলো শহুরে পরিসরে হাস্যকর। কিন্তু শহরের সীমানা পেরলে তারা কীভাবে দাঁতনখ বের করে, তা কিছুটা দর্শানোর চেষ্টা করেছিল ‘এন ১০’ ছায়াছবিটি।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
দলিতদের প্রতি খাপের আচরণও অনুরূপ। ২০১৫ সালে মিরাটে দুই দলিত বোনকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় ও ধর্ষণ করা হয় খাপের নির্দেশে, কারণ তাদের ভাই উচ্চবর্ণের কোনও মেয়ের সঙ্গে পালিয়েছে। তামিলনাড়ুতেও একইরকম সক্রিয় সামাজিক অভিভাবক সংস্থা ২০২১ সালে এক দলিত দম্পতির আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে। দু’জনেই শিডিউলড কাস্ট, কিন্তু আলাদা উপবর্ণ। অতএব এই ‘নীতিবিরুদ্ধ’’ বিবাহকে ‘নৈতিক’ করতে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাদের মন্দিরে ঢোকাও চিরতরে বন্ধ করা হয়।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
দলিতদের প্রতি খাপের আচরণও অনুরূপ। ২০১৫ সালে মিরাটে দুই দলিত বোনকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় ও ধর্ষণ করা হয় খাপের নির্দেশে, কারণ তাদের ভাই উচ্চবর্ণের কোনও মেয়ের সঙ্গে পালিয়েছে। তামিলনাড়ুতেও একইরকম সক্রিয় সামাজিক অভিভাবক সংস্থা ২০২১ সালে এক দলিত দম্পতির আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে। দু’জনেই শিডিউলড কাস্ট, কিন্তু আলাদা উপবর্ণ। অতএব এই ‘নীতিবিরুদ্ধ’’ বিবাহকে ‘নৈতিক’ করতে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাদের মন্দিরে ঢোকাও চিরতরে বন্ধ করা হয়।
২০১৮ সালে, ক্রমাগত ঘটে চলা অসংখ্য অনার কিলিং-এর কারণে, এক এনজিও পিআইএল করে। সর্বোচ্চ আদালতে জাস্টিস দীপেশ মিশ্রর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘অসাংবিধানিক’ খাপ যেন ‘কন্সেইন্স-কিপার’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রতিক্রিয়ার খাপ-প্রধানরা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেছিলেন: ‘এরকম চললে হয় মেয়েদের পড়াশুনো বন্ধ করে দেব (যাতে গুরুজনকে অমান্য করার শিক্ষা না পায়), নয় তাদের জন্মাতেই দেব না।’ অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভাবে কন্যাভ্রূণ হত্যাতেও ইন্ধন দিয়েছিল খাপ।
আবার একথাও ঠিক যে, ২০২০-২১ সালের কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠার নেপথ্যে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছিল খাপগুলো। কৃষিভিত্তিক সমাজের অংশ খাপগুলির অস্তিত্ব নতুন কৃষি আইনের কারণে প্রত্যক্ষভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল। তাই এই ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল। এই সময় থেকে খাপেদের মধ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা দেখা যায়। তারা মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখে– যদিও তা পিতৃতান্ত্রিক ভাষায়, কৌম সমাজের রক্ষণীয়াকে রক্ষা করা সংক্রান্ত বক্তব্য, সম্মাননীয়া মেয়েদের সম্মান রক্ষা সংক্রান্ত বক্তব্য। ততটাও সম্মাননীয় নয় যে মেয়েরা– যে মেয়ে দলিত, বা বেপর্দা, যে মেয়ে নিজের পছন্দের সঙ্গী নির্বাচন করে, বা ‘পড়াশোনা শিখে’ অবাধ্য হয়, তাদের সম্পর্কে খাপের মানসিকতা বদল হয়েছে, এমন আশা করার কারণ আপাতত ঘটেনি।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
পড়ুন রত্নাবলী রায়ের লেখা: চিনে মনখারাপের ছুটি, ভারতে কি সম্ভব?
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
খাপের অন্ধকার, তার পশ্চাদপদতা, ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি বৈরিতা, তার শূদ্রবিদ্বেষ ও নারীবিদ্বেষকে সম্যক ধারণায় আনা ভদ্রবিত্ত নাগরিক সমাজে বসে হয়তো অসম্ভব। কিন্তু খাপকে উদ্ভট বিভীষিকা হিসেবে চিহ্নিত করে অপরায়িত করলে মনে হয় আপন অন্ধকারকে ভুলে যাওয়া সহজ হয়। রাজধানী শহরের আইনজীবী যখন বলেন, জ্যোতি সিংয়ের উচিত হয়নি অত রাতে (আসলে রাত নটায়) বেরনো, তখন তিনি খাপকে এনে ফেলছেন আদালতে। নির্ভয়া কাণ্ডে সে ঘটনা সত্যি ঘটেনি কি? অনুরূপ বক্তব্য কখনও না কখনও সমর্থন করছেন যাঁরা– আমাদের সেই মা-মাসি-জ্যাঠামশাই খাপকে এনে ফেলছেন বাড়ির ঘেরাটোপে। যে নাট্যকর্মী বলছেন, ধর্ষিতা নাট্যকর্মীরও ধর্ষণে দায় ছিল, তিনি খাপকে প্রতিষ্ঠা করছেন মঞ্চে। প্রায়শই থানায় অভিযোগ করতে গেলে শোনা যায়, কেন রাতে? কেন বাইরে? কেন অমুক পোশাকে? কেন সঙ্গে পুরুষ ছিল না? কিংবা কেন সঙ্গে বিশেষ পুরুষবন্ধু ছিল? খাপ তখন বিদ্যমান থানায়। সাইবার সেলে অভিযোগ করলে শোনা যায়, কেন সমাজমাধ্যমে প্রোফাইল পাবলিক? পর্দানসীন না হলে মেয়ের সুরক্ষার দায় কেউ নেবে না। খাপ অতএব সর্বত্র। বুদ্ধিজীবী মহলে উচ্চ-প্রশংসিত নর্তকী-অভিনেত্রী যখন বলেন, ‘খারাপ মেয়ে’-রা বুকের আঁচল সরায়, তাই ছেলেরা কুকথা বলে– তখন তিনিও কি মূর্তিমতী খাপ হয়ে ওঠেন না? নানা অছিলা ‘খারাপ মেয়ে’ দাগানোর জন্য লোকে যখন উদগ্রীব, যখন ‘ভালো মেয়ে’ হওয়া মানে দড়ির ওপর কঠিন ব্যালেন্স খেলা, তখন ঘুরে দাঁড়িয়ে সোচ্চারে নিজেকে ‘খারাপ মেয়ে’ বলে জাহির করেই প্রশ্ন করা উচিত– খারাপ মেয়েকে উত্যক্ত করার, বা নির্যাতন করার, বা ধর্ষণ করার অধিকার কোন আইন দিল? সংবিধানের কোন সে ধারা? খাপ ছাড়া আর কেউ সে অধিকার বস্তুত দেয়নি।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
পড়ুন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কলাম ‘ঋইউনিয়ন’: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
আবার, ‘খারাপ’ মেয়েরা যখন যৌন অত্যাচার বিষয়ে সোচ্চার হয়, অধুনা পরিভাষায় যাকে বলে ‘মিটু’, তখন বলা হয়, আইনের দ্বারস্থ না হয়ে ব্যক্তির সম্মানহানি একরকম ‘খাপ পঞ্চায়েতি’। কিংবা, যখন আইনের দ্বারস্থ হওয়া গেছে, বিচার চলছে এবং অপরাধী জামিনে মুক্ত, তখন যদি মেয়েরা দাবি করে যে অভিযুক্তকে নির্যাতিতার ধারেপাশে আসতে দেওয়া না হোক, তখনও বলা হয়, এ কেমন সামাজিক বর্জনের খাপ পঞ্চায়েতি? বক্তারা সম্ভবত খাপ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে সম্যক ওয়াকিফহাল নন। বর্ণবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ ও অভিযোজনহীন প্রাচীন মূল্যবোধ: এই তিন সমস্যা ছাড়া খাপ পঞ্চায়েত সংক্রান্ত আলোচনা হয় না। যদি নারীবিদ্বেষী বা নারী নির্যাতকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকেই বলা হয় ‘খাপ বসানো’, তবে খাপের ধারণাকে স্থান-কাল ও কার্য-কারণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। বরং যৌন নির্যাতনকে খাটো করে দেখা খাপেরই বৈশিষ্ট্য, যা এক্ষেত্রে নির্যাতকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থক বা বন্ধুবান্ধবরা করেন।
খাপের অন্ধকার তাহলে আর নিরাপদ দূরত্বে রইল কই? খাপ-প্রধানরা তো আশ্চর্য জীব নন, আমাদেরই সমাজজাত। আমাদেরই মূল্যবোধ ধারণ করেন। অনুকূল পরিবেশে সেই পিতৃতান্ত্রিক বর্ণবাদী মূল্যবোধ কিছু চরম নিদান দেয়। ততটাও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় শহরগুলোয় হয়তো নিদান তত জোরালো নয়। আঁধার একই– কোথাও হালকা, কোথাও বড় গাঢ়। খাপ সেই ডিস্টোপিয়া, যা তর্জনী তুলে সাবধান করে, অসতর্ক মূহূর্তে যেন অন্ধকারের অন্ধ যাত্রী এই আমরাও না সেঁধিয়ে যাই গাঢ় কৃষ্ণগহ্বরে।