সাগরের বুকে জেগে থাকা এক খণ্ড শিলার ওপরে নাকি দেবী একপাদ উত্থিত করে শিবের জন্য তপস্যা করেছিলেন, সেই কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ খুঁজতে গেলেন সেই মানসিক শক্তি, যা আপাত দুঃখের, কষ্টের ব্যথা ভুলিয়ে বড় লক্ষ্যের পথে সদা জাগ্রত রাখে মানব হৃদয়কে, শেখায় ত্যাগের আদর্শ। তিনদিন তিনরাত্রি একটানা ধ্যানের শেষে লাভ করেছিলেন এক স্নিগ্ধ প্রশান্তি, আশার আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল তাঁর অন্তর।
১৩.
শিব পার্বতীর মিলন ঘটেছে বারবার, সতী বারবার নব নব রূপে শিবের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, যেন পরমা প্রকৃতি চিরন্তন সত্য, সুন্দরের সঙ্গে নতুন রূপ ধারণ করে আকৃষ্ট হয়েছেন। সেই মিলনগাথা রচিত হয়েছে কাব্য উপাখ্যানে, মূর্তিতে, চিত্রে। কেবলমাত্র একটি মন্দিরই দেখা যায় ভারতে, যেখানে দেবী শিবের প্রতীক্ষায় আজও উন্মনা, অপেক্ষমানা। সেই কন্যাকুমারী মন্দির দক্ষিণ তথা সারা ভারতের এক মহাতীর্থ।
সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম এই কন্যাকুমারিকা তীর্থ, সতীর দক্ষিণ স্কন্ধ আর মেরুদণ্ড নাকি এখানে পতিত হয়েছিল। গল্পের এখানেই শেষ নয়। শিব-তপস্যায় পার্বতী বিভোর হয়েছেন জেনে শিবও উন্মুখ হলেন মিলন আশে। স্থির হল দুজনের বিবাহ। সেইমত শিব এলেন কৈলাশ-শিখর থেকে, সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে, এসে পৌঁছলেন কন্যাকুমারিকার সাগরসঙ্গম থেকে সামান্য দূরের সুচিন্দ্রম মন্দিরে। শিব তাঁর সঙ্গীসাথীদের নিয়ে প্রস্তুত, বিবাহের লগ্ন স্থির হয়েছে ব্রাহ্ম মুহূর্তে। ওদিকে, বানাসুর, যার রাজত্ব ছিল ওই অঞ্চলে, ব্রহ্মার বরে অজেয়। একমাত্র এক কুমারী কন্যার হাতেই তাঁর মরণ-নির্দিষ্ট। আর তাই দেবী সেখানে আবির্ভূতা। শিবের সঙ্গে তাঁর বিবাহ সম্পন্ন হলে তাঁর কৌমার্য যাবে ঘুচে, অত্যাচারী বানাসুর থেকে যাবে অমর। তাই শিব বিবাহের জন্য যাত্রা করার সঙ্গে সঙ্গেই নারদ মোরগ হয়ে ডেকে উঠলেন। শিব ভাবলেন লগ্ন উত্তীর্ণ, ফিরে গেলেন নিজ আবাসে। ওদিকে লগ্নভ্রষ্টা পার্বতী রইলেন একাকিনী। অভিমানে তাঁর আঁখি সজল, ভোজের আয়োজন যা ছিল ছুঁড়ে ফেলে দিলেন সাগরবেলায়। আজও সেই অন্ন প্রস্তরের দেখা মেলে তিন সাগরের মিলন স্থলে, মাতৃমন্দিরের সংলগ্ন বালুকাতটে। বানাসুর নিহত হল, স্বর্গ রাজ্যে দেব অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল, দেবী মাহাত্ম্য স্বীকৃত হল, এত হওয়ার মধ্যে শুধু অসম্পূর্ণ হয়ে রইল শিব-পার্বতীর মিলন, অন্তত এই কল্পে।
সুচিন্দ্রম মন্দির আর কন্যাকুমারী মন্দিরের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার, আর সেই মন্দির, তাকে ঘিরেও আছে চমৎকার এক গল্প। অত্রি মুনির পত্নী অনুসূয়া, পতিব্রতা সাধ্বীরূপে তাঁর বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ছিল। একদা শিব, বিষ্ণু আর ব্রহ্মা একত্রে সেই রমণীর পরীক্ষা নিতে উদ্যোগ নিয়ে এলেন মুনির আশ্রমে, সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে। আপ্যায়ন করে তাঁদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে এলেন অনুসূয়া। সন্ন্যাসীরা বললেন, তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন বস্ত্রাবৃত কোনও মানুষের থেকে কোনও প্রকার ভোজ্য তাঁরা নেবেন না।
মুনিপত্নী পড়লেন বিপাকে, কিন্তু তিনিও কিছু কম যান না, তাই মন্ত্রপূত বারি সিঞ্চন করে তিন সন্ন্যাসীকে শিশুতে পরিণত করে নিলেন, তারপর তাঁদের জন্য নিয়ে এলেন ভোজ্য, তাঁদের শর্ত মেনেই। ওদিকে পার্বতী, লক্ষ্মী আর সরস্বতী এই তিন পত্নী, তাঁদের স্বামীদের সন্ধানে এসে দেখলেন তিন শিশুরূপে ওই তিন দেবতা খেলা করছেন। অনুসূয়ার কাছে তাঁরা প্রার্থনা করলেন স্বামীদের পূর্বরূপ ফিরিয়ে দিতে। এইবার শর্ত দিলেন মুনিপত্নী, ওই তিন দেবতার প্রতীক তিন লিঙ্গ যেন সেখানে থেকে যায়, সম্মত হলে তবেই ছাড়া পেলেন তিন দেবতা। সুচিন্দ্রম মন্দিরের তাই অপর নাম স্থানুমালায়ম, স্থানু অর্থে শিব, মাল অর্থে বিষ্ণু আর অয়ম অর্থে ব্রহ্মা। আজও ওই মন্দির তাই শৈব ও বৈষ্ণব উভয় ভক্তকুলের কাছেই অতি পবিত্র মন্দির।
কন্যাকুমারীর মন্দির ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল, বা কে তৈরি করেছিলেন, নির্দিষ্টভাবে জানার উপায় নেই, তবে বহু প্রাচীন গ্রন্থে (অবশ্যই সেগুলি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ) এই তীর্থের উল্লেখ আছে। ‘পেরিপ্লাস অফ দি এরিথ্রিয়ান সি’ বইতেও এই সমুদ্রতট ও তার তীরে হিন্দুতীর্থের উল্লেখ পাওয়া যায়।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
অত্রি মুনির পত্নী অনুসূয়া, পতিব্রতা সাধ্বীরূপে তাঁর বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ছিল। একদা শিব, বিষ্ণু আর ব্রহ্মা একত্রে সেই রমণীর পরীক্ষা নিতে উদ্যোগ নিয়ে এলেন মুনির আশ্রমে, সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে। আপ্যায়ন করে তাঁদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে এলেন অনুসূয়া। সন্ন্যাসীরা বললেন, তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন বস্ত্রাবৃত কোনও মানুষের থেকে কোনও প্রকার ভোজ্য তাঁরা নেবেন না।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
কীভাবে এই তীর্থের আবিষ্কার হয়েছিল, তার নানা কাহিনি পাওয়া যায়, তবে তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনি হল– এক রাখাল ছেলে ওই মন্দির অঞ্চলে একদিন ঘাস কাটতে যায়, খানিক ঘাস কাটার পরে দেখে কাটা ঘাসের জমিতে থাকা অংশ দিয়ে রক্তধারা বইছে। কীসের রক্ত, বুঝতে না পেরে ছেলেটি গ্রামের দিকে দৌড় লাগায়, গ্রামে সবাইকে সব কথা জানালে তারা মাঠে আসে, এবং ঘাস কাটলে আবার রক্তধারা দেখা দেয়। গ্রামের লোকেরা ভয় পেয়ে খানিক কাদা মাটি তুলে সেই ঘাসের ওপর চাপা দিতে শুরু করে। ক্রমে এক ছোটখাট টিলা তৈরি হয়ে যায়। লোকে সেই টিলাকেই দেবীজ্ঞানে পুজো করতে থাকে। পরে তার ওপর মন্দির নির্মিত হয় এবং মূর্তিও স্থাপিত হয়। অতি অপূর্ব, প্রাণবন্ত সেই মূর্তি।
১৩৬০ বঙ্গাব্দে সেই তীর্থ দর্শনে আসেন প্রখ্যাত সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য। ‘দক্ষিণ ভারতে’ নামের তাঁর সেই বই থেকে স্মৃতি, অভিজ্ঞতা তুলে ধরা যাক। ‘কুমারীর মূর্তি দর্শন মাত্র মনে যে অনুভূতি জাগিল, তাহা অপূর্ব, অনাস্বাদিতপূর্ব, জ্যোতির্ময়, আনন্দময়, দৈব অনুভূতি’। তারপর থেমে না থেকে আরও লিখলেন, ‘মনে হইল ভারত বর্ষের মাটিতে শরীর গ্রহণ সার্থক হইয়া গেল। কন্যাকুমারীর দর্শন লাভ যাহার অদৃষ্টে ঘটে নাই – ভারত সন্তান হিসাবে তাহার জীবন অসম্পূর্ণ এবং জীবনের উদ্দেশ্য অপরিপূর্ণ রহিয়া গিয়াছে। সুশুভ্র শ্বেত প্রস্তরের মূর্তি – নিতান্ত বালিকার প্রতিচ্ছবি। পাথরের মূর্তি এমন জীবন্ত হয়! প্রস্তরমূর্তির দৃষ্টিতে ও সজীব মানুষের দৃষ্টিতে ভাব বিনিময় হইতে পারে’। বাস্তবিকপক্ষে, ভক্তদের বিশ্বাস দেবী অত্যন্ত জাগ্রত, ভক্তদের আর্তি ও আর্জি করুণার্দ্র চিত্তে শুনে থাকেন ও তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।
কন্যাকুমারীর কাহিনিরই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় ত্রিবাঙ্কুরেও, দেবী সেখানে কার্তিকের শক্তি– সে অঞ্চলে কার্তিক পরিচিত সুব্রহ্মণ্যম নামে। শ্রীমদ চণ্ডীর বর্ণনা অনুসারে, রক্তবীজ-বধের সময় মহাদেবীর পাশে দাঁড়ান কার্তিকের শক্তি কৌমারী। যুদ্ধ শেষে তিনি আবার মিলিয়ে যান চণ্ডীর দেহে। ওই কৌমারী মন্ত্রেই দেবী কুমারীর পুজো হয়ে থাকে। সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে দেবী কৌমারীর বিবাহের কথা ছিল, যদিও শেষপর্যন্ত সেই বিবাহ সম্পন্ন হয়নি। দেবী আজও কুমারী হয়ে রয়ে গেছেন।
ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে দেখা যায় এক টিলা, স্থানীয় লোকেদের ভাষায় শ্রীপাদপারাই। ১৮৯২ সাল থেকে সেই পাহাড়টিই হয়ে ওঠে ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রতিটি ভারতবাসীর কাছেই এক অতি পবিত্রস্থল। ওই সালের ২৫ ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ তিনদিন, তিনরাত একটানা ওই টিলায় নির্জনে একাকী তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। তাঁর গুরুর মৃত্যুর পর গুরুভাইদের একত্র করে গুরুর আদর্শ প্রচার ও কার্যকর করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন যে মানুষটি, নিজ বিধবা মা, ভাই বোনেদের দায়িত্বকে পাশে সরিয়ে রেখে সারা দেশের অসহায়, আত্মগ্লানিতে জর্জরিত স্বদেশবাসীকে মানসিক স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করার চিন্তায় ছটফট করতে থাকা সেই স্বামী বিবেকানন্দ নানা দ্বন্দ্বের ঘাত-প্রতিঘাতে বিক্ষুব্ধ হৃদয়কে শান্ত সমাহিত করতে এসেছিলেন এই তীর্থে।
সাগরের বুকে জেগে থাকা এক খণ্ড শিলার ওপরে নাকি দেবী একপাদ উত্থিত করে শিবের জন্য তপস্যা করেছিলেন, সেইখানেই বিবেকানন্দ খুঁজতে গেলেন সেই মানসিক শক্তি, যা আপাত দুঃখের, কষ্টের ব্যথা ভুলিয়ে বড় লক্ষ্যের পথে সদা জাগ্রত রাখে মানব হৃদয়কে, শেখায় ত্যাগের আদর্শ। তিনদিন তিনরাত্রি একটানা ধ্যানের শেষে লাভ করেছিলেন এক স্নিগ্ধ প্রশান্তি, আশার আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল তাঁর অন্তর। শিকাগো ধর্মসভায় ভারতের ধর্ম ও দর্শনের জয়পতাকাকে উচ্চে তুলে ধরার প্রেরণা ও পথনির্দেশ পেয়েছিলেন এখান থেকেই। আর সেই চেতনার উর্মিধারা সঞ্চার করে দিয়েছিলেন ভারতবাসীর মননে। শুধু ভক্ত নয়, আজ সারা বিশ্বে স্বামী বিবেকানন্দের অনুগামীরাও এই মহাতীর্থে আসেন সেই উদ্দীপনার অনুসন্ধানে।
তিন সাগরের তিনরঙা জল আর বয়ে আনা বালি দিয়ে ভরা সমুদ্রতটের মনোরম শোভা একদিকে যেমন পর্যটকদের আকর্ষণ করে, অন্যদিকে দেবী মাহাত্ম্য আর স্বামী বিবেকানন্দের পূত-স্মৃতি এখানে টেনে আনে ভক্তদলকে। বস্তুত বিবেকানন্দ শিলার থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে তাকালে স্পষ্টতই চোখে ভেসে ওঠে ভারতের মানচিত্র, অবিকল এক লাগে। তবে বিবেকানন্দ শিলার দিকে যেতে তারই অনুরূপ আরেক শিলায় ১৩৩ ফুট উচ্চতার পাথরের তৈরি তামিল কবি তিরুবল্লুবরের মূর্তিখানি দেখা যায়। এই তামিল কবির কাব্য গ্রন্থের নাম ‘তিরুককুরল’। তাঁর কাব্যের মূল বক্তব্য ছিল সংসারী হয়েও কীভাব ধর্মপথে এগিয়ে চলা যায়। ‘তির’ অর্থাৎ শ্রী ও ‘কুরল’ অর্থাৎ স্বল্প শব্দে কাব্য বোঝায়। আদর্শ দাম্পত্য জীবনের কথা তিনি লিখেছিলেন ১৩৩ ছত্রে, আর তাই তাঁর মূর্তির উচ্চতা ঠিক ততটাই করা হয়েছে।
পৃথিবীর আর কোন ভূখণ্ড থেকে তিন সাগরের মিলন এবং একইদিক থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ নেই, সেই দিক থেকেও কন্যাকুমারী এক অনন্য পর্যটনকেন্দ্র। একইসঙ্গে, এ এক অতি পবিত্র তীর্থক্ষেত্রও বটে। উত্তরে হিমালয় পর্বতের শিখরে যে আধ্যাত্মিক পবিত্রতার সূচনা, ভারতের শেষ মূল ভূখণ্ডে দেবী কন্যাকুমারীর অবস্থান সারা ভারতকেই দেবভূমি পরিচয়ে বিশিষ্ট করেছে। ধর্ম এখানে মানুষের জীবনের পথনির্দেশ– মালিন্য আর হীনভাবনার প্রতিপক্ষে রক্ষাকবচ হয়ে আছে।
(চলবে)
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব