মেহিকোয় ১৯০৭ সালের আজকের দিনে জন্ম ফ্রিদার। ফ্রিদা নামটা আজ প্রবাদের মতো। নিজেই তিনি একখানি আস্ত ফোকলোর। একখানি বিপুল অপেরা। হেন কেউ নেই যে অনুপ্রেরণার জন্য বারবার ফ্রিদার জীবন ও শিল্পের দিকে ফিরে তাকায়নি। যেন তাঁর জীবন ও শিল্প হয়ে ওঠে মেহিকোর টালমাটাল রাজনীতির ও রাষ্ট্রের অন্তর্দ্বন্দ্বের এক অন্তর্ছবি। আরও বড় করে দেখতে গেলে লাতিন আমেরিকার সামগ্রিক আত্মা যেন ফ্রিদা কাহলো।
আজ আমাদের টি-শার্ট, মোজা, ফোন কভার, ব্রুচ, ঝোলা ব্যাগে ছেয়ে গেছে ফ্রিদা কাহলো-র অত্যুজ্জ্বল ছাপা মুখ। গরিমাময় ঝলকানো স্তরে স্তরে পোশাক, কেশবিন্যাস, কানে-গলায় হাতে উপচে পড়া অলংকার, যা ফ্রিদা নিজে ভেবে চয়ন করেছিলেন নিজের ক্ষয়িষ্ণু শরীরকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য, সেই সব মিলিয়ে পণ্য হিসেবে তার সহজলভ্যতা আড়াল করে দেয়নি তো ফ্রিদার নিজস্ব মুখ? তাঁর জীবনের জটিলতা, শারীরিক পীড়ন নিয়ে নিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রাম, আর সেই অসহ যন্ত্রণার পরম একাকিত্বকে পেইন্টিং-এ পর্যবসিত করার দুরূহ আত্মমোক্ষণকারী রোজনামচা?
মেহিকোয় ১৯০৭ সালের আজকের দিনে জন্ম ফ্রিদার। ‘ফ্রিদা’ নামটা আজ প্রবাদের মতো। নিজেই তিনি একখানি আস্ত ফোকলোর। একখানি বিপুল অপেরা। হেন কেউ নেই যে অনুপ্রেরণার জন্য বারবার ফ্রিদার জীবন ও শিল্পের দিকে ফিরে তাকায়নি। যেন তাঁর জীবন ও শিল্প হয়ে ওঠে মেহিকোর টালমাটাল রাজনীতির ও রাষ্ট্রের অন্তর্দ্বন্দ্বের এক অন্তর্ছবি। আরও বড় করে দেখতে গেলে লাতিন আমেরিকার সামগ্রিক আত্মা যেন ফ্রিদা কাহলো। ফ্রিদার জীবন, যাপনপ্রণালী আর তাঁর ছবিকে আলাদা করে দেখাই যায় না। শিল্প ইতিহাসের গবেষকরা বলেন, ফ্রিদার ব্যক্তিগত জীবন এত নাটকীয়, তাতে এত উথালপাতাল যে, অনেক সময়ই ফ্রিদার অনুরাগীরা তাঁর শারীরিক যন্ত্রণা আর প্রেম-যৌনতার জটিলতা পেরিয়ে তাঁর শিল্পের দিকে ততখানি নজর করতে পারেন না। ফ্রিদার সারা জীবনব্যাপী শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করার ও সেই যন্ত্রণাকে ক্যানভাসে নিজ জীবনের বাস্তবতায় ও প্রতীকে পেশ করার ক্ষমতা থেকে তৈরি হয়েছে অনুকরণ ও অনুসরণ অগম্য এক নতুন শিল্পভাষা।
আবার দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে টালমাটাল প্রেম ও বিবাহিত জীবন, কমিউনিস্ট নেতা লিও ট্রটস্কির সঙ্গে সম্পর্ক, আরও নানা নারী-পুরুষের প্রতি আকর্ষণ নিয়ে ফ্রিদা বলতেই যে হৃদয়াবেগ, যে কামনার প্রতিলিপি, তাকে সহজে পেরিয়েও যাওয়া যায় না। এই দুই-ই নারীবাদী পাঠ আলোচনায় ও ক্যুইয়ার আন্দোলনে নতুন গতিবেগ দিয়েছে।
মেহিকোর সাহিত্যিক কার্লোস ফুয়েন্তেস যেভাবে ফ্রিদাকে দেখতে পেয়েছিলেন, আজ তাঁকে আমরা সেইভাবে কল্পনা করতে চাই। মেহিকোর পালাসিও দে বেলাস আর্ট-এর কনসার্টে এসে বসছেন ফ্রিদা। গায়ের অলংকারের মণিমুক্ত ও ধাতুর নিক্বণ, পোশাকে পরের পর স্তর, কাপড়ের খসখস পেরিয়ে তৈরি হয়েছে এক নিস্তব্ধ সম্মোহন। ফুয়েন্তেসের মনে হয়েছিল যেন বা প্রাচীন অ্যাজটেকদের দেবী– কোয়াট্লিকুই– এসে উপনীত হয়েছেন, যাঁর গাউনের ঘেরে সাপেরা নৃত্যরত, আর যেন তিনি তাঁর ক্ষতবিক্ষত অঙ্গুলিগুলি অলংকারে মুড়ে হেলায় মেলে ধরেছেন সামনে। অথবা আবির্ভূত হয়েছেন ট্লাজোলতেওট্ল– যিনি একাধারে শুদ্ধতা ও পঙ্কের দেবী। বা ভূদেবী স্বয়ং। যিনি তাঁর নিজের শিরস্ত্রাণের ভারে নিজেই প্রোথিত হয়ে আছেন মাটিতে। ফুয়েন্তেসের এইসব রূপকল্প অকারণ নয়। এইগুলি ফ্রিদার জীবনের কঠিন পরিস্থিতিরই দ্যোতক। যেন তিনি ভাঙা ক্লিওপেট্রা। ওই নানা রংবিরঙ্গি কাপড়ের ভাঁজে তিনি অবিরত লুকিয়ে রাখছেন তাঁর বহুবার অস্ত্রোপচারের চিহ্ন, পোলিওতে শুকিয়ে যাওয়া ডান পা, ভাঙা হাড়, কোমর আর মেরুদণ্ড সোজা রাখার শক্ত করসেট। যেন এক্ষুনি তিনি নেমে যাবেন মেহিকোর প্রাচীন চাষিদের কার্নিভালে। ফুয়েন্তেসের এইসব রূপকল্প অকারণ নয়।
নিজের শরীর নিয়ে ফ্রিদার আজীবনের যুদ্ধ। ফ্রিদার যখন ৬ বছর বয়স, ডান পায়ে পোলিও ধরা পড়ায় তাঁকে ছোট থেকেও একটু খাটো ও রুগণ ডান পায়ে খুঁড়িয়ে চলতে হয়। আর সেই পা তিনি মহিম গরিমায় লম্বা বিরাট ঘেরের স্কার্টে ঢেকে রেখে দেন। শুধু তাই-ই নয়। একথা আজ সবার জানা যে, তিনি যখন মেডিসিন নিয়ে পড়ছেন, ১৮ বছর বয়স, বাড়ি ফেরার পথে কীভাবে চলন্ত বাস আর ইলেকট্রিক ট্রলির সংঘর্ষে একটা স্টিলের রেলিং তার তলপেট ফুঁড়ে ঢুকে যায়। তলপেটের অঙ্গগুলি বিনষ্ট করে কোমর আর মেরুদণ্ডের হাড় টুকরো-টুকরো করে দেয়। পরপর অস্ত্রোপচার, প্রলম্বিত অকথ্য যন্ত্রণায় ফ্রিদার জীবনটাই পুরো বদলে যায়। সারা শরীর প্লাস্টারে মুড়ে তাঁকে থাকতে হয় দীর্ঘকাল। ‘যেন বিদ্যুৎচমকের মতো সব বদলে গেল। আর আমি এসে পড়লাম এক ব্যথার গ্রহে। যা বরফের মতো কঠিন ও স্বচ্ছ’– ফ্রিদা বলেছিলেন। শারীরিক যন্ত্রণা হয়ে ওঠে তাঁর ছবির মূল ভাব। কেন্দ্রীয় চরিত্র। এসথেটিক্স। ব্যথার মতো ভাষা-অতিরেকী, ভাষা-অসাধ্য এক উপলব্ধিকে ফ্রিদা ব্যক্ত করেন চিত্র ভাষায়। ঘরবন্দি হয়ে থাকাকালীন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন। তাঁর মা খাটের সঙ্গে জুড়ে দেন ইজেল। বাবা এনে দেন কিছু তেল রং। মাথার ওপরে একটা আয়না লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি নিজের মুখ দেখে সাজতে পারেন। সেই যে নিজের সঙ্গে একা থাকাকালীন নিজের মুখ ক্রমে তাঁর পর্যবেক্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠল, তা-ই হয়ে গেল তাঁর ছবির বিষয়। ‘সেলফ ইন আ ভেলভেট ড্রেস’– এই ছবিটি ফ্রিদা আঁকেন ১৯২৬-এ। তবে যে ছবিটি আমরা দেখতে পাই, সেটি মূল ছবি নয়। মূল ছবিটি ফ্রিদা একটি নোট-সহ পাঠিয়েছিলেন তাঁর সহপাঠী আলেহানদ্রো গোমেজ এরিয়াসকে। তাঁর প্রথম প্রেমিক। যাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার জন্য ফ্রিদা অপেক্ষা করছিলেন আর ভয় পাচ্ছিলেন সারা জীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার। যদিও আলেহানদ্রোর সঙ্গে ফ্রিদার আর কোনও দিনই দেখা হয়নি।
ফ্রিদা মেডিসিন পড়তে গেছিলেন ন্যাশনাল প্রেপারেটরি স্কুলে। সেখানে ২০০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন ছিল ছাত্রী। এ থেকে বুঝতে অসুবিধে হয় না যে ফ্রিদা মেধাবী ছিলেন। এবং তাঁকে ঘিরে তাঁর বাবা-মায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও কম ছিল না। এখানে পড়তে পড়তে ফ্রিদা যোগ দেন আলেহানদ্রো ও অন্যান্য সহপাঠীর গ্রুপ ‘লস কাচুচাস’-এ। তারা সেই সময়ের পোশাকআশাকের কড়া নিয়ম মানত না। কবিতা লিখত, গান গাইত আর গোগ্রাসে সাহিত্য পড়ত। ফ্রিদা যে পরে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেবেন, তার নিশানা এখানেই পাওয়া যায়। অনেক পরে, ১৯৪৮-এ একটা কাঠের ব্লকে সব কাচুচাসান-রা এসে সই করলে ফ্রিদা নিজের একটা টুপি পরা ছবি আঁকেন। স্প্যানিশে ‘কাচুচাস’ মানে টুপি। এরা গোঁড়া নিয়মের প্রতিবাদ করে মাথায় কাপড়ের একটা টুপি পরত। এই সময় থেকেই ফ্রিদা মেহিকোর নিজস্ব আদি সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হন। মেহিকোর রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পরে ১৯২০ থেকে ১৯৪০– এই দুই দশক ধরে চলা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নাম ‘ইন্ডিজেনিসমো’। নতুন রাষ্ট্রে আদি ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর স্মৃতি ও যাপনরীতির সূত্র ধরে লাতিন আমেরিকী আত্মাকে খুঁজে বের করার যে প্রয়াস, তাতে মেহিকোর চিন্তাবিদ, শিল্পী ও লেখকরা শামিল হয়েছিলেন। যদিও এ-ও বলা হয় যে, এই ইন্ডিজেনিসমো মেহিকোর আদি ইন্ডিয়ানের সংরূপ নতুন রাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী নবচেতনার উদ্ভাস নিয়ে আসছে বটে, কিন্তু তা আদতে ক্ষমতাবান মেসতিজো (Mestizo)-দেরই বয়ান, যারা এই সময়কালে বিশুদ্ধ স্পেনীয়দের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেরা হয়ে উঠছে স্বাধীন দেশের রাজনীতি ও সমাজের প্রতিভূ। এখানে আদত ইন্ডিয়ানরা আদপেই নেই, তারা পিছু হঠে গেছে, লাখে লাখে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে কলম্বাস এই ভূমিতে পা দিতে না দিতেই।
ইউরোপ বা আমেরিকা থেকে লাতিন আমেরিকায় আসা পুরুষ আর দেশি ইন্ডিয়ান মহিলাদের সংসর্গে যে সন্তান জন্মায়, তাঁরা মেসতিজো। মেহিকো বিপ্লবের সময় থেকে এযাবৎকাল টুঁটি টিপে রাখা ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি, তার উপাচার, স্মৃতি, কণ্ঠস্বর ও অন্যান্য শারীরিকতার সঙ্গে পুনর্ধারণের প্রয়াস দেখা যায়। বিশ শতকের শুরু থেকে মেহিকোর জাতীয় সংস্কৃতি বলে যে নতুন চেতনা, তা এই ইন্ডিয়ান ধারাকে কেন্দ্রে রেখেই। মেহিকো মানেই মেসতিজো, অর্থাৎ সকলের শরীরে ও মনের গহনে কোনও না কোনও ভাবে আছে সেই আদি ইন্ডিয়ানত্ব– এই কথাই হয়ে ওঠে নতুন রাষ্ট্রের নতুন মন্ত্র। সেটিকে স্মরণ করেই মেহিকোর জাতীয়তা তৈরি হয়েছে। নানা দেশের, নানা ভাষার, নানা জাতির সমাহার মেহিকোতে এই ছিল নতুনভাবে এক দেশ বহু জাতির মধ্যে যৌথতা নির্মাণের সূত্র ও তা উদ্বোধনের প্রয়াস।
ফ্রিদা যখন ছবি আঁকতে শুরু করেন, তিনিও এই আন্দোলনের আবেগে সাড়া দেন। তাঁর পোশাক, চুলের বেণী, বেণীতে পাক খাওয়া রঙিন উল ও ফিতে, গয়নাগাঁটি থেকে ক্যানভাসে ফুল, ফল, উদ্ভিদ, পশু, রঙের পরত, টেক্সচার এবং পুরো ক্যানভাস জুড়ে যে আবেগ, তা তাঁর পারিবারিক মেসতিজো ধারা ও মেহিকোর যে গৌরবোজ্জ্বল ইন্ডিয়ান অতীত, তাকেই স্মরণ করে, তাকেই দাখিল করে। এই প্রসঙ্গে তাঁর কমিউনিজমের সঙ্গে যোগাযোগও ভুলে গেলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, মেহিকোর সেকুলার উদারপন্থী বুদ্ধিজীবিতা উত্তর আমেরিকার থেকে বহুলাংশেই ভিন্ন। আমাদের ফ্রিদাকে দেখতে হবে সেই মেসতিজো জাতীয়তাবাদী চেতনার নিরিখে, এবং তাঁর অপ্রতিরোধ্য নিজস্বতায়।
ফ্রিদা জন্মেছিলেন মেহিকোর কোয়োয়াকানে। স্পেনীয়দের আসার আগে এই জায়গাটায় ছিল তেপানেক গোষ্ঠীর বাস, যাদের সঙ্গে অ্যাজটেকদের খুব একটা বনিবনা ছিল না। ফ্রিদার বাবা কার্ল উইলহেলম কাহলো ছিলেন জার্মান, ১৯ বছর বয়সে মেহিকোতে এসে তিনি উইলহেলম-কে স্পেনীয় গিলেরমো করে নেন। যদিও ফ্রিদা লিখেছেন যে, তাঁর বাবা ছিলেন হাঙ্গেরির ইহুদি, স্কলাররা বলেছেন তিনি ছিলেন জার্মান লুথেরানপন্থী। যখন নাৎসি জার্মানিতে ইহুদি নিধন শুরু হয়, কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী ফ্রিদা নিজের নাম জার্মান বানানে লিখতে শুরু করেন, যার অর্থ ‘শান্তি’। ফ্রিদার মা ক্যালডেরন ওয়াই গোঞ্জালেস ছিলেন মেসতিজো, স্পেনীয়-ইন্ডিয়ান ধারায়। তিনি ছিলেন গোঁড়া ক্যাথলিক। সেই ভাবেই ফ্রিদাদের ৫ বোনকে বড় করা হয়। কিন্তু ফ্রিদা যে প্রথম থেকেই আলাদা, তা পারিবারিক অ্যালবাম থেকে টের পাওয়া যায়, যেখানে তিনি ছবিতে পুরদস্তুর স্যুট পরে হাজির। তিনি লিখেওছেন, ‘সবাই যখন খাওয়ার টেবিলে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রার্থনা করত, আমি আর যিশুখ্রিস্টের চোখের দিকে তাকিয়ে হাসতাম’। পরে খ্রিস্টীয় আইকন ও প্রতীক তাঁর ছবিতে ফিরে ফিরে আসবে, যেগুলি ফ্রিদা তাঁর আত্মার অংশ করে নিয়েছেন, সেগুলিকে ধর্মীয়তার গণ্ডি ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন ভিন্ন তলে– নিজস্ব জীবনের প্রতীক হিসেবে বা মেহিকোর ইতিহাসের সারাৎসার তৈরিতে।
যে বাড়িতে ফ্রিদা জন্মেছেন আর ছোটবেলা কাটিয়েছেন, সেই বাড়ির নাম ‘দ্য কাসা আজুল’– নীল বাড়ি। সেখানে এখন ফ্রিদার সমস্ত শিল্পকর্ম, পোশাকআশাক, করসেট, বিশেষভাবে তৈরি জুতো, সংগ্রহ করা সেরামিক, ও ইন্ডিয়ান রিচুয়ালের নানা বস্তুর মিউজিয়াম। ফ্রিদার সম্পূর্ণ নাম ম্যাগদালেনা কারমেন ফ্রিদা কাহলো ওয়াই ক্যালডেরন।
আমার একটা চরিত্রগত ত্রুটি আছে। আমি যাঁকে পড়তে যাই, বিশেষ করে যাঁর খ্যাতি-সিদ্ধি আছে, মনে করি, তাঁর সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করা আমার কাজ। অতএব আমি মনেই করি না, যাঁকে পড়ছি তিনি উজ্জ্বল লোক। ফলে সম্মুখ সমর। অনেক ভুলভাল কথাও ভাবব খাটো করতে গিয়ে, কিন্তু খাটো করবই।