‘‘যাই বল, মেয়েদের শরীর বেশী দুর্বল এটা বাজে কথা। আমার মনে হয় মেয়েদের মাসল-এ কম জোর থাকতে পারে, ভারী বোঝা হয় ত’ তুলতে পারে না, কিন্তু সহ্য করার বা কাজ করার ক্ষমতা বিন্দুমাত্র কম নয়, বরং বেশিই। কাজেই কেন তাঁরা দাঁড়াবে না? যদি সত্যি সত্যি পুরুষদের সঙ্গে সমান হতে চাও, তা’ হ’লে কোনও বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব দাবী করতে পারবে না। আমার মতে লেডিজ সীটগুলো একেবারে তুলে দেওয়া উচিত।’’ লিখেছিলেন লীলা মজুমদার। সময়টা কীরকম ছিল? তাঁর স্বর মিলে যাচ্ছিল কার স্বরের সঙ্গে?
১৪.
‘কালপেঁচা’ ছদ্মনামে বিনয় ঘোষ ‘যুগান্তর’-এ সাপ্তাহিক কলাম লিখতেন। তাঁর ‘বাস কি বৈঠকখানা’ শিরোনামের লেখাটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। কালপেঁচার এই লেখা সে যুগে বেশ সমালোচনা হয়েছিল। হওয়ারই কথা। বেশ উসকানিমূলক ছিল লেখাটি। একটা উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করা যাক–
‘‘মেয়েরা যদি পুরুষদের সীটে বসেন… তাহলে পুরুষরা কখনো তাঁদের তুলে দিয়ে সীট দখল করেন না। কিন্তু মেয়েরা এ–ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর এবং অনেক উগ্র আধুনিকারও দেখেছি বিন্দুমাত্র চক্ষুলজ্জা নেই। একটি দু’জনের ‘লেডীজ সীট’ থেকে দু’জন পুরুষকে তুলে দিয়ে কোনো আধুনিকা ভদ্রমহিলা যদি নির্বিবাদে তাতে বসে পড়েন এবং বসে উলটো দিকে চেয়ে থাকেন, তাহলে কী মনে হয়? শুধু কী তাই? ঐভাবে বসে পড়ে যদি তিনি তাঁর পুরুষ সঙ্গীটিকে ডেকে কাছে বসান… তাহলে তাঁর আধুনিকতা, শিক্ষা ও শালীনতা বোধ সম্বন্ধে যে কোনও সুস্থ ব্যক্তির কী মনে হতে পারে?… স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে উঠলেন, দু’জন ভদ্রলোককে (হয়তো বৃদ্ধ) সীট থেকে তুলে দিলেন এবং তারপর স্বামীস্ত্রী দু’জনে চোখ বুজে বসে পড়লেন– এ ঘটনা বাসে প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। নিজের স্ত্রীকে অথবা অবিবাহিত বোনকে পুরুষের স্পর্শ থেকে প্রটেক্ট করা যদি প্রয়োজন হয়, যাঁরা বসেছিলেন আগে তাঁদের মধ্যে কোনো ভদ্রলোককে ডেকে পাশে বসতে বলার মত সৎসাহস যদি না থাকে, তাহলে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও অন্ততঃ শিষ্টতার পরিচয় দিতে পারেন। এই সব কারণেই বাস থেকে ‘লেডীজ সীট’ তুলে দেওয়া উচিত। পর্দানশীন কুলবধূ যাঁরা তাঁদের জন্য ট্যাক্সি আছে, ছেকড়া গাড়ী আছে, রিকসা আছে। বাসে যদি যেতেই হয় তা’হলে যে সময় ভিড়ের চাপ কম থাকে, সে–সময় চলাফেরা করলে কোনো অসুবিধা তাঁদের হবে না।’’
পরিবহণে মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়ে বিনয়বাবুর একার ক্ষোভ ছিল না। তৎকালীন কাগজে, ছোটগল্পে, উপন্যাসে, সিনেমায় বা সে সময়ের মানুষজনের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, ট্রাম–বাস বা ট্রেনে মহিলা কামরা বা লেডিজ সিট ছিল নানা লিঙ্গভিত্তিক বিতণ্ডার ক্ষেত্র, বিশেষ করে অফিসের সময়ে। দেবেশ রায়ের ছয়ের দশকে প্রকাশিত ছোটগল্প ‘যৌবন বেলা’য় যেমন পড়ি,
“এক দিন সিস্টার মাসি সাড়ে ন’টার বাসে উঠেছে হাসপাতালে যাবে। উঠতেই কে বলেছে, কেন যে এই অফিস টাইমের ভিড়ে ‘লেডিজরা’ ওঠেন আর সিস্টার মাসি অমনি, সিস্টার মাসির গলা তো জানোই, চিৎকার করে শুনিয়ে–শুনিয়ে বলতে শুরু করেছে, দাদা, আমার তো একটু বাতের ব্যথা আছে, তাই এই সাতসকালে খেয়েদেয়ে বেরিয়েছি আপনাদের ধাক্কাটাক্কা খেয়ে গায়ের ব্যথা মারব।”
পর্দানশীন কুলবধূরা যে সেই অফিস টাইমের ভিড়ের অংশ ছিলেন না, তা বলা বাহুল্য। এই ভিড় ছিল লেডি টাইপিস্ট, স্কুল-কলেজের দিদিমণি, কলেজের ছাত্রী, টেলিফোন অপারেটর, সিস্টারদিদিদের। আর বিনয়বাবুর মতো পুরুষদের রাগ ছিল চাকুরিরতা বা হবু চাকুরিরতাদের নিয়েই। ‘চাকুরিরতা’ মানেই সে ঘরের লক্ষ্মণরেখা পেরিয়েছে, সে সমান অধিকার চায়, সে ‘আধুনিকা’। শুধু তাই নয়, চাকরি যখন বিরল, তখন নারী–পুরুষ প্রতিযোগীও বটে। তাহলে বাসে-ট্রামে মেয়েদের আলাদা সুবিধা থাকবে কেন? এই ছিল বহু পুরুষের মূল প্রশ্ন।
কালপেঁচার প্রবন্ধের বছর দুয়েক আগে একই কাগজে লেখা একটি চিঠিতে জনৈক সুকল্যাণ চট্টোপাধ্যায় যেমন লিখছেন, ‘অবলাত্বের দাবীকে মূলধন স্বরূপ নিয়ে সমানাধিকারের আন্দোলন চালাবার মধ্যে আর যাই থাক না কেন, নারীদের তথাকথিত মানসিক ও সাংস্কৃতিক ধারণার বলিষ্ঠ ও উদার সম্ভাবনার ইঙ্গিত তাতে থাকে না।’ (যুগান্তর, ২৪/১২/৪৭)।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমসাময়িক একটি ছোটগল্প ‘ট্রামে’। সেখানে আমরা পড়ি এক যুবকের কথা, যে এক ঘোমটা টানা মহিলাকে সিট ছেড়ে দেয়, কিন্তু তার আগে দুই ‘আধুনিকা’কে দেয় না। ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া মৃণাল সেনের ছবি ‘পুনশ্চ’তেও শুনি, বাসন্তীর বাবার এক সহকর্মীর আক্ষেপ– ‘ঘেন্না ধরিয়ে দিল মশাই।… ঘরে, বাইরে, পোস্টাপিসে খাম টিকিট কিনতে যাও, … রেলগাড়িতে টিকিট কিনতে যাও, সেখানেও সেই একই জিনিস। আরে ট্রামে বাসে সর্বত্র সেই একই কথা, লেডিজ ফার্স্ট।’ পাঁচ-ছয়ের এর দশকে বাসে–ট্রামে সিট সংরক্ষণ নিয়ে তর্ক–বিতর্ক আসলে বৃহত্তর সামাজিক সংঘাতের প্রতিফলন, পিতৃতন্ত্রের আশঙ্কার বহিঃপ্রকাশ।
আচ্ছা, সত্যি কি পরিবহণ পরিকাঠামোয় মেয়েদের প্রতি পক্ষপাত ছিল? কখনও কি থাকে? বাস, ট্রেন বা ট্রামের কামরায় ভিড়ের সময়ে, চেনা–অচেনা নির্বিশেষে, গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানো; নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি বা রাস্তায় গাড়ির গতির তারতম্য হলে অন্যের গায়ে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা স্পর্শের মুহূর্ত অবিরত তৈরি হয়। ভিড়ের অছিলায় ইচ্ছাকৃতভাবে মহিলাদের স্পর্শ করার উদাহরণও প্রতিটি মেয়ের জীবনে ভুরি ভুরি। আর যে-সময়ের কথা লিখছি, তখনও পুরুষদের চোখে বাসে–ট্রামে, অফিসে বাঙালি মেয়েরা নতুন, অভিনব, আবার হঠাৎ তাঁরা প্রতিযোগীও। ঘরে বউ বা অবিবাহিত বোনের মাইনের ওপর নির্ভরশীলতা, স্ত্রীর সময়ের ওপর একচ্ছত্র দাবি হারানো, চাকরি জগতে রেষারেষি– সব মিলিয়ে পৌরুষের ধারণা আক্রান্ত সে সময়। বাসে–ট্রামে নারী শরীরকে অপদস্থ করার মধ্যে হয়তো পৌরুষ জাহিরের উপায় খুঁজতেন অনেকে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র দুই চরিত্র সিদ্ধার্থ ও শিবেনের একটি কথোপকথন মনে পড়ে যায় এ প্রসঙ্গে–
‘সিদ্ধার্থ শিবেনকে কনুই দিয়ে একটা খোঁচা মারল। পাশ দিয়ে দুটি যুবতী চলে গেল–ওদের চেয়ে দু’–এক বছরের বড়োই হবে– দু–জনেই বেশ স্বাস্থ্যবতী, এক হালকা সুগন্ধ বয়ে গেল এক মুহূর্তের জন্য। সিদ্ধার্থ বলল, সাউথ ক্যালকাটায় এলে বেশ ভালো ভালো মেয়ে দেখতে পাওয়া যায়। এইজন্যই আসতে ইচ্ছে করে! কী বুক দেখেছিস?
শিবেন বিজ্ঞভাবে জানাল, সব আসল নয়, নকল।
তোকে বলেছে! তুই হাত দিয়ে দেখেছিস?
হাত দিয়ে দেখতে হয় না, একদিন বাসে একজনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল, লোহার মতন শক্ত কী যে একটা–
ভাগ! আমারও তো প্রায়ই ধাক্কা লাগে, দু–একবার ইচ্ছে করেও একটু, বুঝলি না, চান্স পেলে, কিন্তু আমি তো সব্বারই দেখেছি নরম–নরম– তোর লাকটাই খারাপ।’
সুনীলের বদলে কোনও লেখিকা লিখলে হয়তো তাঁর চোখে পড়ত সিঁটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের, যাঁদের মুখে বিরক্তি, ব্যাগের ব্যবহার বর্মের মতো। এমন নয় তাঁরা লেখেননি। কালপেঁচার প্রবন্ধ বা সুকল্যাণবাবুর চিঠির উত্তরে মেয়েরাও চিঠি পাঠিয়েছিলেন সম্পাদকের দপ্তরে। সেইসব চিঠির পাতা উল্টোলেই বোঝা যায় সংরক্ষণকে বেশিরভাগ মেয়েরা নিজেরা প্রয়োজন হিসাবে দেখতেন, বিশেষ অধিকার বা সুবিধা হিসাবে না। এই প্রয়োজনের জন্য, সংগতভাবেই, তাঁরা দায়ী করতেন পুরুষদের। একটা উদাহরণ দিই। সুকল্যাণবাবুর চিঠির কয়েক দিনের মধ্যেই ‘যুগান্তর’-এ বাণীবন গার্লস স্কুলের একজন লিখছেন (২৬/১২/১৯৪৭)–
‘পুরুষ যাত্রীকেও যথেষ্ট কষ্ট ভীড়ে সহ্য করিতে হয়… কিন্তু সেই পুরুষ যাত্রীরাই ভীড়ে দণ্ডায়মানা কোনো মহিলা যাত্রী পাইলে তদপেক্ষা অধিক তাহাদের জীবন দুর্ব্বিসহ করিয়া তোলেন। সুতরাং মহিলা যাত্রীদের পুরুষ যাত্রীবহুল যানবাহনে দণ্ডায়মান হইয়া যাওয়া [সম্ভব] নহে। যদি পুরুষ যাত্রীগণ ভদ্রভাবে মহিলা যাত্রীদের সহিত একত্রে দাঁড়াইতে পারিতেন তবে কোনও প্রশ্নই উঠিত না…’
তবে সে সময়ে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এমন অনেকের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা বাসে–ট্রামে যৌন হেনস্তার কথা উল্লেখ করলেও, বিশদে বলতে স্বচ্ছন্দ নন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ তো শ্লীলতাহানি বা যৌন হেনস্তাকে মেয়েদের দোষ, মেয়েদের লজ্জা হিসাবে দেখতে শেখায়, তাই হয়তো এই কুণ্ঠা।
আর মেয়েদের মধ্যেই উল্টোস্বরও ছিল। লীলা মজুমদারের বই পাঁচের দশকের মাঝামাঝি প্রকাশিত বই ‘মণিমালা’য় বাস–ট্রামের প্রসঙ্গ এসেছে একাধিকবার। মণিমালা ঠাকুমার লেখা নাতনিকে একগুচ্ছ চিঠির সংকলন। এই বইটির উদ্দিষ্ট পাঠক ছিল কিশোরী ও সদ্য যুবতীরা। ঘরে–বাইরে তাঁদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিত– তাই এই বইয়ের মূল কথা। এক জায়গায় লীলা মজুমদার লিখছেন–
“নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করে চলতে হয়। ট্র্যামে বাসে লেডিজ সীট খালি না থাকলে, যদি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আশা করি তোমরা পুরুষ মানুষদের অভদ্র আখ্যা দাও না? পুরুষদের সঙ্গে সব বিষয়ে যখন সমান সমান অধিকার দাবী কর, তখন তোমাদের সমান সমান দায়িত্ব নেবার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। ট্র্যামে বাসে জায়গা কম থাকলে কারা বসবে জান? যারা বুড়ো, অথর্ব, অসুস্থ, তারা। যাই বল, মেয়েদের শরীর বেশী দুর্বল এটা বাজে কথা। আমার মনে হয় মেয়েদের মাসল–এ কম জোর থাকতে পারে, ভারী বোঝা হয় ত’ তুলতে পারে না, কিন্তু সহ্য করার বা কাজ করার ক্ষমতা বিন্দুমাত্র কম নয়, বরং বেশিই। কাজেই কেন তাঁরা দাঁড়াবে না? যদি সত্যি সত্যি পুরুষদের সঙ্গে সমান হতে চাও, তা’ হ’লে কোনও বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব দাবী করতে পারবে না। আমার মতে লেডিজ সীটগুলো একেবারে তুলে দেওয়া উচিত।”
সম্মান রক্ষা করার উপায় কী? ‘পথে ঘাটে অত হাসতে পারবে না, কখনো অত জোরে কথা বলতে পারবে না…’, লিখছেন লীলা। অর্থাৎ, তাঁর মতে মেয়েদের ‘অশালীন’ আচরণ তাঁদের সমস্যার কারণ। তাঁরা নিজেরা নিজেদের বহিঃসমাজের উপযুক্ত করে তুলতে পারলে তাঁদের জন্য কোনও সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হবে না। যদিও তাঁদের উদ্দিষ্ট পাঠক আলাদা, বিনয় ঘোষের সঙ্গে লীলা মজুমদারের স্বর যেন কোথাও গিয়ে মিলে যায় এখানে।
লেডিজ সিট অবশ্য ওঠেনি। রেলে মহিলা কামরাও রয়েছে। মাঝে মাঝে সরকার ‘লেডিজ স্পেশাল’ পরিবহণের ব্যবস্থা করেছেন– সে ট্রামই হোক বা ট্রেন। তখন আবার নারী–পুরুষ দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। মাতৃভূমি লোকাল নিয়ে ধুন্ধুমারের কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। তবে বাস–ট্রাম–ট্রেন যে শুধু অশান্তি, হেনস্তার জায়গা– তা ভাবলে ভুল হবে। পাঁচ-ছয়ের দশকে বহু মেয়ে যানবাহনে খুঁজে পেয়েছিলেন বন্ধুত্ব, প্রেম, আনন্দ। সেই সব গল্প পরের কিস্তির জন্য তোলা থাক।
… পড়ুন চৌকাঠ পেরিয়ে কলামের অন্যান্য পর্ব …
পর্ব ১৩: অল্পবয়সি উদ্বাস্তু মহিলারা দেহব্যবসায় নেমে কলোনির নাম ডোবাচ্ছে, বলতেন উদ্বাস্তু যুবকরা
পর্ব ১২: মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবির মিঠুর মতো অনেকে উদ্বাস্তু মেয়েই চাকরি পেয়েছিল দুধের ডিপোতে
পর্ব ১১: প্রথম মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীর চাকরির শতবর্ষে ব্যাঙ্কের শ্রমবিভাজন কি বদলে গিয়েছে?
পর্ব ১০: সেলসগার্লের চাকরিতে মেয়েরা কীভাবে সাজবে, কতটা সাজবে, তা বহু ক্ষেত্রেই ঠিক করত মালিকপক্ষ
পর্ব ৯: স্বল্পখ্যাত কিংবা পারিবারিক পত্রিকা ছাড়া মহিলা সাংবাদিকরা ব্রাত্য ছিলেন দীর্ঘকাল
পর্ব ৮: অভিভাবকহীন উদ্বাস্তু মেয়েদের ‘চিরকালীন বোঝা’র তকমা দিয়েছিল সরকার
পর্ব ৭: মেয়েদের স্কুলের চাকরি প্রতিযোগিতা বেড়েছিল উদ্বাস্তুরা এদেশে আসার পর
পর্ব ৬: স্বাধীনতার পর মহিলা পুলিশকে কেরানি হিসাবেই দেখা হত, সেই পরিস্থিতি কি আজ বদলেছে?
পর্ব ৫: প্রেম-বিবাহের গড়পড়তা কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবের লেডি ডাক্তাররা স্বাধীনতার নিজস্ব ছন্দ পেয়েছিলেন
পর্ব ৪ : নার্সের ছদ্মবেশে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যৌন হেনস্তার কবলে পড়তে হয়েছিল
পর্ব ৩ : উদ্বাস্তু মেয়েদের রোজগারের সুযোগ মিলেছিল টাইপ-শর্টহ্যান্ডের কাজে
পর্ব ২ : পিতৃতন্ত্রের কাঠামোয় কিছু ফাটল নিশ্চয়ই ধরিয়েছিলেন সে যুগের মহিলা টেলিফোন অপারেটররা
পর্ব ১ : দেশভাগের পর ‘চঞ্চল চক্ষুময়’ অফিসে চাকুরিরত মেয়েরা কীভাবে মানিয়ে নিলেন?