Robbar

পাতাবাহার

যে দেশাত্মবোধের গল্প বলে কলকাতার কাবুলিওয়ালা

কেন দেশ ছেড়েছিল কাবুলিওয়ালারা? কীভাবে তারা ভারতে এসে পড়ল? কত পুরনো এই অভিবাসন? পশ্চিমের পথ ডিঙিয়ে কীভাবে তারা এসে পড়ল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা শহরে। বাংলায় আর্দ্র জলহাওয়ায় কি তাদের জীবনচর্যা, সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসে বদল হল? উত্তর খুঁজেছেন তুহিন হক।

→

টালিগঞ্জে টেকনিশিয়ান-প্রযোজক দ্বন্দ্বে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই টেকনিশিয়ানদের পক্ষে ছিলেন

একটা লোক কাছে আইয়া কইল, আরে ভানুদা কী হইসে? কোনও ক্রমে কইলাম, ভাই মা মারা গ্যাছেন। শুইন্যা হাসতে হাসতে চইল্যা যাইতে যাইতে কইল, 'দ্যাখ, ভানুরে কাঁদলে কেমন লাগে!' একজন কমেডিয়ানকে সহ্য করতে হয় এমন সব খ্যাতির কাঁটা!

→

পাওয়া না-পাওয়ার বন্ধু

চারের দশক বাংলা গানের ফুটপাথ বদলের সন্ধিক্ষণ। আর অখিলবন্ধু আক্ষরিক অর্থেই এই সময়ের ‘মিসিং লিংক’। ধ্রুপদি তানকারির পুরাতন গায়নশৈলী এবং ‘আধুনিক’ গানের মেলোডি আর কাব্যময়তার ভাষ্য– দুই ক্ষেত্রেই তাঁর স্বাভাবিক চলন আশ্চর্য করে।

→

বো ব্যারাকের চোখ দিয়ে পড়া আমাদেরই বিস্মৃত ইতিহাস

ততদিনে কলকাতা শহর থেকে ডি-গামা সাহেবের কেকের দোকান উঠে গিয়েছে। চিরতরে। ততদিনে কোকা-কোলা। জেমস বন্ড। সোভিয়েত ভেঙে রমরমে বিশ্বায়নের বাজার। ততদিনে ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাই বাজার এবং রাষ্ট্রের ঠেলায় আরও ভুলে যেতে যেতে, মার্জিনালাইজড হতে হতে, মিম অথবা ৩০ সেকেন্ডের কন্টেন্ট।

→

রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে একজন থিয়েটারশিল্পীর দায়িত্ব কী, মনে করায় যে বই

এক দীর্ঘ পথচলা। সময়ের ধারাপাতে ব্যক্তি দেবেশের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলেমিশে যায় থিয়েটারকর্মী দেবেশের রোজনামচা। এই গ্রন্থ তাঁর অন্বেষণের সফর।

→

যে বইয়ে বাদ যায়নি পাঠক প্রতিক্রিয়াও!

১৪ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২৩– ফেসবুক ওয়ালে এই সময় পর্বে বাছাই ৩০টি লেখা নিয়ে এই সংকলন। তবে বিষয় আলোচনা দিয়ে দাঁড়ি টানলে এই গ্রন্থ পর্যালোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ ব‌ইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, ফেসবুকের ‘দেয়াল লিখন’-এ যে পাঠক প্রতিক্রিয়া, তার সংযোজন। সাহিত্যকর্মের আঙিনা হিসেবে যত‌ই ফেসবুকের ভূমিকাকে গুরুত্বহীন হিসেবে দেখা হোক, পাঠক-লেখকের সরাসরি সংযোগের উপায় হিসেবে এই মাধ্যমের উপযোগিতাকে অস্বীকারের উপায় নেই।

→

মেয়েদের দিকে অহরহ ছুড়ে দেওয়া রসিকতার মুখোশ টেনে সরাতে পারে এই বই

২৪টি ছোট প্রবন্ধের এই সংকলনে শুধু রবিবাবু নন, রামপ্রসাদ থেকে কমলকুমার মজুমদার, তারাশঙ্কর থেকে আশাপূর্ণা দেবী– অনেকেই বারবার দেখা দেন। নানা সামাজিক বিষয়ের লেখাগুলোতে ঘুরে-ফিরে বাংলা সাহিত্য থেকে এতরকম অনুষঙ্গ এসে পড়ে, যে পাঠক হিসেবে তা আমাদের পড়ার আনন্দ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

→

বাবুসমাজ ধ্বংস হয়নি আজও, এখনও চলছে বড়লোকদের খেয়ালখুশি

দশ টাকার নোট পাকিয়ে সিগারেট খাওয়া যায়, বাইজি ভূতের শ্রাদ্ধে উৎসর্গ করা যায় সেই সময়কার দু’ লক্ষ টাকার গয়না, বেড়ালের বিয়েতে ছ’ হাজার মানুষ খাওয়ানো যায়, মুরগির লড়াইয়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করা যায়। তবে বাবু মাত্রই কি অন্ধ অহংয়ের নিকশ কালো রাত?

→

পিঠের উপর জেগে থাকা কাটা দাগই আসলে জীবন

নীতি-টিতি চুলোয় গেলে সমাজের বুকে এক রকমের মন্বন্তর। সমাজবদলের ডাক কে কবে দেবেন জানা নেই, তবে এই স্মৃতি-মীন ঘুরে বেড়াক নতুন সময়ের জলে। হয়তো সেই বাঁচাবে আগামীকে, বীজধান যেমন জোগায় পরের বছরের খোরাকি। এটুকুই সামান্য এক জীবনের সম্বল, সুবলচন্দ্র দে তাঁর আত্মচরিতে সেটুকুই বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে।

→

‘কী আঁকছি? কেন আঁকছি?’ এই প্রশ্নটিই বোধহয় যোগেনের সামগ্রিক লেখালিখির বীজ

শাব্দিকের দক্ষ কারিগরি কিংবা নেশাড়ুর অসংযত আবেগের প্রকাশ কোনওটাই তাঁর নেই। সন্তরণ, মায়াকাল ও জ্যোৎস্না-প্রহর অতিক্রম করে বাস্তবের ঘাটে সচেতন নোঙরটি বাঁধা থাকে তাঁর। এখানেই যোগেনের গদ্যদেশ ব্যতিক্রমী।

→