E-Robbar
মানুষ চিরদিন নিজের মধ্যেই দ্বিখণ্ডিত। একদিকে শেষ সমস্ত প্রকৃতিকে হারিয়ে দিয়ে যেন নিজের চিরস্থায়ী বৈভবে প্রকাশিত। অন্যদিকে, সেই মানুষই মাটির কয়েক ফুট নিচে অন্ধকারে অন্ধভাবে ফিরে যাচ্ছে তার শেষ মূক আশ্রয়ে, যেখানে সে পচতে পচতে একদিন স্রেফ উবে যাবে। তাহলে অনন্ত বলে কিছু নেই? সবাই মৃত্যু পথের যাত্রী?
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
লেখার টেবিলের কথা শুনে আমার নোবেল এক্সেপ্টেন্স লেকচারে আমি এক অপ্রত্যাশিত অঘটন ঘটিয়েছি। বলেই চলেছি, বলেই চলেছি শুধু গাছের কথা!
রুশদির মন বলে উঠল, তাহলে তুমি এলে শেষপর্যন্ত সেখানেই যেখানে সবথেকে কম আশা করেছিলাম তোমাকে!
সত্যিই ইতিহাস মানুষের নারকীয় তাণ্ডব ও নির্বুদ্ধিতার তালিকা? এছাড়া আর কোনও পরিচয় নেই ইতিহাসের?
যন্ত্রণা, জীবনের অজস্র ক্লেশ ও দুর্ভোগ কী শিখিয়েছে বিবেকানন্দকে? টেবিলটাই যেন ফিশফিশ করে বলতে থাকে বিবেকানন্দকে জীবন-নির্যাতনের মর্মকথা
লেখার টেবিলে বসলেই টেবিলটা আমাকে নিয়ে যায় আমার অতীতে। আমার আমাকে বলে, ‘তোর অতীতের পাপ, অপরাধ, নরকই তোর লেখার স্বর্গ। সব রত্ন লুকিয়ে আছে ওখানেই। তোর পক্ষে লেখার উপাদান আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।’
জীবনে উন্নতি করতে হলে মানুষকে ম্যাকিয়াভেলির পরামর্শ মতো চলতেই হবে, পড়তেই হবে শয়তান-শাস্ত্র ‘দ্য প্রিন্স’!