Robbar

রোজনামচা

প্রফুল্লজেঠুর গল্পের আসরে আর যাওয়া হবে না

আমার বাবা সুধাংশুশেখর দে তাঁর প্রকাশনা জগতে কাটানো ৫০ বছরের স্মৃতিকথা লিখছেন। বাবার সঙ্গে সেই শুরুর কথা জানতে প্রফুল্লজেঠুর কাছে যাওয়া। তখনই দেখি ৯১ বছরের লেখকের স্মৃতিতে পলি জমতে শুরু করেছে। নিজের বইয়ে সই করতে গিয়ে তিনবার কেটেছেন। আমি এই প্রফুল্ল রায়কে আগে দেখিনি। সদ্যপ্রয়াত প্রফুল্ল রায়ের স্মৃতিচারণা।

→

‘মৃত’ ঘোষণা চিকিৎসকের, কিন্তু অলৌকিক পুনর্জন্মে উস্তাদ আলি আকবর খান গেয়ে উঠেছিলেন গান

ফকির আফ্‌তাবউদ্দিন তখন মন্ত্র বলতে বলতে গুরুবাবার শরীরের চারপাশে ঘুরছেন। সাত-আট পাক ঘোরার পর গুরুবাবার বুকে পা রাখলেন। শোনা যায়, পা রাখার পরই তিনি উঠে বসে গান গাইতে শুরু করেন। মেঘ রাগ।

→

শতবর্ষ আগের একটি মৃত্যু ও দার্জিলিংয়ের প্রায় নির্জন সংগ্রহশালা

কর্মভারে অসুস্থ হয়ে, ডাক্তারের নির্দেশে দার্জিলিং এসেছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। পাহাড়ের হাওয়াবদলি শুশ্রূষার আশায় উঠেছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘স্টেপ অ্যাসাইড’ বাড়িটিতে। এ বাড়িতে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন বেসান্ট, গান্ধিজিও। কিন্তু ফেরা হয়নি তাঁর। ঠিক ১০০ বছর আগে এ-বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশবন্ধু। কেমন ছিল ১০০ বছর আগের সেই শান্ত সাদা বাড়িটির স্তিমিত অনুভূতি?

→

যে আবহমান জাপানের কথা লিখছেন কাওয়াবাতা, তার কাছেই আজ ফিরতে চাইছে পৃথিবী

প্রথম জাপানযাত্রার রবীন্দ্রনাথকে দেখে স্কুল-পড়ুয়া কাওয়াবাতা-র মনে হয়েছিল যেন বা প্রাচীন প্রাচ্যের কোনও জাদুকরকে দেখছেন! ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথ প্রথম এশীয়, যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান আর তাঁর পাঁচ দশক পরে এশিয়ার দ্বিতীয় প্রাপক হিসেবে একই পুরস্কার পান জাপানের ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার ইয়াসুনারি বা কোসেই কাওয়াবাতা।

→

ঘরের কথা কেচ্ছার মোড়কে বাইরে এনে ফেলাই কলতলার কারসাজি

ফলে ‘কলতলা’ শব্দটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে যায় ‘মেয়েলি’ কাজিয়ার প্রসঙ্গ। সচেতনভাবে ভুলে যাওয়া হয় যে কলতলায় অশান্তির একটি অন্যতম কারণ হতে পারত ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং সেই অনুপাতে জল সরবরাহের অপ্রতুলতা।

→

অপু-দুর্গার বৃষ্টিস্নান স্বপ্ন আর বিপর্যয়ের নিখুঁত বুনন

বৃষ্টি-স্নানের ঠিক আগের মুহূর্তেই ব্রতকথায় দুর্গার স্বপ্নের খতিয়ান দিয়েছেন সত্যজিৎ। তারপর বৃষ্টিধারায় নিজেই মুছে দিয়েছেন দুর্গার সমস্ত স্বপ্নকে। স্বপ্নের অস্থায়িত্ব, স্বপ্নের ভঙ্গুরতাকেই ব্যঞ্জনা দিয়েছেন এইভাবে।

→

‘ফিমেল গেজ’ দিয়ে দেবারতি দেখেছিলেন যুবকের স্নান

এই বইয়ে জল আসছে কতবার। ‘ঝরনা সহস্রধারা’য়, ‘অদর্শন কিছু নয়,/ তোমাকে দেখার ইচ্ছে শুধু আমারই কি?/বাঁশিটির তরুণ নিশ্বাস/ ফুঁ দিয়ে সরায় জল, চলকানো রোদ’। বনময় যে শুয়ে থাকে, যে-ঘুমন্তের উজ্জ্বল ত্বকের মতো তার ঝরনাও হয়ে যায় সহস্রধারা। তারপর?

→

বৃষ্টি বাঁচিয়ে নয়, বরং চিন্ময়ের মতো প্রেমিকার সামনে ভয়ে ‘বাবা রে’ বলে ভরা পুকুরে লাফিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে

শহরের চার বন্ধুর মধ্যে তিন জন যুবক বক্সার পরে কুয়োর জলে স্নান করতে আসে এবং দৃশ্যের মধ্যে গাড়ি করে ঢুকে পড়ে দুই নায়িকা। সঙ্গে সঙ্গে ছেলে তিনটির মধ্যে শুরু হয় এক চরম অস্বস্তি। পরিচালক সিনেমায় মেল ভয়েরিজমের গালে একটা ঠাস্ করে চড় কষান।

→

জগন্নাথের স্নানযাত্রা গ্রীষ্মের দাবদাহের শেষে প্রভুর কাছে বর্ষা আগমনের অনুমতি

স্বাভাবিকভাবে কৃষি-ভারতের যাপনচিত্রও গাঁথা হয়ে যাচ্ছে এই অনুষ্ঠানের চালচিত্রে। আজ জগন্নাথ মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা উপলক্ষে বিশেষ লেখা। তাছাড়াও, রোববার.ইন-এ আজ সারাদিন ঝরোঝরো শব্দ, চান নিয়ে মোট ৬টি লেখা, পড়তে ভুলবেন না যেন!

→

গন্ধ থাকুক গায়ে, কিছু উটকো জনতা তাহলে পাশ থেকে কেটে পড়বে

কেবল সাচ্চা‌ প্রেম যদি হয় সে গায়ের আসল গন্ধের টানেই আসবে। সেইদিনের অপেক্ষায় থাকো।

→