Robbar

পাঁচমিশালি

চন্দননগর না ব্লুমসবেরি কোথায় বাড়ি ভার্জিনিয়ার, তার চেয়ে জরুরি প্রশ্ন: তাঁর ঘর ছিল না কেন?

বহু বছর আগে ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল প্রথম বলেছিলেন, ভার্জিনিয়া উলফ নাকি আংশিকভাবে বাঙালি– তাঁর মাতৃকুলের শিকড় নাকি এই ভূখণ্ডেই। তাঁর দাবি, উলফের প্রপিতামহী চন্দননগরে জন্মেছিলেন এবং তাঁর বিবাহের নথিও খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু উলফকে বোঝার জন্য কি তাঁর রক্তের ভূগোল জরুরি, নাকি তাঁর লেখায় ঘুরে বেড়ানো শূন্যতাগুলো?

→

ক্যালোরি বাঁচাও বনাম শিঙাড়া-জিলিপি অন্তঃপ্রাণ

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে সম্প্রতি একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাকি মন্ত্রকগুলিতে। উদ্দেশ্য একটাই। লোকজনদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সচেতন করা। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানে, যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বেশি, সেখানে টাঙানো হবে পোস্টার। আর এই পোস্টারে লেখা থাকবে শিঙাড়া, জিলিপিতে ক্যালোরির পরিমাণ।

→

বাঙালির গোপাল অতি সুবোধ বালক

হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।

→

মুখে ‘বাঁয়ে হাত কা খেল’ বললেও সত্যিই কি বাম-বান্ধব সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছি আমরা?

বিভিন্নরকম স্নায়বিক সমস্যা, অ্যালার্জি, কিছু কিছু খাবার এবং ওষুধের প্রতিক্রিয়া– এরকম হরেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে জোর করে বাঁ-হাতের অভ্যাস বদল। শুধু তাই নয়, চোখ, কান, মস্তিষ্ক ও হাতের সমন্বয়ের সমস্যা দেখা দেওয়াও খুব স্বাভাবিক। ফলে শিশুদের সহজাত গুণগুলি প্রকাশে বাধা পায়।

→

বি-গ্রেড সিনেমার পোস্টার এবং আলকাতরা রহস্য

বি-গ্রেড ছবিগুলোর প্রধান হাতিয়ারই ছিল পোস্টার। কখনও বম্বে থেকে ছাপানো, কখনও-বা স্থানীয় শিল্পীর আঁকা পোস্টার। মহিলাদের শরীরী বিভঙ্গ, উত্তেজক ভঙ্গি, নগ্নতা কিংবা রগরগে সংলাপ থাকত। মূলত পুরুষ দর্শকের মনোযোগ পাওয়ার জন্য তৈরি এই পোস্টারগুলি হয়ে উঠেছিল শহরের ‘ওভার গ্রাউন্ড পর্নোগ্রাফি’।

→

পৌরাণিক পরম্পরা ভেঙে শ্রমজীবীদের কথা উঠে এসেছে শ্রীরামপুরের ঝুলনে

শ্রীরামপুরের ঝুলনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চারদিন শ্রীকৃষ্ণের চারটি রূপকে আলাদা করে পুজো করা হয়। এইগুলো হল নৌকা বিহার, রাজবেশ, রাখালবেশ, ঘোড়বেশ। শ্রীরামপুরের অন্যান্য মৃৎশিল্পীর মতোই এই চারটি বেশের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা।

→

হালুমবাবুকে গান স্যালুট

হালুমের গল্পই বলব। হালুম যেমন ডোরাকাটা শার্দূলের জাতীয়-গর্জন, তেমনই থলথলে ভুঁড়ির ওপর থ্যাবড়া বেল্টে ঢলঢলে খাঁকি হাফপ্যান্ট ধরে রাখা সেকালের কতিপয় বাঙালি শিকারিরও। পক্ষীর বক্ষ এফোঁড়-ওফোঁড় করলেই যাদের ‘আলমিরা’ থেকে বের করে জাপানি হুইস্কির ছিপি খুলতে ইচ্ছে করত।

→

কাকপক্ষীরা টের পেয়েছে একজোট থাকাই বাঁচার একমাত্র পথ

শুধু কাক কেন, মানুষ থেকে শুরু করে শহরের সমস্ত জীবই আজ এই আলো-দূষণের শিকার। কৃত্রিম আলোয় থাকা কাকেদের বিক্ষিপ্ত ঘুম হচ্ছে। তাদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে তাদের মেজাজ, দলগত ও একক আচরণ।

→

ঘুমপাড়ানি গল্পের একাল-সেকাল

ঘুমপাড়ানি গান থেকে শুরু হয়ে বেডটাইম স্টোরি, ছবির বই হয়ে বেডসাইডে রাখার মতো বই বা অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসে মানুষকে উপনীত হতে হয় জীবনের গতির সঙ্গে। এই গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এসেছে এমপিথ্রি, অডিও বুক। কিন্তু মা-ঠাকুমার ঘুমপাড়ানি গান, সুরে বা বেসুরে গুনগুনিয়ে ওঠা লুলাবাই কিংবা বাবার কোল ঘেঁষে শুয়ে গল্প শোনার আরাম অগ্রাহ্য করা যায় না এখনও।

→

জীবনের প্রথম ডকুমেন্টারি করতে গিয়ে গুলি ছুড়তে হয়েছিল মধু বসুকে!

একটু আগেই সবার অলক্ষ্যে দ্বিতীয় হাতির সওয়ারি, ২৭ বছরের টগবগে যুবক ক্যামেরাম্যানের হাতে থাকা প্যাথে সিনে ক্যামেরা নিমেষে বদলে গিয়েছিল কোচবিহার মহারাজার অস্ত্রাগার-অধ্যক্ষ সাবেদ আলির টোটা ভরা নিজস্ব বন্দুকে। আর যুবকটিও এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে নিঁখুত শিকারির মতন টিপে দিয়েছিল সেই বন্দুকের ঘোড়া। নিমেষের মধ্যে গুলিটা গিয়ে লাগল বাঘটার ব্রহ্মতালুতে।

→