যতদূর চোখ যায়, দূরের তারারা ঝিলমিল করছে। যেন সবাই গায়ে গায়ে বসে আলোর মজলিশ বসিয়েছে। তা তো নয়। ওটা তো চোখের ভুল। চোখ দেখছে ভুল, দিচ্ছে ভুল বার্তা। ওই মহাকাশের আসল সত্যটি আমার জানা, ভাবে জ্যোতি। ওই তারারা কেউ নয় পাশাপাশি, ঘেঁষাঘেঁষি, গলায় গলায়। সবাই সবার আলোকবর্ষ দূরের।
২৩.
মেজবউঠাকরুণের কণ্ঠ থেকে উৎসারিত কথাটি যত রাত বাড়ছে ততই যেন হন্ট করছে জ্যোতিরিন্দ্রকে। ১৯ বছরের জ্যোতি রোম্যান্টিক কবিতার পোকা। ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার কবিতা সে মনে-প্রাণে গ্রহণ করেছে। এবং মূল ভাষায় এইসব কবিতা পড়তে-পড়তে তার একটি কথা ক্রমশ মনে হয়েছে– কী বিপজ্জনক ইংরেজ ও ফরাসি কবিরা! যেটা সব থেকে বিপদের জায়গা, এই দুই ভাষার কবিতা তাকে ক্রমশ করে তুলেছে সমাজবিমুখ। বিশেষ করে ফরাসি কবিতা না পড়লে কি, সে এমনভাবে অনুভব করত একাকিত্বের টান! মেজবউঠান একা হতে ভয় পায়! আর আমি একা হতে চাই! একা না হলে ভাবনার সঙ্গে ভাব হয়? একা না হলে নিজের মধ্যে যে আলোটা জ্বলছে, তা দেখা যায়? একা না হলে নিজের মধ্যে আনন্দে-বেদনায় ডুব দেওয়া যায়? ১৯ বছরের জ্যোতি ক্রমশ নিশ্চিত, সমস্ত সৃষ্টির মূলে আছে একাকিত্ব! জ্যোতি একা দাঁড়িয়ে আছে রাতের অন্ধকারে জোড়াসাঁকোর বাড়ির বিরাট ছাদটার এক কোণে। সে তাকায় আকাশের দিকে। যতদূর চোখ যায়, দূরের তারারা ঝিলমিল করছে। যেন সবাই গায়ে গায়ে বসে আলোর মজলিশ বসিয়েছে। তা তো নয়। ওটা তো চোখের ভুল। চোখ দেখছে ভুল, দিচ্ছে ভুল বার্তা। ওই মহাকাশের আসল সত্যটি আমার জানা, ভাবে জ্যোতি। ওই তারারা কেউ নয় পাশাপাশি, ঘেঁষাঘেঁষি, গলায় গলায়। সবাই সবার আলোকবর্ষ দূরের। কেউ হাজার হাজার আলোকবর্ষ, কেউ বা লক্ষ, কেউ বা কোটি। যে-দূরত্ব পেরনো যায় না। এমনকী, যে দূরত্ব আমাদের কল্পনারও বাইরে। মানুষও ওই তারাদের মতো। মনে হয় সবাই মিলে বেশ আছি এক উষ্ণ জটলার মধ্যে। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেও তাই। তারা কেন অনুভব করে না, মানুষের সঙ্গে মানুষের কল্পনাতীত দূরত্ব! আমরা সবাই একা! এই একাকিত্বের সমুদ্র পেরিয়ে কোনওদিন আমরা পরস্পরের কাছে পৌঁছতে পারব না। তবু বিয়ে! তবু সংসার! তবু মন্ত্রের মিথ্যে– তোমার হৃদয় যেখানে, আমার হৃদয়ও সেখানে; যা চায় তোমার মন, আমার মনও তাই চায়; কোনও বিরোধ, কোনও বিচ্ছেদ, কোনও ভেদাভেদ নেই আমাদের মধ্যে। আমরা আজ থেকে স্বামী-স্ত্রী। একই সত্তার দুটি শরীর। আমাদের মিলনে একটি বৃত্ত পূর্ণ হল! সেই মিলন হৃদয়ে? না সঙ্গমে? নিজের সঙ্গে নিজের সঙ্গম?
………………………………………………………………………………………………………………………………………
মেজবউঠান একা হতে ভয় পায়! আর আমি একা হতে চাই! একা না হলে ভাবনার সঙ্গে ভাব হয়? একা না হলে নিজের মধ্যে যে আলোটা জ্বলছে, তা দেখা যায়? একা না হলে নিজের মধ্যে আনন্দে-বেদনায় ডুব দেওয়া যায়?
………………………………………………………………………………………………………………………………………
–ঠাকুরপো, তোমাকে সারা বাড়ি হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর তুমি আজও ছাদে একা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে! তোমার বিয়ে সামলাবার সব দায়িত্ব আমার ঘাড়ে। কেউ তো কুটোটি নাড়ছে না। কালকে বউ সাজাতেও সেই আমি!
–মেজবউঠান, তোমার এই অখণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে আমার জায়গাটা কোথায়? সুতরাং নীচের তলার ওই অযথা কোলাহল আর কাজ থেকে আমি পালিয়েই এসেছি বলতে পার।
–তোমার আর কী! কাল বিয়ে করে আমাদের ধন্য করবে।
একা ছাদে চলে আসার আগে আমার কথাটা একবার ভাবলে না? তোমাকে এইভাবে একা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমার প্রথমেই কী মনে হল জানো?
–কী?
–মনে হল, আমি রাতের পর রাত একাই দাঁড়িয়ে থাকব ছাদের ওই কোনটাতে, ঠিক ওইভাবে।
–মেজবউঠান, আমরা সবাই একা। বিয়ে আমাদের আরও একা করে।
জ্ঞানদা জ্যোতির মুখে বিয়ের আগের দিন এমন একটি অমোঘ আকস্মিক আপ্তবাক্য আশা করেনি। সে ধাক্কা খায়। এবং কী বলবে ভেবে পায় না।
–তবে একদিক থেকে আমি খুব বেঁচে গেছি।
–বেঁচে গেছ মানে? বুঝলাম না, বলে বিস্মিত জ্ঞানদা।
–যে খুকির সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার বয়েস ন’য়। আর আমি ১৯। সে নিরক্ষর। আর আমার অন্তত কিছু জ্ঞানগম্যি হয়েছে। এবং তোমরাই সাজিয়ে দেবে আমার ফুলশয্যা, তার সঙ্গে এক বিছানায় শুয়ে রাত কাটানোর জন্য। ব্যাপারটার ভেতরে কতদূর কুৎসিত, কদাকার, কদর্য, ভেবে দেখেছ? অথচ বাবামশায়ের ধর্মবোধে, সমাজচেতনায় এতটুকু দাগ পড়ল না। তিনি কী সহজে আমার বিয়ে দেওয়ার কর্তব্যটি নির্মল মনে সেরে ফেললেন!
–আমি তো স্বীকার করছি ঠাকুরপো, তোমার প্রতি ভয়ংকর অবিচার এবং নিষ্ঠুরতা হয়েছে।
–আর কাদম্বরীর প্রতি? সে এই বাড়িতেই বড় হয়েছে। অথচ তার সুখ-দুঃখ, খাওয়া-পরা, তার লেখাপড়ার কোনও খোঁজখবর, এসব আমরা করেছই কোনওদিন।
–ঠাকুরবাড়ির গরিব আত্মীয়স্বজন তো এইভাবেই এ-বাড়ির ওই অংশটায় আশ্রিত।
কাদম্বরীর কী ভাগ্য বলত? ওর বিয়ে হচ্ছে তোমার সঙ্গে। কোথায় আছে। আর কাল ভোর না হতেই কোথায় উঠে আসতে চলেছে। ওর প্রতি কীসের অবিচার, কোথায় অন্যায়?
–ওকে বলি দেওয়া হল মেজবউঠান। তবে এর একটা ভাল দিকও আছে। আমার বেঁচে যাওয়াটা তার মধ্যে পড়ে।
–মাথামণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে ন’বছরের মেয়েটার ভাগ্য অতি-সুপ্রসন্ন। এইটুকু বুঝি। এরই মধ্যে তোমার দরদ তো তার প্রতি উথলে উঠছে ঠাকুরপো। না হলে তুমি বলতে না, মেয়েটাকে আমরা বলি দিতে তোমার সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছি। যদি বলো, তোমাকে বলি দেওয়া হল, মেনে নিচ্ছি। কিন্তু কাদম্বরীকে কোন অর্থে বলি দেওয়া হল এই সুখ ঐশ্বর্য এবং মর্যাদায় নিয়ে এসে, বুঝিয়ে দাও আমাকে।
–তার আগে বলি, কাদম্বরীকে বলি দেওয়া হল বলেই আমি বা আমরা বেঁচে গেলাম কীভাবে, বলে জ্যোতিকে।
জ্ঞানদা জ্যোতির চোখে রাখে এক তীব্র, শুষে নেওয়া চাউনি। কিন্তু তার মুখে একটিও কথা নেই।
–শোনো মেজবউঠান, আমার এই সম্পূর্ণ অসম বিয়েটা আমাকে বাঁচিয়েও দিল। তোমাকেও শাপে বরের মতো। কাদম্বরীর সঙ্গে আমার সম্পর্কে কোনওদিনই কোনো আঁট সম্ভব নয়। আমাদের বিয়েটা চিরকালই থাকবে আলগা বুননের। ধরি-মাছ-না-ছুঁই পানি। সুতরাং আমার অনেক সময়ে থাকবে সাহিত্য-চর্চার জন্য। গান বাজনার জন্য, আর থিয়েটারের জন্য।
–আর আমার জন্য ঠাকুরপো? প্রশ্নটাকে কিছুতেই আটকাতে পারে না জ্ঞানদা।
–তোমার কথায় একটু পরেই আসতাম মেজবউঠান। তবে মনে হচ্ছে অতক্ষণ তুমি ধৈর্য ধরতে পারবে না। তাই তোমার কথাতেই আগে আসা যাক।
কথাগুলো বলার সময় জ্যোতিরিন্দ্র অমন অনিন্দ্যসুন্দর হাসির গায়ে কেমন যেন একটা বাঁকাভাব ফুটে ওঠে। এমন হাসি জ্যোতির ঠোঁটে প্রথম দেখল জ্ঞানদা।
–মেজবউঠান, মেজদাদা চেয়েছিল ডাক্তার সূর্যকুমার চক্রবর্তীর বিলেত ফেরত মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে। তোমারও না রাজি হয়ে উপায় ছিল না মেজবউঠান। কারণ, বিলেতফেরত যখন, তখন সে-মেয়ে তো সব দিক থেকেই আমার থেকে এগিয়ে। তার যোগ্য হতে আমাকেই হয়তো একবার বিলেতের মাটি ছুঁয়ে আসতে হত। এবং আমার সেই তীর্থদর্শনের খরচ নিশ্চয়ই কন্যার পিতাই বহন করতেন। কেন-না জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির স্বয়ং দেবেন্দ্রনাথের পুত্রের সঙ্গে বিয়ে! সে কী কম কথা! আর বিলেত ফেরত মেয়ে যখন, তখন এই মুসলমানের জলখাওয়া, অ-হিন্দু, ব্রাহ্ম পরিবারে বিয়ে করতেও সেই মেয়ের কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবামশায়কে তো জান মেজবউঠান, তাঁকে কি মেজদাদা রাজি করাতে পারতেন? বাবামশায় সূর্যকুমারের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে সহজে রাজি হতেন না। সংসারে বাইরে থেকে আসা কোনও বিদ্যুৎ ঝলক তিনি পছন্দ করেন না মেজবউঠান, তা কি তুমি জান না? তবে তুমি যদি বাবামশায়কে সর্বশক্তি দিয়ে বুঝিয়ে-সুজিয়ে, কিন্তু সে চেষ্টা তুমি করনি। মেজবউঠান, তুমি বরং ভেবে দেখলে, সূর্যকুমারের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে না হওয়াই ভালো।
–কেন? কেন এমন ভাবতে যাব আমি? কী অন্যায় কথা ঠাকুরপো!
–মেজবউঠান, কাদম্বরীর সঙ্গে আমার বিয়েতে তুমিও আমারই মতো বেঁচে গেলে। সূর্যকুমারের মেয়ে আমাকে বিয়ে করে এই সংসারে ঢুকলে তোমার প্রাবল্যে দিনদিন বিরোধী-স্রোতের ধাক্কা লাগতই। আমাদের সমাজে বিলেত-ফেরত মেয়ে মানে বুঝছ? তাকে সামলাতে তোমার প্রাণ যেত। তাছাড়া…
–তাছাড়া কী? জ্ঞানদা তার কানের লতিতে অচেনা তাপ অনুভব করে।
–তাছাড়া এই যে, সূর্যকুমারের বিলেত-ফেরত মেয়ে তোমার আমার সম্পর্কের চোরাস্রোতে ছিপ ফেলতই, যা ন’বছরের কাদম্বরী ভাবতেই পারবে না।
–তোমার ন’বছরের কাদম্বরী তো চিরকাল ন’বছরেই থাকবে না। দেখতে-দেখতে ও বড় হয়ে উঠবে। বিয়ের পরে মেয়েদের বয়েস খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে ঠাকুরপো!অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ জ্যোতিরিন্দ্রর খুব কাছে সরে এসে বলে জ্ঞানদা।
–যত তাড়াতাড়িই বাড়ুক, কিছু সময় তাকে দিতেই হবে। সুতরাং তোমার আমার সম্পর্কে এখুনি কোনও বিপদ সংকেত নেই মেজবউঠান। এদিকটা যে তুমি ভেবে দেখনি, এমন ভান কোরো না। আমার কিন্তু স্বীকার করতে কুণ্ঠা বা লজ্জা নেই, কাদম্বরীর সঙ্গে আমার বিয়েটার এইটে একটা ভালোর দিক, অন্তত আমাদের পক্ষে।
জ্যোতিরিন্দ্রর এই অকপট সত্য উচ্চারণে সমস্ত শরীরের রক্ত যেন তার মুখে এসে জড়ো হচ্ছে, এমনই মনে হয় জ্ঞানদার। ভাগ্যিস চারধার অন্ধকার। ভাগ্যিস নতুন দেখতে পাচ্ছে না তার মুখ, ভাবে জ্ঞানদা। জ্ঞানদা তার নতুনকে টেনে নেয় তাড়িত নিবিড়তার মধ্যে। আর গভীর সোহাগে ডাকে, ‘নতুন!’
(চলবে)
…মেজবউঠাকরুণ-এর অন্যান্য পর্ব…
মেজবউঠাকরুণ ২২: কাল থেকে আমিও রবির মতো একা হয়ে যাব না তো ঠাকুরপো?
মেজবউঠাকরুণ ২১: জ্ঞানদার মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ঈর্ষা!
মেজবউঠাকরুণ ২০: স্বামী সম্বন্ধে জ্ঞানদার মনের ভিতর থেকে উঠে এল একটি শব্দ: অপদার্থ
মেজবউঠাকরুণ ১৯: কাদম্বরী ঠাকুরবাড়িতে তোলপাড় নিয়ে আসছে
মেজবউঠাকরুণ ১৮: নতুনকে কি বিলেত পাঠানো হচ্ছে?
মেজবউঠাকরুণ ১৭: চাঁদের আলো ছাড়া পরনে পোশাক নেই কোনও
মেজবউঠাকরুণ ১৬: সত্যেন্দ্র ভাবছে জ্ঞানদার মনটি এ-বাড়ির কোন কারিগর তৈরি করছে
মেজবউঠাকরুণ ১৫: জ্ঞানদার কাছে ‘নতুন’ শব্দটা নতুন ঠাকুরপোর জন্যই পুরনো হবে না
মেজবউঠাকরুণ ১৪: জ্যোতিরিন্দ্রর মোম-শরীরের আলোয় মিশেছে বুদ্ধির দীপ্তি, নতুন ঠাকুরপোর আবছা প্রেমে আচ্ছন্ন জ্ঞানদা
মেজবউঠাকরুণ ১৩: বিলেতে মেয়েদের গায়ে কী মাখিয়ে দিতে, জ্ঞানদার প্রশ্ন সত্যেন্দ্রকে
মেজবউঠাকরুণ ১২: ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালেরও কান আছে
মেজবউঠাকরুণ ১১: ঠাকুর পরিবারে গাঢ় হবে একমাত্র যাঁর দ্রোহের কণ্ঠ, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ১০: অসুস্থ হলেই এই ঠাকুরবাড়িতে নিজেকে একা লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর
মেজবউঠাকরুণ ৯: রোজ সকালে বেহালা বাজিয়ে জ্ঞানদার ঘুম ভাঙান জ্যোতিঠাকুর
মেজবউঠাকরুণ ৮: অপ্রত্যাশিত অথচ অমোঘ পরিবর্তনের সে নিশ্চিত নায়িকা
মেজবউঠাকরুণ ৭: রবীন্দ্রনাথের মায়ের নিষ্ঠুরতা টের পেয়েছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ৬: পেশোয়াজ অন্দরমহল আর বারমহলের মাঝখানের পাঁচিলটা ভেঙে দিল
মেজবউঠাকরুণ ৫: বাঙালি নারীশরীর যেন এই প্রথম পেল তার যোগ্য সম্মান
মেজবউঠাকরুণ ৪: বৈঠকখানায় দেখে এলেম নবজাগরণ
মেজবউঠাকরুণ ৩: চোদ্দোতম সন্তানকে কি ভুল আশীর্বাদ করলেন দেবেন্দ্রনাথ?
মেজবউঠাকরুণ ২: তোমার পিঠটা কি বিচ্ছিরি যে তুমি দেখাবে না বউঠান?
মেজবউঠাকরুণ ১: ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদাকে ঘোমটা দিতে বারণ দেওর হেমেন্দ্রর
প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশের সময় সম্পাদকের বক্তব্য ছিল কিঞ্চিৎ দ্বিধাজড়িত। একটি পৃথক গ্রন্থ হিসাবেই সংখ্যাটিকে ভাবছিলেন তাঁরা। সম্পাদকের নিবেদনে সেই সংশয় স্পষ্ট– ‘আগামীবারে এই বই আরও বিরাট আকারে বাহির করিবার ইচ্ছা রহিল।... তবে এর সাফল্যের সবটাই নির্ভর করিতেছে চিত্র-প্রিয়দের সহানুভূতির উপর।...’