লোকবিশ্বাস, রথে বামন (জগন্নাথ) দর্শন করলে পুনর্জন্মের ভয় থাকে না। পুরীর প্রসাদের মাহাত্ম্যও সর্বজনবিদিত। এই প্রসাদ গ্রহণ করলে মহা পাতক থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় বলে মনে করেন ভক্তেরা। একদা গৌড়ের রাজা সুবদ্ধি রায়ের জাতিনাশ করেন সুলতান হোসেন শাহ। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের ফতোয়ায় মৃত্যুবরণ ভিন্ন অন্য কোনও উপায় ছিল না, শ্রীচৈতন্য তাঁকে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার নিদান দিয়ে উদ্ধার করেন।
২.
পুরীতে যাননি, জগন্নাথ দর্শন করেননি এমন বাঙালি কেউ আছেন নাকি? সেই ক’বে থেকে সারা ভারতের নানা প্রান্ত থেকে, এমনকী ভারতের বাইরে থেকেও কত না মানুষ আজও পুরীধামে জগন্নাথ দর্শনে আসছেন, এসে চলেছেন। সারা ভারতে তো বটেই, সারা পৃথিবীতে আর একটিও এমন মন্দিরের সন্ধান কেউ দিতে পারেননি, যেখানে এক দেবতা এত রূপে, এত সম্প্রদায় মতে পূজিত হয়ে চলেছেন। জগন্নাথের মহাপ্রসাদ সকল বর্ণের মানুষ অন্য যেকোনও বর্ণের মানুষের হাত থেকে গ্রহণ করে থাকেন নির্দ্বিধায়। এমন অদ্ভুত দর্শন দেবতা, এত রহস্যময়, অথচ এমন সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা, বোধ করি আর একটিও নেই। ওড়িশার সংস্কৃতি, অর্থনীতি মায় রাজনীতিতে আজও সর্বময় কর্তৃত্বের নিয়ন্ত্রা– জগন্নাথ।
সে এক কাল ছিল যখন শবর জাতি ছিল ওড়িশার রাজা, তাদেরই নিয়ন্ত্রণে পুজো পেতেন জগন্নাথদেব। তাঁদের রীতিনীতি মেনেই পুজার্চনার আয়োজন আজও খানিকটা চালু আছে পুরীর মন্দিরে। বিশেষ করে স্নানযাত্রার পর থেকে রথযাত্রার আগে পর্যন্ত ‘অনবসর’ কালে শবরদের অধীনেই পরিচালিত হয় জগন্নাথদেবের পূজাক্রম। ফার্গুসন, রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মতো আবার কেউ কেউ মনে করেন, পুরীর জগন্নাথ আদতে বৌদ্ধ দেবতা। এমনকী রথযাত্রাও একটি বৌদ্ধ উৎসব। কিন্তু ইতিহাস বলছে, বৌদ্ধধর্মের অভ্যুদয়ের অনেক আগে লেখা উপনিষদেই রথের উল্লেখ আছে। এমনকী যে যুক্তিতে বৌদ্ধধর্মের অনুষঙ্গে মহাপ্রসাদ জাতপাতের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে বলে প্রচার করা হয়, বৌদ্ধধর্মের আর কোনও মন্দিরে কিন্তু সেই রীতি মান্য করা হয় না।
জরা নামের ব্যাধের শরের আঘাতে শ্রীকৃষ্ণ দেহত্যাগ করলেন দ্বারকাতে। জরাই তাঁর দেহ সৎকারের আয়োজন করলেন। জরা সেই দেহাস্থি সাগরে নিক্ষেপ করলেন, তারপর সেই দেহাস্থি অনুসরণ করতে করতে পৌঁছলেন পুরীধামে। দেহের খানিক অংশ কিন্তু অগ্নিতে ভষ্ম হল না। দেববাণী মেনে ততদিনে দেহাস্থি সাগরের জলে ভাসতে ভাসতে উজ্জ্বল এক নীলবর্ণ পাথরে পরিণত হয়েছে। শবর-রাজা বিশ্ববসু প্রতিদিন সেই পাথরটিকে নীলমাধব বলে পূজা করতেন। তাঁর বরেই শবরদের প্রতিপত্তি। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন সেই নীলমাধবকে শবরদের থেকে এনে নিজ অধিকারে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হলেন। বিদ্যাপতি নামে এক ব্রাহ্মণকে নিয়োগ করলেন নীলমাধবের খোঁজ আনতে। বিদ্যাপতি ব্রাহ্মণ হয়েও শবর বিশ্ববসুর কন্যা ললিতাকে বিয়ে করলেন। তারপর স্ত্রীর মাধ্যমে আবদার জানালেন বিশ্ববসুর কাছে, তিনি নীলমাধবের দর্শন করতে চান। দ্বিধান্বিত শবর-রাজা শর্ত দিলেন চোখ বেঁধে বিদ্যাপতিকে যেতে হবে, দেবমূর্তির দর্শন পেতে। চাতুরি করে সঙ্গে আনা সর্ষে বীজ ছড়াতে ছড়াতে চললেন রাজার চর। ফিরে এসে জানালেন ইন্দ্রদ্যুম্নকে। শবরদের গোপন ডেরা থেকে নিয়ে আসা হল নীলমাধবকে। যদিও নীলমাধবের আদি মূর্তিতে নয়, দেখা মিলল জগন্নাথ মূর্তিতে। এই অদ্ভুত মূর্তি, তার নির্মাণ ও পূজাপদ্ধতি নিয়ে একাধিক কিংবদন্তি ছড়িয়ে আছে। লেখা হয়েছে একাধিক মূল্যবান বই, কাব্য, তবু যেন বিতর্কের শেষ নেই। আদতে যে ইতিহাস অস্পষ্ট, সে কাহিনিতে জেগে থাকেই অজস্র প্রশ্ন। লৌকিক বুদ্ধিতে তার ব্যাখ্যা মেলে না বটে, কিন্তু বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
শবরদের মধ্যে আবার বিকলাঙ্গ দেবতার পূজার প্রচলনও আছে। এই বিকলাঙ্গ মূর্তিপুজো নিয়ে এক চমকপ্রদ গপ্পো আছে। ‘কিটুং’ নামে শবরদের এক মহাপ্রভু একদিন একটি পাথর ভাঙতে গেলে হঠাৎই আগুনের এক শিখা দেখা দেয়, এত তীব্র ছিল সে অগ্নিশিখা যে মারাত্মকভাবে কিটুং-এর দুটি পা-ই পুড়ে যায়, পাথর-ছিটকে আঘাত লাগে মাথায় ও গায়ে। মরণাপন্ন কিটুং আদেশ করেন ঐ রকমের বিকলাঙ্গ মূর্তিতেই দেবতাদের মূর্তি তৈরি করতে ও পুজো করতে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
জগন্নাথ, ওড়িশা-বিষয়ক যে কোন আলোচনায় শবরদের ভূমিকা আগাগোড়াই গুরুত্বপূর্ণ। এঁরা হলেন, জগন্নাথের দয়িতা, প্রিয় সেবক, আত্মীয়। প্রতি বছরের একমাস সময় শবররাই জগন্নাথের পূজার সমস্ত দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। পণ্ডিতেরা বলেন দারুব্রহ্ম বা কাঠের তৈরি বিগ্রহ পূজার রীতি শবরদের মধ্যে বলে নয়, তাবত আদিবাসীদের মধ্যেই বহুকালের প্রচলিত রীতি। তবে শবরদের মধ্যে আবার বিকলাঙ্গ দেবতার পূজার প্রচলনও আছে। এই বিকলাঙ্গ মূর্তিপুজো নিয়ে এক চমকপ্রদ গপ্পো আছে। ‘কিটুং’ নামে শবরদের এক মহাপ্রভু একদিন একটি পাথর ভাঙতে গেলে হঠাৎই আগুনের এক শিখা দেখা দেয়, এত তীব্র ছিল সে অগ্নিশিখা যে মারাত্মকভাবে কিটুং-এর দুটি পা-ই পুড়ে যায়, পাথর-ছিটকে আঘাত লাগে মাথায় ও গায়ে। মরণাপন্ন কিটুং আদেশ করেন ঐ রকমের বিকলাঙ্গ মূর্তিতেই দেবতাদের মূর্তি তৈরি করতে ও পুজো করতে।
এই শবর-শাসিত রাজ্যে অন্য ধর্মমতের প্রথম প্রবেশ হয় জৈনদের হাত ধরে। নন্দবংশীয় মহাপদ্ম নন্দ কলিঙ্গ-বিজয়ের পর সেখান থেকে মগধে নিয়ে যান কলিঙ্গ জিন মূর্তি, অনেকের মতে সেটি ছিল ঋষভনাথ বা পার্শ্বনাথের মূর্তি। নীলমাধব সম্পর্কে পণ্ডিতদের অভিমত, মহাযানী বৌদ্ধদের শূন্যবাদের ভাবনা-সঞ্জাত। এমনকী জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ার চক্রটিও নাকি সেই জৈন ও পরবর্তী বৌদ্ধ ধর্মচক্রের কারণেই উঠে আসে। ক্রমে ঐ দুটি ধর্মেরই প্রভাব প্রতিপত্তি কমে আসতে থাকে।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় থেকে হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান শুরু। শাক্ত ও শৈবদের জয়যাত্রা শুরু হয়। ভুবনেশ্বরে তৈরি হতে থাকে লিঙ্গরাজ, মুক্তেশ্বর, রাজারাণী মন্দিরের মত অসাধারণ স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম, প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে শিবলিঙ্গ ইত্যাদি। পরবর্তী গঙ্গাবংশীয়দের শৈব ও শাক্তদের প্রতি রাজানুকুল্য কমতে থাকলেও জনমানসে তার প্রভাব রাতারাতি লোপ পায়নি। অনেকে আবার বলে থাকেন, ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজের আদি মন্দিরটি রাজা শশাঙ্কের অবদান, পরে কেশরী বংশীয়রা বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণ করেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর প্রথম পর্ব: ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
গঙ্গবংশীয়দের রাজত্বকালেই তৎকালীন উড়িষ্যা জুড়ে বৈষ্ণব ধর্মের বিকাশ ও বিস্তার হতে থাকে। শবরদের নীলমাধব চুরি করে আনার কাহিনির সঙ্গে আরও খানিক অলৌকিকতার প্রলেপ দিয়ে গড়া হয় বেশ কিছু কাব্য, মাগুনিয়া দাসের ‘ক্ষেত্রপুরাণ’ ও শিশুরামের ‘দারুব্রহ্ম’। তাতে বলা আছে, নীলমাধবকে আনতে গেলে রাজা দেখলেন সেই মূর্তি অন্তর্হিত। রাত্রে স্বপ্নাদেশ হল, দু’দিন পর সমুদ্রে ভেসে আসবে কাষ্ঠখণ্ড, তা থেকে তৈরি করতে হবে জগন্নাথের মূর্তি। যথাকালে কাঠ ভেসে এল বটে, কিন্তু ব্রাহ্মণেরা মিলে তুলতে পারলেন না, শেষে ডাকতে হল শবরদের, তাদের স্পর্শে কাঠখানি উঠে এল অনায়াসে। এবার মূর্তি গড়ার পালা। সাধারণ শিল্পীরা কাঠ কাটতে পারল না, অবশেষে ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মা ছদ্মবেশে শর্ত দিলেন– তিন সপ্তাহ ধরে রুদ্ধদ্বার কক্ষের ভিতর মূর্তি গড়ে যাবেন তিনি। কেউ উঁকি পর্যন্ত দিলে সেই অবস্থায় শিল্পী চলে যাবেন। সম্মত হলেন রাজা, দরোজা বন্ধ করে মূর্তি গড়া শুরু হল। দিন যায়, সামান্য শব্দটুকুও আসে না বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে। রাজার কৌতূহল বাড়ে, কিন্তু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন। অস্থির লাগে, অবশেষে একদিন রাজা চেষ্টা করেন ঘরের ভিতর কি হচ্ছে দেখতে, মাথায় হাত পড়ল তাঁর, ঘর শূন্য, মূর্তি অসমাপ্ত। কেঁদে পড়লেন রাজা, আবারও স্বপ্নাদেশ, ঐ মূর্তিতেই ভগবান ভক্তদের সব বাসনা কামনা পূরণ করবেন, পুজো গ্রহণ করবেন। সেই থেকে ঐ অসমাপ্ত মূর্তিতেই পূজা পাচ্ছেন পূর্ণব্রহ্ম সনাতন।
সন্ন্যাস নেওয়ার অব্যবহিত পরেই নিমাই পণ্ডিত গুটিকয় সঙ্গী নিয়ে শ্রীক্ষেত্রে পৌঁছলে, গৌড় দেশ থেকে চৈতন্য অনুরাগীরা দল বেঁধে নীলাচল যাত্রা করতে শুরু করেন। প্রতি বছর গৌড়ের নানা অংশ থেকে সমাগত ভক্তদের নিয়ে চৈতন্যদেব ‘চতুর্মাস্যা ব্রত’ পালন করে চারমাস কাটাতেন শ্রীক্ষেত্রে। তাঁদের যাত্রার যাবতীয় আয়োজন ও পরিচালনের দায় ন্যস্ত ছিল কাঁচড়াপাড়ার শিবানন্দ সেনের ওপর। পানিহাটির রাঘব পণ্ডিতের বাড়ি থেকে পাঠানো হত নানা রকমের মুখশুদ্ধি ও শুকনো খাবার, রাঘবের সেই ঝালি চৈতন্যের অতি প্রিয় ছিল। পুরীতে পৌঁছলে তাঁদের যাবতীয় ব্যয়, বন্দোবস্ত করতেন রাজা প্রতাপ রুদ্র। সে আমলে চৈতন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ-প্রার্থী হয়ে পুরীধামে আসতেন বহু বৈষ্ণব সাধক ও তাঁদের অসংখ্য অনুগামী। ক্রমে সারা ভারতে শ্রীক্ষেত্র বহুজাতি ও সম্প্রদায়ের ভক্ত সমাবেশে মুখরিত হতে শুরু করে।
এমনিতে পুরীতে ১৪টি মুখ্য এবং ১২টি গৌণ উৎসব পালিত হয়। মূলত বৈষ্ণব উৎসবগুলিই প্রধান হলেও রথযাত্রা উৎসবটি একদিকে অভিনব ও অনন্য। ৭ থেকে ৮ লাখ লোক ঐ উৎসবে অংশ নিতে ছুটে আসেন সারা পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে। লোকবিশ্বাস, রথে বামন (জগন্নাথ) দর্শন করলে পুনর্জন্মের ভয় থাকে না। পুরীর প্রসাদের মাহাত্ম্যও সর্বজনবিদিত। এই প্রসাদ গ্রহণ করলে মহা পাতক থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় বলে মনে করেন ভক্তেরা। একদা গৌড়ের রাজা সুবদ্ধি রায়ের জাতিনাশ করেন সুলতান হোসেন শাহ। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের ফতোয়ায় মৃত্যুবরণ ভিন্ন অন্য কোনও উপায় ছিল না, শ্রীচৈতন্য তাঁকে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার নিদান দিয়ে উদ্ধার করেন।
পুরীধামে বাঙালি তীর্থযাত্রা কাহিনিরূপে শ্রীচৈতন্যের জীবনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সে বিবরণে মুখ্য চরিত্র জগন্নাথদেব নন। তারপর বহু মানুষের লেখনীতে অবশ্য জগন্নাথ কথা বারবার উঠে এসেছে। এমনই এক লেখা নগেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘পুরীতীর্থ’ (সচিত্র)। নগেন্দ্রনাথ ছিলেন আন্দুল এস্টেটের ম্যানেজার। বইটি প্রকাশিত হয় ১৩২২ সনে, প্রকাশক ছিলেন গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। বইটির বিষয় সম্পর্কে লেখক জানিয়েছিলেন, ‘উৎকলের পঞ্চতীর্থের পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক বিবরণ এবং জগন্নাথদেবের লীলা সম্বলিত’। ‘পুণ্যভূমি পুরুষোত্তমধাম ধর্ম্মপ্রাণ হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ তীর্থ’ বলে দাবি করার সাথে সাথে পান্ডাদের সম্পর্কে ‘যদেচ্ছা ভুল বুঝাইয়া প্রতারণা’ করার অভিযোগ ও জগন্নাথদেব সম্পর্কিত বইপত্তরগুলিকে ‘ভ্রম প্রমাদে পরিপূর্ণ’ বলেও জানিয়েছেন। বাঙালির কাছে পুরীতীর্থের গুরুত্ব ঠিক কতখানি বুঝতে গেলে আরেকটি তথ্য জরুরি, উলুবেড়িয়া থেকে পুরীধাম পর্যন্ত পথটি রাজা সুখময় রায়ের অর্থানুকুল্যে তৈরি হয় ১৮১১ সালে। ‘Calcutta Gazettee 1835’-এ লেখা আছে, ‘Whose object was to facilitate communication with Jagannath’ বাঙালির কাছে পুরী শুধু এক মহাতীর্থ ক্ষেত্রই নয়, অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও বটে।