অভিনেতার পক্ষে তো সম্ভব নয় দর্শককে ডেকে বলা যে, আমি অভিনেতা এভাবেই আমাকে দেখবেন। কিন্তু অভিনেতার মনেও একটা উপলব্ধির জায়গা তৈরি হয়, অর্থাৎ, দর্শক তার অভিনয় দেখে বাহবা দেবে, ভালো বলবে সেই প্রত্যাশা জমতে থাকে। তাই মঞ্চের ওপর যখন সহ-অভিনেতা কেউ, প্রজ্ঞাবান কোনও চরিত্রের অভিনয়ে দর্শকের কুর্নিশ আদায় করে নেয়, তখন একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী চরিত্র পরিস্ফুটনে একটা অস্বস্তি তৈরি হয় অভিনেতার মনে। দর্শকের কাছে সে গ্রহণযোগ্য হবে না, তাকে সবাই ভুল ভাববে, এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা তখন তার মধ্যে তৈরি হয় বটে।
১২.
‘যদিদং’ বলে একটা নাটকে অভিনয় করতাম অনেক দিন আগে। মজার নাটক। ‘নটরঙ্গ’ বলে কলকাতারই একটি নাট্যদল, যার নাট্যকার ও নির্দেশক ছিলেন সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। তো সেই নাটকে এক ঠগ, জোচ্চোর চরিত্র, যে কি না উকিল সেজে প্রক্সি দেয়, তেমনই এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এই যে চরিত্র, তার ছল-চাতুরি, সেই সংলক্ষণগুলো যখন চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠত মঞ্চে, তা দেখে দর্শক মজা পেত বটে। কিন্তু তারা আমাকে এটাও বলত, আপনার এই চরিত্রটা ভালোই হয়েছে, তবে আরও যেসব চরিত্রে অভিনয় করেছেন আপনি, তা ভোলার নয়। অর্থাৎ, মুগ্ধ-দর্শক আমাকে বিশেষ কিছু চরিত্রে দেখতে চায়। সেই চরিত্রধর্মী সত্যের পথে তারা আমাকে না হাঁটিয়ে ছাড়তে নারাজ!
এমন পরিস্থিতিতেই কিন্তু একজন অভিনেতার মনে দ্বিধাদ্বন্দ্বের আসল খেলা শুরু হয়।
অভিনেতা নিজের মনেও যেহেতু বড় চরিত্রে যাপনের কথা বিশ্বাস করে, ফলে অজান্তেই কখনও কখনও সে নিজের জীবনের সঙ্গে তা মিলিয়ে ফেলে। আসলে থিয়েটারে অভিনীত এই চরিত্রগুলোর প্রভাব অভিনেতার পক্ষে অগ্রাহ্য করা কঠিন। এই যে প্রভাবিত হওয়ার মৌতাত, তার ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই ঠগ, জোচ্চোর চরিত্রগুলো, যেমন একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম ‘যদিদং’ নাটকে। তেমন চরিত্রে অভিনয়ের ফলে কী হয়, দর্শকের সামনে অভিনেতা ভিলেন রূপে, হাস্যকর রূপে কিংবা ইডিয়ট রূপে প্রতিভাত হন। এই ধরনের ফিডব্যাক যখন অভিনেতা দর্শকের কাছ থেকে লাভ করেন, তখন কিন্তু তিনি মনের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরির চেষ্টা করেন, নিজেকে বোঝান– অভিনেতা হিসেবে এমন তো মাঝেমাঝেই করতে হয়– এতে তো কারও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না– বরং অভিনেতা হিসেবে তার যাত্রাপথটা সুনির্দিষ্ট হল। ফলে নিজের বলা আর করার তারতম্যে অভিনেতা নিজের মনে এক বৈষম্যকে মান্যতা দিয়ে ফেলে।
দর্শককে কখনই এটা বোঝানো যায় না– অভিনেতা, তার অভিনীত চরিত্রের মতোই হতে চেয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তা সম্ভব হয় না পারিপার্শ্বিকতা ও বাধ্যবাধকতার পরিপ্রেক্ষিতে। এভাবেই আমরা নিজেদের বোঝাই। অভিনেতার পক্ষে তো সম্ভব নয় দর্শককে ডেকে বলা যে, আমি অভিনেতা এভাবেই আমাকে দেখবেন। কিন্তু অভিনেতার মনেও একটা উপলব্ধির জায়গা তৈরি হয়, অর্থাৎ, দর্শক তার অভিনয় দেখে বাহবা দেবে, ভালো বলবে সেই প্রত্যাশা জমতে থাকে। তাই মঞ্চের ওপর যখন সহ-অভিনেতা কেউ, প্রজ্ঞাবান কোনও চরিত্রের অভিনয়ে দর্শকের কুর্নিশ আদায় করে নেয়, তখন একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী চরিত্র পরিস্ফুটনে একটা অস্বস্তি তৈরি হয় অভিনেতার মনে। দর্শকের কাছে সে গ্রহণযোগ্য হবে না, তাকে সবাই ভুল ভাববে, এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা তখন তার মধ্যে তৈরি হয় বটে। প্রশ্ন জাগে, এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে কি তবে ভুল করলাম?
এপ্রসঙ্গে ‘ঔরঙ্গজেব’ নাটকের কথা বলতেই হয়। শাহাজাহান ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে যখন তর্ক চলছে, তখন ঔরঙ্গজেবের ভিলেন-চরিত্রে অভিনয় করে কিংবা সংলাপ বলে আমি দর্শকের বাহবা কুড়িয়েছি। কিন্তু যেখানে যতই ভালো অভিনয় করি না কেন, দর্শক যখন চরিত্রের ধূসর দর্শনকে খারিজ করে দিতে বদ্ধপরিকর হয়, সেখানেই হয় মুশকিল। মনে হয়, দর্শকের মনে যে উঁচু জায়গায় বসে ছিলাম, সেখান থেকে দর্শক আমাকে নিচে ফেলে দিচ্ছে। তা বলে কি আমি এমন চরিত্রে আর অভিনয় করিনি? বহুবার করেছি। এই যেমন গিরিশ ঘোষের চরিত্র।
‘এক মঞ্চ, এক জীবন’ নামে একটি নাটক, ‘পূর্ব-পশ্চিম’ নাট্যদলের প্রযোজনা ও সৌমিত্র মিত্রের নির্দেশনা, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। সেখানে গিরিশ ঘোষের চরিত্রে অনেক অনেক রজনী অভিনয় করেছি। সেখানে গিরিশ ঘোষই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। স্বাভাবিকভাবে সে অন্যদের তুলনায় বড় চরিত্র। তার বিভ্রান্তিও বড়। গিরিশ ঘোষ চরিত্রে দুটো দিক। একদিকে নায়কোচিত, চিত্তাকর্ষক ঘটনার মধ্য দিয়ে থিয়েটার নিয়ে, নাট্যকলা নিয়ে এলোমেলো পথ ধরে হেঁটে বঙ্গ থিয়েটারকে নতুন করে তৈরি করতে চান তিনি। আবার সেই গিরিশ ঘোষ যে কি না নিষিদ্ধ পল্লি থেকে মহিলা এনে অভিনয় করিয়ে তাদেরকে সম্মানিত করছেন, সেই মানুষই (ইতিহাসের ভ্রান্তিক্রুটি যাই থাক না কেন) যখন স্টার থিয়েটার তৈরি হচ্ছে, বিনোদিনীর নামে যার নাম ‘বি থিয়েটার’ হওয়ার কথা, সেটাকে খারিজ করে দিচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, তার বিরুদ্ধাচরণ না করে নির্লিপ্ত থাকছেন আশ্চর্যজনকভাবে। আসলে তিনি চেয়েছিলেন, থিয়েটার চলুক, সেখানে বিনোদিনীই থিয়েটার করুক। কিন্তু থিয়েটার বন্ধ হয়ে গেলে অভিনয়টা হবে কোথায়!
এই নাটকে এক জায়গা বিনোদিনী প্রশ্ন করছেন: মাস্টারমশাই, আপনি কিছু বলবেন না? আমি তো আমার সর্বস্ব দিয়েছি। সেই শর্তে রাজি হয়ে নিজেকে বিক্রি পর্যন্ত করেছি। তারপরেও আমার নামে হবে না থিয়েটার? তার কারণ, আমি নিষিদ্ধ পল্লি থেকে আসা মেয়ে! কারণ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ চায় না, নিষিদ্ধ পল্লির কোনও মেয়ের নামে থিয়েটার হোক।
তখন গিরিশ ঘোষ বলছেন: আমি কী বলব? আমি তো ম্যানেজার মাত্র, এবং নাট্যশিক্ষক। আমাকে সবদিক সামলে চলতে হয়। যদি থিয়েটারটাই উঠে যায়, তুই কোথায় থিয়েটার করবি বিনি?
………………………………………………………………………………..
অভিনেতা নিজের মনেও যেহেতু বড় চরিত্রে যাপনের কথা বিশ্বাস করে, ফলে অজান্তেই কখনও কখনও সে নিজের জীবনের সঙ্গে তা মিলিয়ে ফেলে। আসলে থিয়েটারে অভিনীত এই চরিত্রগুলোর প্রভাব অভিনেতার পক্ষে অগ্রাহ্য করা কঠিন। এই যে প্রভাবিত হওয়ার মৌতাত, তার ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই ঠগ, জোচ্চোর চরিত্রগুলো, যেমন একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম ‘যদিদং’ নাটকে। তেমন চরিত্রে অভিনয়ের ফলে কী হয়, দর্শকের সামনে অভিনেতা ভিলেন রূপে, হাস্যকর রূপে কিংবা ইডিয়ট রূপে প্রতিভাত হন।
………………………………………………………………………………..
এই যে যুক্তিগুলো তিনি তৈরি করলেন, তা নাটকের শুরু থেকে যে গিরিশ ঘোষকে আমরা দেখে এলাম, যিনি কি না প্রতিবাদমুখর, ছকে বাঁধা কথার বাইরে কথা বলেন, তিনি কিন্তু বিনোদিনীর সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছকে বাঁধা কথাই বলে গেলেন। ফলে অভিনয় করতে করতে যখন গিরিশ ঘোষ চরিত্রের এই জায়গায় এসে পৌঁছই, তখন কিন্তু ওই বিনোদিনী, নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র না হয়েও গিরিশ ঘোষকে ছাপিয়ে যায়। নাটকের এই জায়গায় এসে অভিনেতা হিসেবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তখন আমারও মনে হয়, এক নিদারুণ প্যাঁচে পড়ে গিয়েছি! এই সময়টা কিন্তু গিরিশ ঘোষের জন্য ভালো নয়, দেবশঙ্কর হালদারের জন্যও ভালো নয়, এমনকী, দর্শকের জন্যও ভালো নয়। ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাটা তখন অন্তরে প্রবল হয়ে ওঠে। এই ঘটনা জীবনে বারবার ঘটে মঞ্চাভিনেতার। তা সত্ত্বেও থিয়েটারের এই মুহূর্তকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই অভিনেতার। তা বারবার ফিরে ফিরে আসে।
গিরিশ ঘোষের কথা বললাম। আরও একটা চরিত্রের কথা বলি।
ইবসনের ‘ডলস হাউস’-এর বাংলা নাট্যরূপ– ‘খেলাঘর’, যার প্রযোজনায় রয়েছে ‘প্রাচ্য’ নাট্যদল। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র যে, সেই নীরা বা নোরা, তার স্বামী অসুস্থ। সেই অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে সে একটা অপরাধ করেছে ফেলেছে। তার স্বামী যখন অসুস্থ ছিল, সে তখন একটা উইলে নিজের বাবার সই জাল করে। এদিকে স্বামী আদর্শনিষ্ঠ, তাই তার কাছে কথাটা গোপন করে গিয়েছে সে মহিলা। তার স্বামীর ধারণা, মানুষ কোনও ভুল করতে পারে না, এমনকী, ছোটোখাটো ভুলও নয়। এমত অবস্থায় একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন সেই গোপন সত্য সর্বসমক্ষে বেরিয়ে আসে। আর স্বামী সবকিছু জেনেও সেই স্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করে। সে ভাবতেই পারে না– তার স্ত্রী ঠগ, জোচ্চোর, জালিয়াত। অথচ নাটকে ঘটনা পরম্পরায় জানা যায়, সেই স্বামী তার নিজের জীবনে এমন অনেক অন্যায় কাণ্ড ঘটিয়েছে! অধ্যাপক হওয়ার জন্য নানা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। তার স্ত্রী যখন সেটা জানতে পারে, সে তখন স্বামীর চরিত্রের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চায়। মনে রাখবেন, যে সময়ে এই নাটক লেখা, সে সময়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া বা সংসার ভেঙে বেরিয়ে আসা– খুব সহজ কথা নয়।
এখানে নীরা বা নোরা চরিত্রটি তার স্বামীর চরিত্রের চেয়ে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। নাট্যকারের অভিপ্রায়ও তাই। নাটকে দেখা যায়, স্বামী চরিত্রটি তখন স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, পরিস্থিতির দুর্বিপাকে সে ভুল করেছে, যেমনটা তার স্ত্রীও করেছে। আসলে মানুষের নিরপেক্ষ অবস্থান বলে কিছু হয় না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা বদলে যায়। কিন্তু নোরা বা নীরা চরিত্র এই প্রশ্নই তোলে, যখন তার দোষ ধরা পড়ল, তখন কেন স্বামীর মধ্যে এই বিবেকবোধ জাগ্রত হয়নি?
যাই হোক, শেষপর্যন্ত নোরা বা নীরা চরিত্রটি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নাটকের এই বিশেষ মুহূর্তে উপস্থিত দর্শকের কাছে কিন্তু প্রিয় হয়ে ওঠে নোরা বা নীরা চরিত্রটি। সেটাই স্বাভাবিক। আসলে নোরা বা নীরা চরিত্রটি নাটকে ক্রমশ প্রতিবাদী চরিত্র রূপে প্রতিভাত হতে থাকে, আর তথাকথিত আদর্শবাদী স্বামী চরিত্রটি পর্যবসিত হয় ঘৃণ্য চরিত্রে। এই স্বামী চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। যখন কোনও অভিনেতা এমন চরিত্রে অভিনয় করেন, যে চরিত্র দর্শকের কাছে তারিফযোগ্য নয়, সেটা স্বাভাবিক জেনেও একটা অদ্ভুত দোলাচল, নিরাপত্তাহীনতায় অভিনেতা পৌঁছন, যা থেকে তার মনে হয়– দর্শক আমায় ভুল বুঝছে না তো?
…………………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………………….
এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অভিনেতা বারবার তার অভিনয়ের দর্শনকে পরীক্ষা করতে করতে চায়। কিন্তু তা করেও ওই পরিবর্তিত পরিস্থিতির দোহাই টেনে ছোট ছোট ভুল করে এবং সেটাকেই দস্তুর বলে স্বীকার করে নেয়। তাই অভিনয় আমাদের যেমন একটা আনন্দ দেয়, তেমন একটা টেনশন, অস্বস্তিদায়ক আশঙ্কাও তৈরি করে। শব্দগুলো ফিরে ফিরে এসে যেন বিচারসভা বসায় মনের মধ্যে। কখনও কখনও আমাকে একান্তে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করায়, আমায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তারপর সেই কারাদণ্ড আমি ভোগ করলাম কি না, সেটা পরের ব্যাপার। পরে না হয় তা আলোচনা করা যাবে।
…পড়ুন নাটুয়া-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১১। অভিনেতার বিপদ লুকিয়ে থাকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্রে
পর্ব ১০। ‘উইংকল-টুইংকল’-এর ১০০তম শো-এ আমি কি তাহলে ভুল সংলাপ বলেছিলাম?
পর্ব ৯। একটি মৃতদেহকে আশ্রয় করে ভেসে যাওয়ার নামই অভিনয়
পর্ব ৮। নাটক কি মিথ্যের প্রতিশব্দ, সমার্থক?
পর্ব ৭। আমার পুরনো মুখটা আমাকে দেখিয়ে তবেই সাজঘর আমাকে ছাড়বে
পর্ব ৬। মঞ্চে আলো এসে পড়লে সব আয়োজন ভেস্তে যায় আমার
পর্ব ৫। আমার ব্যক্তিগত রং আমাকে সাহস জোগায় নতুন রঙের চরিত্রে অভিনয় করতে
পর্ব ৪। একটা ফাঁকা জায়গা ও বদলে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা
পর্ব ৩। আমার অভিনয়ের গাড়িতে আমি অন্য সওয়ারি চড়িয়ে নিয়েছি আমার জন্যই
পর্ব ২। অন্যের চোখে দেখে নিজেকে রাঙিয়ে তোলা– এটাই তো পটুয়ার কাজ, তাকে নাটুয়াও বলা যেতে পারে
পর্ব ১। বাবা কি নিজের মুখের ওপর আঁকছেন, না কি সামনে ধরা আয়নাটায় ছবি আঁকছেন?
আজ যখন আমরা মার্কস ও এঙ্গেলসের বন্ধুত্বকে নতুন চোখে দেখে কমিউনিস্ট ইতিহাস রচনার কথা ভাবি, তখন একই সঙ্গে কমিউনিস্ট আন্দোলনের নারীবাদী ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদের মেয়েদের এই বিপ্লবী কমরেডশিপের সম্ভাবনার, নারীবাদী বন্ধুত্বের রাজনীতির দিকেও নজর দিতে হবে।